গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রী নাজনীন মাওলা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ঋণখেলাপির মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার(১৯ আগস্ট) চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালত-১ এর বিচারক মো. হেলাল উদ্দীন ব্যাংকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দিলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ এরশাদ বলেন, বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২৬০ কোটি ৭৭ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। ব্যাংকের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড নগরীর পাহাড়তলী শাখা থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধ না করায় এ আদেশ দেওয়া হয়। ব্যাংকে যে বন্ধকি সম্পদ রয়েছে, তা নিলামে বিক্রির চেষ্টা করেও ব্যাংক ব্যর্থ হয়। ফলে ব্যাংকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
পড়ুন: বিএনপির আসলাম চৌধুরীর জামিন চেম্বার আদালতে স্থগিত
বিভিন্ন মামলায় প্রায় আট বছর কারাগারে ছিলেন আসলাম চৌধুরী। গত বছর গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২০ আগস্ট তিনি কারামুক্ত হন।
বিভিন্ন সময়ে তার বিরুদ্ধে ৭৬টি মামলা হয়।
২০১৬ সালের ১৫ মে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরদিন ফৌজদারি কার্যবিধির (সন্দেহজনক) ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর একই বছরের ২৬ মে আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। মামলায় তার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাংলাদেশের সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
১০৭ দিন আগে
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ২৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি-প্রক্টরসহ ২৬ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ (আইসিটি-২)।
সোমবার (৩০ জুন) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নাজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এর আগে, ৩০ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র দাখিল করে প্রসিকিউশন।
প্রধান প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম আদালতে অভিযোগগুলো পাঠ করে শোনান। অভিযোগগুলোর গ্রহণযোগ্যতা বিবেচনায় নিয়ে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারি পরোয়ানার তালিকায় বেরোবির সাবেক উপাচার্য (ভিসি) হাসিবুর রশীদ ও রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) সাবেক কমিশনার মনিরুজ্জামানের নামও রয়েছে।
এ ছাড়াও আসামির তালিকায় রয়েছেন— বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক এএসআই আমির হোসেন, পুলিশ কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী। তারা ইতোমধ্যে কারাগারে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: আবু সাঈদ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র প্রত্যাখ্যান করে বেরোবি শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন
এর আগে, ২৪ জুন হত্যা মামলার আলামতসহ তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনের কাছে জমা দেয় তদন্ত সংস্থা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাবেক আরএমপি কমিশনারসহ মোট ৩০ জন ব্যক্তি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আবু সায়েদের হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।
গত বছর ১৬ জুলাই রংপুরের পার্কমোড় এলাকায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
১৫৮ দিন আগে
ওয়ারেন্ট না থাকায় গ্রেপ্তার হননি আবদুল হামিদ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে কোনো ওয়ারেন্ট (গ্রেপ্তারি পরোয়ানা) না থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (৯ জুন) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানা পরিদর্শন শেষে মামলার থাকার পরেও বিমানবন্দরে আবদুল হামিদকে গ্রেপ্তার না করার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘নির্দোষরা শাস্তি পাবেন না বলেই এখন পর্যন্ত কোনো অ্যাকশন নেয়া হয়নি। আবদুল হামিদের বিপক্ষে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারাই বলেছেন কোনোভাবেই যেন নির্দোষ কেউ শাস্তি না পান, অযথা গ্রেপ্তার না হন। আমরা সেভাবেই কাজ করছি।’
আরও পড়ুন: দেশে ফিরেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ
তিনি জানান, কেউ যেন হয়রানির শিকার না হন সেজন্য যাচাই-বাছাই শেষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মামলার পর যাচাই-বাছাইয়ের এই কার্যক্রম দেশের সব নাগরিকের জন্যই প্রযোজ্য। মন্ত্রণালয়ের তিন সদস্যের কমিটি বিষয়গুলো দেখভাল করছে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।
এর আগে, ৮ মে সাবেক রাষ্ট্রপতির বিদেশ যাওয়াকে কেন্দ্র করে কিশোরগঞ্জের এসপি ও তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, সেসবেরও তদন্ত চলমান বলে জানান জাহাঙ্গীর আলম।
প্রসঙ্গত, রবিবার দিবাগত রাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় ফেরেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
