জেরুজালেম
জেরুজালেমের সিনাগগে ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৭
পূর্ব জেরুজালেমের সিনাগগের বাইরে এক ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীর গুলিতে শুক্রবার রাতে ৭০ বছর বয়সী এক নারীসহ সাতজন নিহত ও তিনজন আহত হন। বিষয়টি সরকারি কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। এটি কয়েক বছরের মধ্যে ইসরায়েলিদের ওপর সবচেয়ে মারাত্মক হামলা এবং এর ফলে, আরও রক্তপাতের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলেছে।
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অভিযানে ৯ জন নিহত হওয়ার একদিন পর বাসিন্দারা যখন ইহুদিদের ছুটির দিন পালন করছিলেন, তখন এই হামলার ঘটনা ঘটে।
গাজা থেকে রকেট হামলা এবং প্রতিশোধমূলক ইসরায়েলি বিমান হামলাসহ সহিংসতার বিস্ফোরণ ইসরায়েলের নতুন সরকারের জন্য একটি প্রাথমিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে, যেখানে উগ্র জাতীয়তাবাদীদের আধিপত্য রয়েছে যারা ফিলিস্তিনি সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর লাইনের জন্য চাপ দিয়েছে। রবিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের ওই অঞ্চল সফর নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
আরও পড়ুন: লস অ্যাঞ্জেলেসে চান্দ্র নববর্ষ উৎসবের কাছে বন্দুকধারীর হামলা, নিহত ১০
ইসরায়েলের জাতীয় পুলিশ সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, তিনি নিরাপত্তা মূল্যায়ন করেছেন এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেন, ছুটির দিন শেষ হওয়ার পর শনিবার রাতে তিনি তার নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠক করবেন।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জঁ-পিয়েরে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং প্রাণহানির ঘটনায় মর্মাহত ও শোকাহত।
ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, নেভ ইয়াকভ নামক একটি এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে, যেখানে অতি-অর্থোডক্স জনগোষ্ঠী রয়ে গেছে এবং বন্দুকধারী একটি গাড়িতে করে পালিয়ে গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা তাকে ধাওয়া করে এবং পাল্টা গুলি নিক্ষেপে তাকে হত্যা করে।
জেরুজালেমের পুলিশ প্রধান ডোরন তুরজেমান বন্দুকধারী ছাড়াও সাতজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং তিনজন আহত হওয়ার বিষয়টিও জানিয়েছে।
পুলিশ হামলাকারীকে পূর্ব জেরুজালেমের বাসিন্দা ২১ বছর বয়সী বলে শনাক্ত করেছে। তুরজেমান তাকে সাহায্যকারী যে কাউকে খুঁজে বের করার উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: শিকাগো স্কুলের কাছে বন্দুকধারীর গুলিতে ২ ছাত্র নিহত, আহত ২
নাইজেরিয়ায় ৭ বন্দুকধারী নিহত
জেরুজালেমে ইসরায়েলি বাসে গুলি, আহত ৮
দখলকৃত জেরুজালেমের পুরাতন শহরের কাছে রবিবার একটি বাসে বন্দুকধারীর এলোপাতাড়ি গুলিতে আট ইসরায়েলি আহত হয়েছে বলে পুলিশ ও চিকিৎসকরা জানিয়েছে।
আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের মধ্যে একজন গর্ভবতী মহিলার পেটে আঘাত এবং একজন পুরুষের মাথায় ও ঘাড়ে গুলি লেগেছে।
কর্ককর্তারা জানিয়েছেন, ওয়েস্টার্ন ওয়ালের কাছে একটি পার্কিং লটে বাসটি অপেক্ষা করার সময় গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। এটি হুদিদের প্রার্থনা করার পবিত্রতম স্থান হিসাবে পরিচিত।
ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা বাহিনী পাঠানো হয়েছে। সন্দেহভাজন হামলাকারীর খোঁজে সিলওয়ানের নিকটবর্তী ফিলিস্তিনি এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে।
