গাজীপুর
গাজীপুরে হামলা: ঢামেক হাসপাতালে একজনের মৃত্যু
গাজীপুরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাসায় হামলার শিকার কাশেম খান (১৭) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টার দিকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার মৃত জামাল হাজীর ছেলে কাশেম খান। তার লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
গাজীপুর মহানগরীর দক্ষিণখানে আওয়ামী লীগের ক্যাডারদের অতর্কিত হামলায় অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর বাসভবন ভাঙচুরের চেষ্টা করলে তারা দলটির কর্মীদের আক্রমণের শিকার হন।
আরও পড়ুন: অপারেশন ডেভিল হান্টে গাজীপুরে আটক ৪৮ জন
তাদের উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদের মধ্যে কাশেম আজ মারা যান।
৬ দিন আগে
গাজীপুরে ডেভিল হান্টের তৃতীয় দিনে গ্রেপ্তার ৮১ জন
দেশজুড়ে চলমান অপারেশন ডেভিল হান্টের তৃতীয় দিনে গাজীপুর মহানগরী পুলিশের আট থানায় ৬৯ জন এবং গাজীপুর জেলার পাঁচ থানায় ১২ জনসহ মোট ৮১ জন গ্রেপ্তার হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা পুলিশ ও গাজীপুর মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিরা বেশিরভাগ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।
এ নিয়ে তিন দিনে অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে গাজীপুর জেলা ও মহানগরে মোট ২৬১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের সিটি এসবির উপ কমিশনার আলমগীর হোসেন জানান, নগরের ৮টি থানায় অপারেশন ডেভিল হান্টের তৃতীয় দিনে ৬৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর থানায় ১৯ জন, টঙ্গী পূর্ব থানায় ৭ জন, টঙ্গী পশ্চিম থানায় ৮ জন, গাছা থানায় ৬, বাসন থানায় ৯, পুবাইল থানায় ২ জনসহ অন্যান্য থানায় মোট ৬৯ জনকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেভিল হান্টের দ্বিতীয় দিনে গাজীপুরে গ্রেপ্তার ১০০
জেলা পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেক জানান, অপারেশন ডেভিল হান্টের তৃতীয় দিনে সোমবার দিবাগত রাতে গাজীপুর জেলার পাঁচটি থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১২জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইন আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
অপারেশন ডেভিল হান্ট নিয়ে সাধারণ লোকজন ও শিক্ষার্থীরা বলছেন, ‘এখন যে অভিযান চলছে তাতে ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার লোকজনের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি রয়েছে। দলমতের উর্ধ্বেসহ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা দরকার।’
শিক্ষার্থীরা বলছেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময়ে হামলাকারী আওয়ামী লীগের বড় নেতারা গ্রেপ্তার হচ্ছে না, গ্রেপ্তার হচ্ছে তৃণমূলের লোকজন।
১ সপ্তাহ আগে
গাজীপুরে হামলার ঘটনায় ওসি প্রত্যাহার, ক্ষমা চাইলেন পুলিশ কমিশনার
গাজীপুরের ভাওয়াল রাজবাড়ী এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের লক্ষ্য করে গুলির ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খান। একই সঙ্গে ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে রাজবাড়ী সড়কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে গিয়ে ক্ষমা চান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ‘গতকাল (শুক্রবার) রাতে যে ঘটনাটি ঘটেছে, তাতে পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে আমি ক্ষমা চাচ্ছি, একই সঙ্গে ব্যর্থতা স্বীকার করছি।’
‘হামলাকারী কাউকে ছাড়া হবে না, প্রতিটি হামলার জবাব দেওয়া হবে। এছাড়া যেসব পুলিশ সদস্য রেসপন্স করতে দেরি করেছেন, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি শুনেছি, আমার ওসি দুই ঘণ্টা পর আপনাদের ডাকে সাড়া দিয়েছেন। আমি এখানে দাঁড়িয়ে বললাম, তাকে সাসপেন্ড (বরখাস্ত) করব। আমি বলতে চাই, যারা এই ফ্যাসিবাদের সঙ্গে আঁতাত করেছে, তাদের পুলিশে চাকরি করতে দেওয়া যাবে না।’
