পাসের হার
এইচএসসির ফল: ময়মনসিংহে ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাস করেননি কোনো শিক্ষার্থী
চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ডে এবার পাসের হার শতকরা ৫১.৫৪ ভাগ। তবে এই বোর্ডের আওতাধীন ১৫টি প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহ এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য প্রকাশ করেন।
তিনি জানান, এবার ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ৭৫ হাজার ৮৫৫ জন শিক্ষার্থী। মোট ৩৯ হাজার ৯৬ জন শিক্ষার্থী পাস করেছেন, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২ হাজার ৬৮৪ জন।
পাস ও জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছেলেদের সংখ্যা ১৬ হাজার ৬৭৬ এবং মেয়েদের সংখ্যা ২২ হাজার ৪২০ জন। অন্যদিকে, জিপিএ-৫ পাওয়া ছেলেদের সংখ্যা এক হাজার ১১৭ এবং মেয়েদের সংখ্যা এক হাজার ৫৬৭ জন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, এবার ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের মাত্র ৩টি প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করেছে। প্রতিষ্ঠান ৩টি হলো ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার চরজিথর হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং নেত্রকোণার খালিয়াজুরি উপজেলার আব্দুল জব্বার রাবেয়া খাতুন হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এর বিপরীতে শতভাগ অকৃতকার্য প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৫টি।
এর মধ্যে ময়মনসিংহের ৭টি, জামালপুরের ২টি, নেত্রকোণার ৪টি এবং শেরপুরের ২টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ভুটিয়ারকোণা আদর্শ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নান্দাইলের বরিল্লা কে. এ. হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ত্রিশালের সিটি রয়েল কলেজ, ত্রিশাল আইডিয়াল কলেজ, গৌরীপুর পাবলিক কলেজ, মুক্তাগাছার প্রিন্সিপাল পারভীন জাকির কলেজ, ফুলবাড়িয়ার আলাপসিংহ কলেজ।
আরও পড়ুন: এইচএসসির ফলে এগিয়ে ঢাকা বোর্ড, কুমিল্লার পাসের হার সবচেয়ে কম
এছাড়া শতভাগ অকৃতকার্যের তালিকায় রয়েছে জামালপুরের বকশিগঞ্জের চন্দ্রাবাজ রাশিদা বেগম স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং মেলান্দহ উপজেলার এস. এম. শিখা মোখলেসুর রহমান কলেজ, নেত্রকোণার কেন্দুয়ার গোপালপুর মডেল কলেজ, জনতা আদর্শ মহাবিদ্যালয়, নেত্রকোণা সদর উপজেলার ভাষাসৈনিক আবুল হোসেন কলেজ এবং পূর্বধলার জোবায়দা জহুরউদ্দিন সরকার মহিলা কলেজ। শেরপুর সদরের মন্মথ দে কলেজ এবং নালিতাবাড়ী উপজেলার হীরন্ময়ী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
ফল ও শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী এবং ম্যানেজিং কমিটিকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে বলে মত দেন বোর্ড চেয়ারম্যান।
এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে ৩০৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৭৫ হাজার ৮৫৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিলেন। এর মধ্যে ৫১ জন শিক্ষার্থী অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন।
৫০ দিন আগে
এইচএসসির ফলে এগিয়ে ঢাকা বোর্ড, কুমিল্লার পাসের হার সবচেয়ে কম
চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ। পাসের হারে এগিয়ে রয়েছে ঢাকা বোর্ড, অন্যদিকে সর্বনিম্ন পাসের হার রেকর্ড হয়েছে কুমিল্লা বোর্ডে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ড একযোগে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
এবার গত বছরের তুলনায় পাসের হার কমেছে ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন শিক্ষার্থী।
এ বছরের ফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর মধ্যে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৬৪.৬২ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৫৯.৪০ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৪৮.৮৬ শতাংশ, যশোর বোর্ডে ৫০.২০ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৫২.৫৭ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৬২.৫৭ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৫১.৮৬ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৫৭.৪৯ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বোর্ডে ৫১.৫৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ
এর মধ্যে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার সর্বোচ্চ ৬৪.৬২ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন পাসের হার কুমিল্লা বোর্ডে ৪৮.৮৬ শতাংশ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেন। তাদের মধ্যে ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন ছাত্র এবং ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন ছাত্রী।
সারা দেশে মোট ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেননি। আর এবারও ফল তৈরি হয়েছে ‘বাস্তব মূল্যায়ন’ নীতিতে।
গত জুলাই মাসে প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার মতো এবারও এইচএসসির ফল প্রকাশ ঘিরে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা রাখা হয়নি।