১৭৮ দিন আগে
অভিনেত্রী শাওনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
অভিনেত্রী ও গায়িকা মেহের আফরোজ শাওনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
শাওনের সৎ মা নিশি ইসলাম হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে ১২ জনকে আসামি করে গত ১৩ মার্চ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলাটি করেন।
এর আগে মঙ্গলবার আসামিদেরকে (২২ এপ্রিল) আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়।
সমন পেয়ে আদালতে উপস্থিত না হওয়ার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্ল্যাহ তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে— ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদ, সিটিটিসি ইউনিটের সাবেক এডিসি নাজমুল ইসলাম, প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী, মেহের আফরোজ শাওনের ভাই মাহিন, বোন শিঞ্জন ও সেঁজুতি, সাব্বির, সুব্রত দাস, মাইনুল হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপপরিদর্শক শাহ আলম এবং মোখলেছুর রহমান মিল্টন। ১২ আসামির মধ্যে পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া ও উপপরিদর্শক শাহ আলম আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।
অপর ১০ আসামি আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় মঙ্গলবার তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত, যা গতকাল বুধবার জানাজানি হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, শাওনের পিতা মোহাম্মদ আলী আগের স্ত্রীর কথা গোপন রেখে ও প্রতারণা করে ২০২৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ৫০ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে নিশি ইসলামকে বিয়ে করে। পরে নিশি জানতে পারেন, মোহাম্মদ আলী আগেই বিয়ে করেছেন। তার আগের সংসারে একটি ছেলে ও তিনটি কন্যা সন্তান আছে।
গত ২৮ ফ্রেব্রুয়ারি শাওনের বোন শিঞ্জন ও তার স্বামী সাব্বির বাদীর বাড়িতে এসে বিয়ের কথা গোপন রাখার জন্য চাপ দেন। ৪ মার্চ মোহাম্মদ আলী নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে বাদীকে গুলশানের বাসায় যাওয়ার জন্য বলেন।
তখন মোহাম্মদ আলীর আগের স্ত্রীকে দেখে প্রতারণার বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পান বাদী।
আরও পড়ুন: জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছাড়া পেয়েছেন শাওন ও সোহানা সাবা
এ সময় অন্য আসামিরা তাকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেন। পরদিন আবারও শাওন ও এডিসি নাজমুলসহ অন্য আসামিরা বাদীর বাড়িতে ঢুকে সাদা কাগজে সই নেওয়ার চেষ্টা করেন। সই দিতে অস্বীকৃতি জানালে শাওন বাদীকে মারধর করেন। তিনি অজ্ঞান হয়ে গেলে আসামিরা পালিয়ে যান।
ওই বছরের ২৪ এপ্রিল বাদীকে ডিবির অফিসে ডেকে নেন পরিদর্শক শাহ জালাল। সেখানে শাওনসহ অন্য আসামিরা নিশিকে মারধর করেন।
ডিবিপ্রধান হারুনের নির্দেশে বাড্ডা থানার ওসি বাদীর বিরুদ্ধে মামলা নেন। বাদীকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে এনে তাকে নির্যাতন করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছে।
২২৫ দিন আগে
হাসিনা-জয়সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
রাজধানীর পূর্বাচলে প্লট অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের দেওয়া চার্জশিট আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া অন্য আসামিরা হলেন- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন ও সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি: হাসিনা-রেহানাসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
বাকি আসামিরা হলেন- রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য তন্ময় দাস, (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ), সাবেক সদস্য মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সদস্য (উন্নয়ন) মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, পরিচালক মো. কামরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, উপ-পরিচালক নায়েব আলী শরীফ, পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য শফি উল হক।
দুদকের আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তার করা গেলো কি না সংক্রান্ত প্রতিবেদনের জন্য ২৮ এপ্রিল তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রথম মামলায় গৃহায়ন ও রাজউকের কর্মকর্তাসহ মোট আসামি ১২ জন।
সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা দ্বিতীয় মামলায় শেখ হাসিনা এবং গৃহায়ন ও রাজউকের কর্মকর্তাসহ মোট ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তার ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজ মালিকানায় ও তার ছেলে, মেয়ে, বোন, বোনের মেয়ে ও বোনের ছেলের নামে ঢাকা শহরে বাড়ি বা ফ্ল্যাট বা আবাসন সুবিধা থাকার পরও তা হলফনামায় গোপন করেন এবং পূর্বাচল নতুন শহর আবাসন প্রকল্পের বরাদ্দ সংক্রান্ত আইন-বিধি ও নীতিমালা ও আইনানুগ পদ্ধতি লঙ্ঘন করেছেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা, পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
