বাংলাদেশি যুবক
তিন মাস পর বাংলাদেশি যুবকের লাশ ফেরত দিল বিএসএফ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক ওয়াসিম আকরামের (২৮) লাশ অবশেষে দেশে ফিরেছে। মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দীর্ঘ প্রচেষ্টায় লাশটি দেশে ফেরায় সন্তোষ জানিয়েছেন নিহতের স্বজনরা।
শনিবার (৫ জুলাই) বিকালে নিহতের স্বজন ও পরিবারের কাছে লাশটি হস্তান্তর করা হয়।
মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের সহকারী পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত কোয়ার্টার মাস্টার মুন্সী ইমদাদুর রহমানের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নিহত ওয়াসিম আকরাম মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে।
বিজিবি জানান, চলতি বছরের ১১ এপ্রিল ইছামতী নদীর ভারতীয় অংশে গুলিবিদ্ধ যুবকের লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। পরে বাঘাডাঙ্গা গ্রামের রমজান আলী ঘটনাস্থলের বাংলাদেশ অংশে দাঁড়িয়ে লাশটি তার ছেলে ওয়াসিম আকরামের বলে দাবি করে। ওই সময় বিএসএফ লাশ উদ্ধার করে ভারতীয় পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
আরও পড়ুন: মৌলভীবাজার সীমান্তে ৪৮ জনকে পুশ-ইন বিএসএফের
পরে লাশ ফিরে পেতে বিজিবির কাছে লিখিত আবেদন করে ওয়াসিমের বাবা রমজান আলী। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মহেশপুর ৫৮ বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ধারাবাহিক যোগাযোগের ফলে ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ বাংলাদেশি ওই যুবকের লাশ ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ নেয়।
পরে শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ৬০ নম্বর মেইন সীমান্ত পিলারের কাছে বিজিবি ও বিএসএফ ও দুই দেশের পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে নিহতের লাশটি বাবা রমজান আলী এবং তার বড় ভাই মেহেদী হাসান কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বাঘাডাঙ্গা গ্রামে ওয়াসিম আকরামের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
১৫১ দিন আগে
পাটগ্রাম সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয়রা
লালমনিরহাট পাটগ্রাম সীমান্ত দিয়ে দেশে ঢুকে এক বাংলাদেশি যুবককে ধরে করে নিয়ে গেছে ভারতীয়রা। পরে তাকে কাঁটাতারের বেড়ায় বেঁধে নির্যাতন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে পাটগ্রাম উপজেলার বাউড়া ইউনিয়নের জমগ্রাম ডাঙ্গার পাড় এলাকায় ৮০১ নম্বর মেইন পিলারের ১০/১১ সাব পিলারের মাঝামাঝিতে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের শিকার আজিনুর রহমান জমগ্রাম ১ নম্বর ওয়ার্ডের নুর হোসেনের ছেলে। তিনি বর্তমানে বিএসএফ সদস্যদের হেফাজতে রয়েছেন বলে বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সীমান্ত সংলগ্ন ভুট্টাখেতে কাজ করতে যান আজিনুর রহমান। এ সময় ভারতীয় ১০৮ ছোট কুচলীবাড়ি এলাকার ৮-১০ জন লোক বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশ করে তাকে ধরে নিয়ে যান। পরে তাকে কাঁটাতারের বেড়ায় বেঁধে নির্যাতন করেন তারা। খবর পেয়ে স্বরস্বতী ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
ঠ্যাংঝাড়া বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আজিনুর রহমান নামের ওই যুবক সীমান্তের পাশে ঘোরাঘুরি করায় ভারতীয় লোকজন তাকে আটক করে বিএসএফের কাছে সোপর্দ করে। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের চেষ্টা চলছে।’
২৩০ দিন আগে
বিজয়নগর সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর সীমান্তে বিএসএফের বিরুদ্ধে মুরাদুর রহমান মুন্না নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ করেছেন নিহতের স্বজনরা।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের সেজামুড়া সীমান্তে জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মুন্না ওই গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে। তার লাশ বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের পরিবার অভিযোগ করে বলেন, বিকালের দিকে মুন্না তার ধানের জমি দেখতে সেজামুড়া সীমান্তের কাছে যান। এ সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কয়েকজন তাকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তারা তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে বাংলাদেশ সীমান্তে ফেলে রেখে চলে যায়।
