স্যালাইন
রিকশাচালকদের ছাতা-স্যালাইন-পানির বোতল দিলেন ডিএনসিসি মেয়র
দাবদাহের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে রিকশাচালকদের মধ্যে রিকশায় স্থাপনযোগ্য একটি ছাতা, পানি পানের বোতল, ১২ প্যাকেট করে খাবার স্যালাইন বিতরণ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
শুক্রবার (৩ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরে এই বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: বস্তিতে আগুন: ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তার ঘোষণা ডিএনসিসি মেয়রের
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, দিন দিন দাবদাহ প্রকট হয়ে উঠছে। প্রতিদিন যাদের জীবিকার জন্য বাইরে বের হতে হয়, তাদের কষ্ট বেড়ে যায়। সীমিত আয়ের মানুষ যারা রয়েছে, বিশেষ করে রিকশাচালক তাদের কষ্ট আরও বেশি হয়। তারা যাতে অন্তত ছাতার ছায়াতে থাকতে পারে এজন্য সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ছাতা দেওয়া হচ্ছে।
মেয়র আরও বলেন, সিটি করপোরেশনে যতগুলো নিবন্ধিত রিকশা রয়েছে, সবগুলোর চালককে ধাপে ধাপে এই ছাতা পৌঁছে দেওয়া হবে। এছাড়া পানি পানের যে বোতল বিতরণ করা হচ্ছে, সেটি আধা লিটারের। এর ফলে এটি সহজে বহনযোগ্য এবং প্রয়োজন মতো স্যালাইন গুলে খেতে পারবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা ১৮ আসনের সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরী, রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান সরকার, ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আফছার উদ্দিন খান।
আরও পড়ুন: রিকশাচালকদের স্যালাইন-পানি ও ছাতা বিতরণ করলেন ডিএনসিসি মেয়র
শহীদ ডা. ফজলে রাব্বি পার্কটি একটি আধুনিক ব্যতিক্রমধর্মী পার্ক: ডিএনসিসি মেয়র
রিকশাচালকদের স্যালাইন-পানি ও ছাতা বিতরণ করলেন ডিএনসিসি মেয়র
ডিএনসিসি এলাকার ৩৫ হাজার রিকশাচালকদের বিনামূল্যে একটি করে ছাতা, ১২ প্যাকেট খাবার স্যালাইন ও একটি আধা লিটার পানির কনটেইনার বিতরণ করলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহে রিকশাচালক ভাইদের খুব কষ্ট হয়। প্রচণ্ড রোদে তারা যদি অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে পুরো পরিবারের জন্য অনেক সমস্যা। রোদের কারণে তারা যদি রিকশা চালাতে না পারে, তারা যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে তাদের পরিবার কিন্তু চলতে পারবে না। কারণ অনেক রিকশাচালকের দৈনিক আয়ের উপরে তাদের পরিবার চলে।
তাই তীব্র তাপদাহে তাদের কষ্টের বিষয় চিন্তা করে এ উদ্যোগ নিয়েছি।
আরও পড়ুন: ৬ দিনের থাইল্যান্ড সফর শেষে সোমবার দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় গুলশান-২ নগর ভবনের সামনে রিকশাচালকদের মাঝে ছাতা বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন।
ছাতা বিতরণ কার্যক্রমটি দেখতে আসেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জুলকার নায়েন, বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ ও ফিলিস্তিনের উপরাষ্ট্রদূত।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ছাতাটা আমরা বিশেষভাবে তৈরি করেছি। এটা অ্যাডজাস্টেবল। কোনো রিকশাচালক লম্বা হলে ছাতার উচ্চতা বাড়িয়ে নিতে পারবে, কেউ উচ্চতায় কম হলে কমিয়ে নিতে পারবে। প্রত্যেককে হাফ লিটার পানির কনটেইনার দিচ্ছি। এতে একটি স্যালাইন মিশিয়ে খেতে পারবে। এক লিটার কনটেইনার দেওয়ার কথা ভেবেছিলাম কিন্তু স্যালাইন মিশিয়ে খাওয়ার বিষয় বিবেচনা করে হাফ লিটার কনটেইনার দিচ্ছি।
এ বিষয়টিও চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনের পরামর্শে করা হয়েছে বলে জানান ডিএনসিসি মেয়র।
তিনি বলেন, স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে পানি ছিটানোর কাজটি চলবে। পার্কগুলোতেও পানি স্প্রে করা হবে। যদিও পার্কে স্প্রে করার কাজটি ব্যয়বহুল। আমি আহ্বান করছি, কেউ চাইলে সহযোগিতা করতে পারেন। কেউ ছাতা দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করতে পারেন। অনেক কোম্পানি অথবা ব্যক্তি এগিয়ে আসতে পারেন।
মেয়র আরও বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি বিশেষ ভ্যানগাড়ি (৫০০ লিটার পানির ট্যাংক সম্বলিত) পথচারীদের পানি পান করানোর জন্য নামানো হয়েছে। ভ্যানগুলো বিশুদ্ধ খাবার পানি নিয়ে ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরবে। এ ভ্যানগুলো ছোট আকারের করা হয়েছে যেন শহরের অলিগলিতে প্রবেশ করতে পারে। পথচারী ও শ্রমজীবী মানুষ যেন পানি পান করতে পারে।