মামলার বিবরণে জানা যায়, তার দপ্তরসহ প্রকল্পের বরাদ্দ বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) গণকর্মচারীদের প্রভাবিত করে নিজে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকারের সর্বোচ্চ পদাধিকারী পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে দায়িত্বরত ও বহাল থাকা অবস্থায় নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের অতি মূল্যবান কূটনৈতিক এলাকায় ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রাস্তার ৯ নম্বর প্লট নিজ নামে বাস্তব দখলসহ রেজিস্ট্রিমূলে গ্রহণ করে দণ্ডবিধি ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় দণ্ডযোগ্য অপরাধ করেছেন আসামিরা।
গত মাসের প্রথমার্ধে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। গত ১০ এপ্রিল প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে শেখ হাসিনা, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন একই আদালত।
গত ১৩ এপ্রিল একই আদালত ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজউক থেকে ৩০ কাঠা প্লট গ্রহণের পৃথক তিন মামলায় শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিকসহ ৫৩ বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
২৩৪ দিন আগে
যবিপ্রবির সাবেক ভিসিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
দুর্নীতির মামলায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য ড. আব্দুস সাত্তারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
অন্য দুই আসামি হলেন— যবিপ্রবির উপপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আব্দুর রউফ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপউপাচার্য ড. কামাল উদ্দিন।
মামলার অভিযোগ পত্রের ওপর শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) আসামিদের বিরুদ্ধে সিনিয়র স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) শেখ নাজমুল আলম এই আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর সিরাজুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের এক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বাছাই বোর্ডের সভাপতির দায়িত্বে থেকে ড. আব্দুস সাত্তার নিয়মবহির্ভূতভাবে আব্দুর রউফকে সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করেন।
যথাযথ যোগ্যতা না থাকায় পরবর্তীতে তাকে সেকশন অফিসার (গ্রেড-১, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয় ও বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই নিয়োগ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ফ্রি র্যাবিস ভ্যাক্সিনেশন ও ক্যাট শো আয়োজন
এভাবে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে আব্দুর রউফ পরে পদোন্নতি পেয়ে ২০২১ সালে উপপরিচালক পদে উন্নীত হন। ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত সরকারি বেতন-ভাতা বাবদ ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এ ঘটনায় ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট দুদকের যশোর কার্যালয়ের তৎকালীন উপপরিচালক মো. আল আমিন বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
তদন্ত শেষে তিন আসামিকে পলাতক দেখিয়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দেন। পরে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
২৫২ দিন আগে
সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ ১৭ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
জুলাই-আগস্টে গণহত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ সাবেক ১৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।
১৭ অক্টোবর জুলাই-আগস্টে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের পৃথক মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আরও পড়ুন: সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ গ্রেপ্তার
চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ১৭ জনের বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার জন্য আবেদন করেছিলাম। আদালত সে আবেদন মঞ্জুর করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। সেই ১৭ জনের সবার নাম আমরা বলতে পারছি না নিরাপত্তাজনিত কারণে। এছাড়া যাতে এই আদেশ পৌঁছানোর আগে তারা পালিয়ে যেতে না পারেন।
তিনি আরও বলেন, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান। তিনিসহ বাকি ১৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়েছি, আদালত তা জারি করেছেন। আদালত তাদের ২০ নভেম্বর উপস্থিত করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের মাধ্যমে জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং এর অংশ হিসেবে একটি প্রসিকিউশন টিম ও একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।