পরে বিজিবি সদস্যরা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়। এসময় তাকে গুরুতর অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে স্কুলছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আরাফাত বলেন, হাসপাতাল আনার পর তার শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করা হয়। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
সরাইল ২৫ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, যতটুকু খবর পেয়েছি মুরাদ নামে একজন অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করেছিল। সে কি কারণে সীমান্ত অতিক্রম করেছিলেন, বিএসএফ তাকে ধরেছে কি না, না অন্য কেউ মেরেছে তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনাটির তদন্ত চলছে।
বিজিবির টহল টিমের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, মুরাদ ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশের পর সুস্থভাবে ফিরে এসেছিলো। তখন তাকে দেখতে পেয়ে স্থানীয় একজনের মাধ্যমে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
২৩৯ দিন আগে
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি যুবক নিহত
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টার দিকে (বাংলাদেশ সময় বুধবার ভোর) তার মৃত্যু হয়।
নিহত যুবক ইসহাক সায়েদের (২১) বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার পৌর এলাকার আড়াইবাড়ি গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে।
নিহত ইসহাক সৌদি আরবে হাংগেরি নামক একটি ফুড ডেলিভারি কোম্পানিতে ডেলিভারি বয় হিসেবে হিসেবে কাজ করতেন।
নিহতের পিতা খোরশেদ আলম জানায়, সংসারের হাল ধরতে জীবিকার তাগিদে গত বছরের আগস্টে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে পাঠান তাকে। রাতে কোম্পানির ডিউটি পালন করতে মোটরসাইকেলে করে ফুড ডেলিভারি করতে যায়। এসময় সড়কে ট্রাকচাপায় ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। গতকাল সকালে তার মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে পৃথক ঘটনায় পানিতে ডুবে মা-ছেলেসহ নিহত ৩
সন্তানের লাশ যেন দ্রুত বাংলাদেশে ফেরত এনে যেন দাফনের ব্যবস্থা করা যায় কান্নাজড়িত গলায় সরকারের কাছে সেই আবেদন জানান তিনি।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছামিউল ইসলাম বলেন, নিহতের লাশ ফেরত আনার বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
২৩৯ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী বিএসএফের ছোড়া গুলিতে সহিদুল ইসলাম নামে এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার আজমতপুর সীমান্তবর্তী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত সহিদুল ইসলাম (২৫) ওই উপজেলার বাগিচাপাড়া এলাকার আনারুল ইসলামের ছেলে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ধামইরহাট সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, শুক্রবার রাত ২টার দিকে সহিদুল ইসলামসহ ছয়জন আজমতপুর সীমান্তের ১৮২ নম্বর সীমান্ত পিলার থেকে ভারতের প্রায় ১৩০ গজ অভ্যন্তরে ঢুকলে ভারতের শ্বশানী বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা গুলি ছুঁড়লে সহিদুল আহত হন।
এ সময় তার সঙ্গে থাকা অপর সহযোগীরা তাকে উদ্ধার করে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন।
এরপর আহত সহিদুলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে তার স্বজনরা। সহিদুলসহ ওই ছয় জন চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফের কাছে প্রতিবাদ জানানো হবে বলে জানান ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া।
আরও পড়ুন: বিজিবির বাধা উপেক্ষা করে লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া
৩২৭ দিন আগে
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ৯ বাংলাদেশি
ভারতে পাচার হওয়া ৯ বাংলাদেশি যুবক কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে তাদের গ্রহণ করেছে রাইটস নামের একটি এনজিও সংস্থা।
এর আগে শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন তারা। ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