পুলিশ কমিশনার বলেন, “গত ১৭ বছর ধরে যারা অত্যাচার করেছে, দেশের ওপর জুলুম করেছে, তারা আবার মাথাচাড়া দিচ্ছে। কিন্তু তাদের কোনো মাথাচাড়া বরদাশত করা হবে না। ইতোমধ্যে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ রাতে চিরুনি অভিযান চালানো হবে। ঘটনায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফ্যাসিবাদ দমনে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনা করা হবে।”
আরও পড়ুন: আজ থেকে গাজীপুরসহ সারা দেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু
১ সপ্তাহ আগে
আজ থেকে গাজীপুরসহ সারা দেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গাজীপুরসহ সারা দেশে আজ থেকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করবে যৌথ বাহিনী। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে একটি সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাজীপুরে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় এই অভিযান শুরু হবে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: সারা দেশে সহিংস ভাঙচুর: সরকারকে কার্যকর ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান টিআইবির
সভাসূত্র জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে অপারেশন ডেভিল হান্ট পরিচালনা করা হবে। আজ শনিবার থেকেই গাজীপুর এলাকাসহ সারাদেশে এই অভিযান শুরু হবে।
এ বিষয়ে রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে। এদিকে গাজীপুরে মারধরে আহত সাতজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
১ সপ্তাহ আগে
গাজীপুরে পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিহত ৩
গাজীপুরের কালীগঞ্জে সবজিবোঝাই পিক-আপ ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে খালে পরে তিনজন নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার আজমতপুর-ইটাখোলা আঞ্চলিক মহাসড়কের হরিদেবপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলাউদ্দিন জানান, একটি পিকআপ ভ্যান সিলেট থেকে কাঁচামাল নিয়ে গাজীপুরের দিকে আসছিল, বুধবার ভোরে সেটি কালীগঞ্জের আজমতপুর-ইটাখোলা আঞ্চলিক সড়কের ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের খালে পরে যায়। খালে পানি থাকায় গাড়ির গ্লাস খুলতে পারেনি চালক। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২ সপ্তাহ আগে
টিফিন খেয়ে গাজীপুরে এক কারখানার অর্ধশতাধিক শ্রমিক অসুস্থ
গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি কারখানায় টিফিন খেয়ে অর্ধশতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে টঙ্গীর সিংবাড়ী মোড় এলাকার বারাকা ফ্যাশন লিমিটেড কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
শ্রমিকরা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে প্রায় ১ হাজার শ্রমিককে ওভারটাইমের জন্য রাখা হয় কারখানায়। রাত ৮টার দিকে কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের টিফিন সরবরাহ করলে টিফিন খেয়ে অসুস্থ হতে থাকেন তারা।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদ্যালয়ে হঠাৎ অসুস্থ ১০ শিক্ষার্থী
পরে তাদের টঙ্গীর সরকারি হাসপাতাল ও গুটিয়া এলাকার ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় বলে জানান শ্রমিকরা।
বারাকা ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার মানব সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা শাকিল আহমেদ বলেন, ‘শ্রমিকরা টিফিন খেয়ে অসুস্থ হওয়ার পর কারখানার ভেতরেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে অসুস্থ শ্রমিকদের সংখ্যা বাড়লে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’
টঙ্গীর ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. কাজী কাশফিয়া তাবাসসুম জানান, অসুস্থ অবস্থায় আনা হলেও প্রাথমিক চিকিৎসার পরে সব রোগীই দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে মদ্যপানে ৪ জনের মৃত্যু, অসুস্থ আরও ৪
গাজীপুর শিল্প পুলিশের ইন্সপেক্টর ইসমাইল হোসেন জানান, শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
তদন্ত চলছে বলেও জানান শিল্প পুলিশের এই কর্মকর্তা।
৩ সপ্তাহ আগে
সংবাদ সম্মেলন: তাবলীগের একটি পক্ষের সঙ্গে বৈষম্যের অভিযোগ