এ পর্যন্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ এবং দলের ১৪ নেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে গুম ও গণহত্যার অভিযোগে ৬০টি অভিযোগ জমা পড়েছে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য ২০১০ সালের ২৫ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আরও পড়ুন: জুলাই-আগস্ট গণহত্যার মামলায় সাবেক ১০ মন্ত্রী-সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ
রিমান্ড শেষে ব্যারিস্টার সুমন কারাগারে, জামিন নামঞ্জুর
৪০৩ দিন আগে
রিজভী ও ইশরাকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ঢাকার দুটি আদালত।
২০১২ সালের ডিসেম্বরে তেজগাঁও এলাকায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) একটি ময়লাবাহী ট্রাক ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রিজভী আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার একটি আদালত।
গত বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত এ আদেশ দেন।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) আদালতের বেঞ্চ সহকারী আতিকুর রহমান বলেন, অপর দুই আসামি হলেন- খন্দকার এনামুল হক ও কাজী রেজাউল হক।
এদিকে, আদালত মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ২০২৩ সালের ২৯ মার্চ দিন ধার্য করেছেন।
এদিকে ২০২০ সালের মতিঝিল থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে সোমবার ঢাকার একটি আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
আরও পড়ুন: সব বাধা ডিঙিয়ে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে প্রস্তুত বিএনপি: মির্জা আব্বাস
আদালতের জেনারেল রেজিস্ট্রার শাখার মতিঝিল থানাধীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহা আলম জানান, সময় আবেদন খারিজ করে এ পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী।৪৫ আসামির মধ্যে ১৩ আসামি আদালতে হাজিরা না দিয়ে সময়ের আবেদন করেন।
মামলা তথ্যানুসারে, ২০২০ সালের ২৪ জুন ঢাকা-১৮ আসনের নির্বাচন বানচাল করতে অভিযুক্তরা একে অপরের সঙ্গে যোগসাজশে মতিঝিল এলাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বিপরীতে একটি গাড়িতে আগুন দেয়।
মতিঝিল থানার তৎকালীন এসআই আতাউর রহমান ভূঁইয়া বাদী হয়ে ৪২ জনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: যেকোনো মূল্যে ঢাকার জনসভা সফল করব: ফখরুল
১০৯৫ দিন আগে
যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন: স্ত্রীর মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন ও হত্যা প্রচেষ্টা মামলায় সোনাডাঙ্গা থানার সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) সোবহান মোল্লার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আবদুস ছালাম খান এই পরোয়ানা জারি করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম সদর থানার এসআই এর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
সোবহান মোল্লা বর্তমানে বক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশে কর্মরত রয়েছেন। তিনি মাগুরা জেলা সদরের ২০ নং চন্দন প্রতাপ গ্রামের আব্দুস সবুর মোল্লার ছেলে।
আরও পড়ুন: স্ত্রী নির্যাতন মামলা: চট্টগ্রামে সার্জেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বাদীপক্ষের আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম জানান, প্রথম স্ত্রীর তথ্য গোপন করে ২০২০ সালের ১২ মে ফারজানা বিনতে ফাকের নামে এক কিশোরীকে বিয়ে করেন সোবহান। সোবহান তখন নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় কর্মরত ছিলেন। বিয়ের পর থেকে দ্বিতীয় স্ত্রীকে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করতে থাকেন তিনি। একাধিকবার স্ত্রীকে মারধর করে হাসপাতালে ভর্তি করান। উপায় না পেয়ে ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ফারজানা বিনতে ফাকের।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ‘খুনি’ মোশতাকের ছেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
তিনি জানান, আদালত পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তে কিছুটা গোঁজামিল প্রতিবেদন দিলে এই নিয়ে আদালতে দীর্ঘ আলোচনা হয়। সর্বশেষ মঙ্গলবার আদালত সোবহান মোল্লার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
১১৭৮ দিন আগে
সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) দায়ের করা একটি মামলায় সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরিফুল আলমের আদালত এ আদেশ দেন।
বিএসটিআয় এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আশরাফ খন্দকার আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালে সিটি গ্রুপের তীর ব্র্যান্ডের কিছু সয়াবিন তেল জব্দ করেছিল বিএসটিআই। জব্দ করা তেল পরীক্ষা করে সরকারের নির্ধারিত মাত্রার ভিটামিন-এ না পাওয়ায় ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর আদালতে মামলা দায়ের করে বিএসটিআই। এ মামলায় সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন। উচ্চ আদালত থেকে অর্ন্তবর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ শেষে তিনি নিম্ন আদালতে হাজির হননি। দু’বছর ধরে তিনি আদালত থেকে সময় চেয়ে আসছেন।
বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম সদর থানার এসআই এর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
১২৩৯ দিন আগে