ফেরত আসা যুবকেরা হলেন- মো. সুজন ফকির (২৮), মো. আব্দুল মোনাব (৩০), মো. রেদোয়ান (২৫),মো. নুর আলম (৩০), তাজির ইসলাম (২৮),শাহজাহান গাজী (৩৫), মো. খাইরুল ইসলাম (২৯),মো. সামাদ মিয়া(২৩), মো. শাহাদত হোসেন(৩৪)। এরা যশোর নড়াইল, সুনামগঞ্জ, খুলনা, চাঁদপুর ও কক্সবাজার জেলার বাসিন্দা।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ ভূঁইয়া জানান, ফেরত আসা যুবকেরা ৫ থেকে ৭ বছর আগে কাজের সন্ধানে ভারতে যান। সেখানে বিভিন্ন এলাকায় খেত খামারে কাজ করার সময় সে দেশের পুলিশের কাছে আটক হন তারা। পরে আদালত তাদের বিভিন্ন মেয়াদে ২-৩-৫ বছর সাজা দেয়।
কারাভোগ শেষে উভয় দেশের দূতাবাসের মাধ্যমে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে দেশে ফিরেছেন তারা। ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। সেখান থেকে রাইটস নামের একটি এনজিও সংস্থার কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাইটস যশোরের সাইকোসোশ্যাল কাউন্সিলর মো. মামুন জানান, বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ ভারত ফেরত ৯ বাংলাদেশি যুবককে রবিবার সকালে রাইটস নামের একটি এনজিও সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের এখন রাইটসের শেল্টার হোমে রাখা হবে। পরে সেখান থেকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।
৩৬১ দিন আগে
ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত
ঠাকুরগাঁওয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ছোড়া গুলিতে নাইমুর রহমান নাইম নামে এক বাংলাদেশি যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন।
শনিবার (১০ আগস্ট) সকালে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কোটাপাড়া বিজিবি সিমান্তের ৩৮৩/২ এস মেইন পিলার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে ২ কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ, গ্রেপ্তার ১
গুলিবিদ্ধ নাইমুর রহমান নাইম (২২) বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের কালিবাড়ি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।
নাইমের চাচা আলমগীর বলেন, ‘আমরা চাচা-ভাতিজা নো ম্যানস ল্যান্ডের থেকে দূরে আমাদের জমিতে গরুর জন্য ঘাস কাটছিলাম। এসময় সীমান্তের ওপারের ভারতীয় বিএসএফের ভেলাগাছি ক্যাম্পের সদস্যরা নাইমকে লক্ষ্য গুলি ছোড়েন। তাকে তাৎক্ষণিক সেখান থেকে উদ্ধার করে প্রথমে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাই। পরে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেই।’
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রাকিবুল আলম চয়ন বলেন, ‘গুলিতে তার ডান পায়ের হাড় ভেঙে গেছে।’
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে বিজিবির নিরাপত্তা জোরদার
সিলেট সীমান্তে খাসিয়ার গুলিতে দুই বাংলাদেশির মৃত্যু
৪৮১ দিন আগে
কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে মো. হাসান নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালের দিকে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের পুটিয়া সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হাসান কসবা উপজেলার কাইমপুর ইউনিয়নের কাইমপুর গ্রামের জারু মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক। হাসান তার ৫ ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট এবং হাসানের স্ত্রী ও ৪ মাস বয়সী এক ছেলে রয়েছে।
আরও পড়ুন: গোমস্তাপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের পুটিয়া এলাকায় ভারত সীমান্তের ২০৫০ পিলার এলাকায় হাসানসহ ৪/৫ বন্ধু শূন্য রেখা এলাকায় ঘুরতে যায়।
এ সময় ভারতের ওই এলাকার ৩ নম্বর গেট দিয়ে বিএসএফের পক্ষ থেকে গুলি করা হয়। গুলিটি হাসানের শরীরের পেছনের দিকে আঘাত করে। এতে সে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয় কয়েকজন লোক তাকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কসবা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, বিএসএফের গুলিতে নিহত যুবকের লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা আছে। ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
সুলতানপুর ৬০ বিজিবির অধিনায়ক (সিও) জাবেদ বিন জব্বার সীমান্তে বাংলাদেশি যুবক বিএসএফের গুলিতে মারা যাওয়ার বিষয়ে বলেন, ‘আমরা তদন্ত করছি।’
এদিকে দুপুরে বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে।
বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে ঘটনাটির আনুষ্ঠিানিকভাবে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে এবং বিএসএফ এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে অনাকাঙ্খিত ঘটনা যেন আর না ঘটে সে বিষয়ে আশ্বস্ত করে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে সাবেক ইউপি সদস্য আহত