৫০ দিন আগে
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ
চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ। গতবারের তুলনায় এবার পাসের হার কমেছে ১৯ শতাংশ। ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ড একযোগে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
পরে পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে রাজধানীর বকশীবাজারে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ব্রিফিং করেন বাংলাদেশ আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির।
তিনি জানান, এবার ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৬৪.৬২, রাজশাহীতে ৫৯.৪০, কুমিল্লায় ৪৮.৮৬, যশোরে ৫০.২০, চট্টগ্রামে ৫২.৫৭, বরিশালে ৬২.৫৭, সিলেটে ৫১.৮৬, দিনাজপুরে ৫৭.৪৯, ময়মনসিংহে ৫১.৫৪, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে ৭৫.৬১ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৬২.৬৭।
খন্দোকার এহসানুল জানান, এবার মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন।
এদিকে ২০২৪ সালে জিপিএ-৫ পান ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন। গতবারের তুলনায় এবার জিপিএ-৫ কমেছে অর্ধেকেরও বেশি।
আরও পড়ুস: এইচএসসির ২২ ও ২৪ জুলাইয়ের স্থগিত পরীক্ষা একই দিনে হবে
পরীক্ষার্থীরা তিনভাবে এইচএসসির ফলাফল জানতে পারছেন। এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেন।
শিক্ষার্থীরা ফলাফল দেখবেন যেভাবে
১.
সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটের রেজাল্ট (Result) কর্নারে ক্লিক করে বোর্ড ও প্রতিষ্ঠানের EIIN–এর মাধ্যমে ফলাফল ডাউনলোড করতে পারবেন। সব শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে Result কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের EIIN এন্ট্রি করে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবেন।
২.
পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফল নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা বোর্ডগুলোর সমন্বিত ওয়েবসাইট ঠিকানা ও সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফলাফল সংগ্রহ করতে পারবেন।
৩.
নির্ধারিত Short Code–16222–এ এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল পাবেন শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর এসএমএসের মাধ্যমে HSC Board Name (First 3 Letters) Roll Year টাইপ করে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে শিক্ষার্থীদের।
উদাহরণ: HSC Dha 123456 2024 লিখে 16222–তে পাঠাতে হবে।
শিক্ষা বোর্ড, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা পত্রিকা অফিসে ফলাফল পাওয়া যাবে না বলে শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ২৬ জুন। লিখিত পরীক্ষা গত ১৯ আগস্ট শেষ হয়। ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২১ থেকে ৩১ আগস্ট। এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেন।
৫০ দিন আগে
এসএসসি: যশোর বোর্ডে পাসের হার ৭৩.৬৯ শতাংশ, কমেছে জিপিএ-৫
২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় যশোর শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ এবং জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ১৫ হাজার ৪১০ জন শিক্ষার্থী। বিগত বছরগুলোর তুলনায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টায় যশোর শিক্ষা বোর্ড কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, এ বছর যশোর বোর্ডে পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৭৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ৪১০ জন শিক্ষার্থী। অথচ, গত বছর এই বোর্ডে পাসের হার ছিল ৯২ দশমিক ৩৩ শতাংশ, আর ২০ হাজার ৭৬১ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছিল।
গতবছরের তুলনায় এবার পাসের হার ১৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ কমেছে এবং জিপিএ-৫’র সংখ্যা কমেছে ৫ হাজার ৩৪১টি।
গত বছরের দেশসেরা ফলাফল করা যশোর বোর্ড এবার সেই অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি। বোর্ডের আওতাধীন ১০টি জেলার মধ্যে যশোর জেলা এবার পাসের হারে এগিয়ে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
যশোর বোর্ডের অধীনে থাকা ৩৯৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৫টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করেছে। তবে দুইটি স্কুলে একজন শিক্ষার্থীও পাস করেনি।
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ পাসের হার রাজশাহী বোর্ডে, সর্বনিম্ন বরিশালে
ফলাফলের বিষয়ে যশোর বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোসাম্মাৎ আসমা বেগম বলেন, এ বছরের ফলাফলে আমরা সন্তুষ্ট। কারণ শতভাগ পাসের আইওয়াস এবার নেই। যারা পাস করেছে, তারা পরীক্ষা দিয়ে নিজ যোগ্যতায় পাস করেছে।
তিনি আরও জানান, ফলাফল আরও ভালো করার লক্ষ্যে বোর্ডের চলমান নানা উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে এবং ভবিষ্যতে যশোর বোর্ডকে আবারও সেরা অবস্থানে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক এস. এম. মাহাবুবুল ইসলাম, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ বোর্ডের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
