পিএমও
আ.লীগের সভাপতি হিসেবে পুননির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে পিএমও’র শুভেচ্ছা
টানা দশমবারের মতো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করায় সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও)।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে নবনির্বাচিত আওয়ামী লীগ সভাপতিকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহসহ কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৪ ডিসেম্বর ক্ষমতাসীন দলের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হন।
শেখ হাসিনা জোরপূর্বক নির্বাসনে থাকাকালীন তার অনুপস্থিতিতে ১৯৮১ সালে সর্বসম্মতিক্রমে আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর গত ৪১ বছর ধরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে রয়েছেন। তিনি ১৭ মে, ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসেন।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক অঞ্চলে নারী উদ্যোক্তারা বিশেষ সুযোগ পেতে পারেন: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশকে গড়তে কমিশনপ্রাপ্তদের '২০৪১ সালের সৈনিক' হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সাধারণ সভা
প্রফিট শেয়ার করার জন্য হাওয়া ভবন ও পিএমওতে উন্নয়ন উইং নেই: ব্যবসায়ীদের প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যবসায়ীদের মুনাফার আগে দেশ ও মানুষের কথা ভাবতে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘আপনার লাভের (প্রফিটের) অংশ শেয়ার করার জন্য এখানে কোনো হাওয়া ভবনও নেই, আর পিএমওতে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে) কোনো উন্নয়ন উইংও নেই।’
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভোগ্যপণ্যের আমদানি-রপ্তানিকারকদের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে বিনা বাধায় মুনাফা করেছেন।
আরও পড়ুন: ইতালির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী মেলোনিকে শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের ব্যবসায়ীরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উন্নয়ন শাখার ‘যন্ত্রণা’ ও হাওয়া ভবন থেকে মুক্ত।
‘এখন আপনাদের এই যন্ত্রণায় ভুগতে হচ্ছে না। আপনাদের এটি স্বীকার করতে হবে, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, অতীতে লাভের সিংহভাগই হাওয়া ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন উইংয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘...মনে রাখুন এবং দেশ এবং এর জনগণের কথা চিন্তা করুন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীর সময় সরকার ব্যবসায়ীদের তাদের ব্যবসা সুষ্ঠুভাবে চালানোর জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছেন, যদিও তারা এটা চায়নি।
তিনি বলেন, তার উদ্যোগের মাধ্যমে একটি দল গঠন করা হয়েছিল এবং এটি অর্থনীতির চাকা চালানোর জন্য ভালোভাবে কাজ করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, মহামারীর সময়ে উন্নত দেশের অনেক কলকারখানা ও শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম আমাদের কারখানা এবং শিল্পগুলো বন্ধ হতে দেব না, আমাদের চালিয়ে যেতে হবে... আমি শ্রমিকদের মজুরি নিশ্চিত করেছি, প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছি।
আরও পড়ুন:যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
দাম নিয়ন্ত্রণে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
৭টি সংস্থার সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর পিএমও’র
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পসহ আরও ছয়টি সংস্থার মধ্যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) ২০২২-২৩ স্বাক্ষর করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং সংস্থার প্রধানরা নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
এপিএগুলোতে সাতটি সংস্থা ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য তাদের পারফরম্যান্সের বিষয়ে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সংস্থাগুলো হলো- বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেপজা), জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ), পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) কর্তৃপক্ষ, এনজিও বিষয়ক ব্যুরো এবং আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প।
তোফাজ্জেল হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ।
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি হল সরকারি কর্মচারীর দক্ষতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য একটি ফলাফল-ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা।
