পোশাক
চট্টগ্রামে আ.লীগের জনসভা: বাহারি রঙের পোশাকে পলোগ্রাউন্ডে নেতাকর্মীদের ভিড়
চট্টগ্রাম নগরীর পলোগ্রাউন্ডে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রবিবার সকাল থেকে ভিড় করতে থাকেন। এসময় তাদের পরনে বাহারি রঙের গেঞ্জি দেখা যায়।
তারা বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, থানা পর্যায় থেকে বাস, অটোরিকশা, নৌকা, স্টিমারসহ বিভিন্ন যানবাহনে ভেন্যুতে আসছেন।
সকাল ১০টা থেকে কঠোর নিরাপত্তায় মাঠে প্রবেশের অনুমতি দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ভেন্যুতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিশেষ করে নেতা ও গণমাধ্যমকর্মীদের ব্যাগ, ইলেকট্রনিক ডিভাইস তল্লাশি করছে।
পটিয়া, সন্দ্বীপ, রাউজানসহ বিভিন্ন উপজেলার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ইতোমধ্যে মাঠের ভেতরে অবস্থান নিয়েছেন। প্রতিটি এলাকার শ্রমিকরা একই রঙের গেঞ্জি পরে এসেছেন।
এর মধ্যে পটিয়ার নেতাকর্মীরা লাল গেঞ্জি, সন্দ্বীপের কমলা, রাউজানের নেতাকর্মীরা গোলাপী গেঞ্জি পরে আসেন।
সন্দ্বীপ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন থেকে ১৫ হাজার নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে এসেছেন বলে দাবি করেছেন সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা।
তিনি বলেন, ‘শনিবার রাতে আমরা বিভিন্ন ট্রলার ও নৌকায় করে রওনা হই। আজ সকাল সাতটায় নেতাকর্মীরা সদর ঘাট এলাকায় প্রবেশ করেন।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত, আ.লীগের জনসভা বিকালে
ইউরোপে পোশাক রপ্তানিতে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোতে পোশাক রপ্তানিকারক শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় পরিসংখ্যান সংস্থা, ইউরোস্ট্যাট ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত প্রকাশিত পোশাক আমদানির সর্বশেষ পরিসংখ্যানে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানিতে সরবরাহকারী সকল শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে বাংলাদেশের। উল্লেখিত সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশ থেকে ১৫ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে। যেখানে বিশ্ব থেকে তাদের মোট আমদানির পরিমাণ ছিল ৬৭ দশমিক ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের মোট পোশাক আমদানিতে ২২ দশমিক ৮৯ শতাংশ অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ইউরোপের পোশাক আমদানির দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে।
আরও পড়ুন:রপ্তানিতে সামগ্রিক পতন সত্ত্বেও অক্টোবরে তৈরি পোশাকে আয় বেড়েছে
২০২২ সালের প্রথম আট মাসে ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানি ৪৫ দশমিক ২৬ শতাংশ বেড়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানির প্রধান শীর্ষস্থানীয় উৎস চীন। দেশটি ২৮ দশমিক ০৬ শতাংশ শেয়ার নিয়ে চীনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
২০২২ সালের জানুয়ারি-আগস্টে চীন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানি ১৮ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌছেঁছে। একই সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানির তৃতীয় বৃহত্তম উৎস তুরস্কের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
তুরস্ক থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি বেড়েছে ১৬ দশমিক ৯৭ ভাগ। একই সময়ে, ইইউ ভারত থেকে তিন দশমিক ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে। ভারত থেকে ইইউ এর আমদানি আগের বছরের তুলনায় ২৮ দশমিক ৮৫ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
উচ্চ প্রবৃদ্ধিসহ অন্যান্য শীর্ষ দেশগুলো হলো কম্বোডিয়া ৪২ দশমিক ২১ ভাগ, পাকিস্তান ৩১ দশমিক ৩৪ ভাগ এবং ইন্দোনেশিয়া ৩৫ দশমিক ৪১ ভাগ।