আরও পড়ুন: আইনগত সহায়তা পাওয়া করুণা নয় অধিকার: আইনমন্ত্রী
ডেঙ্গু রোগীদের স্যালাইনের কোনো সংকট হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ডেঙ্গু রোগীদের জন্য স্যালাইনের কোনো সংকট হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।
এছাড়া ডেঙ্গু রোধে বাসাবাড়ির সবকিছু পরিষ্কার রাখার নির্দেশ দিয়ে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন সামন্ত লাল সেন৷
আরও পড়ুন: ঈদের দিনে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হাসপাতাল পরিদর্শন
সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিজ দপ্তরে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ডেঙ্গু নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা হাসপাতালগুলোকে বলে রেখেছি। এখন চিকিৎসকরা ডেঙ্গু চিকিৎসা সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন।
তিনি আরও বলেন, স্যালাইনের যে সংকটের কথা ভাবা হয়েছে, সেটা নিয়েও আমি বৈঠক করেছি। স্যালাইনের কোনো সংকট হবে না।
সামন্ত লাল বলেন, তবে ডেঙ্গু না হোক, সেটা আমাদের সবার প্রার্থনা। বিপর্যয় না হওয়ার জন্য কী করতে হয়, সেটা আপনারা ভালো করে জানেন।
ঈদের ছুটিতে চিকিৎসকদের দায়িত্ব নিয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমি নিজে ঢালাওভাবে বলতে চাই না যে, আমি কী করেছি। আপনারা নিজেরাই বলবেন, আমরা কতটা মনিটরিং করতে পেরেছি। যতটুকু সম্ভব যথাসাধ্য চেষ্টা আমি ঈদের সময় করেছি। মন্ত্রী হওয়ার আগেও এমন কোনো ঈদ নেই, যেদিন আমি হাসপাতালে যাইনি। এমন কোনো দুর্গা পূজা নেই যেদিন হাসপাতালে যাইনি। আগে হাসপাতালে যেতাম, তারপর উৎসবে যেতাম।
তিনি আরও বলেন, আমি এবার না বলেই গিয়েছি। ঈদের আগের দিন যে কয়েকটি হাসপাতালে গিয়েছিলাম, আমি কাউকে বলেনি। আমি গিয়ে চিকিৎসকদের উপস্থিতি দেখতে পেয়েছি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এবার মন্ত্রণালয় থেকে একটা প্রশাসনিক আদেশ দিয়ে ছুটিতে কাজ করা চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছি। এটা আমি নিজে অনুভব করেছি। আমি যখন বার্নে কাজ করতাম, রাতে একটা মেয়ে না-খেয়ে কাজ করেছেন। সব হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকত। ইচ্ছা করে এবার খাবারের অর্ডার করেছি। যাতে ভালোভাবে তারা ঈদটা করতে পারেন।
আরও পড়ুন: ঈদে চিকিৎসাসেবায় কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঈদের ছুটির মধ্যে হঠাৎ হাসপাতাল পরিদর্শনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেড়েছে ডায়রিয়া, হাসপাতালে স্যালাইন সংকট
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে ৩০-৪০ জন রোগী।
হাসপাতালে স্যালাইন ও পর্যাপ্ত বেড না থাকায় শীতে মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগীর স্বজনরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও বলছে, বেডের অভাব ও কলেরা স্যালাইন সরবরাহ না থাকায় কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা।
সরেজমিনে শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৯৬।
আরও পড়ুন: ডায়রিয়া বা উদরাময়: কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায়
সারি সারি চট-চাদর বিছিয়ে মাটিতে শুয়ে আছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। সেখানেই চিকিৎসা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আব্দুল্লাহ নামে এক শিশুর মা বলেন, গত দুদিন থেকে ছেলের পাতলা পায়খানা। শুক্রবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি করেছি ছেলেকে।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু শীতের দিনে বেড না পেয়ে মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছি। হাসপাতাল থেকে কলেরা স্যালাইন দিচ্ছে না।
মানিক মিয়া নামে আরও এক শিশুর বাবা বলেন, শুক্রবার সকালে ডায়রিয়া আক্রান্ত ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। কিন্তু বেড না থাকায় মেঝেতে কম্বল বিছিয়ে শুয়ে আছে আমার ছেলে ও স্ত্রী।
চেষ্টা করেও শীতের তীব্রতা ও ঠান্ডা বাতাস থেকে রক্ষা পাচ্ছি না।