তাবলীগ জামাতের একটি পক্ষের সঙ্গে বৈষম্য করা হচ্ছে অভিযোগ তুলে ন্যায় ও সমতার ভিত্তিতে তা দূর করতে আহ্বান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে গাজীপুরে নগরীর বিআইডিসি বাজার সংলগ্ন এলাকায় সচেতন ছাত্র সমাজের ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন কথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
এ সময় ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) শিক্ষার্থী নূর মোহাম্মদ শাওন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
তিনি বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে আমরা লক্ষ্য করেছি, তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুপের মধ্যে এক গ্রুপের সঙ্গে ব্যাপকভাবে বৈষম্য করা হচ্ছে। ইজতেমায় প্রধান মুরুব্বিদের আগমন, কাকরাইল মসজিদ ব্যবহার, টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান নিয়ন্ত্রণে ও ইজতেমার সময় বরাদ্দে চরম বৈষম্য হচ্ছে। ন্যায় ও সমতার ভিত্তিতে এই বৈষম্য অবিলম্বে দূর করা দরকার।
আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে এসব প্রস্তাব মেনে নেওয়া না হলে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে বলেন জানান এই শিক্ষার্থী।
এ সময় ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ তৈয়বুর রহমান, রেদওয়ান, সাখাওয়াত হোসেন, শরিফুল, হুজাইফা, সিফাত, তাইবুর রহমানসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
১ মাস আগে
গাজীপুরের শ্রমিক অসন্তোষ, সড়ক অবরোধ
গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে পোশাক শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করায় ওই মহাসড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। ফলে উত্তরবঙ্গগামী ও ঢাকাগামী যানবাহনগুলো বিকল্প পথে চলছে।
শ্রমিকরা জানায়, দুই মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে তারা আন্দোলনে নেমেছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ এর আগে কয়েকবার দিন-তারিখ নির্ধারণ করেও বেতন পরিশোধ না করে তাল বাহানা করছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ
তারা বলছেন, বেতন ভাতা পরিশোধ না করে গত ২৩ ডিসেম্বর হার্ডি অ্যাসোসিয়েট লিমিটেড কারখানাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ কারণে তারা আন্দোলন নামতে বাধ্য হয়েছেন।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, সড়ক থেকে শ্রমিকদের সরিয়ে দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ওই কারখানার শ্রমিকদেরকে একদিন আগেই বেতন ভাতা পরিশোধের আশ্বাস দিয়ে আন্দোলন থেকে সরানো হয়েছিল।
কারখানার মালিকপক্ষের অসহযোগিতার কারণেই দ্রুত শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরানো যাচ্ছে না বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে পোশাক কারখানার নিরাপত্তাকর্মী নিহত, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ
১ মাস আগে
গাজীপুরে বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ
বন্ধ ঘোষণা করা দুইটি কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী এলাকায় বিক্ষোভ এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেছেন শ্রমিকেরা।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে কোনাবাড়ি এলাকার এম এম নিটওয়্যার লিমিটেড ও মামুন নিটওয়্যার লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা এ বিক্ষোভ ও অবরোধ করেছেন।
পুলিশ ও কারখানার বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, গত ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩ (১) ধারা মোতাবেক এম এম নিটওয়্যার ও মামুন নিটওয়্যার লিমিটেড কারখানা দুটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ও বকেয়া বেতনের দাবিতে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ
পরে রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকরা কারখানার ফটকে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। একপর্যায়ে বিকালে শ্রমিকদের সঙ্গে কারখানা কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসবে শর্তে শ্রমিকরা বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নেয়। ওই সময় কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের শর্ত সাপেক্ষে কারখানায় যোগদানের কথা জানায়। কিন্তু শ্রমিকরা তা মেনে নেননি। সোমবার সকালে কারখানা দুটি শ্রমিকেরা পুনরায় কোনাবাড়ী এলাকায় কারখানার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
এ সময় শ্রমিকরা বিনা শর্তে কারখানা খুলে দেওয়া ও শ্রমিকদের নামে মামলা প্রত্যাহার করার দাবিও জানান। এর আগে ১৭ ডিসেম্বর শ্রমিকদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার দাবিতে কাজ বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা।
পরে কর্তৃপক্ষ ১৮ ডিসেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, গত ৩ নভেম্বর শিল্প পুলিশের এক সদস্যকে আঘাত করেন শ্রমিকরা। পরে শিল্প পুলিশ বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫০ থেকে ৬০ জন শ্রমিককে আসামি করে মামলা দায়ের করে। ওই মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ১৭ ডিসেম্বর শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দেন। পরে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে কারখানার নিরাপত্তার স্বার্থে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, শ্রমিকরা বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে শিল্প পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আরও পড়ুন: টঙ্গীতে পোশাকশ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধে যানজট
১ মাস আগে
গাজীপুরের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে তিনজনের লাশ উদ্ধার
গাজীপুরের শ্রীপুরে বোতাম তৈরির কারখানায় আগুনের ঘটনায় তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সোমবার সকালে কারখানা থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে শ্রীপুর থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
পুলিশ জানায়, নিহত তিনজনের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি লালমনিরহাটের বাবলু মিয়ার ছেলে মজলুম মিয়া।
আরও পড়ুন: গাজীপুরের বোতাম কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে, নিহত ১
এর আগে রবিবার রাতে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন জানান, রবিবার রাত পর্যন্ত দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দুটো লাশ আগুনে পুড়ে বিকৃত হয়ে গিয়েছে। তাই লাশ দুটোর পরিচয় নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। ধারণা করছি, প্রথম দিকে যে বিস্ফোরণ হয়েছে তখনই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভাংনাহাটি গ্রামের এম অ্যান্ড ইউ ট্রিমস্ লিমিটেড নামে ওই কারখানায় আগুন লাগে।
স্থানীয়রা জানান, রবিবার দুপুরে হঠাৎ করে কারখানার কেমিক্যাল গুদামে আগুন লাগে। মুহূর্তেই বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ হয়। কারখানার লোকজন আতঙ্কিত হয়ে ছুটাছুটি শুরু করেন। কারখানার আশপাশের বসতবাড়ির লোকজন তাদের আসবাবপত্রসহ ঘরের বিভিন্ন জিনিসপত্র বাইরে নিরাপ; নিয়ে আসতে থাকে। পরপর বিস্ফোরণে আশপাশে প্রকম্পিত হয়ে উঠে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন বলেন, দুপুর ১টার ৪০ মিনিটে শ্রীপুর ফায়ার স্টেশনে প্রথমে আগুন লাগার খবর দেওয়া হয়। ১টা ৫৬ মিনিটে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের দুই ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। যেহেতু কেমিক্যাল ড্রামে বিস্ফোরণের খবর ছিল তাই গাজীপুর চৌরাস্তা মডার্ন ফায়ার স্টেশনের তিনটি, রাজেন্দ্রপুর মডার্ন ফায়ার স্টেশনের দুটিসহ পাঁচটি ইউনিট ডাকা হয়। সবমিলিয়ে মোট সাতটি ইউনিট আগুন য়িন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। পরে তাদের সম্মিলিত চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এখানে প্রচুর কেমিক্যালের ড্রাম ছিল, আগুনের তাপে ড্রামগুলো ফুলে যাচ্ছিল। সেখান থেকে বিস্ফোরণ হয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বোতাম কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট
১ মাস আগে