সম্প্রতি গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের পর এ হামলার ঘটনা ঘটল।
পড়ুন: গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ফিলিস্তিন-ইসরায়েল
ক্রোয়েশিয়ায় বাস দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত
আল-আকসা মসজিদে ফের সংঘর্ষ, ৯ ফিলিস্তিনি আহত
জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি পুলিশ ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শুক্রবার ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
ইসরায়েলের ভেতরে একাধিক মারাত্মক হামলা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে গ্রেপ্তার অভিযানের পর এই অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে ইসরায়েলি পুলিশ ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে গত সপ্তাহ থেকে নিয়মিত সংঘর্ষের ঘটনার ঘটছে।
এদিকে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিনটি রকেট ছোড়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্যাটেলাইট ছবিতে মারিউপোলের কাছে সম্ভাব্য গণকবরের সন্ধান
দুই ফিলিস্তিনি প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গনের প্রবেশ গেটে পুলিশের দিকে পাথর ছুড়ে ফিলিস্তিনি যুবকরা। এরপর পুলিশ ভেতরে ঢুকে এবং রাবার বুলেট ও স্টান গ্রেনেড ছুড়ে।
ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল সার্ভিস জানিয়েছে, এ ঘটনায় ৯ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।
আল-আকসা মসজিদ ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান এবং ইহুদিরা এটাকে টেম্পল মাউন্ট হিসেবে বিবেচনা করে।
আরও পড়ুন: মার্কিন আইনপ্রণেতার কাশ্মীর সফরের নিন্দা ভারতের
আল-আকসায় ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, ১৫০ ফিলিস্তিনি আহত
জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ১৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি চিকিৎসকরা।
ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, আতশবাজি, পাথর ও অন্যান্য বস্তুর দ্বারা তারা আঘাতের শিকার হলে কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে প্রবেশ করেন।
এ ঘটনায় তিনজন ইসরায়েলি পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলেও দাবি করেন তারা।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অভিযানে ২ ফিলিস্তিনি নিহত
আল-আকসা মসজিদটি মুসলমান ও ইহুদিদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মুসলমানদের কাছে এটি তৃতীয় পবিত্র স্থান এবং ইহুদিদের কাছে এটা টেম্পল মাউন্ট নামে পরিচিত।
ইসরায়েলে বেশ কয়েকটি মারাত্মক হামলা এবং এসব হামলার জেরে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি অভিযানে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি নিহতের পর ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর ফের হামলা
বৃহস্পতিবার তেল আবিবে এক ফিলিস্তিনির হাতে তিন ইসরায়েলি নিহত হওয়ার পর ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত ২০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এদিকে গত দুই সপ্তাহে ইসরায়েলে আরব ও ফিলিস্তিনিদের চার হামলায় ১২ জন ইসরায়েলি নাগরিক এবং দুজন ইউক্রেনীয় নাগরিক নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর ফের হামলা
পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জাররাহতে ফিলিস্তিনিদের ওপর ফের হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় ইহুদি বসতি স্থাপনকারী ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘর্ষ দমনের নামে দখলদার ইসরায়েলি পুলিশ বাহিনী এই হামলা চালায়।