শহরের পৈরতলার এলাকার জহিরের ছেলে ভর্তি আছে হাসপাতালে। তিনি বলেন, রাতে হাসপাতালে ভর্তি করেছি ছেলেকে। কিন্তু বেড নাই।
বারান্দাতেও কম্বল বিছিয়ে থাকতে হচ্ছে গাদাগাদি করে। এতে শিশুদের ডায়রিয়া ভালো করতে এসে ঠান্ডা লেগে যাচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে শিশুদের জন্য ২০টি বেড মজুদ আছে। কিন্তু এবছর বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। আর ডায়রিয়া ওয়ার্ডে যে বেড রয়েছে, তা মোট ২০-২৫ জনকে দেওয়া সম্ভব। তাই রোগীদের মেঝেতেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজ বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার শীতে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেশি। তবে এবার বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা যাদের বয়স মাত্র ৬ মাস থেকে এক বছর। আগামী দু'একদিনের মধ্যে কলেরা স্যালাইন রোগীদের দিতে পারব।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে বর্তমানে ৯৬ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি রয়েছে। শুধু শুক্রবার ৪১ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। যার মধ্যে তিন ভাগের দুই ভাগ রোগীই শিশু।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, শীতে প্রতি বছর শিশুদের ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগের প্রকোপ বাড়ে।
তিনি আরও বলেন, এবারও বেড়েছে। তবে এবার শিশুর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। হাসপাতালে পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইনসহ অন্যান্য ওষুধ সরবরাহ আছে। সবাই চিকিৎসা পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে ডায়রিয়ার প্রকোপ
রাজধানীতে ২৩ লাখ মানুষ পাবেন ডায়রিয়ার টিকা
কলেরা স্যালাইন সংকটে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতাল
হঠাৎ করে গত ১২ দিন ধরে ফরিদপুরে বেড়েই চলেছে ডায়রিয়ার রোগীর সংখ্যা। এদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি।
এ হাসপাতালে আইভি স্যালাইনের (শিরায় দেওয়া) সংকট দেখা দেওয়ায় রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ১০০ শয্যার ফরিদপুর সদর জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য রয়েছে মাত্র ১০টি শয্যা।
চলতি শীতের আগমনের শুরুতেই শিশু থেকে বৃদ্ধরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে আসছে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। আর এতে স্বল্প পরিসরের (১০ শয্রার), সীমিত সংখ্যক জনবল দিয়ে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিন গড়ে ভর্তি হচ্ছে ৫০ এর বেশি রোগী।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে পদ্মার তীর সংরক্ষণ বাঁধ হুমকির মুখে
এ ছাড়া গত ১২ দিনে প্রতিষ্ঠানটিতে শুধু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে প্রায় ৬০০ রোগী। বিপুল সংখ্যক এই রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ওয়ার্ডের মেঝেতে ও ওয়ার্ডের বাইরে।
বৃহস্পতিবার ১০ শয্যার ওই ডায়রিয়া ওয়ার্ডে দেখা যায়, ৫৭ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। অনেক রোগীকে রাখা হয়েছে ওয়ার্ডের মেঝে ও বারান্দার ফ্লোরে। আর শিশুদের রাখা হয়েছে একই বেডে দুইজন বা তিনজন করে।
তার উপর রয়েছে স্যালাইন সংকট। এদিকে বাজারে ওষুধের দোকানে মিলছে না কলেরা প্রতিরোধের স্যালাইন। যা পাওয়া যাচ্ছে তাও ক্রয় ক্ষমতার বেশি দরে কিনতে হচ্ছে। অনেক রোগীর স্বজনেরা বেশি দাম দিয়েও স্যালাইন পাচ্ছে না।
এদিকে সরকারি হাসপাতালে স্যালাইন না পেয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
তারা বলছেন, তারা বাজার থেকে টাকা দিয়েও স্যালাইন পাচ্ছেন না। যেটুকু পাচ্ছে তার দাম নিচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। এতে রোগীদের দুর্ভোগের মাত্রা বেড়েই চলছে।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন শহরের শোভারামপুর এলাকার আব্দুল জলিলের পরিবার। প্রথমে জলিলের স্ত্রী কলেরায় আক্রান্ত হন। এরপর জলিলের ছেলের বউ। শয্যা না পেয়ে বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা।
