জোনায়েদ সাকি
যৌথবাহিনীর ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ, সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জোনায়েদ সাকির
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরের ওপর হামলার ঘটনার যথার্থ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
শনিবার (৩০ আগষ্ট) দুপুরে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন নূরের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন তিনি।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সাকি বলেন, ‘আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছি। গণঅধিকারের একটি কর্মসূচি শেষে নূর ও রাশেদ খান প্রেস ব্রিফিংয়ের অপেক্ষায় ছিলেন। সেই সময় পুলিশ ও যৌথবাহিনী কিভাবে হামলা করল এবং এর পেছনে কারা দায়ী, তা অবিলম্বে ও যথার্থভাবে তদন্ত করতে হবে।’
পড়ুন: নুরের জ্ঞান ফিরেছে, উচ্চপর্যায়ের মেডিকেল বোর্ড গঠন
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশে জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচন—এই তিনটি কাজ একসঙ্গে এগিয়ে নিতে হবে। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে একটি অনিশ্চয়তা তৈরি করার চেষ্টা চলছে।
নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় সরকারের আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা ও যথাযথ পদক্ষেপের দাবি জানান গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ দলগুলোকে গণতান্ত্রিক রূপান্তর প্রক্রিয়াতেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিচার ও সংস্কারের প্রক্রিয়া কেউ ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারবে না। ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না।
ব্রিফিংয়ে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ পরিষদ ও গণসংহতি আন্দোলনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
৯৬ দিন আগে
রাতারাতি বৈষম্যের অবসান হবে না: মির্জা ফখরুল
বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠোমোতে দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্য চলে আসছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সেখানে রাতারাতি এগুলোর সমাধান সম্ভব হবে না। কিন্তু আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, এই রাষ্ট্রকাঠামো বদলাতে হবে।’
তিনি বলেছেন, ‘রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কারের চূড়ান্ত পর্যায়ে আমরা এখনো আসতে পরিনি। এমনকি নির্বাচন নিয়েও একই বিষয় আছে, যদিও জাতি এখন সেই দিকেই মনোনিবেশ করেছে। যে বিষয়গুলো নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন সংগ্রাম ও লড়াই করেছি, এটা মুহূর্তের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে— এমনটা মনে করার কোনো কারণ নেই।’
শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর প্রেসক্লাবে একটি সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘সামাজিক সুরক্ষা কতটুকু সু-রক্ষিত’ শিরোনামের এই সেমিনারের আয়োজন করে অর্পণ আলোক সংঘ নামের একটি সংগঠন।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানু ও পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. এম মাসরুর রিয়াজ। সেমিনারটির সঞ্চালনা করেন অর্পণ আলোক সংঘের চেয়ারম্যান বীথিকা বিনতে হোসাইন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা এখন রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের কথা বলছি, একইসঙ্গে অর্থনৈতিক কাঠামোর কথাও বলছি। কিন্তু দীর্ঘদিনের সব অনাচার, অবিচার, নৈরাজ্য, দুর্নীতি ও স্বৈরাচার— সবকিছু কাটিয়ে একদিনে সুন্দর করে একটি রাষ্ট্র আমরা তৈরি করব, এটা মনে করার কোনো কারণ আছে বলে আমি মনে করি না।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নতুন একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে। যে ৫২ বছরে একটা নিয়মিত ও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিধান আমরা তৈরি করতে পারিনি, সেখানে আজ হঠাৎ করে মুহূর্তের মধ্যে আমরা সবকিছু ঠিক করতে পারব না। আমরা যারা রাজনীতি করছি, তারা চেষ্টা করছি। তবে বিচ্ছিন্নভাবে কিংবা জোড়াতালি দিয়ে কোনোকিছু করা যায় না। এর জন্য সুনির্দিষ্ট চিন্তাভাবনা ও লক্ষ্য প্রয়োজন। পাশাপাশি, রাজনৈতিক নেতাকর্মীদেরও আন্তরিকতা থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি ফখরুলের
