আইজিপি
মব ভায়োলেন্স করে দেশের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করা যাবে না: র্যাব মহাপরিচালক
র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি), অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান বলেছেন, মব ভায়োলেন্স বা মব সন্ত্রাস করে এ দেশের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করা যাবে না। অপরাধী যেই হোক বা যে দলেরই হোক, আমরা তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করব।
শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ঘটে যাওয়া ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবস্থা গ্রহণের অগ্রগতিসহ আরও কয়েকটি ঘটনায় অপরাধীদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে প্রেস ব্রিফিং করেন র্যাবের ডিজি। ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, ‘র্যাব এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেকোনো ধরনের অপরাধ সংঘটনের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের বিষয়ে তৎপর রয়েছে। দেশে বিগত কয়েক মাসে ঘটে যাওয়া অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের র্যাব গ্রেপ্তার করেছে। তাদের যেন শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়, সে ব্যাপারে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছি। মব ভায়োলেন্স সৃষ্টির অপরাধে এ পর্যন্ত প্রায় ২০ জন অপরাধীকে র্যাব আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের সব প্রস্তুতি আছে, মব মোকাবিলায় সচেষ্ট সরকার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
‘গত ২ জুলাই লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম থানায় সন্ত্রাসী কর্তৃক মব সৃষ্টির মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের আহত করে আসামিদের ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমরা ৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। এ ছাড়াও গত ৩ জুলাই কুমিল্লার মুরাদনগরে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় একই পরিবারের মা ও দুই সন্তানের ওপর মব ভায়োলেন্সের অযাচিত ঘটনায় ৬ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
সলিমুল্লাহ মেডিকেলের সামনে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন ও জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত এজাহারনামীয় ৪ নম্বর আসামি আলমগীর (২৮) এবং ৫ নম্বর আসামি মনির ওরফে লম্বা মনিরকে (৩২) আমরা গতকাল (শুক্রবার) রাজধানীর কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।’
আরও পড়ুন: মব সন্ত্রাস জুলাই আন্দোলনের চেতনার পরিপন্থি: অ্যাটর্নি জেনারেল
‘এ ঘটনায় আমরা ছায়া তদন্ত করছি, আর পুরো বিষয়টি দেখছে ডিএমপির তদন্ত বিভাগ।’
র্যাবের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।
১৪৫ দিন আগে
ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে এসপিদের সতর্ক থাকার নির্দেশ আইজিপির
ভারত-পাকিস্তান সংঘাতকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের নিরাপত্তা যেন বিঘ্নিত না হয়, সেজন্য সীমান্তবর্তী জেলার পুলিশ সুপারদেরকে (এসপি) সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
বুধবার (৭ মে) বিকালে রাজধানীর গুলশানে বাংলাদেশ শ্যুটিং স্পোর্টস ফেডারেশনে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আইজিপি বলেন, ‘ভারতের সাথে আমাদের সীমান্তবর্তী জেলা ৩০টি এবং মিয়ানমারের সাথে ৩টি। ভারত-পাকিস্তান সংঘাতকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের নিরাপত্তা যেন বিঘ্নিত না হয় সেজন্য সীমান্তবর্তী জেলার পুলিশ সুপারদেরকে আগেই সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করবো যেন এর পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়।’
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলার অবনতির জন্য একটি স্বার্থান্বেষী মহল জড়িত: আইজিপি
বাংলাদেশ পুলিশ বার্ষিক শ্যুটিং প্রতিযোগিতা এবং আইজিপি কাপ-২০২৪ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশপ্রধান। এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) আর রানার্স আপ হয়েছে স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি)।
বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরা ৫-৭ মে পর্যন্ত এ প্রতিযোগিতায় ছয়টি ইভেন্টে অংশ নেয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) অতিরিক্ত আইজিপি ও বাংলাদেশ পুলিশ শুটিং ক্লাবের সভাপতি মোস্তফা কামাল।
২১১ দিন আগে
বেনজীরের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারি করেছে আর্ন্তজাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) এনামুল হক সাগর।
তিনি বলেন, ‘বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারি করেছে, যেটা আমরা সম্প্রতি জানতে পেরেছি।’
তবে এখন পর্যন্ত ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে বেনজীর আহমেদের ছবি ও তথ্য মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় এখনো দেখা যায়নি।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির জন্য ইন্টারপোলের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
বিদেশে পলাতক ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করতে ইন্টারপোলের কাছে পৃথক তিনটি ধাপে আবেদন করে বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি)।