শয্যা ও কলেরা রোগীর স্যালাইন সংকটের কথা স্বীকার করে ফরিদপুর সদর জেনারেল হাপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার গনেশ কুমার আগরওয়ালা বলেন, এই মুহূর্তে আমরা রোগীদের সচেনতার প্রতি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। তবে রোগীর চাপ অনেক বেশি। সেই তুলনায় কলেরার স্যালাইন সংকট প্রচুর।
আরও পড়ুন: তেল বরাদ্দ না থাকায় ৪৫ দিন থেকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ
তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, রোগীর চাপ যদি স্বাভাবিক না হয়, আর সময় মতো স্যালাইন না পাই তাহলে বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হবে।
এ ব্যাপারে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে ৭ হাজার কলেরা স্যালাইনের চাহিদাপত্র পাঠানো হয়; যার বিপরীতে এ পর্যন্ত পাওয়া গেছে ১ হাজার ২০০।
ভারত থেকে বেনাপোলে এল ৫০ হাজার ২৮০ ব্যাগ স্যালাইন
ভারত থেকে আমদানি করা ৫০ হাজার ২৮০ ব্যাগ স্যালাইন মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বেনাপোল বন্দরে এসে পৌঁছেছে।
এ নিয়ে ছয়টি চালানে ঢাকার জাস করপোরেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান ১ লাখ ৭৩ হাজার ব্যাগ স্যালাইন আমদানি করেছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ডিএনএস স্যালাইন সংকট, বিপাকে রোগীরা
এর আগে ৯ সেপ্টেম্বর বাজার নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে স্যালাইন আমদানির কথা জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
জানা গেছে, স্যালাইন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের জেনটেক্স ফার্মাসিটিক্যাল। আমদানি করা প্রতি ব্যাগ স্যালাইনের কেনা দাম পড়েছে ৬১ টাকা ৩৫ পয়সা। এভাবে প্রথম দফায় পর্যায়ক্রমে ৭ লাখ ব্যাগ স্যালাইন ভারত থেকে আমদানি করা হবে।
আমদানিকারকের প্রতিনিধি জানান, বর্তমান সংকটের মুহূর্তে আমদানি করা স্যালাইন বড় ভূমিকা রাখবে ও কম মূল্যে মানুষ কিনতে পারবে।
বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, ভারত থেকে আমদানি করা স্যালাইন বন্দর থেকে দ্রুত ছাড়করণে সহযোগিতা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ২০ লাখ ব্যাগ স্যালাইন সংগ্রহ করবে সরকার
খুলনায় আইভি স্যালাইন স্বল্পতায় ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত
ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ২০ লাখ ব্যাগ স্যালাইন সংগ্রহ করবে সরকার
সারাদেশের সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার জন্য রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি থেকে সরাসরি মোট ২০ লাখ (২ মিলিয়ন) ব্যাগ স্যালাইন সংগ্রহ করবে সরকার।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) অর্থনৈতিকবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিইএ) বৈঠকে এ বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
নীতিগত অনুমোদন অনুসারে, এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির (ডিপিএম) মাধ্যমে ১০০০ মিলি ফ্লুইডের ১২ লাখ (১ দশমিক ২ মিলিয়ন) ব্যাগ সাধারণ স্যালাইন এবং ১০০০ মিলি আইভি তরল গ্লুকোজ স্যালাইনের 8 লাখ (৮ লাখ) ব্যাগ কেনা হবে।
সরকারি ও বেসরকাররি উভয় হাসপাতালে যেখানে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা চলছে সেখানে স্যালাইনের ব্যাপক সংকটের প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্যালাইন উৎপাদনে হিমশিম খাচ্ছে ওষুধ কোম্পানিগুলো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রাজধানীতে ৩ হাজার ৮১৪ জনসহ মোট ১০ হাজার ১০২ জন ডেঙ্গু রোগী এখন সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ পর্যন্ত, ডিজিএইচএস চলতি বছরে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৭৯৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত এবং ১ লাখ ৬২ হাজার ৪৪৭ জন সুস্থ হওয়ার তথ্য নথিভুক্ত করেছে।
সেপ্টেম্বরের প্রথম দুই সপ্তাহে সারাদেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে ১৭৪ জনের প্রাণহানি ঘটে। এ ছাড়া একই সময়ে ৩৩ হজার ৩৩৬ জন আক্রান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ডিএনএস স্যালাইন সংকট, বিপাকে রোগীরা
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি মন্ত্রিসভার বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