এ সময়ে রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারের ওপর জোর দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটা আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি। এই কাঠামো বদলাতে হবে। কারণ, বেগুন গাছ লাগিয়ে আমরা কমলালেবু আশা করতে পারি না। কাজেই আমাদের সামনে একটা সুযোগ এসেছে, সেটা যদি কাজে লাগাতে পারি, বৈষম্যহীন একটা সমাজব্যবস্থার কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারি, তাহলে হয়তো-বা অভ্যুত্থানের কিছুটা মূল্য আমরা পাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সবকিছু নির্ধারণ করে আমলারা। সেখান থেকে সবকিছু নেমে আসে। একজন স্কুলশিক্ষককেও নিজের সমস্যা সমাধান করতে ঢাকায় আসতে হয়, যেটার কোনো প্রয়োজন নেই। এর জন্য তো জেলা পরিষদই যথেষ্ট হওয়ার কথা।’
‘কিন্তু ওই যে সিস্টেম। কারণ, তারা যদি ঢাকায় না আসেন, তাহলে ঘুষ আসবে কোথা থেকে? এখন স্কুলশিক্ষক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক— সব নিয়োগ হয় ঘুষের বিনিময়ে। যেই রাষ্ট্রকাঠামোতে এমন বৈষম্য চলতে থাকে, সেখানে রাতারাতি কিছু করে ফেলতে পারব না।’
১০৪ দিন আগে
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে নতুন প্রস্তাবে তিনটি বাদে সব দল একমত: জোনায়েদ সাকি
একজন ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন—এমন একটি প্রস্তাবে তিনটি বাদে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে বলে দাবি করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
রবিবার (২২জুন) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কয়টি মেয়াদ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রস্তাব ছিল, প্রধানমন্ত্রী সর্বোচ্চ দুবার শপথ নিতে পারবেন। নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব ছিল, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ হবে দুটি। তিনি দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।’
‘এখন বার ও মেয়াদ নিয়ে একটি সমস্যার জায়গা তৈরি হয়েছে। মেয়াদ বলতে পূর্ণ পাঁচ বছর কিংবা সংসদ যতদিন আছে, সেটি বোঝায়। আর দুবার বলতে বোঝায়, একই মেয়াদের মধ্যে দুবার হতে পারে। এমন একটি সমস্যার জায়গা থেকে আলোচনাটি হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এখন প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল বছর দিয়ে ঠিক করার একটি প্রস্তাব এসেছে। অর্থাৎ একজন ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় সর্বোচ্চ দশ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। এই প্রস্তাব আসার পর পারস্পরিক আলোচনার জন্য সময় নেওয়ার কথা বলেছি। সেই সময় দেওয়া হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সেটি অনুমোদন করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোও সেটি নিয়ে আলোচনা করেছে।’
‘বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে সর্বোচ্চ দশ বছর একজন ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। তবে তিনটি দল থেকে ভিন্ন ভিন্ন প্রস্তাব আছে। সেইসব প্রস্তাবসহ আরও অন্যান্য অমীমাংসিত বিষয়াদি নিয়ে, যেমন: সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব ও সরাসরি নির্বাচনের প্রশ্ন, সাংবিধানিক পদগুলোতে সাংবিধানিক কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ গঠন ও ক্ষমতার পরিধি, দুই কক্ষের মধ্যে ভারসাম্য, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য—এসব প্রশ্ন নিয়ে যত আলোচনা হয়েছে, এর মধ্যে কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, কিছু বিষয়ে দ্বিমত হয়েছে।’
গণসংহতি আন্দোলনের এই নেতা আরও বলেন, ‘এসব বিষয় নিয়ে আরও আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে যথাসম্ভব একটি ঐক্যমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে। আগামী বুধবার এ বিষয়ে আবার বসা হবে।’
‘তবে এই আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে আমরা একটি অধিকতর ঐক্যের দিকে যাচ্ছি। আমরা যদি আরও ঐক্যের দিকে আসতে পারি, তাহলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পুনর্গঠন যথার্থভাবে এগিয়ে যাবে।’
১৬৬ দিন আগে
ভারসাম্য ও জবাবদিহিতামূলক রাজনৈতিক ক্ষমতা কাঠামো দরকার: সাকি
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, রাজনৈতিকভাবে আমাদের এমন একটি ক্ষমতা কাঠামো দরকার, যেখানে ভারসাম্য ও জবাবদিহিতা থাকবে। কিন্তু আমরা বিগত সময়ে দেখেছি, সংবিধানের ঊর্ধ্বেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা; কোনো জবাবদিহিতা ছিল না। জবাবদিহিতাহীন ক্ষমতার পথ ধরেই বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কুমিল্লা টাউন হল মিলনায়তনে গণসংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার লক্ষে, কেমন বাংলাদেশ চাই’ শীর্ষক এই গণসংলাপের আয়োজন করে গণসংহতি আন্দোলনের কুমিল্লা জেলা কমিটি।
আরও পড়ুন: হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব: জোনায়েদ সাকি