মঙ্গলবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইহুদি বসতি স্থাপনকারী ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এই সংঘর্ষ থামাতে সারারাত পুলিশ ফিলিস্তিনিদের ওপর স্টান গ্রেনেড ও জল কামান ছুঁড়েছে। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে পাথর ও চেয়ার ছোঁড়াছুড়ি হয়।
আরও পড়ুন: গাজায় এপিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের ভবনে ইসরায়েলের বিমান হামলা
ইসরায়েলি পুলিশ এবং সীমান্ত কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা শেখ জাররাহ থেকে চার সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে। কে এই লড়াই শুরু করেছিল তা স্পষ্ট নয়।
পাথর মারতে গিয়ে এক মহিলা আহত হয়েছেন বলেও পুলিশ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যম ব্যবহার করে হামাসকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা ইসরায়েলের
ফিলিস্তিনে রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পুলিশ ও ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় কমপক্ষে ২০ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। এছাড়া বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে ইসরায়েলি পুলিশ। আহতদের মধ্যে ১৬ জন পিপার স্প্রে ও টিয়ার গ্যাসে আহত হন। এছাড়া মাথায় আঘাত পেয়ে এক বৃদ্ধ আহত হয়েছেন।
রেড ক্রিসেন্ট আরও জানায়, ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা সংস্থাটির অ্যাম্বুলেন্স লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়েছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আরও ১০ ফিলিস্তিনি নিহত
রমজান মাসে কট্টরপন্থী ইহুদি ও ইসরায়েলি পুলিশ ফিলিস্তিনিদের ওপর দফায় দফায় হামলা চালানোর পর গত ১০ মে গাজা থেকে ইসরায়েলের দিকে রকেট হামলা শুরু করে হামাস। এরপর ইসরায়েলও গাজায় ব্যাপকভাবে বোমা হামলা চালায়। টানা ১১ দিনের এই সংঘর্ষে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ২৫০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের মধ্যে বেশ কিছু শিশুও রয়েছে। আর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হন ১৩ জন।
যুদ্ধবিরতির পর ফের গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা
গত মাসে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় যুদ্ধবিরতির পর আবারও গাজায় বিনা উস্কানিতে সিরিজ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
বুধবার প্রথম প্রহরে গাজায় হামাসের ঘাঁটিতে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের দাবি, ওই সব এলাকা থেকে হামাস ইসরায়েলে হামলার পরিকল্পনা করতো। তবে, তাৎক্ষণিকভাবে কোনও হতাহতের ঘটনা জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতিতে গেলো হামাস-ইসরায়েল
মঙ্গলবার পূর্ব জেরুজালেমে প্রায় শতাধিক উগ্র জাতীয়তাবাদি ইসরায়েলি পতাকাসহ বিক্ষোভ মিছিল করে। ওই মিছিলে তারা আরবদের মৃত্যু কামনা করে স্লোগান দিতে থাকে। এই মিছিলের মাধ্যমে নতুন করে গাজা উপত্যকায় সহিংসতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় এপিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের ভবনে ইসরায়েলের বিমান হামলা
অবশ্য ইসরায়েলিদের এমন আচরণে জবাবে ফিলিস্তিনিরা দাহ্য গ্যাসপূর্ণ বেলুন উড়িয়ে দেয়। এর ফলে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে অন্তত ১০ জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যম ব্যবহার করে হামাসকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা ইসরায়েলের
ফিলিস্তিনিরা মনে করে, ১৯৬৭ সালে জোরপূর্বক পূর্ব জেরুজালেম দখলের বর্ষপূর্তি উদযাপনের এবং উস্কানি ছড়াতেই এমন মিছিল করে ইসরায়েলিরা।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আরও ১০ ফিলিস্তিনি নিহত