আরও পড়ুন: ইতালির সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুযোগ আছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
চট্টগ্রামে সড়ক অবরোধ করে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ
চট্টগ্রামে পাঁচ মাসের বকেয়া বেতন না দিয়েই দীপস অ্যাপারেলস নামের একটি পোশাক কারখানা হঠাৎ বন্ধ করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে নগরীর বাকলিয়া থানার শাহ আমানত সেতু এলাকার মেরিন ড্রাইভ সড়ক ও নতুন চাক্তাই করে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ করছে কারখানাটির শ্রমিক ও কর্মচারীরা।
আন্দোলনকারীরা জানান, মালিকপক্ষ শ্রমিকদের না জানিয়ে হঠাৎ করে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে শ্রমিকরা কারখানায় এসে বন্ধের নোটিশ দেখতে পায়।
আরও পড়ুন: রাণীশংকৈলে শিক্ষক হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
কারখানাটির কয়েকজন নারী শ্রমিক বলেন, আমাদের এখনো পাঁচমাসের বেতন বকেয়া আছে। তার ওপর অন্য কারখানাগুলোতে এখন লোক নিচ্ছে না। জানি না কিভাবে ঘর সংসার সামলাবো।
কারখানা মালিকের বরাত দিয়ে চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের সহকারী সুপার (এএসপি) মো. সেলিম নেওয়াজ জানান, বর্তমানে পোশাক কারখানাটিতে কোন কাজের অর্ডার নেই। আয় না থাকায় ৬০০ শ্রমিকের বেতন চালাতে হিমশিম খাচ্ছে মালিক। তাই তারা কারখানা বন্ধ করে শ্রমিক ছাটাইয়ের মতো সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। এতে শ্রমিকরা চাক্তাই রিং রোডে বিক্ষোভ শুরু করে।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের সদস্যরা সেখানে আছেন।
বিষয়টি দ্রুত সমাধানের ব্যাপারে আমরা মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: শাহবাগে বামজোটের বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জে ‘আহত’ ৩
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি: নয়াপল্টনে চলছে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ
পোশাক কারখানায় দিনে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে: বিজিএমইএ সভাপতি
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, চরম লোডশেডিংয়ের কারণে বাংলাদেশের পোশাক সরবরাহকারীরা আন্তর্জাতিক পোশাকের খুচরা বিক্রেতা এবং ব্র্যান্ডের কাছে পণ্য সরবরাহ করতে সমস্যায় পড়েছেন।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে কারখানাগুলো এখন দিনে প্রায় ৪ থেকে ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন থাকে।
আরও পড়ুন: ব্যবসার ধরন পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হবে: বিজিএমইএ
রবিবার রাজধানীর একটি হোটেল সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এবং জার্মান সংস্থা জিআইজেডের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘ফ্যাক্টরি স্থাপন, লাইসেন্সিং, সার্টিফিকেশন ও রেজিস্ট্রেশন বিষয়ে ওয়েব পোর্টাল চালু করা’ শীর্ষক আলোচনায় ফারুক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে কারখানাগুলো এখন দিনে প্রায় ৪ থেকে ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন থাকে।
তিনি আরও বলেন, ‘গ্যাসের চাপ এতই কম কারখানাগুলো পূর্ণ ক্ষমতায় চলতে পারে না। ফলে ডিজেল খরচ কমেনি। বরং বেড়েছে’।
আরও পড়ুন: ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের মেয়াদ ৫ বছর করার দাবি বিজিএমইএ’র
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)-এর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এলএফএমইএবি) প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ আল মামুন, বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা বেগম অনুষ্ঠানে প্যানেলিস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
জিআইজেডের প্রজেক্ট ম্যানেজার ডা. মাইকেল ক্লোড অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
