কোরিয়া
বাংলাদেশ হলো ‘গোল্ডেন মাইন ফর রিসার্চ’: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘জনবহুল দেশ হওয়ায় বাংলাদেশ হলো গোল্ডেন মাইন ফর রিসার্চ। বিশেষ করে মলিক্যুলার লেভেল অব দ্য ক্যান্সার রিসার্চের জন্য। এ বিষয়ে কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ গবেষণা করতে পারে বাংলাদেশ।’
মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অফিস কক্ষে কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশ-কোরিয়া যৌথ উদ্যোগে গবেষণা পরিচালনা প্রসঙ্গে এ কথা বলেন তিনি।
ডা. সামন্ত লাল সেন আরও বলেন, দেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের জন্য প্রাইভেট হাসপাতালগুলোকে ইউনিভার্সেল হেলথ্ কেয়ারে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। পাশাপাশি জাপানের মতো কোরিয়ায়ও বাংলাদেশি নার্স পাঠাতে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রত্যাশা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যখাতে কাজ করতে আগ্রহী ইউনিসেফ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জাপানে ইতোমধ্যে ২৫ জন নার্স পাঠানো হয়েছে। আরও ৫০ জন নার্স পাঠানোর জন্য পাইপলাইনে আছেন।
এ সময় তিনি জরুরি রেসপন্স, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ও জয়েন্ট রিসার্চ চালুতে এবং মধ্য আয়ের মানুষের জন্য কোরিয়ার সহযোগিতায় আগারগাঁওয়ে ১০০০ শয্যাবিশিষ্ট সুপার স্পেশাল হসপিটাল নির্মাণ উদ্যোগ গ্রহণকে স্বাগত জানান।
কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশ-কোরিয়ার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।
কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এই সৌজন্য সাক্ষাতে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানাসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন।
আরও পড়ুন: চিকিৎসকরা চাইলেই রোগীর সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি হতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
কাল ঢাকায় শুরু হচ্ছে কোরিয়া ফিল্ম অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেস্টিভ্যাল
বাংলাদেশে কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের দূতাবাসের আয়োজনে বার্ষিক কোরিয়ান চলচ্চিত্র ও পর্যটন উৎসব ২০২১ বুধবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের প্রধান অডিটোরিয়ামে এই উৎসব চলবে।
২০১৯ সালের জনপ্রিয় কোরিয়ান চলচ্চিত্র ‘প্যারাসাইট’ এর প্রিমিয়ারের মাধ্যমে ২০২১ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধন হবে। ২০১৯ সালে একাডেমি পুরস্কারের ৯২ বছরের ইতিহাসে সেরা ছবির পুরস্কার জিতেছে এই সিনেমাটি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। অনুষ্ঠানে পুরষ্কার বিজয়ী বাংলাদেশের তরুণদের পক্ষ থেকে কে-পপ পরিবেশনাও থাকবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের দশটি প্রাচীন মসজিদ: দেশের ঐতিহাসিক স্থাপত্যের নিদর্শন
২৪-২৬ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী এই উৎসবে মোট পাঁচটি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।দেখানো হবে বিশ্ব-বিখ্যাত চলচ্চিত্র ‘প্যারাসাইট’, মাল-মো-ই: দ্য সিক্রেট মিশন। দ্য সিক্রেট মিশন একটি সত্য গল্পের উপর ভিত্তি করে এমন একটি চলচ্চিত্র যেখানে বিদেশি দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে তাদের কোরিয়ান মাতৃভাষাকে রক্ষা করার জন্য লড়াই করা লোকদের চিত্রিত করা হয়েছে।
এই উৎসবের জন্য নির্ধারিত অন্যান্য সিনেমা হল- `কিম জি-ইয়ং, বর্ন ১৯৮২’, #এলাইভ, এবং `রেড শুস অ্যান্ড দ্য সেভেন ডোয়ার্ফস’।
আরও পড়ুন: প্রয়াত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের স্মরণ করল ‘বঙ্গীয় সাহিত্য সংসদ’
পর্যটন উৎসবের দর্শনার্থীরা ভার্চুয়াল ট্যুর, কোরিয়ান লোক খেলা, হ্যানবক ওয়ারিং, ডালগোনা ক্যান্ডি তৈরি, তাৎক্ষণিক ফটোশুট এবং মিউজিয়ামে কোরিয়া কর্নারসহ বিভিন্ন লাইভ কার্যক্রম উপভোগ করতে পারবেন।
উৎসব সম্পর্কে আয়োজকরা বলেছেন, এখন আমরা দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ইভেন্টটি পুনরায় শুরু করতে পেরে খুব খুশি এবং কোরিয়ান চলচ্চিত্র এবং এর বাইরেও আগ্রহ মেটাতে প্রস্তুত।
রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকাণ্ড: আইওএমকে ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিচ্ছে কোরিয়া
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মানবিক সহায়তা হিসেবে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাকে (আইওএম) এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার জরুরি সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রজাতন্ত্র কোরিয়া সরকার।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির মতে, ২২ মার্চ অগ্নিকাণ্ডের কারণে কক্সবাজারের কুতুপালং বালুখালী এলাকায় অবস্থিত ক্যাম্প নং ৯, ক্যাম্প নং ৮ই এবং ক্যাম্প নং ৮ ডাব্লিউ-তে প্রায় ১০,১০০টি বাসস্থান ধ্বংস হয়ে গিয়েছে এবং এর ফলে প্রায় ৪৮ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১
কোরিয়ান সরকারের এই সহযোগিতা সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্থ এবং এলপিজি বিতরণ, ল্যাট্রিন এবং স্নান ব্যবস্থাসহ ক্ষতিগ্রস্ত শরণার্থী আশ্রয়কেন্দ্র ও বাসস্থান পুনঃনির্মাণে আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোর পুনরুদ্ধার কার্যক্রমকে সহায়তা করবে।
২০১৩ সালে রোহিঙ্গা শরণার্থী সঙ্কটের প্রাদুর্ভাবের পরে, মানবিক সহায়তাস্বরূপ রোহিঙ্গা ও স্থানীয় কমিউনিটির জন্য প্রজাতন্ত্র কোরিয়া ইউএনএইচসিআর, ইউনিসেফ, আইওএম, ডব্লিউএফপিএবং আইএফআরসি-র মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিকে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য বার্ষিক চার থেকে পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সরবরাহ করে আসছে।
আরও পড়ুন: আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের জন্য ১ কোটি ডলার দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া
প্রজাতন্ত্রের কোরিয়া দূতাবাস বাংলাদেশ সরকার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে নিবিড় সহযোগিতার মাধ্যমে মানবিক সঙ্কট এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চূড়ান্ত প্রত্যাবাসন মোকাবিলায় প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।