১৪৭ দিন আগে
কুমিল্লাতেও এগিয়ে মেয়েরা, পাসের হার ৬৩.৬০ শতাংশ
কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০২৫ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ৬টি জেলায় এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হারে মেয়েরা এগিয়ে। সেই সাথে জিপিএ-৫ এ মেয়েরাই এগিয়ে রয়েছে। কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০২৫ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ৬টি জেলায় এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হারে মেয়েরা এগিয়ে। সেই সাথে জিপিএ-৫ এ মেয়েরাই এগিয়ে রয়েছে।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে কুমিল্লা বোর্ডের শতকরা পাশের হার ৬৩ দশমিক ৬০। কুমিল্লা বোর্ডে মোট জিপিএ পেয়েছে ৯ হাজার ৯০২ জন।
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ পাসের হার রাজশাহী বোর্ডে, সর্বনিম্ন বরিশালে
শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন ১ লাখ ৬৭ হাজার ৫৭২ জন। কৃতকার্য হয়েছেন ১ লাখ ৬৫৮১ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৯৯০২ জন। তার মধ্যে ছেলে ৪৪০৭ জন ও মেয়ে ৫৪৯৫ জন।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের কনফারেন্স হলে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর শামছুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে গতবারের তুলনায় এইবার পাশের হার কমেছে। কমেছে জিপিএ-৫।
১৪৮ দিন আগে
৯৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস, ১৩৪টিতে সবাই ফেল
এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যায় বড় ধরনের অবনতি লক্ষ করা গেছে। গত বছরের শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় এবার সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক-তৃতীয়াংশেরও নিচে।
ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মাত্র ৯৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। অথচ, গত বছর অর্থাৎ, ২০২৪ সালে শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৯৬৮টি। সেই হিসাবে এবার শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কমেছে ১ হাজার ৯৮৪টি।
অন্যদিকে, ১৩৪টি প্রতিষ্ঠানের কোনো পরীক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। গতবছর শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৫১টি। সে হিসেবে শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৮৩টি।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর ও ময়মনসিংহ এবং বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড একযোগে ফল প্রকাশ করেছে।
বিগত বছরগুলোর মতো এবার ফল প্রকাশ ঘিরে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা রাখা না হলেও সার্বিক বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকার সভাকক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় কথা বলেন বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দকার এহসানুল কবির।
এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ১০ এপ্রিল। পরীক্ষা শেষ হয় ১৩ মে। চলতি বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ১ হাজার ৫৩৮ জন এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৪ জন।
এ ছাড়াও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন পরীক্ষার্থী ছিল।
উল্লেখ্য, গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় এক লাখ পরীক্ষার্থী কম ছিল। এবার ফল তৈরি হয়েছে বাস্তব মূল্যায়ন নীতিতে।
১৪৮ দিন আগে
চট্টগ্রাম বোর্ডের পাশের হার ৭২ দশমিক ৭ শতাংশ
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এসএসসি পরীক্ষায় কমেছে পাসের হার। এবার পাসের হার ৭২ দশমিক ৭ শতাংশ।
যা গতবছর ছিল ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৮৪৩ জন, গত বছর পেয়েছে ১০ হাজার ৮২৩ জন। পাস করেছে ১ লাখ ১ হাজার ১৮১ জন। বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৯২ দশমিক ৫৭ শতাংশ, গতবারের চেয়ে ২ শতাংশ কমেছে৷ ব্যবসায় শিক্ষায় ৭৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং মানবিক বিভাগে ৫৫ দশমিক ০২ শতাংশ।
জিপিএ-৫ পাওয়া ১১ হাজার ৮৪৩ জনের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ১০ হাজার ৪৫৮ জন, ব্যবসায় শিক্ষায় ১ হাজার ২৪৭ জন এবং মানবিকে ১৩৮ জন শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (১০ মে) দুপুরে শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এ পারভেজ সাজ্জাদ চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চট্টগ্রাম ছাড়াও কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেয়। সব মিলিয়ে এবার ১ লাখ ৪০ হাজার ৯২৭ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এর আগেরবার অংশ নিয়েছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫৯০ জন পরীক্ষার্থী।
১৪৮ দিন আগে
এসএসসি: বিদেশি পরীক্ষার্থীদের পাসের হার ৮৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ
এ বছর ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ৮টি কেন্দ্রে বিদেশি পরীক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন, পাসের হার ৮৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