আরও পড়ুন: পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দায়িত্বশীল হতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
প্যারিস ফ্যাশন উইক: বেলা হাদিদের শরীরে জাদুকরী 'স্প্রে প্রিন্টেড' পোশাক
‘গোল্ডেন রেশিও অব বিউটিফাই স্ট্যান্ডার্ডস’ অনুযায়ী নিখুঁত মুখমণ্ডলের অধিকারী আমেরিকান মডেল বেলা হাদিদ বর্তমানে নেট দুনিয়াকে মাতিয়ে রেখেছেন। স্প্রে’র মাধ্যমে যে পরিধেয় বস্ত্র তৈরি করা যায় তা প্যারিসের এক ফ্যাশন অনুষ্ঠানে এই সুপারমডেলের শরীরে প্রয়োগ করে দেখানো হয়েছে। আর এর ভিডিও সামাজিকমাধ্যমসহ ইন্টারনেটে শেয়ার হচ্ছে খুব।
প্যারিসে অনুষ্ঠিত কোপার্নি ফ্যাশন শো’র প্যারিস ফ্যাশন সপ্তাহে শুক্রবার বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়।
এনবিসি নিউইয়র্ক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেলা যখন অনুষ্ঠানের মঞ্চে আসেন তখন তিনজন প্রযুক্তিগত সহকারী তার শরীরে সাদা রঙের রাবারের আঠালো পদার্থ (ল্যাটেক্স) স্প্রে করতে শুরু করেন। তিনি শরীর নাচিয়ে উপস্থাপনায় অংশ নেন এবং তিনজন সহকারী স্প্রে করতে থাকেন।
বেলা তার দুই বাহু প্রসারিত করলে শরীরে যখন এক প্রলেপ ল্যাটেক্স স্প্রে করা হয়ে যায় তখন মাঝারি আকারের পোশাক দেখতে পারে দর্শকরা।
আরও পড়ুন: হাই হিল কিভাবে পুরুষের পা থেকে নারীর পায়ে এলো?
ফ্যাব্রিকান হচ্ছে 'স্প্রে প্রিন্টেড' ফ্যাব্রিক, যা ২০০৩ সালে তৈরি করা হয়। যা নানা পোশাক তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়। এর উদ্ভাবক ম্যানেল টরেস মনে করেছিলেন এর মাধ্যমে জাদুর মতো শরীরে পোশাক তৈরি হয়ে যাবে এবং শরীরের ‘দ্বিতীয়’ চামড়া হিসেবে লেগে থাকবে।
এনবিসি নিউইয়র্কের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টিকটকে ভিডিওটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পুরুষদের পোশাকের সেরা ব্র্যান্ডসমূহ
নিউইয়র্ক সিটি ফ্যাশন উইকে ট্রান্স মডেল হিসেবে বাংলাদেশের তাসনুভা আনান শিশির
পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি ‘যৌক্তিক’: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির প্রেক্ষাপটে পোশাক শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির দাবি যৌক্তিক।
মুন্সী বলেন, ‘একটি মজুরি কমিশন গঠন করা এবং শ্রমিকদের জীবনযাত্রার ব্যয়,পণ্যের দাম,উৎপাদন ব্যয়ের সামগ্রিক দিকগুলোর ওপর একটি সমীক্ষা করা প্রয়োজন।’
শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের ১৬তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, শ্রমিক ও মালিকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় পোশাক খাত আজ বর্তমান অবস্থায় পৌঁছেছে। তাই শ্রমিক ও মালিক উভয়ের স্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এ জন্য শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরির পাশাপাশি পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা প্রয়োজন। শিল্পকে টিকিয়ে রাখার জন্য এই দুটি জিনিস খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
মন্ত্রী বলেন, শ্রম আইন অনুযায়ী একটি শ্রমিক সংগঠন গড়ে তুলতে হবে। ‘শ্রমিক সংগঠন ও নেতা উভয়কেই শিক্ষিত ও দায়িত্বশীল হতে হবে।’
টিপু মুনশী সবাইকে সংগঠনের স্বার্থে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন,‘কোম্পানি টিকে না থাকলে শ্রমিক বা মালিক কেউই বাঁচবে না।’
আরও পড়ুন: এলডিসি থেকে বেরিয়ে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা চায় বাংলাদেশ: ডব্লিউটিও’র এমসি-১২তে বাণিজ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, সরকার শ্রমিক ও মালিকদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির শক্ত ভিত্তির জন্য শ্রমিকদের অবদান অনেক।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এক কোটি তালিকাভুক্ত পরিবার ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে তেল, মসুর ডাল ও চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু পণ্য কিনছে।
