দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়
ফায়ার সার্ভিসকে আধুনিক সরঞ্জাম সরবরাহের সুপারিশ জাতীয় সংসদের
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে যথাযথভাবে সজ্জিত করার পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছে।
বৃহস্পতিবার কমিটির সভাপতি এবি তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে কমিটির ৩৩তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
কমিটি রেডিও, টেলিভিশন ও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে প্রচারণা বাড়িয়ে আগুন লাগার বিভিন্ন কারণ সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দিয়েছে।
বৈঠকে কালবৈশাখী, ঝড়, অগ্নিকাণ্ড ও ভবন ধসে মন্ত্রণালয়ের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েও বিস্তৃত আলোচনা হয়।
কমিটির আগের বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তের অগ্রগতি সম্পর্কেও জানানো হয়।
কমিটির সদস্য মো. আফতাব উদ্দিন সরকার, মীর মোস্তাক আহমেদ রবি ও কানিজ সুলতানা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: টেলিটক পরিষেবার উন্নতির জন্য পদক্ষেপ নিন: মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশে সংসদের স্থায়ী কমিটি
একাদশ জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশন স্থগিত
অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল-২০২৩ জাতীয় সংসদে উত্থাপন
বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে কমিটি গঠনের সুপারিশ
দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে একটি কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে।
সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে এই মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ২৫তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে ইতিপূর্বে গৃহীত সিদ্ধান্তের অগ্রগতি, সুনামগঞ্জ ও সিলেটের সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি, বন্যা কবলিত এলাকায় সরকারের পদক্ষেপ এবং নদী ভাঙ্গন রোধে মন্ত্রণালয়ের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: বন্যা কবলিত জেলায় বিশেষ কৃষিঋণ দেয়ার নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
প্রস্তাবিত কমিটির প্রধান কাজ হবে-কী পরিমাণ ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে, বন্যা কবলিত মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের প্রয়োজনীয়তা নিরূপণ, বন্যায় সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং বন্যার পর যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া।
নিরাপদ সুপেয় পানি নিশ্চিত করতে নলকূপ স্থাপন, বাড়িঘর ও স্কুল নির্মাণের জন্য টিন বিতরণ এবং বন্যা কবলিত এলাকায় পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধের জন্য ওষুধ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে পার্লামেন্টারি ওয়াচডগ।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যাকবলিত মানুষের পাশে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল
সমানভাবে বিতরণের পরিবর্তে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বন্যা কবলিত এলাকায় বন্যার ত্রাণ বরাদ্দ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি।
বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, সংসদীয় কমিটির সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাস, আফতাব উদ্দিন সরকার, মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জুয়েল, মুজিবুর রহমান চৌধুরী ও কাজী কানিজ সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।
সীতাকুণ্ডে হতাহতদের সহায়তায় কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে ত্রাণ মন্ত্রণালয়
সম্প্রতি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে হতাহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে মানবিক সহায়তা হিসেবে নগদ এক কোটি টাকার বরাদ্দ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
রবিবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. সেলিম হোসেন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর শোক
এতে বলা হয়, অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের দাফন-কাফন ও সৎকার এবং আহতদের চিকিৎসার্থে এই অর্থ ব্যয় করা হবে। এছাড়াও অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে মানবিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে এক হাজার শুকনো অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।।
উঁচু ভবনে অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার সবাইকে উঁচু ভবন নির্মাণের সময় অগ্নি ও অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
