ফেনী
ফেনীতে সাজাপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার আদালতে আত্মসমর্পণ, কারাগারে প্রেরণ
ফেনীতে মাদকের মামলায় ১৫ বছরের সাজা পাওয়া পুলিশের বরখাস্ত পলাতক কর্মকর্তা আদালতে আত্মসমর্পণের পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ মো. কায়সার মোশাররফ ইউসুফ তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশের বরখাস্ত ওই কর্মকর্তার নাম মো. বিল্লাল হোসেন প্রকাশ বেলাল (৪০)। তিনি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার জিরুইন মতিন মেম্বারের বাড়ির আবদুল মতিনের ছেলে এবং তৎকালীন কক্সবাজার পুলিশের গোয়েন্দা শাখার উপপরিদর্শক (এসআই)।
গত ৬ মার্চ মাদকের মামলায় বিল্লালসহ ১৩ জন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন আদালত।
আরও পড়ুন: খুলনায় নাশকতার মামলায় বিএনপির ৬৬ নেতাকর্মী কারাগারে
রায়ে মো. বিল্লাল হোসেনসহ ছয় জনকে ১৫ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
আদালতে হাজির হয়ে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং তিনি ওই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন। তিনি ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়েছেন বলেও দাবি করেন।
তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও তাকে জামিন দেয়া হলে তিনি পালাবেন না। তার পক্ষে জামিন আবেদন শুনানি করেন ফেনীর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী।
উল্লেখ্য, ফেনীতে গত ৬ মার্চ বহুল আলোচিত এই মাদকের (ইয়াবা) মামলায় পাঁচ পুলিশ সদস্য, একজন আইনজীবী, একজন আইনজীবী সহকারীসহ ১৩ জনের বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ছয় জনকে ১৫ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওযা হয়।
ছয় জনকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও চার মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং একজনকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়াও, তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা হারে জরিমানা অনাদায়ে আরও চার মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডদেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, একই মামলায় গ্রেপ্তার ঢাকা এসবির উপপরিদর্শক মাহফুজুর রহমানের প্রাইভেটকার চালক জাবেদ আলীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।
রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত ১৩ জন আসামির মধ্যে আট আটজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্র জানা যায়, ২০১৫ সালের ২০ জুন দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সদর উপজেলার লালপোল এলাকায় একটি প্রাইভেটকারে অভিযান চালিয়ে ছয় লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবাসহ পুলিশের এএসআই মাহফুজুর রহমান ও তার গাড়িচালক জাবেদ আলীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব সদস্যরা।
এ ঘটনায় র্যাবের নায়েক সুবেদার মো. মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় চারজনের নামে একটি মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ২৫ মে ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন ফেনী মডেল থানার তৎকালীন সিআইডি কুমিল্লার বিশেষ পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিন আহম্মদ।
মামলা চলাকালেই রুবেল সরকার নামের একজন আসামি মারা যান।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গার বিএনপির ১৭ নেতাকর্মী কারাগারে
ধর্ষণ মামলায় পাবনা-২ এর সাবেক এমপি আরজু কারাগারে
রাসায়নিক রঙে তৈরি হয় মশলা, আটক ৪
ফেনীতে রাসায়নিক রঙ দিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মসলা বাজারজাত করার অপরাধে বিপুল পরিমাণ ভেজাল মসলাসহ চারজনকে আটক করেছে র্যাব-৭।
বুধবার দুপুরে ফেনী র্যাব-৭ কোম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরায় ৩৩ জেলে আটক
আটক ব্যক্তিরা হলেন-ফেনীর সহদেবপুর এলাকার টুটুল সাহা (৫৫), নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর থানার হরিপুর গ্রামের জোসনা আক্তার (৪৮), লক্ষীপুর জেলার চরভুতা গ্রামের রহিমা বেগম (৪০) এবং ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মুসাপুর গ্রামের বিউটি খাতুন (৩৮)।
র্যাব-৭ চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে কতিপয় ব্যক্তি ফেনী শহরের মেসার্স তন্ময় ট্রেডার্স এবং জহির উদ্দিন ভূঁইয়ার মশলার মিলে রমজান উপলক্ষে ভেজাল মশলা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মজুদ ও প্রস্তুত করছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করে।
এসময় মশলা মিল ঘরের ভিতর তল্লাশি চালিয়ে আটটি প্লাস্টিকের বস্তায় মোট ৪৪০ কেজি রাসায়নিক রঙ মিশ্রিত হলুদ-মরিচের গুড়া ও সাতটি প্লাস্টিকের বস্তায় ১২০ কেজি রঙ জব্দ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা জানায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে অসৎ উপায় অবলম্বন করে হলুদ, মরিচের গুঁড়ার সঙ্গে, রঙ ও বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রণ করে ভেজাল মশলা তৈরি করে। ওই ভেজাল মশলা ফেনীর বিভিন্ন বাজার ছাড়াও, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রামের বিভিন্নস্থানে পাইকারদের মাধ্যমে বিক্রয় করে আসছে বলে স্বীকার করে। এছাড়া আটক ব্যক্তি ও উদ্ধারকৃত মালামাল পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ফেনী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় স্বর্ণসহ ২ 'পাচারকারী' আটক
কক্সবাজারে পর্যটককে ছুরিকাঘাত, আটক ৫
১৭ বছর ধরে পলাতক জেএমবি সদস্য ফেনীতে গ্রেপ্তার
নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) একজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ২০১৭ সালে বরিশালে নাশকতার পরিকল্পনাকারী হিসেবে পলাতক ছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিট তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বিএনপির ৫০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দুই মামলা, গ্রেপ্তার ১০
নজরদারি ব্যবস্থা ব্যবহার করে পুলিশের একটি দল ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা থেকে মো. এমদাদুল হককে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান (এটিইউ-এর মিডিয়া ও সচেতনতা বিভাগ) জানান, বরিশাল কোতোয়ালি থানায় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ১৭ বছর পর সন্ধ্যায় ফেনী সদর উপজেলার সার্কিট হাউস এলাকা থেকে এমদাদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলাটি এখন আদালতে বিচারাধীন।
মামলা দায়েরের পর থেকে আসামি পলাতক ছিলেন এবং ২০১০ সালে ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরবে গিয়ে অবৈধভাবে চার বছর অবস্থান করেন।
২০১৪ সালে দেশে ফিরতে বাধ্য হওয়ার পরও আত্মগোপনে ছিলেন এমদাদুল।
আসলাম জানান, তিনি মাদ্রাসায় শিক্ষাদান এবং মসজিদে দৈনিক নামাজের নেতৃত্ব দেয়ার ছদ্মবেশে জঙ্গিবাদসহ বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ব্যাংকের টাকা লুটের ঘটনায় ৭ জন গ্রেপ্তার: ডিএমপি
সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণ: তিন দিনের রিমান্ডে গ্রেপ্তার ৩ ভবন মালিক
ফেনীতে মাদক মামলায় পুলিশ-আইনজীবীসহ ১৩ জনের কারাদণ্ড
ফেনীতে ছয় লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় তিন পুলিশ সদস্য ও এক আইনজীবীসহ ১৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৬ মার্চ) দুপুরে ফেনীর অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ মো. কায়সার মোশাররফ ইউসুফ এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) দ্বিজেন্দ্র কুমার কংস বণিক।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় শিশু হত্যায় মায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ড, প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট ফয়েজুল হক মিলকী, আনোয়ারুল ইসলাম ফারুক, জাহিদ হোসেন কমল, মীর মোশাররফ হোসেন মানিক ও তাজুল ইসলাম ভূঁঞা।
১৩ আসামির মধ্যে ছয়জনকে ১৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা, ছয়জনকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং একজনকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এসময় মামলায় জেলহাজতে থাকা প্রধান আসামি উপপরিদর্শক (এসআই) মাহফুজসহ পাঁচজন, জামিনে থাকা তিনজন মিলে মোট আটজনকে আদালতে এ হাজির করা হয়।
সাজাপ্রাপ্ত দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ অপর পাঁচ আসামি পলাতক। এদিকে মামলা দায়ের হওয়ার পর পাঁচ পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়।
এর আগে গত বুধবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত। মামলার ১৫ আসামির মধ্যে পাঁচজন গ্রেপ্তার ও চারজন উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন এবং বাকি পাঁচজন আসামি পলাতক ও একজন মারা গেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের মামলা পরিচালনা করা এপিপি দ্বিজেন্দ্র কুমার কংশ বণিক জানান, রায়ে পুলিশের এএসআই মো. মাহফুজুর রহমান, এসআই মো. বিল্লাল হোসেন বেলাল, এসআই মো. আশিকুর রহমান আশিক, সালেহ আহমদ, ফরিদুল আলম ফরিদ ও মো. জাফরকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এছাড়া অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, তোফাজ্জল হোসেন, কনস্টেবল মো. শাহীন, মো. আব্দুল মোতালেব মুহুরি, কনস্টেবল কাশেম আলী কাশেম, গিয়াস উদ্দিন গেসুকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা: নারায়ণগঞ্জে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
এ মামলায় মো. জাবেদ আলীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
তিনি আরও জানান, গত সাত বছরে ৩৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এছাড়া গত ১ মার্চ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক সৈয়দ মো. কায়সার মোশাররফ ইউসুফের আদালতে মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। রায় ঘোষণার সময় আদালতে আটজন আসামি উপস্থিত ছিলেন। পাঁচজন পলাতক রয়েছেন।
পলাতক আসামিরা হলেন- আবুল কাশেম (পুলিশ), আব্দুল মোতালেব (মুহুরী), বিল্লাল হোসেন বেলাল, আশিকুর রহমান আশিক ও জাফর।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট হাফেজ আহাম্মদ জানান, গত বছরের ৬ মার্চ তৃতীয় মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডির কুমিল্লা জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
চাঞ্চল্যকর এ মামলায় তিন ম্যাজিস্ট্রেট, তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মামলার বাদীসহ ১৬ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ মামলার ১৩ আসামির মধ্যে আট জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পাঁচ আসামি পলাতক।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ ত্রিশালের ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ফেনীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
ফেনীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন।
ফেনী সদর উপজেলায় মহাসড়ক পার হওয়ার সময় পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। সোমবার সকালে সদর উপজেলার খাইয়ারা বাজার এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জাহাঙ্গীর আলম (৫০) সদর উপজেলার পশ্চিম ফাজিলপুর গ্রামের খুরশিদ আহম্মদের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে ফেনী শহরে থাকতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ৯টার দিকে মেয়ে রাইসাকে ফেনী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে পৌঁছে দিতে শহরের বাসা থেকে বের হন জাহাঙ্গীর আলম। মেয়েকে বিদ্যালয়ে পৌঁছে দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে স্থানীয় খাইয়ারা বাজারে যাচ্ছিলেন নিজের হার্ডওয়্যার দোকান খোলার জন্য। দোকানে যেতে তিনি মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এই সময় চট্টগ্রাম অভিমুখী একটি পিকআপ ভ্যান তাকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
অন্যদিকে, রবিবার বিকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সদর উপজেলার কসকা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের বিভাজনের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায়। এসময় উল্টে যাওয়া পিকআপের পেছন থাকা এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ট্রেনে কাটা পড়ে রিকশাচালকের মৃত্যু
নিহত মো. আবু বক্কর ছিদ্দিক (২২) লক্ষ্মীপুর জেলার বাসিন্দা।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী একটি পিকআপ ফেনীর কসকা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের বিভাজনের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায়। এসময় উল্টে যাওয়া পিকআপের পেছন থাকা আবু বক্কর ছিদ্দিক নামের এক শ্রমিক ঘটনাস্থলেই মারা যান। দুর্ঘটনার পর পালিয়ে যায় পিকআপের চালক-হেলপার।
ফেনীর মুহুরীগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদ খান চৌধুরী বলেন, নিহত মো. আবু বক্কর ছিদ্দিকের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত পিকআপ উদ্ধার করে হাইওয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত জাহাঙ্গীর খাইয়ারা বাজারস্থ রাকিব ট্রেডার্সের মালিক। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে বাসচাপায় স্কুলছাত্র নিহত
ফেনীতে বাস-কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ১৫
ফেনীতে বিএনপির পদযাত্রায় পুলিশি বাধার অভিযোগ
ফেনীতে পুলিশের বাধার কারণে বিএনপির পদযাত্রা বাধাগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে শহরের বড় মসজিদের সামনে থেকে শুরু হয়ে ২০০ গজ সামনের প্রেসক্লাবের সামনে এই পদযাত্রা শেষ হয়।
পরে বিএনপির নেতারা বড় বাজারে তাদের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সমাবেশ করেন।
তেল, গ্যাস ও সারসহ নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দাবিতে জেলায় জেলায় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই পদযাত্রার আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: ফেনীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই চালক নিহত
প্রায় ২০০ গজের এই সংক্ষিপ্ত পদযাত্রার বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি পদযাত্রায় নামে। বড় মসজিদের সামনে থেকে শুরু হয়ে পদযাত্রাটি প্রেসক্লাবের সামনে গেলেই পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশ গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে। মাঠের রাজনীতিতে নামতে দিচ্ছে না তারা। বিএনপি আইনশৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পদযাত্রা থেকে ফিরে যায়।’
এ বিষয়ে ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থোয়াই অং প্রু চাকমা বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা যাতে অবনতি না হয় সেজন্য পুলিশ মাঠে ছিল।’
এদিকে, শনিবার সকালে পৌরসভার সামনে থেকে শান্তি সমাবেশ করেছে জেলা যুবলীগ নেতাকর্মীরা। সমাবেশের একটি মিছিল ফেনী শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেছে।
জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি দিদারুল কবির রতন ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আহমেদ রিয়াদ আজিজ রাজিব এর নেতৃত্বে মিছিলটি ট্রাঙ্ক রোডের দোয়েল চত্বর, খেজুর চত্বর ও বড় মসজিদ এলাকা প্রদক্ষিণ করে পুনরায় পৌরসভা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিলে তারা দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের চলমান নৈরাজ্য ও অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতিবাদ জানান এবং আন্দোলনের নামে কেউ দেশে সন্ত্রাস নৈরাজ্যের করতে চাইলে কঠোর জবাব দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে বন্ধ হয়ে গেলো সব সিনেমা হল
ফেনীতে ট্রেনে কাটা পড়ে রিকশাচালকের মৃত্যু
ফেনীতে ট্রেনে কাটা পড়ে রিকশাচালকের মৃত্যু
ফেনীতে ট্রেনে কাটা পড়ে এক রিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ফেনী রেলস্টেশনের অদূরে গুদাম কোয়ার্টার রেলক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আবদুল হালিম (৫০) বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জের সাওলিয়া এলাকার মৃত বশির উদ্দিন শেখের ছেলে। তিনি ফেনীতে পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
রেল পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে আসা সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনটি ফেনী স্টেশনের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় গেটম্যান গেট বন্ধ করে দেন। তখন রিকশাসহ বেশ কিছু গাড়ি উল্টো পথে চলাচল শুরু করে।
এ সময় আবদুল হালিমের রিকশা রেললাইনে ওঠার পরপরই ট্রেন চলে আসে। ট্রেনের ধাক্কায় তিনি ছিটকে পড়েন। তার রিকশাও দুমড়েমুচড়ে যায়। আবদুল হালিম ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে রেল পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ফেনী রেলস্টেশন জিআরপি পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বরত উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আমজাদ আলী চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় লাকসাম জিআরপি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু
বগুড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ১
ফেনীতে জামায়াতের ১২ নেতাকর্মী আটক
ফেনীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ১২ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে ফেনী জেলা জামায়াতের কার্যালয়ে একটি বৈঠক থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, মোহাম্মদ শফিউল্যাহ(৫৩), মোস্তফা আজিম(৪০), মোহাম্মদ শাহ আলম(৪৮), আবু তাহের(৫৪), আব্দুল মতিন(৪৪), মো. সালাউদ্দিন(৩২), আলমগীর(৪০), জাকির হোসেন(৩৫), আব্দুল মোতালেব(৩৮), মনির হোসেন(৪১), মো. মহিউদ্দিন(৩৪), মো. ইসরাফিল(১৮)।
আরও পড়ুন: ডিএমপি’র মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ৬০
আটককৃত প্রত্যেকের বাড়ি ফেনী জেলায় বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, সকালে ফেনী শহরের শান্তি কোম্পানি রোড়স্থ জেলা জামায়াতের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এসময় নাশকতার পরিকল্পনাকালে ৫টি ককটেল ও জিহাদী বইসহ ১২ জনকে আটক করা হয়েছে।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন জানান, আটকরা ওই কার্যালয়ে বসে গোপন বৈঠক করে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মামলা দায়ের করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এদিকে ফেনী জেলা জামায়াতের আমির মাস্টার শামসুদ্দীন পুলিশের দেয়া বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে জানান, সেখানে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের একটি সভা ছিল। সেখানে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগ কাল্পনিক ও বানোয়াট। অবিলম্বে আটকদের মুক্তির দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ববিতে হলে ঢুকে শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম: আটক ৪
চসিকের সার্ভার হ্যাক করে জন্মনিবন্ধন সনদ উত্তোলন, আটক ৪
ফেনীতে প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে তেল উৎপাদন!
ফেনীতে ফুয়েল রিকোভারি পলিথিন রিডিউজ পাইরোলাইসিস প্ল্যান্ট স্থাপনের মাধ্যমে পরিবেশের জন্য ভয়াবহ হুমকি হয়ে ওঠা প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে তেল উৎপাদন করা শুরু হয়েছে।
ফেনী শহরের সুলতানপুর এলাকায় স্থাপিত এ প্ল্যান্টে পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদন শুরু করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভূঁইয়া ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল। এ প্ল্যান্টে ৫০০ কেজি পলিথিন থেকে ২০০ লিটার গ্রিন ওয়েল উৎপাদন করা সম্ভব বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
ভূঁইয়া ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর দেশে যে বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হচ্ছে সেটি থেকে উৎপাদিত জ্বালানি তেল গৃহস্থালি ছাড়াও কারখানায় ব্যবহার করা যাবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ফুয়েল রিকোভারি প্ল্যান্ট প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করেছে ফেনী পৌরসভা।
এ প্ল্যান্টে গৃহস্থালির ব্যবহৃত প্লাস্টিকের খালি বোতল, ব্রাশ, প্রসাধনীর খালি প্যাকেট, খাদ্যদ্রব্যের মোড়কের প্যাকেট, স্যালাইনের প্যাকেট, পানির খালি বোতল, কোমলপানীয়ের বোতল, বাসাবাড়িতে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অপচনশীল প্লাস্টিক দ্রব্য মেশিনে দিয়ে তেল উৎপাদন করা হচ্ছে।
ফেনী জৈব সার উৎপাদন কেন্দ্রের পাশে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের অর্থায়নে ১১ লাখ ১৫ হাজার টাকা ব্যয়ে চার মাস আগে পলিথিন রিডিউজ পাইরোলাইসিস মেশিন স্থাপন করা হয়।
আরও পড়ুন: পলিথিনের বিকল্প পাটের ব্যাগ উদ্ভাবনে সহায়তা করবে সরকার: মন্ত্রী
এ মেশিনে পলিথিন রিডিউজ করা হলে এখান থেকে গ্রিন ওয়েল নামে এক ধরনের তেল উৎপাদন হবে, যা জ্বালানি ও বিভিন্ন সড়ক উন্নয়ন কাজে ব্যবহৃত হয় বলে জানিয়েছেন ভূঁইয়া ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কনসালটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. আলমগীর হোসাইন।
তিনি বলেন, আগামী তিন বছরের জন্য এ প্রজেক্ট পরিচালনা করা হবে। এখানে মেশিনে রিয়্যাক্টর, এয়ারব্যাগ, কুলিং সিস্টেম, ড্রাফটিং সিস্টেম, গিয়ার বক্স, গ্যাস ওয়াটার, ওয়েল ট্যাংক, প্রেশার গ্রেস, টেম্পারেচার মিটার, ইমারজেন্সি ভারসহ মোট ১১টি যন্ত্রের মাধ্যমে কোনো ধরনের ধোঁয়া বা বায়ুদূষণ ছাড়া পলিথিনকে রিডিউজ করে বাষ্পের সাহায্যে পাইরোলাইসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তেল উৎপাদন করা হবে। এ মেশিনটি চালাতে ১০ জন অপারেটর প্রয়োজন। তবে পরীক্ষামূলক উৎপাদনে আমরা একজন অপারেটর, একজন ম্যানেজার, দুইজন অ্যাসিস্ট্যান্ট দিয়ে প্রক্রিয়া শুরু করেছি।
এখানে চাহিদামতো পলিথিন সংগ্রহ হলে রিসাইক্লিন ও রিডিউজের মাধ্যমে পাইরোলাইসিস করে প্রতিদিন ৫০০ কেজি পলিথিন থেকে ২০০ লিটার গ্রিন ওয়েল উৎপাদন করা সম্ভব হবে।
ফেনী পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট তানভীর আহমেদ বলেন, ফেনী পৌরসভার সঙ্গে পরিবেশ উন্নয়ন সংস্থা অরবিট হেলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন চুক্তিবদ্ধ। তারা যদি ঠিকমতো হাসপাতাল ও গৃহস্থালি বর্জ্যের পলিথিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভূঁইয়া ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনালকে সাপ্লাই দিতে পারে তা হলে সরকারের ভিশন বাস্তবায়ন হবে।
ফেনী পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোসাম্মৎ শওকত আরা কলি বলেন, পলিথিন রিডিউজ করে পাইরোলাইসিস প্রক্রিয়ায় তেল উৎপাদন করলে একদিকে পরিবেশ রক্ষা হবে, অন্যদিকে তেল উৎপাদনে আয় বাড়বে। এ প্ল্যান্ট যেসব জেলায় স্থাপন করা হয়েছে সেখানে পরিবেশের আমূল পরিবর্তন হবে। এজন্য শুধু শহর নয় গ্রামের হাট-বাজার, বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত পলিথিন, প্লাস্টিকের খালি বোতলসহ অপচনশীল দ্রব্য নির্দিষ্ট স্থানে জমিয়ে রেখে তা পৌরসভার মাধ্যমে প্ল্যান্টে পাঠানো উত্তম। এর ফলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে।
ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজি বলেন, পলিথিন প্রক্রিয়াজাত করে তেল উৎপাদন করলে একদিকে পরিবেশ রক্ষা হবে, অন্যদিকে তেল উৎপাদনে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তর ও পৌরসভার নাগরিকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা পেলে ফেনী জেলা বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এজন্য তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: পলিথিন ও ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য বন্ধে ১ বছর সময়
পরিত্যক্ত পলিথিন পুড়িয়ে জ্বালানি তেলসহ এলপি গ্যাস উদ্ভাবন
হিমালয়ান প্রজাতির একটি শকুন উদ্ধার
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় হিমালয়ান প্রজাতির একটি শকুন উদ্ধার করেছে বন বিভাগ ও প্রাণী বিষয়ক সংগঠন ফেনী ওয়াইল্ড লাইফ রেস্কিউ টিম। উপজেলার চর খন্দকার ইঞ্জিনিয়ার পাড়ায় নদীর পাশ থেকে রবিবার সন্ধ্যায় আহত অবস্থায় শকুনটি উদ্ধার করা হয়।
ফেনী ওয়াইল্ড লাইফ রেস্কিউ টিমের ডিরেক্টর অ্যান্ড রেস্কিউয়ার সাইমুন ফারাবি জানান, রবিবার বিকালে সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের চর খন্দকার গ্রামে নদীর পাশে আহত অবস্থায় শকুনটিকে দেখতে পেয়ে উপজেলা বন বিভাগকে জানানো হয়। পরে ফেনীর সামাজিক বন বিভাগ ও ফেনীর প্রাণিবিষয়ক সংগঠন ফেনী ওয়াইল্ড লাইফ রেসকিউ টিম এসে শকুনটিকে উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: সঙ্খ নদীর বেড়িবাঁধের ওপর পড়েছিল বিরল প্রজাতির শকুনটি
সোনাগাজী উপজেলা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন বলেন, শকুনটি উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ফেনী ওয়াইল্ড লাইফ রেসকিউ টিমের তত্ত্বাবধানে দেয়া হয়েছে। শকুনটি সুস্থ হলে অবমুক্ত করে দেব।
ফেনীর সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মাকসুদ আলম বলেন, উদ্ধার হওয়া বিরল প্রজাতির হিমালয়ান শকুনটি সুস্থ হলে ঢাকার বন বিভাগের কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে ঢাকায় পাঠানো হবে কিংবা ফেনীতে অবমুক্ত করা হবে।
বন বিভাগের কর্মকর্তাদের ধারণা, ২০ কেজির বেশি ওজনের বিশাল আকৃতির হিমালয়ান শকুনটি ঠান্ডার কারণে হিমালয়ের পাদদেশ থেকে উষ্ণ আবহাওয়ার সন্ধানে বাংলাদেশে এসেছে। এটি ডানা মেলে প্রায় সাড়ে ৫ ফুট। উচ্চতা আড়াই ফুটের ওপরে।
আরও পড়ুন: ভোলায় আরও একটি হিমালয়ী গৃধিনী শকুন উদ্ধার
চিকিৎসার পর বন বিভাগ কার্যালয়ে বিলুপ্তপ্রায় শকুন