কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামে সাপের কামড়ে কৃষকের মৃত্যু
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে সাপের কামড়ে আযম আলী (৩৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার অষ্টমীরচর ইউনিয়নের ছালিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আযম আলী ওই এলাকায় মোজাম্মেল হকের ছেলে। তবে আগে তিনি একই ইউনিয়নের লালচামারচর এলাকায় বসবাস করতেন।
স্থানীয় পশু চিকিৎসক এইচ এম মেহেদী জানান, শনিবার ফজরের আযানের সময় আযম আলী নিজ বাড়ির বাইরে বের হন। এসময় একটি বিষাক্ত সাপ তার পায়ে কামড় দেয়। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে পাশের গ্রামে ওঝার বাড়িতে নিয়ে যায়। ওঝার ঝাড়-ফুঁকে কাজ না হওয়ায় আযম আলীকে প্রায় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা পর চিলমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিলমারী হাসপাতালের আরএমও চিকিৎসক রবিউল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই আযম আলীর মৃত্যু হয়েছে।
৪৮ বোতল বিদেশি মদ জব্দ, নারী গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামে মাদক ব্যবসার অভিযোগে মমতা বেগম নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ওই নারীর বাড়ি থেকে ৪৮ বোতল বিদেশি
মদ জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সিলেটে জাল নোট জব্দ, যুবক গ্রেপ্তার
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে কচাকাটা থানার কেদার ইউনিয়নের ঢালুয়াবাড়ি বালাবাড়ি গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ রুহুল আমীন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কচাকাটার বালাবাড়ি গ্রামের মমতা বেগমের বাড়ি থেকে ৪৮ বোতল বিদেশি মদ জব্দসহ তাকে আটক করে।
তিনি আরও বলেন, আটক আসামির বিরুদ্ধে কুড়িগ্রামের কচাকাটা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অপহরণের ৬ দিন পর মাদরাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৫
মেহেরপুরে ৪০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ, একজন গ্রেপ্তার
ভুটানের বিনিয়োগকারীদের জন্য কুড়িগ্রামে ১৯০ একর জমি দেবে বাংলাদেশ, আলোচনা চলছে জলবিদ্যুৎ আমদানির
ভুটানের বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে কুড়িগ্রামে ১৯০ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করতে চায়। আর এ বিদ্যুৎ ভারতের মধ্য দিয়ে আনতে হবে। তাই ত্রিপক্ষীয় চুক্তি প্রয়োজন।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করছি।’
তিনি বলেন, সেখানে ভুটানের ২৫ হাজার মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নেপাল থেকেও জলবিদ্যুৎ আমদানি করবে এবং এ বিষয়ে প্রাথমিক পদক্ষেপগুলো নির্ধারণ করা হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, শুভেচ্ছা স্বরুপ বাংলাদেশ থিম্পুতে একটি বার্ন ইউনিট নির্মাণ করবে, যা দেশের সক্ষমতারও বহিঃপ্রকাশ।
তিনি ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকের সফর সম্পর্কেও জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ সময় বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে তিনটি নতুন সমঝোতা স্মারক সই হবে। এ ছাড়া সাংস্কৃতিক বিনিময় সংক্রান্ত আরও একটি সমঝোতা স্মারক নবায়ন করা হবে।
১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে যে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তার ই ধারাবাহিকতায় চার দিনের সফরে ভুটানের রাজার সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বাস্থ্য, শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী এবং ভুটানের রানী সোমবার সকালে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, 'ভুটানের সঙ্গে আমাদের বহুমুখী সম্পর্ক রয়েছে।’
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং ফার্স্ট লেডি গান স্যালুট ও গার্ড অব অনার দিয়ে বাদশাহকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
সোমবার সকাল ১০টায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে রাজার।
বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যাবেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে দেশের বাজারকে অস্থিতিশীল করাই বিএনপির উদ্দেশ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সোমবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করবেন ভুটানের রাজা। তারা দুজনের মধ্যে বৈঠক হবে।
বৈঠকের পর দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
একই দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগে রাজার সঙ্গে তার বাসভবনে সাক্ষাৎ করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার রাজা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটও পরিদর্শন করবেন রাজা।
তিনি বঙ্গভবনে যাবেন, সেখানে রাষ্ট্রপতি ও ফার্স্ট লেডি তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করবেন রাজা।
রাষ্ট্রপতি সফররত রাজপরিবারের সম্মানে ইফতার ও নৈশভোজের আয়োজন করবেন।
বুধবার সকালে রানী জেটসুন পেমা ওয়াংচুক ও ভুটানের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা একটি বিশেষ ফ্লাইটে ভুটানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বিমানবন্দরে তাদের বিদায় জানাবেন।
ভুটানের রাজা পদ্মা সেতু ও নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন।
বৃহস্পতিবার রাজা কুড়িগ্রামের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন।
একই দিন বিকেলে সোনাহাট স্থলবন্দর হয়ে আসামের গোলকগঞ্জের উদ্দেশে বাংলাদেশ ভূখণ্ড ত্যাগ করবেন।
সেখানে তাকে বিদায় জানাবেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