গণভবন থেকে একটি ভার্চুয়াল প্রোগ্রামে ভাষণ দেয়ার সময় তিনি বলেন,যে কোনও উঁচু ভবন নির্মাণের সময়, অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। দুর্যোগের ঝুঁকি কমাতে আমরা ধীরে ধীরে উদ্ধার সরঞ্জামও সংগ্রহ করছি।’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৫০ বছর এবং আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ সময় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন এবং কক্সবাজারের মুক্তিযুদ্ধ মাঠ থেকে দর্শকরা যুক্ত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার আগুন ও অন্যান্য দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে কাজ করছে, এটি ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সের সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের মানুষকেও এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। তাদের নিজেদেরই কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে। যখনই আপনি ঘরবাড়ি, অফিস বা ব্যবসায়িক স্থাপনা নির্মাণ করবেন, তখন আপনাকে মনে রাখতে হবে যে আগুনের ঘটনা, ঘূর্ণিঝড় বা বন্যা হতে পারে। সুতরাং, আপনাকে ঝুঁকিমুক্ত থাকতে হবে এবং আগাম চুক্তিতে ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুন: ভবন নির্মাতা ও ব্যবহারকারীদের অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় পৌঁনে ১২ কোটি টাকা, ২৩ হাজার ৬০০ টন চাল বরাদ্দ
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিধিনিষেধসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সহায়তায় সারাদেশে ১১ কোটি ৭০ লাখ টাকা ও ২৩ হাজার ৬৩০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে রবিবার এ বরাদ্দ প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিনগুণ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সহায়তা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তাই দেশের ৬৪টি জেলাযর জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে ৫ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন চাল ও তিন কোটি এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। একই ধরনের সহায়তা দিতে দেশের ৬৪ জেলার ৩২৮টি পৌরসভার অনুকূলে মোট ৩ হাজার ২৮০ টন চাল ও মোট তিন কোটি ২৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বরাদ্দের শর্তানুযায়ী বরাদ্দ দেয়া চাল এবং নগদ টাকা বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও কোভিড-১৯ এর পরিপ্রেক্ষিতে পরিবহন শ্রমিকসহ কর্মহীন ও দুঃস্থ ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণ করতে হবে। ৩৩৩-নম্বরে ফোন করলে মানবিক সহায়তা পাওয়ার যোগ্য ব্যক্তিদেরকে বরাদ্দ থেকে খাদ্য সহায়তা (চাল, ডাল, লবণ, তেল, আলু ইত্যাদি) দিতে হবে।
আরও পড়ুন: সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ বিশ্বে প্রশংসিত: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
আরেকটি চিঠিতে কোভিড-১৯, বন্যা, নদী ভাঙন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সহায়তা দিতে ৬৪ জেলা প্রশাসকদের অনুকূলের মোট ১৪ হাজার ১০০ মেট্রিক টন চাল এবং এক কোটি ৪১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
লকডাউনে কেউ ক্ষুধার্ত থাকবে না: সচিব
করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য ১৪ এপ্রিল থেকে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ চলাকালীন নিম্ন আয় ও কর্মহীন লোকেরা যাতে কোনো খাদ্য সংকটের মুখোমুখি না হয় সেজন্য সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন ইউএনবিকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ৫৭২ কোটি ৯ লাখ ২৭ হাজার টাকা বরাদ্ধ দিয়েছে। প্রয়োজনে বরাদ্ধ আরও বাড়ানো হবে।’
তিনি বলেন, ‘এই বরাদ্ধকৃত টাকা ইতোমধ্যে সকল উপজেলায় পৌঁছে গেছে এবং যথাসময়ে বিতরণ শুরু হবে । এখন ১ কোটি ২৪ লাখ পরিবার এই অর্থ পাবেন । পরিবার সংখ্যা প্রয়োজনে আরও বাড়ানো হবে। একটি কর্মহীন পরিবারও যাতে বাদ না যায় সেটি সরকার দেখবে।’
১৪ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশ এক সপ্তাহের জন্য ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হবে। দেশে লকডাউন শুরু হলে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে যাবে।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শুরুতে গত বছরের মাসব্যাপী ‘সাধারণ ছুটি’ চলাকালীন কয়েক লাখ লোক কর্মহীন হয়ে পড়ে।
তবে, সচিব বলেন, কেউ যাতে খাদ্যে কষ্ট না পান তা নিশ্চিত করার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে।
ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি
কোভিড-১৯ সময়ে সর্বাত্মক লকডাউন ও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশের দরিদ্র ও দুস্থ পরিবারের সাহায্যার্থে বিতরণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ১২১ কোটি ৬৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় সারা দেশের ৬৪টি জেলার ৪৯২টি উপজেলার জন্য ৮৭ লাখ ৭৯ হাজার ২০৩টি এবং ৩২৮টি পৌরসভার জন্য ১২ লাখ ৩০ হাজার ৭৪৬ টিসহ মোট এক কোটি নয় হাজার ৯৪৯টি ভিজিএফ কার্ডের বিপরীতে এ বরাদ্দ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ১৪ এপ্রিল থেকে দেশে সর্বাত্মক লকডাউন শুরু; প্রজ্ঞাপন জারি
পরিবার প্রতি ১০ কেজি চালের সমমূল্য অর্থাৎ কার্ডপ্রতি ৪৫০ টাকা হারে আর্থিক সহায়তা প্রদানের লক্ষে উপজেলাসমূহের জন্য ৩৯৫ কোটি ছয় লাখ ৪১ হাজার ৩৫০ টাকা এবং পৌরসভারসমূহের জন্য ৫৫ কোটি ৩৮ লাখ ৩৫ হাজার ৭০০ টাকা অর্থাৎ সর্বমোট ৪৫০ কোটি ৪৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫০ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
মহসিন বলেন, ‘এটি রমজানে দরিদ্র পরিবারগুলোর ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে, এই লক্ষে ১২১ কোটি ৬৫ লাখটাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।’
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এক কোটি ৯ হাজার ৯৪৯ পরিবার পাবে আর্থিক সহায়তা: ত্রাণ মন্ত্রণালয়
মুজিববর্ষে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এক কোটি ৯ হাজার ৯৪৯টি পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। এ লক্ষ্যে ৪৫০ কোটি ৪৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫০ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বুধবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে এ বরাদ্দ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: শাল্লায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা
ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় সারাদেশের ৬৪টি জেলার ৪৯২টি উপজেলার জন্য ৮৭ লাখ ৭৯ হাজার ২০৩টি এবং ৩২৮টি পৌরসভার জন্য ১২ লাখ ৩০ হাজার ৭৪৬টিসহ মোট এক কোটি ৯ হাজার ৯৪৯টি ভিজিএফ কার্ডের বিপরীতে এ বরাদ্দ দেয়া হয়। পরিবার প্রতি ১০ কেজি চালের সমমূল্য অর্থাৎ কার্ডপ্রতি ৪৫০ টাকা হারে আর্থিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে উপজেলাসমূহের জন্য ৩৯৫ কোটি ছয় লাখ ৪১ হাজার ৩৫০ টাকা এবং পৌরসভারসমূহের জন্য ৫৫ কোটি ৩৮ লাখ ৩৫ হাজার সাতশত টাকা অর্থাৎ সর্বমোট ৪৫০ কোটি ৪৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫০ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: টেকনাফে পানি সরবরাহ উন্নয়নে জাপান ও ইউএনএইচসিআরের সহায়তা
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর আনন্দের সাথে উদযাপনে অসহায়, দুস্থ ও অতিদরিদ্র পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। এক্ষেত্রে সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত, দুস্থ ও অতিদরিদ্র পরিবারকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। চলমান কোভিড পরিস্থিতিতে পবিত্র রমজানের সময় প্রদত্ত এ সহায়তা অতিদরিদ্র্য পরিবারের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
রমজানে দরিদ্র ও দুস্থতের জন্য ১২১ কোটি টাকা বরাদ্দ
আসন্ন রমজান উপলক্ষে দেশের দরিদ্র ও দুস্থ পরিবারের সাহায্যার্থে বিতরণের জন্য ১২১ কোটি ৬৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে এ বরাদ্দ দেয়া হয়।
মুজিববর্ষে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ও অসহায় পরিবারকে তাৎক্ষণিকভাবে খাদ্য সহায়তার জন্য এ অর্থ ব্যয় করা যাবে।
দেশের ৬৪টি জেলার ৪ হাজার ৫৬৮ টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা হারে মোট ১১৪ কোটি ২০ লাখ টাকা মানবিক সহায়তা হিসেবে প্রদানের জন্য অর্থ ছাড় করা হয়। সারা দেশের ৩২৮টি পৌরসভার অনুকূলে মোট পাঁচ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে এ ক্যাটাগরির প্রতিটি পৌরসভার জন্য দুই লাখ টাকা, বি ক্যাটাগরির প্রতিটি পৌরসভার জন্য এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা এবং সি ক্যাটাগরির প্রতিটি পৌরসভার জন্য এক লাখ টাকা হারে বরাদ্দ প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: রমজানের আগেই খুলনায় নিত্যপণ্যের বাজার চড়া
এছাড়াও ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর, গাজীপুর এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্য সাত লাখ টাকা হারে বরাদ্দ দেয়া হয়। ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল এবং সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রতিটির জন্য পাঁচ লাখ টাকা হারে বরাদ্দ দেয়া হয়। তাছাড়া দেশের ৬৪টি জেলায় এ ক্যাটাগরি দুই লাখ, বি ক্যাটাগরি এক লাখ পঞ্চাশ হাজার এবং সি ক্যাটাগরি জেলার জন্য এক লাখ টাকা হারে মোট এক কোটি ৭৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিত্য পণ্যের বাজার এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে: জিএম কাদের