এদিকে গাজার শাসক দল হামাস ইসরায়েলিদের এমন উস্কানিমূলক মিছিল ফিলিস্তিনিদের প্রতিহত করার আহ্বান জানান।
যুদ্ধবিরতিতে গেলো হামাস-ইসরায়েল
জেরুজালেম, ২১ মে (এপি/ইউএনবি)- গাজা উপত্যকায় ১১ দিনের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর অবশেষে বৃহস্পতিবার অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয় হামাস এবং ইসরায়েল। এই সংঘর্ষে দুই শতাধিক মানুষ মারা যাবার খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ২টায় অস্ত্রবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। যুদ্ধবিরতির আনন্দে অনেক ফিলিস্তিনিই ‘আল্লাহু আকবর’ বলতে বলতে রাস্তায় নেমে আসেন।
আরও পড়ুন: গাজায় এপিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের ভবনে ইসরায়েলের বিমান হামলা
এই দুই শত্রু পক্ষের মধ্যকার পূর্বের তিনটি যুদ্ধের মতোই এবারও কোনও ফলাফল ছাড়াই যুদ্ধ শেষ হল। ইসরায়েল দাবি করছে, এই যুদ্ধে তারা হামাসের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করতে সাধন হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো হামাসের রকেট হামলা থামাতে ব্যর্থ হয় ইসরায়েল।
এদিকে হামলা বন্ধের পরপরই ইসরায়েলি ডান-পন্থিরা প্রধানমন্ত্রী বেনঞ্জামিন নেতানিয়াহু সমালোচনা করেন। তাদের মতে সঠিক সময়ের আগেই হামলা বন্ধ করেছে ইসরায়েল।
আরও পড়ুন: গাজা শহরজুড়ে ইসরায়েলের আরও বোমা হামলা
এদিকে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস নিজেদের এই যুদ্ধে জয়ী বলে দাবি করছে। কিন্তু তাদেরকে এবার নতুন শহরের স্থাপনা তৈরি, দারিদ্র, করোনাসহ বিভিন্ন সমস্যা মোকবিলা করতে হবে।
ইসরায়েলের রাজনৈতিক নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা জানায় তারা মিশরের দেয়া যুদ্ধবিরতির সুপারিশ সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করেছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক অভিযানের মাধ্যমে ইসরায়েলের ব্যাপক সামরিক অর্জন হয়েছে।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যম ব্যবহার করে হামাসকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা ইসরায়েলের
আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গনের ইসরায়েলি পুলিশের হামলার প্রতিবাদে গত ১০ মে রাত থেকে রকেট হামলা শুরু করে হামাস। আর এরপর থেকেই ইসরায়েল ও হামাস সংঘর্ষ চলতেই থাকে।
পবিত্র শহর জেরুজালেম নিয়েই দীর্ঘ দিন ধরে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘর্ষ চলে আসছে। গত বেশ কয়েকটি যুদ্ধও এই শহরকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়।
এই যুদ্ধে হামাস ও অন্যান্য সংগঠনের পক্ষ থেকে ছোড়া ৪ হাজারের অধিক রকেট হামলা ইসরায়েল সাধারণ জীবনযাত্র ব্যাহত করতে বেশ প্রভাব ফেলে। এমনকি তেল আবিব শহর পর্যন্তও হামলার রেশ পৌঁছায়।
গণমাধ্যম ব্যবহার করে হামাসকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা ইসরায়েলের
শুক্রবার ভোরে ইসরায়েলি মিলিটারি গণমাধ্যমকে জানায়, তারা গাজা উপত্যকায় বিমান ও স্থল হামলা শুরু করেছে।
ইসরায়েলি মিলিটারির এই বিবৃতি দ্রুতই উত্তেজনা ছড়িয়ে দেয়। ইসরায়েলের গাজায় স্থল আক্রমণের মাধ্যমে হামাসকে ঘায়েল করার চেষ্টা যেকোনও রক্তাক্ত সহিংসতার চূড়ান্ত বলেই বিবেচনা করা হয়। এরই মধ্যে কিছু সংবাদকর্মীকে সরাসরি জানায় যে, ইসরায়েল স্থল আক্রমণ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আরও ১০ ফিলিস্তিনি নিহত
কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরই ইসরায়েল সেনা কর্তৃপক্ষ আগের বিবৃতির ব্যাখ্যা হিসেবে আরও একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। বিবৃতিতে জানানো হয়, গাজাতে কোন ইসরায়েলি সেনা অভিযান পরিচালনা করা হয়নি। কিন্তু এই সময়ের মধ্যেই বেশকিছু সংবাদ প্রতিষ্ঠান গাজায় স্থল হামলার ভুল খবর প্রকাশ করে।
ইসরায়েলি সেনা কর্তৃপক্ষ এই ঘটনাকে ভুল বোঝাবুঝি হিসেবে ব্যাখা করে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা এই ঘটনাকে হামাসের জন্য একটি ফাঁদ হিসেবে দেখছেন। তারা বলেন, মিডিয়াকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে ইসরায়েল অসংখ্য হামাস যোদ্ধাদের হত্যার পরিকল্পনা করেছিল।
আরও পড়ুন: গাজায় স্থল হামলা চালানোর হুমকি ইসরায়েলের
যুদ্ধ সাংবাদিক ওর হেলার ইসরায়েলের টেলিভিশন চ্যানেল থার্টিনকে বলেন, ‘তারা মিথ্যা বলেনি। বরং তারা একটি সুচতুরভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে এবং তারা সফল।’
এর আগে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি বাহিনী তাদের ৯ হাজার সংরক্ষিত সেনাসদস্য নামানোর ঘোষণা দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় ইসরায়েল গাজা সীমান্তে ট্যাংক স্থাপন করে। পূর্ববর্তী ঘটনাগুলো বিশ্লেষণে দেখা যায়, গাজায় স্থল অভিযান ছিল অত্যন্ত রক্তক্ষয়ী এবং অসংখ্য ফিলিস্তিনিদের প্রাণ হারাতে হয়।
হেলারের মতে, ইসরায়েলে কূটকৌশলে মূল উদ্দেশ্য ছিল হামাসকে ফাঁদে ফেলা। প্রচারিত সংবাদের মাধ্যমে হামাস বিভ্রান্ত হয়ে পাল্টা হামলার জন্য মাটির নিচে টানেলে অবস্থান নিলেই সেখানে হামলা চালানোই ছিল মূল পরিকল্পনা।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র সহিংসতায় ক্লান্ত গাজাবাসীর ঈদে নেই আনন্দ
ইসরায়েলি বাহিনী বলছে, তারা ওই রাতে ১৬০টি যুদ্ধবিমান দিয়ে প্রায় ৪০ মিনিট বিভিন্ন টানেলে বোমা বর্ষণ করে। হেলারের মতে এতে অসংখ্য হামাস যোদ্ধা নিহত হবার কথা। কিন্তু এর সত্যতা নিশ্চিত করা অসম্ভব বলেও জানান তিনি।
কিন্তু এমন কোনও ঘটনার কথা স্বীকার করেনি ইসরায়েলে মুক্তিকামী হামাস।
এদিকে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) তাদের বিশ্লেষণ ও গাজা থেকে জানায়, এমন কোনও হামলার ঘটনাই ঘটেনি।
কিন্তু অন্যান্য বিদেশী গণমাধ্যমগুলো ইসরায়েলি মিলিটারিকে ভুল তথ্য দেয়ার জন্য অভিযুক্ত করে।
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আরও ১০ ফিলিস্তিনি নিহত
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় আরও অন্তত ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই ছিল শিশু।
শনিবার ভোরে গাজা উপত্যকায় হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েল-হামাস সংঘর্ষে এটাই ইসরায়েলের অধিক প্রাণহানী হওয়া হামলা ছিল।
আরও পড়ুন: আল-আকসায় সংঘর্ষে ২০০ ফিলিস্তিনি আহত
সাম্প্রতিক সহিংসতা জেরুজালেম থেকে শুরু হয়ে ইসরায়েলে অভ্যন্তরের বিভিন্ন শহরে আরব ও ইহুদিদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় রূপ নিয়েছে। এছাড়া পশ্চিম তীরে শুক্রবার ফিলিস্তিনিদের প্রতিবাদ মিছিলে গুলি করে অন্তত ১১ জনকে হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী।
বর্তমান ক্রমবর্ধমান সহিংসতা এমন এক সময়ে নতুন করে ফিলিস্তিনি গণআন্দোলনে রূপ নিতে যাচ্ছে, যেখানে গত কয়েক বছরে কোনও শান্তি আলোচনা হয়নি।
আরও পড়ুন: হামাসকে কঠোর হুশিয়ারি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর
এদিকে শনিবার ফিলিস্তিনিরা ‘নাকবা দিবস’ পালন করার কথা ছিল। ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ১৯৪৮ সালের ১৫ মে এর পর থেকে ফিলিস্তিনিদের কাছে নাকবা এক মহাবিপর্যয়ের দিন। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ইহুদি অভিবাসীরা ওই দিন ফিলিস্তিনিদের বাড়ি ও ভূমি দখল করে নেয়। ওইদিন বাস্তাহারা সাত লাখ ফিলিস্তিনি। এরই মধ্যে বর্তমান এই সহিংসতা নতুন করে যুদ্ধ রূপ নিতে পারে।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনের এক বাড়ির নাম ‘শেখ হাসিনা’