আরও পড়ুন: সাবেক আইজিপি বেনজীর ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলেই ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অনুসন্ধান চলাকালে গত বছরের ৪ মে সপরিবার দেশ ছাড়েন বেনজীর। তিনি ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন। এর আগে তিনি ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত র্যাবের মহাপরিচালক ছিলেন।
২২৬ দিন আগে
রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স পরিদর্শন করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ঈদুল ফিতরের দিন রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এ সময়ে সঙ্গে ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
সোমবার (৩১ মার্চ) বেলা ১১ টায় তারা রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স পরিদর্শন করেন। এ সময় ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলীসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজারবাগ পুলিশ স্মৃতিসৌধে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন
তারা পুলিশ সদস্যদের মেস পরিদর্শন করেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন। নিজেদের ঈদ আনন্দ বিসর্জন দিয়ে জনগণের ঈদ আনন্দ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দায়িত্ব পালনরত পুলিশ সদস্যদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
২৪৮ দিন আগে
কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের সেবার মান বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন আইজিপি
কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের সেবার মান আরও বাড়াতে পেশাদারত্ব, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসকদের নির্দেশনা দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন শেষে হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এমন কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালকে যুগোপযোগী করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন আইজিপি। এ সময়ে পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখায় চিকিৎসক ও নার্সদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
আরও পড়ুন: অপরাধ নিয়ন্ত্রণের কোনো ম্যাজিক নেই, পুলিশ কাজ করছে: আইজিপি
সভায় জানানো হয়েছে, বর্তমানে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে গড়ে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে চার হাজার পুলিশ ও তাদের পরিবারের সদস্য চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজার পুলিশ সদস্য প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট গ্রহণ করেন।
পরিদর্শনকালে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক (ডিআইজি) সরদার নূরুল আমিন, অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন ও অর্থ) ডা. এমদাদুল হক এবং সুপারিনটেনডেন্ট ডা. এ বি এম খোরশেদ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
৩১৭ দিন আগে
অপরাধ নিয়ন্ত্রণের কোনো ম্যাজিক নেই, পুলিশ কাজ করছে: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, সারাদেশে অপরাধ দমনে পুলিশ কাজ করছে এবং এর কোনো 'ম্যাজিক সলিউশন' (জাদুকরি সমাধান) নেই।
তিনি বলেন, ‘সারা দেশের এসপিদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে কোনো যাদুকরি সমাধান নেই কারণ আপনি পরিস্থিতি জানেন এবং কোথা থেকে আমাদের ফিরে আসতে হবে।’
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমরা এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ রিটায়ারড পুলিশ অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ক্রমবর্ধমান চুরি, ডাকাতি ও হত্যার ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে আইজিপি বলেন, 'আমরা পুলিশ বাহিনীকে কার্যকর করতে এবং তাদের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি। আমরা মানুষের আরও কাছাকাছি যেতে চাই এবং তাদের সহযোগিতা চাই। আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদেরও আহ্বান জানাচ্ছি যাতে আমাদের সম্প্রদায়ের(পুলিশ সদস্যদের) সম্পৃক্ততা বাড়াতে সহায়তা করেন।’
পুলিশ বাহিনীতে পদোন্নতির বিষয়ে আইজিপি বলেন, কর্মকর্তাদের অবদানের প্রতি সম্মান ও স্বীকৃতি প্রদানের উপায় হিসেবে মাত্র ১০ থেকে ১২ দিন চাকরির মেয়াদ বাকি থাকতেই পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পুলিশের কর্মস্পৃহা পুনরুদ্ধারই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ: আইজিপি
তার মেয়াদ নিয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, 'আমি অবসর থেকে ফিরে এই দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। জানি না কতটুকু অর্জন করতে পারব... তবে আমি চলে যাওয়ার সময় সম্মানটা সঙ্গে করে নেওয়ার চেষ্টা করব।’
সম্প্রতি বিভিন্ন জেলা থেকে আসা শিক্ষার্থী সমন্বয়কারীদের হুমকির বিষয়ে আইজিপি বলেন, 'আমরা প্রতিটি ঘটনা বিশ্লেষণ করে সমাধান করেছি। কালিয়াকৈরে ডাকাতি ও নারায়ণগঞ্জে মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা তদন্ত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ছাত্র সমন্বয়কদের নারায়ণগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হলে তারা ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে ফলাফলে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এসব ঘটনা পরিকল্পিত হত্যার ঘটনা নয় বলেও উল্লেখ করেন আইজিপি।