কমিটির সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সাংবাদিকদের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মাহবুব খান জানান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী ডিজিএইচএস ইডিসিএলের মাধ্যমে স্যালাইন কিনবে।
তিনি অবশ্য ইডিসিএল থেকে কেনা স্যালাইনের দাম প্রকাশ করেননি।
তিনি বলেন, সারাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি মোকাবিলায় সরকার ইডিসিএল থেকে স্যালাইন কেনার উদ্যোগ নিয়েছে।
সিসিইএ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির (ডিপিএম) মাধ্যমে চট্টগ্রাম সাইলোর ভারসাম্য, আধুনিকীকরণ, পুনর্বাসন ও সম্প্রসারণ (বিএমআরই) কর্মসূচি পরিচালনার জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদপ্তরের একটি প্রস্তাবকেও নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে।
তবে এ বিষয়ে কোনো খরচ উল্লেখ করা হয়নি। তবে, প্রস্তাবের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে (সিসিজি) কবে খরচ হবে তা প্রকাশ করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: খুলনায় আইভি স্যালাইন স্বল্পতায় ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত
কুড়িগ্রামে হাসপাতাল-দোকান কোথাও মিলছে না ডিএনএস স্যালাইন
বেশ কিছুদিন ধরে কুড়িগ্রামে ডিএনএস স্যালাইনের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালেও মিলছে না এ স্যালাইন। শুধু সরকারি হাসপাতাল নয় বাইরের ওষুধের দোকানগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে না। দু একটি দোকানে পাওয়া গেলেও ১০০ টাকা মূল্যের ডিএনএস স্যালাইন কিনতে হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকা। ফলে রোগীসহ স্বজনরাও পড়ছে চরম বিপাকে।
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন শিশু বাদে হাসপাতালে দুই শতাধিক নতুন রোগী ভর্তি হন। ২৫০ শয্যার এই হাসপাতালে গড়ে প্রতিদিন চার শতাধিক রোগী ভর্তি থাকেন। এসব রোগীর জন্য প্রতিদিন বিভিন্ন প্রকারের কমপক্ষে ২০০ স্যালাইন প্রয়োজন হয়। কিন্তু এসব স্যালাইনের সরবরাহ নেই। এসেনশিয়াল ড্রাগ কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) সরকারি হাসপাতালে এসব স্যালাইন সরবরাহ করে। কিন্তু কয়েক মাস ধরে চাহিদা অনুযায়ী তারা স্যালাইন দিচ্ছেন না। ফলে হাসপাতালে স্যালাইনের তীব্র সংকটে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: স্যালাইন সংকটের আশঙ্কায় রোগী ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ
কুড়িগ্রাম সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজন মো. ইউনুস আলী বলেন, আমি ও আমার ছেলে গত ২ দিন ধরে পেট ব্যাথা ও জ্বরে ভুগছি। ছেলেকে সকালে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। হাসপাতালের ডিএনএস স্যালাইন না থাকায় বাইরে থেকে আনতে বলে। আমি শহরের অনেক ফার্মেসি খুঁজে ১০০ টাকা স্যালাইন ২০০ টাকা দামে কিনলাম। স্যালাইনের এমন সংকট কোনো দিন শুনিনি।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স আঁখি তারা বলেন, হাসপাতালে স্যালাইনের সংকট চলছে। রোগীরা বাইরে গিয়েও স্যালাইন পাচ্ছেন না। অথচ কোনো দুর্ঘটনা, পেটব্যথা, রক্তক্ষরণ কিংবা অপারেশনের রোগীর জন্য স্যালাইন অত্যাবশ্যক।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাহীনুর রহমান সরদার বলেন, স্যালাইনের সংকট চলছে। আমরা হিমশিম খাচ্ছি। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। আমরা চাহিদা পাঠাই। কিন্তু খুবই নগণ্য পরিমাণ সরবরাহ করা হয়। সরবরাহ স্বাভাবিক হলে সংকট কেটে যাবে।
গাড়িয়াল পাড়া মোড়ের ওষুধ ব্যবসায়ী মো. এমদাদুল হক বলেন, ডিএনএস স্যালাইনের সাপ্লাই নেই। কোম্পানি স্যালাইন না দিলে আমরা কী করব। যে দু-চারটা স্যালাইন দেয় তা এক ঘণ্টাও দোকানে থাকে না। দিনভর রোগীর স্বজনরা দোকানে এসে ফেরত যান।
