ফখরুল ইসলাম
পাথর লুটকাণ্ডে জামায়াত নেতাদের জড়ানো দল ও ব্যক্তির চরিত্র হরণের ষড়যন্ত্র: ফখরুল ইসলাম
পাথর লুটপাটের ঘটনায় জামায়াত নেতাদেরকে জড়ানো জামায়াতে ইসলামী ও নেতাদের চরিত্র হরণের ষড়যন্ত্রের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ বলে দাবি করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, অতীতেও জামায়াতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র নস্যাত হয়েছে। এই ষড়যন্ত্রও নস্যাত হবে।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সিলেট জেলা ও মহানগর জামায়াতের যৌথ উদ্যোগে নগরীর বন্দরবাজার কুদরত উল্লাহ মার্কেটস্থ মহানগর কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
ফখরুল ইসলাম বলেন, পাথরলুটে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতে জামায়াত নেতাদের নিয়ে অপপ্রচার চলছে। পাথর লুট দূরে থাক কোনো অন্যায় ও অপকর্মের সঙ্গে জামায়াতের দূরতম কোনো সম্পর্ক নেই।
মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আর্তমানবতার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। কোনো অন্যায় ও অপকর্মের সঙ্গে জামায়াতের কোনো সম্পর্ক নেই। বরং সবধরণের লুটপাট, অন্যায় অপকর্মের বিরুদ্ধে জামায়াত সবসময় স্বোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসছে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি সিলেটের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন স্পট সাদাপাথরসহ বিভিন্ন স্পট থেকে পাথর লুটপাটের বিরুদ্ধে জামায়াত জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সেই পাথর লুটের সাথে জামায়াত নেতাদেরকে জড়িয়ে চরিত্র হরণের অপচেষ্টা চলছে।
ফখরুল ইসলাম বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সহিত লক্ষ্য করছি, সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে দুদকের বরাত দিয়ে সাদাপাথর লুটের সঙ্গে সিলেট মহানগর আমির ও জেলা সেক্রেটারি মো. জয়নাল আবেদীনের নাম উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জড়ানো হয়েছে।এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত ও নিন্দা জানান তিনি।
পড়ুন: নাটোরে দোকানে তালা লাগিয়ে চাঁদা দাবির বিষয় অস্বীকার জেলা জামায়াতের
তিনি বলেন বলেন, দুদকের বরাতে প্রকাশিত একটি দৈনিকের সংবাদে আমাকে এবং জেলা জামাায়ত সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীনকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জড়ানো হয়েছে। দুদকের রিপোর্টে জামায়াত নেতাদের নাম আছে এর কোন সত্যতা কোন গণমাধ্যম পায়নি।
নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে পাথর লুটে জড়িত প্রকৃত আসামিদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান জামায়াতের এই নেতা।
তিনি কোনো নিরীহ ও নিরপরাধ ব্যক্তি যাতে অযথা হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে সক্রিয় সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানান।
সিলেট মহানগর আমির বলেন, দুদক আদৌ এই ধরণের কোনো প্রতিবেদন দিয়েছে কিনা, এ ব্যাপারে আমরা এখনো নিশ্চিত নই। তবে যে তালিকার বরাতে খবর প্রকাশ করা হয়েছে তার কোনো অস্তিত্ব আমরা দুদকে খুঁজে পাইনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, সিলেট অঞ্চল টিম সদস্য হাফিজ আব্দুল হাই হারুন, মহানগর নায়েবে আমির ড. নূরুল ইসলাম বাবুল, জেলা সেক্রেটারি মো. জয়নাল আবেদীন, মহানগর সহকারী সেক্রেটারি জাহেদুর রহমান চৌধুরী ও জেলা সহকারী সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম
১০৫ দিন আগে
খালেদা জিয়ার হার্ট ও কিডনি অ্যাফেক্টেড: ফখরুল
করোনা পরবর্তী জটিলতায় বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার হার্ট ও কিডনি আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, 'চিন্তার বিষয় এটা যে করোনা পরবর্তী জটিলতায় খালেদা জিয়ার হার্ট ও কিডনি আক্রান্ত হয়েছে, চিকিৎসকরা এই বিষয় নিয়ে চিন্তিত এবং তাকে কীভাবে সুস্থ করা যায় সে ব্যাপারে তারা কাজ করছে।'
জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল জানান, বৃহস্পতিবার তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) খালেদা জিয়াকে দেখতে গিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমার এটা দেখে ভালো লেগেছে যে অনেক দিন পর উনার মুখে একটু হাসি দেখা গেছে।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক: বিএনপি
খালেদার চিকিৎসা বিষয়ে তিনি বলেন, তার অক্সিজেন সেচ্যুরেশন এখন বেশ ভালো, জ্বর এখন নেই এবং তার শ্বাসকষ্টও এখন নেই। কিন্তু যেটা একটু উদ্বিগ্ন হওয়ার বিষয়, তার করোনা পরবর্তী যে জটিলতা, সেই জটিলতায় হার্ট ও কিডনি একটু আক্রান্ত।
তিনি বলেন, চিকিৎসকরা তাকে বলেছেন হার্ট ও কিডনিসহ নানা জটিলতার কারণে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উন্নত হাসপাতালে আধুনিক যন্ত্রপাতি আছে এমন জায়গায় চিকিৎসা দরকার।
বিএনপি নেতা বলেন, 'এজন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্য যে সরকার অনুমতি দেয়নি।'
হাসপাতালের চিকিৎসক এবং খালেদার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘তারা নিয়মিতভাবে তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছে এবং যুক্তরাষ্ট্র এবং লন্ডনের চিকিত্সকদের সাথে পরামর্শ করে তাকে আরও ভালো চিকিত্সা দেয়ার চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে আবার আমাদের মধ্যে ফিরে আসবেন এবং দেশের কল্যাণে কাজ করবেন।।
৭৬ বছর বয়সী বিএনপি নেত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৭ এপ্রিল এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভর্তির একদিন পর ২৮ এপ্রিল এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
পরে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।
গত ১০ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা পজিটিভের ফল আসে। তিনি ছাড়াও তার বাসার আট সদস্য করোনায় আক্রান্ত। ২৪ এপ্রিল খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় দফা করোনা পরীক্ষাতেও ফলাফল পজিটিভ আসে।
২৭ দিন করোনা আক্রান্ত থাকার পর ৮ মে খালেদার করোনা নেগেটিভ আসে।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার অনুমতি চেয়ে তার পরিবার সরকারের কাছে আবেদন করেছিল। কিন্তু সরকার সেই আবেদনে অনুমতি দেয়নি।
দুর্নীতির মামলায় ২৫ মাস কারাভোগের পর করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে নির্বাহী আদেশে ছয় মাস দণ্ড স্থগিত হওয়ায় গত বছরের ২৫ মার্চ সাময়িক মুক্তি পান সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী।
১৬৫৮ দিন আগে