হুমকিসহ আরও দুটি ঘটনার কথাও উল্লেখ করেন আইজিপি। এর একটি হলো ময়মনসিংহ থেকে দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে তার বাবা-মায়ের জিম্মায় দেওয়া।
অপর ঘটনায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মেহের নামে এক শিক্ষার্থীকে হুমকি দেওয়া হয়, যার ফলে সিরাজগঞ্জ থেকে জাহিদ হাসানকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
আইজিপি বলেন, 'আমরা প্রতিটি ঘটনা সমাধানের জন্য কাজ করছি, তবে সবগুলো ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র নেই।’
সম্প্রতি সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে আইজিপি প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে বলেন, 'এটা তদন্ত কমিটি কাজ করবে। আমি এ বিষয়ে কথা বলতে পারব না।’
আরও পড়ুন: জুলাই-আগস্টে পুলিশের অনেকেই আইন ভঙ্গ করেছেন: আইজিপি
৩৪১ দিন আগে
পুলিশের কর্মস্পৃহা পুনরুদ্ধারই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ: আইজিপি
গত ১৫ বছরে পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে মন্তব্য করে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, পুলিশ বাহিনীকে রিফর্মের কাজ চলছে। পুলিশের কর্মস্পৃহা পুনরুদ্ধার করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) সদর দপ্তরের কনফারেন্স রুমে বিভাগের সকল ইউনিটের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, ‘দলীয় স্বার্থ উদ্ধারে পুলিশ বড় ধরনের অপরাধ করেছে, এ জন্য আমরা লজ্জিত। পুলিশে যেন আর রাজনৈতিক কুপ্রভাবে না পড়ে, সেদিকে আমাদের লক্ষ রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মামলার ক্ষেত্রে অসাধু ব্যক্তিরা সুবিধা নিয়েছেন। নিরীহ যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের গ্রেপ্তার হবে না। হয়রানি এড়াতে খোঁজ নিয়ে তাদের পুলিশের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হবে।’
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার
তিনি আরও বলেন, ‘সারা দেশে থেকে লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে ৬ হাজার অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ২ হাজার অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি।’
এসব অস্ত্র উদ্ধারে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন বলে জানান আইজিপি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন র্যাবের মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি একেএম শহিদুর রহমান, সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি মো. মুশফেকুর রহমান, এসএমপি পুলিশ কমিশনার মো. রেজাউল করিমসহ পুলিশের কর্মকর্তারা।
৩৪৮ দিন আগে
জুলাই-আগস্টে পুলিশের অনেকেই আইন ভঙ্গ করেছেন: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, জুলাই-আগস্টে আন্দোলনের সময় পুলিশের কিছু সদস্য ভালো কাজ করেননি, আইনভঙ্গ করেছেন এতে কোনো সন্দেহ নেই।
তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর পুলিশ অনেক বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) পুলিশ হেডকোয়ার্টারসে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন 'যে সমস্ত পুলিশ জুলাই আন্দোলনে নিহত হয়েছেন, তারা পলিটিক্যালি ইনভলভ ছিল। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ হত্যা হয়েছে, কিন্তু পুলিশ এখনো নিষ্ক্রিয় আছে। সাংবাদিকদের কাছ থেকে তথ্য লুকানোর নজির আছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন 'এই সরকার তো স্বচ্ছ (ট্রান্সপারেন্ট)। এখন তো খুন, গুম এগুলো নেই যে আমরা লুকিয়ে রাখব। আগের সরকারের সময়ে যেটা হতো। এখন আমাদের লুকানোর কিছু নেই।'
আরও পড়ুন: নতুন আইজিপি বাহারুল আলম, ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাদ আলী
তিনি বলেন, 'আইনি ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য আমাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা যতটুকু আছে ততটা দিয়ে আমরা চেষ্টা করছি।
এত মানুষ মারা গেছে, এটা বাংলাদেশ কেন, উপমহাদেশের কোথাও ঘটেনি।’
পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, 'বাংলাদেশে পরিবর্তনের পর সঠিক জায়গায় সঠিক লোক দিতে পারিনি। বিভিন্ন জায়গায় বদলি করা হয়েছে অনেককে। আমরা গতকাল (৪ ডিসেম্বর) বিভাগ অনুযায়ী মেন্টরিং এবং মনিটরিং কমিটি গঠন করেছি। যারা তদন্ত করতে দক্ষ তাদেরকে আমরা সেসব জায়গায় দেব।’
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা এবং পুলিশের মনোবল ও আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে তিনি কাজ করছেন বলেও উল্লেখ করেন।
আন্দোলনে আহত পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন 'যে ৪৪ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে পুলিশের পক্ষ থেকে ১৩ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। আর কাউকে ফিক্সড ডিপোজিট দেওয়া হয়েছে। যে আড়াই হাজার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন, তাদের সঙ্গেও আমাদের এখান থেকে যোগাযোগ রাখা হয়েছে, চিকিৎসার ব্যাপারে সহায়তা করা হয়েছে।'