ভুটানের চতুর্থ রাজা জিগমে সিংগে ওয়াংচুক সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে এক চিঠিতে বলেন, তার গতিশীল ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা বিরাজের পাশাপাশি অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি ভুটানকে 'ঘনিষ্ঠ বন্ধু' হিসেবে উল্লেখ করেন।
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভুটানের তৃতীয় রাজা টেলিগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বীকৃতির বার্তা পাঠান। এর মধ্যে দিয়ে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম দেশ ভুটান।
সেই থেকে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে একটি বিশেষ বহুমাত্রিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রয়েছে। স্বাধীনতার পরপরই ভুটান সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। এর ফলে ১৯৭৩ সালের ১২ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: দেশকে মগের মুল্লুক বানাতে ব্যর্থ হয়ে খেই হারিয়েছে বিএনপি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কুড়িগ্রামে ভুট্টা খেতে ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর উপজেলায় ভুট্টা খেত থেকে ক্ষতবিক্ষত অজ্ঞাত একজনের লাশ উদ্ধার করেছে ফুলবাড়ী থানা পুলিশ।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ধরলা নদীর চরের পশ্চিম ধনীরাম গ্রাম থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারের হোটেল থেকে পর্যটকের লাশ উদ্ধার
ভুট্টা খেত মালিক স্থানীয় শাহ আলম জানান, শনিবার দুপুরে গবাদিপশুর ঘাস সংগ্রহের জন্য একদল নারী তার ভুট্টা খেতে প্রবেশ করে লাশটি দেখে এলাকাবাসীকে জানায়। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ জানান, ঘটনা জানার পরপরই পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
তিনি আরও জানান, আমাদের পুলিশ ও সিআইডি গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য রাতে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় পদ্মার চর থেকে যুবকের ৯ টুকরা লাশ উদ্ধার
গাইবান্ধায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির ভাসমান লাশ উদ্ধার
কুড়িগ্রামে শৈত্যপ্রবাহ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে কুড়িগ্রাম জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কয়েকদিন ধরেই ঘন কুয়াশার সঙ্গে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে জেলাজুড়ে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ জানিয়েছেন, পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত আমরা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আরও পড়ুন: সারা দেশে চলমান মৃদু শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’
দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা কুড়িগ্রামে বৃহস্পতিবার ৯ ডিগ্রি এবং শুক্রবার সকালে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের দায়িত্বরত সুবল চন্দ্র সরকার জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে জেলায় ৯ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস
গত ১০ থেকে ১২ বছরে জেলায় এত শীত পড়েনি। এ ধরনের তাপমাত্রা আরও দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
এর আগে মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে যে কোনো জেলার শিক্ষা কর্তৃপক্ষ স্কুল বন্ধ রাখতে পারবে।
আরও পড়ুন: চলমান মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে ঢাকায় কবে বৃষ্টি হবে?
শীতে কাহিল কুড়িগ্রামের মানুষ, হাসপাতালে বাড়ছে শিশুরোগী
তাপমাত্রা কমতে থাকায় কুড়িগ্রামে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। শীতের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষজন। ঠান্ডায় ব্যাহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। হাসপাতালে বেড়েছে শিশুরোগী।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে শীতার্তদের কষ্ট লাঘবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে ৪৩ হাজার কম্বল বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: শীতে কাবু কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের মানুষ
শীত ও কনকনে ঠান্ডায় খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছেন হতদরিদ্র মানুষজন। শীত ও কনকনে ঠান্ডায় শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।
মঙ্গলবার ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে ২০ জন শিশু। সেখানে গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিচ্ছেন আক্রান্তরা। হাসপাতালটিতে বর্তমানে ভর্তি রয়েছে ৪৩ শিশু।
এদিকে উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় কাহিল হয়েছে পড়েছে নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের মানুষগুলো। শীত ও কনকনে ঠান্ডায় কাজে যেতে না পারায় কষ্টে পড়েছে শ্রমজীবীরা।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে বিপর্যস্ত লালমনিরহাটের জনজীবন
কুড়িগ্রাম-রংপুর রেললাইন থেকে বোল্ট চুরি
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঠাটমারী বদ্ধভূমি এলাকার রেলসেতুর লাইনের কিছুসংখ্যক হুক বোল্ট (নাট) খুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকালে কুড়িগ্রাম রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. শামসুজ্জোহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ ও পুলিশ সুপার (এসপি) আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় ও রেলসূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম-রংপুর রেললাইনের ঠাটমারী বদ্ধভূমি এলাকায় অবস্থিত রেলসেতুর উপরের স্লিপারের নাট কে বা কারা খুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় দুপুরে রেলওয়েম্যান কুড়িগ্রাম রেল স্টেশন মাস্টারকে খবর দিলে তারা উপস্থিত হয়ে রেললাইনের কাজ শুরু করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির হরতাল-অবরোধে রেলে আক্রমণ বেড়েছে: রেলমন্ত্রী