টিসিবির বিক্রয় কার্যক্রমে চালও যোগ করার চেষ্টা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ এতে উপকৃত হচ্ছেন।
ওই তালিকায় পোশাক শ্রমিকদের একটি অংশকে অন্তর্ভূক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দায়িত্বশীল হতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ১০ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে: বিশেষজ্ঞরা
বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। বিশেষজ্ঞরা এই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে দেখছেন, চীনা পোশাক শিল্পের শেয়ার কমে যাওয়ায় ইউরোপ, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সম্ভাব্য বাজার তৈরি।
২০৩০ সালে বিশ্বব্যাপী পোশাক শিল্প বাজারের আকার হবে প্রায় এক লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। এই সময়ে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকরা বৈশ্বিক বাজারের অন্তত ১০ শতাংশ বা ১০ হাজার কোটি ডলার পাওয়ার আশা করছেন।
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী পোশাক শিল্প বাজারের আকার প্রায় ৫৬ হাজার কোটি ডলারের। যেখানে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি অংশ হচ্ছে চার হাজার ৩০০ কোটি ডলার, যা গত বছরের জুলাই থেকে এ বছরের জুনের হিসাবে ৩৬ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে পোশাক রপ্তানিতে একটি ভালো সূচনা দেখা যাচ্ছে। জুলাই থেকে আগস্টের আয় ৭১১ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দায়িত্বশীল হতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক ইউএনবিকে জানিয়েছেন, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পোশাক পণ্যের জন্য সম্ভাব্য ক্রমবর্ধমান বাজার।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের দুই হাজার ডলারের অতিরিক্ত রপ্তানি সম্ভাবনা রয়েছে। আবদুর রাজ্জাক তথ্যটি উল্লেখ করে বলেন, বর্তমানে এই বাজারে দেশটি তার রপ্তানি সম্ভাবনার ৬০ শতাংশেরও কম ব্যবহার করতে পারে।
রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপম্যান্টেরও চেয়ারম্যান রাজ্জাক জানিয়েছেন, ১০ হাজার ডলারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য দেশটিকে ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ বার্ষিক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে।
তিনি তার মতামত দিয়েছেন- পশ্চিমা ও চীনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার কারণে পশ্চিমা দেশের বাজারে যেহেতু চীনা পোশাক রপ্তানির শেয়ার হ্রাস পাচ্ছে, তাই বাংলাদেশি রপ্তানিকারকরা তাদের পণ্য রপ্তানি বাড়াতে এ পরিস্থিতির সুযোগ নিতে পারে।
তিনি বলেন, চীন কম মূল্য সংযোজিত পোশাক থেকে সরে যাচ্ছে। যা বাংলাদেশি পোশাক রপ্তানিকারকদের জন্য একটি সুযোগ হতে পারে।
আরও পড়ুন: কানাডায় পোশাক রপ্তানি বাড়াতে চায় বিজিএমইএ
রাজ্জাক পরামর্শ দেন, ইইউ পোশাক বাজারের আকার ২০ হাজার কোটি ডলার, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার ৯ হাজার থেকে ১০ হাজার কোটি ডলার। চীনের বাজার প্রায় এক হাজার ১০০ ডলার, এদিকে ভারতের বাজার ১১০ কোটি ডলার। তাই বাংলাদেশকে ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এর রপ্তানি অংশ যথাক্রমে ১২ ও ১৫ শতাংশ বাড়াতে হবে।
২০৩০ সালে ইইউ বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি অংশ হবে ছয় হাজার ৫০০ কোটি ডলার এবং যুক্তরাষ্টের বাজারে সংখ্যাটি দাঁড়াবে দুই হাজার ৪০০ কোটি ডলারে। যা করোনা মহামারি সত্ত্বেও দেশের স্থিতিস্থাপকতার বিবেচনায় অর্জনযোগ্য দিক।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. জিল্লুর রহমান বলেন, করোনা মহামারি পরবর্তী সময়ে দেশের মানুষের স্থিতিস্থাপকতার কারণে দেশের পোশাক রপ্তানির পরিমাণে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মেয়াদে ইইউয়ের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ৫৯ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। যা উক্ত বাজারে পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখায়।