সাবেক এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম, ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ ও ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ যেসব শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা পলাতক রয়েছেন তাদের অবস্থান এখনও শনাক্ত করা যায়নি বলে জানান তিনি। তারা দেশে থাকলে খুব দ্রুত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।
মাঠপর্যায়ে পুলিশ সক্রিয় হওয়ার প্রশ্নে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট কোনো সময় বলা না গেলেও দ্রুত সব কিছু পুনর্গঠন করা হবে।
আরও পড়ুন: নতুন আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব নিলেন বাহারুল আলম
৩৬৫ দিন আগে
নতুন আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব নিলেন বাহারুল আলম
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বাহারুল আলম। বিদায়ী আইজিপি মো. মইনুল ইসলামের স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ঢাকার পুলিশ সদর দপ্তরে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়। সেখানে নতুন আইজিপিকে পুলিশের একটি দল গার্ড অব অনার দিয়ে স্বাগত জানায়।
২০ নভেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাহারুলকে নিয়োগ দেয়। তার চুক্তির মেয়াদ দুই বছর। তিনি ১৯৮৬ সালের ২১ জানুয়ারি সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে কর্মজীবন শুরু করেন।
আরও পড়ুন: নতুন আইজিপি বাহারুল আলম, ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাদ আলী
এর আগে তিনি স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) প্রধান এবং পুলিশ সদর দপ্তরে অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তার কর্মজীবন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ২০০৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত তিনি নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সিনিয়র পুলিশ লিয়াজোঁ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালে তিনি আফগানিস্তানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের পুলিশের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন। এছাড়া ক্রোয়েশিয়া, সার্বিয়া, কসোভো এবং সিয়েরা লিওনের মতো দেশে ফিল্ড মিশনে অংশ নেন।
২০২০ সালে সক্রিয় চাকরি থেকে অবসর নেন বাহারুল।
আরও পড়ুন: সাবেক আইজিপি মামুনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত ১ মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ আইসিটির
৩৭৮ দিন আগে
সাবেক আইজিপি মামুনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত ১ মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ আইসিটির
জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনসহ আট আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন এক মাসের মধ্যে জমা দিতে তদন্ত সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (২০ নভেম্বর ) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।
মামলার আসামিদের মধ্যে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অবরপ্রাপ্ত) জিয়াউল আহসানও রয়েছেন।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এসব মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে হত্যা মামলায় নারীসহ দুজনের যাবজ্জীবন
তাজুল ইসলাম জানান, বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দিয়েছেন।
তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না হওয়া পর্যন্ত আট আসামিকে কারাগারে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে সকালে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আট আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পর বুধবার আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
তারা সবাই অন্য মামলায় বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান, ঢাকার সাবেক পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল কাফি, মিরপুরের সাবেক ডিসি মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মোহাম্মদ শহিদুর ইসলাম, গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল হক ও গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।
গত ২৭ অক্টোবর ১৪ আসামিকে ১৮ নভেম্বর আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
পরে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ৯ জন সাবেক মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। কিন্তু সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাককে অসুস্থতার কারণে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা সম্ভব হয়নি।
এছাড়া সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানসহ অন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের ২০ নভেম্বর নির্ধারিত তারিখে আদালতে হাজির করতে বলা হয়েছিল।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আসামিদের বিরুদ্ধে আইসিটিতে হত্যা, নির্যাতন, অপহরণ ও হয়রানিসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, যা সরকারি চাকরিতে বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসাবে শুরু হয়েছিল। যা পরে একটি পূর্ণাঙ্গ সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। যার ফলে প্রায় এক হাজার লোকের প্রাণহানি ও অনেকে আহত হয় এবং শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।
আরও পড়ুন: আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেরোবির সাবেক প্রক্টর গ্রেপ্তার
৩৮০ দিন আগে