৮টি কেন্দ্র থেকে মোট ৪২৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন।
তাদের মধ্যে ৩৭৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন আর অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী ৫৪ জন। ১টি প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর ও ময়মনসিংহ এবং বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড একযোগে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।
এবার সারাদেশে মোট পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন এক লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জনে। গত বছর পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। আর জিপিএ ফাইভ পেয়েছিল এক লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন।
এ বছর সারা দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ১৯ লাখ ৩৬ হাজার ৫৭৯ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। মোট উপস্থিতি ছিল ১৯ লাখ আট হাজার ৮৬ জন। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা তেরো লাখ তিন হাজার ৪২৬ জন।
১৪৮ দিন আগে
এসএসসি: ঢাকা বোর্ডে পাসের হারে এগিয়ে মেয়েরা
এসএসএসি পরীক্ষার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর এই বোর্ডে মোট পাসের হার ৬৭ দশমিক ৫১ শতাংশ। তবে পাসের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা।
এ বছর ঢাকা বোর্ডে ছাত্রদের পাসের হার ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৭০ দশমিক ৩৬ শতাংশ। মোট জিপিএ ৫ পাওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৭ হাজার ৬৮ জন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টা নাগাদ ফল প্রকাশ করা হয়।
ঢাকা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর পরীক্ষায় অংশ নেয় মোট ৩ লাখ ৭৯ হাজার ২৪৭ জন পরীক্ষার্থী। যার মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৭৭ হাজার ৯৩৮ জন এবং ছাত্রী ২ লাখ ১ হাজার ৩০৯ জন।
আরও পড়ুন: এসএসসি ও সমমানে পাশের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ
এ বছর ১০ এপ্রিল থেকে ১৩ মে পর্যন্ত সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত পরিবেশে এসএসসি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বিদেশের ৮টি কেন্দ্রসহ মোট ৪৪৬টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ নিজ বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে পরীক্ষার ফলাফল সংগ্রহ করতে পারবে। এছাড়া, এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার ফলাফল সংগ্রহ করা যাবে। পরীক্ষার ফলাফল পুনর্নিক্ষণের জন্যও এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।
১৪৮ দিন আগে
এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ: পাশের হার ৬৮.৪৫ শতাংশ
এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং জিপিএ ফাইভ পেয়েছে এক লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জনে। গত বছর পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। আর জিপিএ ফাইভ পেয়েছিল এক লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবার ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে আনুষ্ঠানিকতা রাখা হয়নি। শিক্ষা বোর্ড গুলো আলাদা আলাদাভাবে ফল প্রকাশ করছে।
এ বছর সারা দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ১৯ লাখ ৩৬ হাজার ৫৭৯ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। মোট উপস্থিতি ছিল ১৯ লাখ আট হাজার ৮৬ জন। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা তেরো লাখ তিন হাজার ৪২৬ জন।
বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইট থেকে নির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে ফলাফল দেখা যাবে।
এ ছাড়া এসএসসির ফল জানা যাবে এসএমএসের মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে ইংরেজিতে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। (উদাহরণ: SSC Dha Roll Year)। ফিরতি মেসেজে ফলাফল জানিয়ে দেওয়া হবে।
এদিকে মাদ্রাসা বোর্ডের শিক্ষার্থীদের ফলাফল জানাতে হলে প্রিরেজিস্ট্রেশন করতে হবে। প্রিরেজিস্ট্রেশনের নিয়ম হলো: Dakhil লিখে স্পেস দিয়ে Mad লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর ও সাল লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। উদাহরণ: Dakhil Mad 123456 2025। ফলাফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই প্রিরেজিস্ট্রেশন করা নম্বরে ফলাফল পৌঁছে যাবে। কারিগরি বোর্ডের ফলাফল জানতে হলে টাইপ করতে হবে: SSC TEC রোল নম্বর 2025 এবং পাঠাতে হবে 16222 নম্বরে।
সব পরীক্ষাকেন্দ্র বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফলাফল সংগ্রহ করতে হবে। আর পরীক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফলাফল সংগ্রহ করতে পারবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা পত্রিকায় ফলাফল পাওয়া যাবে না।
গত ১০ এপ্রিল ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় নিয়মিত-অনিয়মিত মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৯ লাখ ২৮ হাজার ৯৭০ জন। ২০২৪ সালের তুলনায় এবার প্রায় এক লাখ পরীক্ষার্থী কম ছিল।
১৪৮ দিন আগে