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক হ্যাডি আমর ইসরায়েলে শান্তি আলোচনা জন্য এসে পৌঁছায়। রবিবার জাতিসংঘের নিরপত্তা পরিষদের সভা হবার কথা ছিল। কিন্তু শুক্রবার মিশরের এক বছরের জন্য যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব হামাস মেনে নিলেও, তা ফিরিয়ে দেয় ইসরায়েল।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র সহিংসতায় ক্লান্ত গাজাবাসীর ঈদে নেই আনন্দ
ফিলিস্তিনি বসতি দখল ও হামলার প্রতিবাদে গত সোমবার রাতে হামাসের কয়েকশ রকেট হামলা পর থেকে শুরু হওয়া দুই পক্ষের সহিংসতায় এই পর্যন্ত ৩১ শিশু এবং ২০ জন নারীসহ অন্তত ১২৬ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক মারা গেছে। এদিকে ইসরায়েলে এক শিশুসহ ৭ জন মারা যায়।
শনিবার ভোর পর্যন্ত দুই পক্ষের হামরা, পাল্ট হামলা অব্যাহত ছিল। কিন্তু গাজা উপত্যকার একটি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় ৮ শিশু ও ২ জন নারী নিহত হয়। এটাই একদিনে এক হামলায় সর্বোচ্চ মৃত্যু।
আরও পড়ুন: গাজায় স্থল হামলা চালানোর হুমকি ইসরায়েলের
পবিত্র লাইলাতুল কদর ও পবিত্র ঈদের দিনেও ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। শুক্রবার আবারও ফিলিস্তিনিদের চরম মূল্য দিতে হবে বলে জানান ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ‘আত্মরক্ষার’ নামে ইসরায়েলকেই সমর্থন জানিয়েছেন।
তবে যতদিন পর্যন্ত ইসরায়েলি আগ্রাসন চলবে, ততদিন পর্যন্ত পাল্টা জবাব দেয়ার কথা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারা এ পর্যন্ত ২ হাজারেরও অধিক রকেট হামলা চালিয়ে ইসরায়েলকে চাপে রেখেছে।
ফিলিস্তিনিদের উপর হামলার প্রতিবাদে ঝিনাইদহে মানববন্ধন
জেরুজালেম ও গাজায় ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলী হামলা ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ঝিনাইদহে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে এ কর্মসূচীর আয়োজন করে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে বেড়িবাঁধের কাজ শেষ না হওয়ায় মানববন্ধন
মানববন্ধন কর্মসূচীতে ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে গণতান্ত্রিক জোটের শাখার নেতারা অংশ নেয়।
এসময় বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কমরেড স্বপন বাগচি, সাবেক সভাপতি কমরেড কাজী ফারুক, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসক) জেলা সমন্বয়ক এ্যাড. আসাদুল ইসলাম আসাদ, ওয়ার্কাস পার্টি (মার্কসবাদী) জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কমরেড শাহিদুল এনাম পল্লব, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ জেলা সমন্বয়ক কমরেড মিজানুর রহমান, যুব ইউনিয়ন জেলা শাখার সভাপতি আবু তোয়াব অপু, ছাত্র ইউনিয়ন জেলা শাখার সভাপতি আরিফুল ইসলাম মিটুল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জেলা শাখার সভাপতি শারমিন সুলতানা।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে জমিদার বাড়ি সংরক্ষণ ও পর্যটন কেন্দ্র ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন
বক্তারা কর্মসূচী থেকে ইসরায়েলী হামলা ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানান। সেই সাথে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে সাবরেজিস্ট্রার অফিস সহকারীর বদলির দাবিতে মানববন্ধন
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাসদ নেতা কমরেড আসাদুর রহমান।