২০১৪-১৫ অর্থবছরে আওয়ামী লীগ সরকার সমস্ত মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে উন্নত পারফরম্যান্স পাওয়ার জন্য এপিএ পদ্ধতি চালু করে।
এ প্রক্রিয়ায় সমস্ত অধস্তন বিভাগ, সংস্থা বা দপ্তরগুলোও তাদের নিজ নিজ মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা উচ্চতর দপ্তরের সঙ্গে এপিএ স্বাক্ষর করে।
আরও পড়ুন: লংকাবাংলা ফাইন্যান্স ও ‘নগদ’ এর মধ্যে চুক্তি সই
চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ অঞ্চলের নৌপথ খনন ও টার্মিনাল নির্মাণে চুক্তি
বুধবার সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী: পিএমও
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানানো হয়েছে।
পিএমও প্রেস উইং থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকাল ১১টায় তার কার্যালয়ে (পিএমও) সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তবে সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সংবাদ সম্মেলনের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে দেশের সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি এবং ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার উত্তরাঞ্চলের বন্যার ভয়াবহতা পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী
করোনার দুর্দিনে জনগণের পাশেই আছেন প্রধানমন্ত্রী
করোনার প্রথম আঘাতের মতো এবারও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় কর্মসংস্থান হারানো ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
করোনায় মৃত্যু মিছিলের মধ্যেই চলমান লকডাউনের কারণে খেটে খাওয়া সকল শ্রেণী পেশার মানুষের জীবিকা নির্বাহের জন্য মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে নিরলস চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী।
ইতোমধ্যেই করোনায় দ্বিতীয় ঢেউ-এ প্রান্তিক জনগণের কষ্ট-দুর্দশা দূর করতে সরকার ১৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নিম্ন-আয়ের প্রায় সাড়ে ৩৬ লাখ পরিবারের মাঝে নগদ ২ হাজার ৫০০ টাকা করে অর্থ সহায়তা দিবেন।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের (পিএমও) সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ইউএনবিকে জানান, আগামী রবিবার (২ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী এই অর্থ সহায়তার কার্যক্রম শুরু করবেন।
তিনি বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হবার পরপরই প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে জনগণকে অর্থসহায়তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, গতবছরও করোনার প্রথম প্রকোপের সময় সরকার সাড়ে ৩৬ লাখ পরিবারের মাঝে অর্থ সহায়তা প্রদান করে।
পিএমও সচিব জানান, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নগদ, বিকাশ, রকেট এবং শিউরক্যাশ এর মাধ্যমে সাধারণ জনগণের মাঝে সরাসরি অর্থ সহায়তা পৌঁছে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী কোভিড সঙ্কট: দ্রুত পুনরুদ্ধারে ইএসসিএপি-কে ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ শেখ হাসিনার
দেশে গত ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করার পর কর্মহীন হয়ে পড়ে সমাজের খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ। তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রান্তিক শ্রেণীর অসহায় জনগণের জীবিকা নিশ্চিত করতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবেই মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনকে ৫৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে।
পিএমও সচিব বলেন, অন্যান্য অর্থ সহায়তার পাশাপাশি হতদরিদ্র মানুষের জরুরি সাহায্যের জন্য প্রত্যেক জেলার ডিসিদের প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে সাড়ে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
সচিব আরও বলেন, করোনার আঘাতে কর্মহীন হয়ে পড়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যেই নিজ উদ্যোগে ১০ কোটি টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান করেছেন।
আরও পড়ুন: লিডার্স সামিট: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ৪ পরামর্শ
এছাড়া সরকারি তথ্য সেবা ৩৩৩-হেল্প লাইন সেন্টারের কথা উল্লেখ করে তোফাজ্জল হোসেন জানান, সমাজরে মধ্যবিত্ত মানুষের কথা মাথায় রেখেই সরকার এই সেবা চালু করেছে। মধ্যবিত্ত পরিবারের কেউ সংকোচ না করে হেল্প সেন্টারে সাহায্য চাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, হেল্প সেন্টারে সাহায্য চাওয়া হলে অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্থানীয় প্রশাসন সাহায্যপ্রার্থীর পরিচয় গোপন রেখে প্রয়োজনীয় সহায়তা পৌঁছে দেবে।