বেনাপোল সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি আহত
৫৯১ দিন আগে
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নুরুল হুদা লিটন নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময় শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে জোহান্সবাগে লিটনের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিতে নিহত নুরুল হুদা লিটন দাগনভূঞা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব জগতপুর গ্রামের লাল মোহাম্মদের বাড়ির এবাদুল হকের ছেলে।
আরও পড়ন: নেত্রকোণায় প্রাইভেটকার-অটোরিকশার সংঘর্ষে পুলিশসহ নিহত ২
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তার বিয়ের জন্য বাড়িতে কনে দেখে রাখা হয়েছিল। ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখ নুরুল হুদার দেশে আশার কথা ছিল।
নুরুল হুদার জ্যাঠাতো ভাই মনির হোসেন জানান, শুক্রবার রাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ শেষে গাড়িতে উঠতে গেলে আগে থেকেই ওঁত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
দাগনভূঞা সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থিত স্বজনদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তার লাশ দেশে আনার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ন: গাইবান্ধায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাছ বাজারে প্রাইভেটকার, নিহত ৩
রাজশাহীতে অসুস্থ বাবাকে দেখতে যেয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মেয়ে নিহত
৬৭৭ দিন আগে
বাংলাদেশি ২ যুবকের লাশ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ
চুয়াডাঙ্গার দর্শনার বাড়াদি সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক শেষে বাংলাদেশি ২ যুবকের লাশ ফেরত দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে দু’দেশের মধ্যে এ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
দর্শনা পুলিশ ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আব্দুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানাধীন পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের বেকারাস্তা পাড়ার সাজেদুর রহমান ওরফে সাইদুল ও একই পাড়ার খাঁজা মঈনুদ্দিনসহ ৫/৬ জন ১৬ ডিসেম্বর (শনিবার) সন্ধ্যার পর দর্শনার কামারপাড়া-বারাদী সীমান্তের ৮২ মেইন পিলারের কাছ দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
ওইদিন দিবাগত গভীর রাতে তারা ভারতের নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানাধীন ৩২ গোবিন্দপুর বিএসএফ (ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী) ক্যাম্পের একটি টহল দলের মুখোমুখি হয়। এ সময় বিএসএফ দল তাদের লখ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়লে গুলিবৃদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন সাইদুল ও খাঁজা মইনুদ্দিন।
ঘটনার পরদির রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে ভারতের গোবিন্দপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা লাশ দুটি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানায় নিয়ে যান।
ঘটনার পর লাশ ফেরত চেয়ে বিজিবি-বিএসএফের কাছে চিঠি দিলেও বিএসএফ তাতে সারা না দেওয়ায় লাশ ফেরত পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসেও সীমান্তে বিএসএফের গুলি, আহত ৩ বাংলাদেশি
এদিকে বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকালে দর্শনা বাড়াদি সীমান্তে দু'দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও আইনি জটিলতার কারণে লাশ গ্রহণ করা হয়নি বলে জানান বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ)। ফলে লাশ নিয়ে ফিরে যায় বিএসএফ।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, ৮২ পিলারের কাছে কৃষ্ণনগর থানার ওসি বিপেন সরকার লাশ হস্তান্তর করলে আমি দর্শনা থানা ওসি হিসেবে লাশ দুটি গ্রহণ করি। সন্ধ্যার পর লাশ তাদের পরিবারের কাছে বুঝে দেওয়া হয়।
এ সময় বিজিবি চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়ন এর এডি মো. হায়দার ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার রাজেস নারায়ন উপস্থিত ছিলেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্ত থেকে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
৭০৫ দিন আগে