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘৫৩ বছরে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি, বরং দেশ উল্টো পথে চলেছে। ফ্যাসিবাদ থেকে দেশকে রক্ষা করতে ছাত্র-জনতা জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে আত্মাহুতি দিয়েছে। বিপুল সংখ্যক মানুষের আত্মাহুতির দায় আমাদের বহন করতে হবে; তাদের ঋণ শোধ করতে হবে।’
‘সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যেকোনো মূল্যে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহিদদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’
এ সময় কুমিল্লা জেলা আহ্বায়ক ইমরাদ জুলকারনাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারী আবু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহের হোসেন, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য হাসান মারুফ, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইয়িদ মাহমুদ পারভেজ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বিচার বিভাগকে স্বাধীন ও সরকারের কর্তৃত্ব থেকে আলাদা করতে হবে: জোনায়েদ সাকি
৩৪২ দিন আগে
হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব: জোনায়েদ সাকি
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, জুলাই-আগস্টে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ হয়েছিল। এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব।
তিনি বলেন, সরকারের সকল কাজে যে দেশের মানুষ সন্তুষ্ট হবে এমনটা কিন্তু নয়। আমাদের বুঝতে হবে কোন পরিস্থিতিতে এ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। এছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আমাদের প্রত্যাশা অনেক।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকালে সিলেট মহানগরের কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার গণসংলাপ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে হবে জানিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন ন্যায় বিচার চায়। আশাকরি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ন্যায় বিচারের কাজটি করবেন।
সাকী বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলেছে ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে নির্বাচন হবে। তবে নির্বাচনের আগে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। ইতোমধ্যেই অনেকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনের আগে ও পরে কি কি সংস্কার প্রয়োজন সেটি দেখতে হবে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে এমভি আল বাকেরার ঘটনায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি গঠন
তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের রায় একটি ন্যূনতম রাজনৈতিক ব্যবস্থা। এছাড়া আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়াটা কোনো অবস্থাতেই যুক্তিসঙ্গত কাজ নয়। মুক্তিযোদ্ধাকে অসম্মান করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। যারা এ কাজ করেছে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, ভেঙে পড়া রাষ্ট্র হাতে পাওয়ার ৪ মাস পূর্ণ হলো। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে না সেভাবে। বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সেই জায়গাগুলোতে কাজ করতে হবে।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ফ্যাসিবাদী শক্তি এখনও বিদ্যমান রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে সরকারকে কঠোর অবস্থানে যেতে হবে।
৩৪৬ দিন আগে
বিচার বিভাগকে স্বাধীন ও সরকারের কর্তৃত্ব থেকে আলাদা করতে হবে: জোনায়েদ সাকি
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, দেশের বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও সরকারের কর্তৃত্ব থেকে আলাদা করতে হবে।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী ও স্বনির্ভর করতে হবে। সমস্ত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র হতে হবে স্থানীয় সরকার।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা মনে করি, সরকার, রাজনৈতিক দল, শিক্ষার্থী, বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষসহ দেশের জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধ। জনগণ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য লড়াই করবে।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লিয়াকত আলী মিলনায়তনে (খুলনা প্রেসক্লাব) এক গণসংলাপে জোনায়েদ সাকি এসব কথা বলেন।
গণসংলাপে দেশের বর্তমান পরিস্থিতির উন্নতি, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের গতিমুখ, বাজার নিয়ন্ত্রণ, দ্রব্যমূল্যের দাম সহনীয় করার দাবি জানানো হয়।
আরও পড়ুন:
এছাড়া পোশাক শ্রমিকসহ অন্যান্য খাতের শ্রমিকদের চাকরির নিরাপত্তা ও সর্বোপরি দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে জনগণের পাশে সর্বাত্মকভাবে দাঁড়ানো ও নিজেদের সংগঠনের শক্তি বাড়ানো বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।
জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদীরা শক্তিশালী হলেও তাদের ষড়যন্ত্রের জাল আমাদের শক্তির চেয়ে বেশি নয়। ভারতীয় শক্তির পক্ষে সমর্থিত হয়ে আওয়ামী লীগ এখন হিন্দু সম্প্রদায়কে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে ভারতে বিজেপির ভোটের রাজনীতিতে হাওয়া দিচ্ছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব তাদের এইসব ষড়যন্ত্রমূলক তৎপরতার ফলে আজ হুমকির সম্মুখীন। এদের রুখতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, এই সরকারের ব্যর্থতার কোনো সুযোগ নেই। কীভাবে সফল করা যায় সে বিষয়েই রাজনৈতিক ঐক্য তৈরি করতে হবে।
এছাড়া সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনা ও গণতান্ত্রিক উত্তরণে সাফল্যের জন্য সকল রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান জোনায়েদ সাকি।
তিনি আরও বলেন, আমরা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত চাই, যা গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিমূলক। শেখ হাসিনা যে স্বৈরাচারী ব্যবস্থা তৈরি করেছেন, তাকে একটি ফ্যাসিস্ট বন্দোবস্তে পরিণত করা হয়েছে। সংবিধান এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে কেউ কিছুই করতে না পারে। এছাড়া রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে পকেটে ঢুকিয়ে যা ইচ্ছা তাই করা হচ্ছে।
সাকি আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণের সংগ্রামের ফলাফল যাতে আবারও ছিনতাই হয়ে না যায় সেদিকে সকলের নজর রাখতে হবে। সংগ্রামের শক্তিগুলোর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির যেকোনো প্রচেষ্টা রুখে দিতে হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের খুলনা জেলা কমিটির আহ্বায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেলের সভাপতিত্বে গণসংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
আরও পড়ুন:
৩৫৬ দিন আগে
চমেকে জোনায়েদ সাকির ওপর ছাত্রলীগের হামলা
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহতদের দেখতে গিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ছাত্রলীগের হামলায় আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের প্রধান গেটে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা আরও বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীও আহত হন।
বর্তমানে আহত জোনায়েদ সাকি নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত আ’লীগ নেতার মৃত্যু
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরির্দশন শেষে শহরে এসে নেতা-কর্মীদের নিয়ে আমি চমেক হাসপাতালে রোগীদের দেখেছি। রোগীদের দেখে আমরা গাড়িতে উঠতে যাব এমন সময় ছাত্রলীগের কিছু সন্ত্রাসী আমাদের ওপর হামলা চালায়।’
তিনি বলেন, ‘নেতা-কর্মীদের গাড়ি থেকে নামিয়ে হামলা করেছে তারা। আমাদের সাতটি রাজনৈতিক দলের ২০ জন নেতা-কর্মী এ সময় হামলার শিকার হয়েছেন।’
আরও পড়ুন: মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বহরে হামলায় নিহত ১, আহত ৩
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্র অধিকারের দপ্তর সম্পাদক তানজিম হাসান জানান, হামলার সময় জোনায়েদ সাকির সঙ্গে গণ অধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, কেন্দ্র যুগ্ম আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন, কার্যকারী সদস্য কামরুন নাহার ডলি, যুব অধিকার পরিষদের বায়েজিদ থানার আহ্বায়ক ডা. রাসেল, মহানগর ছাত্র অধিকার পরিষদের নাহিন ইসলাম সৌরভ, চট্টগ্রাম মহানগর নেতা হাসান মারুফ রুমি, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শ্রীধাম কুমার শীল, কেন্দ্রীয় নেতা ফরহাদ জামান জনি ও ছাত্র ফেডারেশন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আরিফ উদ্দীন ছিলেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর বলেন, এ ঘটনায় ছাত্রলীগের কোনো নেতা-কর্মী জড়িত নয়।
১২৭৬ দিন আগে
সিইসির বিরুদ্ধে জোনায়েদ সাকির আদালত অবমাননার মামলা