স্টেশন মাস্টার শামসুজ্জোহা বলেন, ‘হারিয়ে যাওয়া বোল্টগুলোর স্থলে নতুন বোল্ট বসানো হয়েছে। এখন রেল চলাচলে কোনো সমস্যা নেই।’
এসপি মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছি। রেল বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, নাট চুরির বিষয়টি নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে নয়, বরং কেউ চুরি করেছে। ঘটনাস্থলে রেল বিভাগ কাজ করছে।’
আরও পড়ুন: গাজীপুর রেললাইনে নাশকতা: সিটির কাউন্সিলরসহ গ্রেপ্তার ৭
গাজীপুরে রেলওয়েতে ‘নাশকতা’: ট্রেন চলাচল শুরু, তদন্ত চলছে
শীতে কাবু কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের মানুষ
কুড়িগ্রামে এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা উঠানামা করছে। রবিবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে সূর্যের দেখা মিললেও শীতের দাপটে ব্যাহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছেন চরাঞ্চলের শ্রমজীবী, ছিন্নমূল ও অতি দরিদ্র মানুষজন। ঠান্ডায় সময়মতো কাজে যেতে না পারায় দুর্ভোগ বেড়েছে তাদের।
আরও পড়ুন: শীতের পোশাক পেল পথশিশুরা, সঙ্গে দেয়া হলো চাইনিজ খাবার
দিনের অধিকাংশ সময মেঘে ঢাকা থাকছে সূর্য। গত এক সপ্তাহ ধরে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে।
শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড়ের অভাবে দুর্ভোগে পড়েছে নদ-নদী তীরবর্তী এলাকার দরিদ্র মানুষ।
এদিকে শীতার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ইতোমধ্যেই ৪৫ হাজার কম্বল সংশ্লিষ্ট উপজেলায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছে।
উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. বাবলু মিয়া বলেন, আমার ইউনিয়নটি নদীবেষ্টিত। এখানে প্রচুর শীত ও কুয়াশা। এখানকার মানুষ শীতে কাবু হয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত সরকারি ভাবে শীতবস্ত্র পাইনি।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আগামী ২০ তারিখের পরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বেড়েছে শীতের তীব্রতা
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত
কুড়িগ্রাম গত তিন দিন ধরে শীত জেঁকে বসেছে। মাঝরাত থেকে ঘনকুয়াশায় ঢাকা পড়ছে চারদিক। সকালে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।
শীতের কারণে ছিন্নমূল ও শ্রমজীবী মানুষ পড়েছে বিপাকে। ঠান্ডার কারণে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশা আর শীতে বিপর্যস্ত লালমনিরহাটের জনজীবন
মঙ্গলবার (১২ ডিসম্বর) কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজারহাট উপজলার ছিনাই ইউনিয়নর মীরেরবাড়ী এলাকার কৃষক সমশের আলী ফুলকপি তুলছিলেন। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করি ঠান্ডা নামি গেইল। কামলারা আইসে নাই। নিজে কাম করবার নাগছি। কাজ-কাম করতে আঙুল অসাড় হয়া যায়।’
সদরের হলাখানা ইউনিয়নের কৃষক আমজাদ আলী তার বোরো বীজতলা নিয়ে চিন্তায় আছেন।
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বীজতলা ভালাই আছে। যে হারে কুয়াশা আর বাতাস বইছ তাতে বীজতলার ক্ষতিও হতে পারে।’
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আতিকুর রহমান জানান, দুপুর পর্যন্ত হাসপাতাল মোট ৩৬৪ জন রাগী ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রাগীও রয়েছে। এছাড়াও ডায়রিয়া আইসোলেশনে ৪৫ জন চিকিৎসা নিচ্ছে।
জলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, শীত মোকাবিলায় ৪৫ হাজার কম্বল ইউনিয়ন পর্যায় উপ-বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও পাঁচ হাজার শুকনা প্যাকেট ও সাত লাখ টাকা প্রস্তত রয়েছে।
আরও পড়ুন: শীতের শুরুতে ঢাকায় বেড়েছে গরম কাপড়ের বিক্রি
নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করলেন মাহি
কুড়িগ্রাম-৪ আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন প্রতিমন্ত্রী জাকির ও তার ছেলে
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন ও তার ছেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
মঙ্গলবার জাকির ও তার ছেলে সাফায়াত বিন জাকির রৌমারী উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
আওয়ামী লীগ ২৯৮টি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার ২ দিন পর মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন জাকির।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ৯টি আসনে নতুন মুখকে মনোনয়ন দিয়েছে আ.লীগ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন বিপ্লব হাসান পলাশ।
রাজিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বিপ্লব হাসান দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন এবং জাকির ও তার ছেলে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করায় তা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার শামিল।’
কুড়িগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিলহাজ উদ্দিন জানান, কুড়িগ্রাম-৪ আসনে প্রতিমন্ত্রীসহ ৪ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
আরও পড়ুন: নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন কিনেছেন যেসব তারকা
আ. লীগের ৬৯ জন সংসদ সদস্য এবার মনোনয়ন পাননি