ডা. রাজ্জাক অবশ্য সতর্ক করে দিয়েছেন যে, ১০ হাজার কোটি ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা মসৃণ পথের হবে না। লজিস্টিক সুবিধা, বন্দর পরিচালনার ক্ষমতা ও দক্ষ শ্রম, পরিবেশ এবং শ্রমিক অধিকার উল্লেখযোগ্য বিবেচ্য দিক হতে পারে।
আগামী বছরগুলোতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে অবশ্যই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন যন্ত্রপাতি সজ্জিত দক্ষ শ্রম এবং শ্রমিকদের মজুরি সন্তুষ্টির ওপর জোর দিতে হবে।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে কৃষিকে আরও উন্নত করতে চাই: কৃষিমন্ত্রী
বিশেষ ব্যবস্থাপনায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ চায় বিজিএমইএ
রপ্তানির সঙ্গে সম্পৃক্ত কারখানায় উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্ট এসোসিয়েশন(বিজিএমইএ)।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বৈশ্বিকভাবে জ্বালানি ও বিদ্যুতের সংকট এবং দেশে তৈরি পোশাক শিল্পে প্রভাব পড়ার কথা স্বীকার করে এই অনুরোধ জানান।
শনিবার বিজিএমইএ ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে ‘মেড ইন বাংলাদেশ উইক’ সম্পর্কে বক্তব্য রাখার সময় এ অনুরোধ জানান তিনি।
বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি মো. শহিদুল্লাহ আজিম, সহ-সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম(অর্থ) এবং সংগঠনটির পরিচালকরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ (বিএই) ও বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্ট এসোসিয়েশন(বিজিএমইএ)এর যৌথ উদ্যোগে আগামী ১২-১৮ নভেম্বর ‘মেড ইন বাংলাদেশ উইক’ আয়োজন করা হবে। যাতে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের চিত্তাকর্ষক গল্পসমূহ ও উৎকর্ষ সাধনের ক্রমাগত প্রচেষ্টাগুলো তুলে ধরা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৩ নভেম্বর ‘মেড ইন বাংলাদেশ উইক’ -এর উদ্বোধন করবেন।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, এই শিল্প ২০২১ সালের আগস্ট থেকে ২০২২ সালের আগস্ট পর্যন্ত এক বছর নিরবিচ্ছিন্ন উৎপাদনের প্রত্যক্ষ সাক্ষী।
‘আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে ধীরে ধীরে আমাদের কাজের আদেশগুলো বাতিল হয়ে যাচ্ছে,’ উল্লেখ করে বিজিএমইএ প্রধান বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বাংলাদেশের রপ্তানির প্রধান বাজারগুলোতে সম্ভাব্য মন্দা ও মূল্যস্ফীতির কারণে আগামী বছরের কার্যাদেশ ২০-৩০ শতাংশ কমে এসেছে।
ফারুক হাসান বলেন, অনেক খুচরা বিক্রেতা মূল্যস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করছে এবং অনেক ব্রান্ডের পণ্যের বিক্রির হার কমে যাওয়ার ফলে অবিক্রিত পণ্যের মজুদ বেড়েছে।
বিজিএমইএ প্রধান বলেন, ‘সবকিছু বিবেচনায় সামনের মাসে আমাদের রপ্তানির ধারাবাহিকতায় নেতিবাচকতা দেখা যেতে পারে।’
আরও পড়ুন: গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্পে বৈচিত্র্য আনার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির
চলতি অর্থবছরে রপ্তানি মুনাফার ওপর ১ শতাংশ উৎস কর আরোপ করেছে সরকার। বিজিএমইএ প্রধান সরকারকে বিগত বছরের মতো (০.৫ শতাংশ) রাখার অনুরোধ জানান।
সপ্তাহব্যাপী সম্মেলনের এই আয়োজনে মেলা, প্রদর্শনী, পুরস্কার, কারখানা ভ্রমণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং নেটওয়ার্কিংসহ শারীরিক ইভেন্ট উপস্থাপন করা হবে।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের এটি একটি সাংকেতিক ঘটনা। বিশ্বের ১৬০টিরও বেশি দেশে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ পোশাক রপ্তানি করে দেশটি।