হাইকোর্টের আদেশ অনুসারে গণসংহতি আন্দোলনকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন না দেয়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেছেন দলটির সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। মামলায় নুরুল হুদার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার কারণে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চাওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জোনায়েদ সাকির পক্ষে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া হাইকোর্টে এ মামলা করেন।
পরে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, গণসংহতি আন্দোলন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন চেয়ে ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করে। উক্ত আবেদন নির্বাচন কমিশন ২০১৮ সালের ১৯ জুন তারিখে পাঠানো চিঠির মাধ্যমে নিবন্ধন করা যাবে না মর্মে অবহিত করে। পরবর্তী সময়ে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। হাইকোর্ট ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল গণসংহতি আন্দোলনকে রায় পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন দেয়ার আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: সাবেক ডিআইজি মিজান ও দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুলের মামলার রায় ২৩ ফেব্রুয়ারি
গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে এ রায় ও আদেশের সত্যায়িত কপি যথাসময়ে নির্বাচন কমিশনকে দাখিল করা হয় এবং আদালত থেকেও নিয়ম অনুযায়ী রায় ও আদেশের কপি পাঠানো হয়। আদালতের সুস্পষ্ট রায় ও নির্দেশ থাকার পরও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এরপর বিভিন্ন সময়ে বারবার যোগাযোগ করা হলেও কোনো ফল না পাওয়ায় ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। এরপর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও নির্বাচন কমিশন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় আজ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার কারণে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চেয়ে মামলা করা হয় বলে জানান ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
আরও পড়ুন: মার্কিন নাগরিক হত্যা: পুলিশ কমিশনারসহ আট জনের বিরুদ্ধে মামলা
১৩৯৩ দিন আগে
কুমিল্লার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি ডা. জাফরুল্লাহর
কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে প্রতিমার পায়ে পবিত্র কোরআন শরীফ রাখার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। শুক্রবার কুমিল্লার নানুয়াদিঘীর পাড়ের পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করে এ দাবি জানান তিনি।
এ সময় গণসংহতি পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ও অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শনকালে তারা স্থানীয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং এ ঘটনার বিস্তারিত শুনেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এ সময় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘১৫ দিনের মধ্যে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হওয়া উচিত। পূজামণ্ডপে এই ধরনের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের ঘটনা সরকারের ব্যর্থতা। সরকার এটিকে ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা করছে। তবে সকলের প্রতি আহ্বান ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখা হোক।’
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘যারাই পূজামণ্ডপে কোরআন রেখেছেন তারা পরিকল্পিতভাবেই একটি সহিংসতা তৈরি করতে চাচ্ছে। আমরা এই ঘটনার নিন্দা জানাই এবং বিচার দাবি করি। যারা কোরআন অবমাননা করেছেন এবং প্রতিমা ভেঙ্গেছেন তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
এদিকে একই সময়ে আলাদাভাবে নানুয়াদিঘীর পাড়ের পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা। এ সময় তারা স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে অন্যান্য পূজামণ্ডপও পরিদর্শন করেন। কুমিল্লার ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় অপরাধীদের খুঁজে বের করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
কুমিল্লার ঘটনায় কয়েকজনকে চিহ্ণিত করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কুমিল্লার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে: ওবায়দুল কাদের
১৫১২ দিন আগে
রাষ্ট্রীয় সম্পদ দখল ও লুট করে বিদেশে পাচার মানবে না পাটকলের শ্রমিকরা: সাকি
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বুধবার বলেছেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ দখল করে, লুট করে নিজেদের পকেটে ভরা, বিদেশে পাচার করার যে আয়োজন তা পাটকলের শ্রমিকরা মানবে না।
১৯৮২ দিন আগে