আরও পড়ুন: স্যালাইন উৎপাদনে হিমশিম খাচ্ছে ওষুধ কোম্পানিগুলো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রয়োজনে দেশের বাইরে থেকে স্যালাইন আনা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বর্তমানে ডেঙ্গুর জন্য স্যালাইনের বেশ চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। হঠাৎ করে ১০/১২ গুণ চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে স্যালাইনের সংকট দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, চাহিদা পূরণে দেশের সকল স্যালাইন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছে। প্রয়োজনে দেশের বাইরে থেকে স্যালাইন আমদানির জন্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) বিকালে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ঢাকুলি এলাকায় প্রায় দেড় কিলোমিটার পাকা রাস্তার নির্মাণকাজের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক ও নার্সরা যথাসাধ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিধনে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিশীল হতে হবে। কারণ মশা কমলেই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব কমে যাবে।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বেশি করে মশা মারার ওষধ প্রয়োগ করার জন্য। এছাড়া মানুষজনকেও সচেতন হতে হবে। কারণ এডিস মশা যাতে জন্ম না হয় এর জন্য বাড়ির আশে পাশে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন দিলে ডেঙ্গুর টিকা আনার চেষ্টা করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন ডেঙ্গু পরীক্ষার কিটের কোনো সংকট নেই, পর্যাপ্ত কিট রয়েছে। যদি কোনো সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট সংকট দেখা দেয়, তবে চাহিদা মোতাবেক তা দ্রত সরবরাহ করা হবে।
পরে ঢাকুলী সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জাগীর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন স্বাস্থামন্ত্রী জাহিদ মালেক।
জাগীর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হোসেনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক জাগীর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ছাড়াও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, সহসভাপতি পৌর মেয়র রমজান আলী, যুগ্ম সধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব সাহা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকার, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
গত বছরের চেয়ে এ বছর ডেঙ্গুরোগী পাঁচগুণ বেশি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রাজধানীতে ২৩ লাখ মানুষ পাবেন ডায়রিয়ার টিকা
দেশে চলমান ডায়রিয়া প্রকোপ মোকাবিলায় রাজধানীর ২৩ লাখ মানুষকে মুখে খাওয়ার কলেরা টিকা দেবে সরকার। গর্ভবতী মহিলা ব্যতীত এক বছরের ঊর্ধ্বে সকল বয়সের মানুষকে এই টিকা দেয়া হবে।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষ প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম জানান, দুই ডোজের এই টিকা কর্মসূচির প্রথম ডোজ দেয়া হবে মে মাসে। সব মিলিয়ে ২৩ লাখ ডোজ টিকা দেয়া হবে। পরবর্তীতে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে জুন মাসে।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে ডায়রিয়া রোগী বাড়ছে
তিনি বলেন, প্রথম ধাপে রাজধানীর পাঁচটি এলাকায় এই টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। সেগুলো হলো- যাত্রাবাড়ী, দক্ষিণখান, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, সবুজবাগ।
নাজমুল ইসলাম বলেন, টিকা কার্যক্রমটি নিয়ে আমরা এখনও কাজ করছি। এই টিকা নিতে আলাদা কোন নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই। নির্দিষ্ট তারিখ ও কেন্দ্র বাছাই হলে সবাইকে জানিয়ে দেয়া হবে। নিকটস্থ কেন্দ্র থেকেই টিকা নেয়া যাবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, ডায়রিয়া রোগীদের সুস্থ ব্যবস্থাপনায় এবং ডায়রিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে হাসপাতালগুলোতে অতিরিক্ত বিছানার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং ডায়রিয়া ওয়ার্ড চালু করা হচ্ছে। ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসায় চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৬০ জনের অধিক চিকিৎসককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
হাসপাতালের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ডায়রিয়া রোগীদের প্রয়োজনীয় ওষুধ, আইভি স্যালাইন, মুখে খাওয়ার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ইত্যাদি চাহিদা মোতাবেক দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ডায়রিয়া ও কলেরার প্রকোপ: সচেতন থাকার পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর