প্রাকৃতিক সম্পদ
সৌদি আরবকে বাংলাদেশে উৎপাদন খাত গড়ার প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশে উৎপাদন খাত স্থাপনের জন্য সৌদি আরবকে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান, সাশ্রয়ী শ্রমবাজার এবং প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করে সৌদি আরব লাভবান হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি সৌদি আরবকে বাংলাদেশের জ্বালানি খাত—বিশেষ করে তেল শোধনাগার—স্বাস্থ্যসেবা, স্বাস্থ্যশিক্ষা এবং ওষুধ শিল্পে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
রবিবার (২৭ জুলাই) নবনিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ড. আব্দুল্লাহ জাফের বিন আবিয়া প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে স্টেট গেস্ট হাউস ‘যমুনা’য় গেলে এই আলোচনা হয়।
এ সময় রাষ্ট্রদূত সৌদি আরবের যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন। ওই আমন্ত্রণে আগামী অক্টোবর মাসে রিয়াদে অনুষ্ঠিতব্য ৯ম ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট ইনিশিয়েটিভ ফোরামে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে বলে প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ-সৌদি কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সৌদি যুবরাজের বাংলাদেশ সফরের জন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পড়ুন: বাংলাদেশের প্রধান খাতগুলোতে বিনিয়োগে আগ্রহী চীনা ব্যবসায়ীরা: বিডা
তিনি রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনের জন্য শুভেচ্ছা জানান এবং আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, তার সময়ে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর হবে। একইসঙ্গে তার (রাষ্ট্রদূত) দায়িত্বকালে সৌদি দূতাবাসকে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বাড়িয়ে সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণ করা সম্ভব।
জবাবে সৌদি রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের গভীর সম্পর্কের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং জানান, সৌদি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ‘রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল’ চট্টগ্রামের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল ও মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরে কাজ করছে।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে একটি আরবি ভাষা ইনস্টিটিউট এবং ৮টি শহরে ৮টি মসজিদ নির্মাণে সৌদি সরকার ২ কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে।
সাক্ষাৎকালে অধ্যাপক ইউনূস রাষ্ট্রদূতের হাতে জুলাই ২০২৪ সালের গ্রাফিতি সংগ্রহ উপহার হিসেবে তুলে দেন।
এ সময় সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
১৩০ দিন আগে
বৃহত্তর বাণিজ্য, সংযোগ ব্যবস্থা ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের উজ্জ্বল ভবিষ্যতকে ধারণ করে: দোরাইস্বামী
পণ্যের ভবিষ্যতে মূল্য সংযোজনকে কেন্দ্র করে বাণিজ্য বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বের সম্ভাব্য মূল চালক হয়ে উঠতে পারে বলে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী জানিয়েছেন। তবে, এক্ষেত্রে পরিবেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে থাকবে।
তিনি বলেন, 'আমাদের বাণিজ্য ও সম্পূর্ণ নতুন কাঠামোর দিকে নজর দেয়া উচিত। আমি বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতে বাণিজ্য আমাদের বন্ধুত্বের মূল চালিকা হয়ে উঠবে।' তিনি আরও জানান, পরবর্তী প্রজন্মের সমস্যা কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে সে সম্পর্কে দুই দেশকে দুরদর্শী হওয়া দরকার।
বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে প্রিমিয়ার করা 'বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: ভবিষ্যতের সম্ভাবনা' শীর্ষক একটি আলোচনা সভায় মূল বক্তব্য দেয়ার সময় হাইকমিশনার দোরাইস্বামী এই মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে কসমসের ভার্চুয়াল সভা বৃহস্পতিবার
বাংলাদেশ ও ভারতের অভিজ্ঞ রাষ্ট্রদূত তারিক এ করিম, দক্ষিণ এশিয়ান স্টাডিজের পরিচালক, সিঙ্গাপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক সি রাজা মোহন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ, বাংলাদেশে ভারতের সাবেক হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী, পলিসি ডায়ালগ সেন্টারের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো ড. দেবপ্রিয়া ভট্টাচার্য, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের (বিআইপিএস) সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আ. ন. ম মুনিরুজ্জামান, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, ব্রিগেডিয়ার ড. জেনারেল (অব.) শাহেদুল আনাম খান এবং সাবেক ভারতীয় পররাষ্ট্রসচিব কৃষ্ণান শ্রীনীবাসন- দু'দেশের সম্পর্কের অবস্থা মূল্যায়ন এবং এটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়াসে যে চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগগুলো রয়েছে তা শনাক্ত করার জন্য অনলাইন আলোচনা সভায় অংশ নেন।
১৬৭৯ দিন আগে