মেড ইন বাংলাদেশ উইক’-এর লক্ষ্য হলো ভবিষ্যতের সম্ভাবনা এবং রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা ও সহযোগিতা শুরু করতে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সকল মালিকদের একত্রিত করা।
এছাড়াও, টেকসই এবং দায়িত্বশীল ব্যবসা সম্প্রসারণে সম্মিলিত প্রতিশ্রুতির জন্য আয়োজনটি কাজ করবে।
বিজিএমইএ জানিয়েছে, দেশের পোশাক শিল্পের প্রশস্ততা প্রদর্শনের পাশাপাশি, এই সপ্তাহের লক্ষ্য ভবিষ্যতের অগ্রাধিকার এবং অংশীদারদের মধ্যে সহযোগিতার
সুযোগগুলো চিহ্নিত করা। যাতে বিশ্বব্যাপী পোশাকের সোর্সিংয়ের জন্য একটি পছন্দের গন্তব্য হিসাবে বাংলাদেশ থাকে, তা নিশ্চিত করা।
এতে বলা হয়েছে, মেড ইন বাংলাদেশ উইক হবে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জন্য একটি মাইলফলক ঘটনা।
বৈশ্বিক ফ্যাশন বাজারে বাংলাদেশের উপস্থিতি জোরদার করার গুরুত্ব এবং টেকসই উৎপাদন ও সোর্সিংয়ের জন্য বিশ্বব্যাপী স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৃহত্তর সহযোগিতার সূচনার জন্য, বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ বাংলাদেশে ৩৭তম বিশ্ব ফ্যাশন কনভেনশনের আয়োজন করার জন্য ইন্টারন্যাশনাল অ্যাক্রেডিটেশন ফোরামকে(আইএএফ) সুপারিশ করেছে।
আইএএফ সেই প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে এবং ৩৭তম বিশ্ব ফ্যাশন সম্মেলন বাংলাদেশে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ -এর সহযোগিতায় ২০২২ সালের ১২-১৫ নভেম্বর -এর মধ্যে ঢাকায় হোটেল রেডিসন ব্লুতে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডের প্রচারের আহ্বান বিজিএমইএ’র
পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দায়িত্বশীল হতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, তৈরি পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মালিক শ্রমিক উভয়কেই দায়িত্বশীল হতে হবে।
বুধবার ঢাকায় ব্র্যাক সেন্টারে সিপিডি এবং খ্রিষ্টান এইড বাংলাদেশ যৌথভাবে আয়োজিত ‘রিসেন্ট আরএমজি গ্রোথ হোয়াট লিসনস উই লার্নড এবাউট ডিসেন্ট এমপ্লয়েমেন্ট?’-শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অতিসম্প্রতি আমাদের তৈরি পোশাক খাতের গ্রোথ বেশ ভাল। এ ধারাকে আমাদের ধরে রাখতে হবে। এজন্য আমাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। তৈরি পোশাক খাতের অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের অনেক উন্নতি হয়েছে, কোন কোন ক্ষেত্রে আশানুরূপ উন্নতি হয়নি। এজন্য আরও কাজ করার সুযোগ আছে। এছাড়া একে অপরের প্রতি দোষারোপ না করে আন্তরিকতার সঙ্গে চেষ্টা করতে হবে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা থেকেও এ সব ক্ষেত্রে আরও পরিস্থিতির উন্নতির তাগাদা রয়েছে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেনসহ কোন দেশ থেকে খাদ্য আমদানিতে বাধা নেই: বাণিজ্যমন্ত্রী
টিপু মুনশি বলেন, কারখানায় শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় দর-কষাকষির জন্য ট্রেড ইউনিয়ন থাকা দরকার। আমরাও সেটা চাই। তবে এ সকল ট্রেড ইউনিয়নের নেতাদের শিক্ষিত হতে হবে। তাদের শ্রমিক ও মালিকের স্বার্থ বুঝতে হবে। প্রতিষ্ঠানকে টিকিয়ে রাখতে হবে, প্রতিষ্ঠানের প্রতি দরদ থাকতে হবে। জাতীয় স্বার্থ দেখতে হবে। শ্রমিকদের স্বার্থ, সুযোগ, সুবিধা দেখার দায়িত্বও কারখানার মালিকের। উভয়ে মিলেমিশে কাজ করলে শোভন বা ডিসেন্ট কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে এবং আমাদের তৈরি পোশাক শিল্প অনেক এগিয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতকে অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হচ্ছে। গ্রিন ফ্যাক্টরি গড়ে তুলতে বিপুল বিনিয়োগ হচ্ছে। ফ্যাক্টরিগুলোকে কর্মবান্ধব করে তুলতে ব্যয় বাড়ছে। কিন্তু সে তুলনায় তৈরি পোশাকের বিক্রয় মূল্য বাড়ছে না বরং কোন কোন ক্ষেত্রে মূল্য কমছে। সে বিষয়গুলোকেও বিবেচনায় নিতে হবে। সরকার ফ্যাক্টরির মালিক এবং শ্রমিকদের ভাল চায় এবং প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। এ শিল্পের প্রতি কর্মীদের আস্থারও উন্নতি হয়েছে। উভয় পক্ষ মিলে এ সেক্টরের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সরকারের কাছে তুলে ধরলে, এগুলো সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এর নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডি'র রিসার্স ডিরেক্টর ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সিপিডি'র চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান (ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে), শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) খালেদ মামুন চৌধুরী, গার্মেন্টস ট্রেড ইউনিয়ন সেন্টারের প্রেসিডেন্ট এডভোকেট মন্টু ঘোষ, বিজিএমইএ'র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. শহিদুল্লাহ আজিম, বিকেএমইএ এর নির্বাহী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম, বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কারস সলিডারেটি এর নির্বাহী পরিচালক মিসেস কল্পনা আাক্তার, ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভ. এন্ড ডেভেলপমেন্ট এর সিনিয়র ফেলো মিসেস মাহিন সুলতান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন খ্রিষ্টান এইড বাংলাদেশ এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার মিসেস নুজহাত জাবিন।
আরও পড়ুন: কমতে পারে ভোজ্যতেলের দাম: বাণিজ্যমন্ত্রী
চাল-গমের দাম নির্ধারণ করে দেবে সরকার: বাণিজ্যমন্ত্রী
বেতন না দিয়ে পোশাক কারখানা বন্ধ, বিজিএমইএ অফিস ঘেরাও
বেইস টেক্সটাইল নামে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা তিন মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে বিজিএমইএ’র অফিস ঘেরা ও কর্মসূচি পালন করেছেন।
সোমবার দুপুরের দিকে নগরী খুলশী থানাধীন ঝাউতলাস্থ বিজিএমইএ ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এছাড়া পাওনা আদায়ে শিল্প পুলিশ ও বিজিএমইএ কর্মকর্তাদের আশ্বাসে দুইদিনের জন্য আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেয়া হয়।
আন্দোলনকারী শ্রমিকরা জানান, কোন ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ১৩ আগস্ট বেইস টেক্সটাইল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এছাড়া তিন মাসের পাওনা পরিশোধ না করে হঠাৎ কারখানা বন্ধ করায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমিকরা। তাই পাওনা আদায়ের জন্য শ্রমিকরা বাধ্য হয়ে বিজিএমইএ অফিস ঘেরাও করেছে।
আরও পড়ুন:ওয়াসার এমডি’র বেতন-বোনাসের হিসাব চাইলেন হাইকোর্ট
শ্রমিকরা আরও জানায়, মালিকপক্ষ বিনা অপরাধে কাউকে কিছু না বলে বেতন বকেয়া রেখে শ্রমিক ছাঁটাই শুরু করে এবং কোরাবানির ঈদে কারখানা কয়েকদিনের জন্য বন্ধ রাখলেও পরে আর চালু করেনি কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশন পূর্বাঞ্চলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন জানান, দুইদিনের মধ্যে পাওনা পরিশোধের বিষয়ে সমাধান না পেলে লাগাতার কর্মসূচির ঘোষণা দেন শ্রমিক নেতারা।
এর আগে গত ২৭ জুলাই নগরের চান্দগাঁও থানাধীন বাহির সিগন্যাল মোড়ে একই দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন এই কারখানার শ্রমিকরা। পরে পুলিশ ও শ্রম আদালতের পক্ষ থেকে আইনি সহায়তার মাধ্যমে বকেয়া আদায়ের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা আন্দোলন প্রত্যাহার করেন।
আরও পড়ুন:৭ জুলাইয়ের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে হবে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
শ্রমিকদের বেতন দিতে শিল্পাঞ্চলে ৮ ও ৯ জুলাই ব্যাংক খোলা