সামিট
ন্যাম ও সাউথ সামিটে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে উগান্ডায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) ১৯তম শীর্ষ সম্মেলন এবং গ্রুপ ৭৭ ও চীনের তৃতীয় সাউথ সামিটে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিতে উগান্ডায় পৌঁছেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে শুক্রবার বিকেলের মধ্য উগান্ডার এনটেবে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
আরও পড়ুন: সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে বাণিজ্য বিস্তৃতিতে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান কেনিয়ায় নিযুক্ত ও একই সঙ্গে উগান্ডায় স্বীকৃত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারেক মুহাম্মদ। ন্যামের প্রাক-শীর্ষ সম্মেলন সেশনে যোগ দেওয়া পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন ও জাতিসংঘে দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাতিসংঘ উইংয়ের মহাপরিচালক মো. এমদাদুল ইসলাম চৌধুরী মন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন।
এই দুই বহুপাক্ষিক সম্মেলনে যোগদান শেষে ২২ জানুয়ারি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে মন্ত্রীর।
আরও পড়ুন: ন্যাম সামিট: বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান: ইইউ রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দ্বিতীয় গ্লোবাল সাউথ সামিটে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
ভারত শুক্রবার(১৭ নভেম্বর) ভার্চুয়াল ফরম্যাটে দ্বিতীয় ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিটের (ভিওজিএসএস) আয়োজন করবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি এই সামিটে যোগ দেবেন।
দ্বিতীয় ভিওজিএসএস ১০টি সেশনে অনুষ্ঠিত হবে।
উদ্বোধনী এবং সমাপনী অধিবেশনগুলো রাষ্ট্র / সরকার প্রধান পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এটির উদ্বোধন করবেন।
উদ্বোধনী নেতাদের অধিবেশনের প্রতিপাদ্য ছিল‘একসঙ্গে, সবার বিকাশে, সবার আস্থা’ এবং সমাপনী নেতাদের অধিবেশনের প্রতিপাদ্য ছিল ‘দক্ষিণ বিশ্ব: একসঙ্গে সবার ভবিষ্যৎ’।
২০২৩ সালের ১২-১৩ জানুয়ারি ভার্চুয়াল ফরম্যাটে প্রথম ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিটের (ভিওজিএসএস) আয়োজন করেছিল ভারত।
এই অনন্য উদ্যোগটি গ্লোবাল সাউথের ১২৫টি দেশকে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং অগ্রাধিকারগুলো একটি সাধারণ প্ল্যাটফর্মে বিনিময়ের জন্য একত্রিত করেছে।
জি-২০ প্রেসিডেন্সির সময় ভারত গ্লোবাল সাউথের উদ্বেগগুলো যথাযথভাবে গ্রহণ করে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলোর সমাধান খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে গ্লোবাল সাউথের অগ্রাধিকারগুলো যথাযথভাবে বিবেচনা করা হয় তা নিশ্চিত করতে কাজ করেছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দ্বিতীয় ভিওজিএসএস ভারতের সভাপতিত্বকালে বিভিন্ন জি-২০ বৈঠকে অর্জিত মূল ফলাফলগুলো গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোর সঙ্গে বিনিময় করে নেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করবে।
আরও পড়ুন: কূটনীতিকরা স্টেশন ছাড়ার বিষয়ে কোনো তথ্য জনসম্মখে প্রকাশ করা হয় না: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র
এতে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক উন্নয়নের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জগুলোও নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও, এই শীর্ষ সম্মেলন আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, প্রতিনিধিত্বমূলক এবং প্রগতিশীল বিশ্ব ব্যবস্থার আমাদের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার দিকে সৃষ্ট গতি বজায় রাখার উপায়গুলো নিয়ে আলোচনার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করবে।
এ ছাড়া ‘ইন্ডিয়া অ্যান্ড দ্য গ্লোবাল সাউথ: এমার্জিং টুগেদার ফর এ বেটার ফিউচার’ শীর্ষক পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের অধিবেশন, 'মানবসম্পদের ভবিষ্যত প্রস্তুত করা' শীর্ষক শিক্ষামন্ত্রীদের অধিবেশন, 'জনকেন্দ্রিক উন্নয়নে অর্থায়ন' শীর্ষক অর্থমন্ত্রীদের অধিবেশন, 'জলবায়ু সহনশীলতা ও জলবায়ু অর্থায়নের জন্য টেকসই সমাধান' শীর্ষক পরিবেশ মন্ত্রীদের অধিবেশনসহ ৮টি মন্ত্রী পর্যায়ের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশিরা নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে: ভারত
পুতিনের সাথে বৈঠকে প্রস্তুত বাইডেন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান কর্তা হিসেবে দায়িত্ব নেবার পর নিজের প্রথম বিদেশ সফরে ইউরোপকে বেছে নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আর এই সফরের মূল আকর্ষণ হলো রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সাথে বৈঠক।ইউরোপীয় মিত্রদের সাথে বৈঠকের পর মঙ্গলবার জেনেভায় পৌঁছে নিজেকে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে বৈঠকের জন্য প্রস্তুত বলে ঘোষণা করেন বাইডেন। সেখানে এক সাংবাদিক বাইডেনের দিকে পুতিনের সাথে বৈঠকের প্রস্তুতির ব্যাপারে প্রশ্ন ছুড়ে দিলে তিনি বলেন, ‘আমি সবসময়ই প্রস্তুত।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক সুগভীর করতে চান বাইডেন
বুধবার যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার এই বৈঠকে প্রথমবারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুতিনের মুখোমুখী হতে চলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নয়া রাষ্ট্রপতি বাইডেন। আজকের এই আলোচনা যথেষ্ঠ বন্ধুত্বপূর্ণ এবং ফলপ্রসূ হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে বিশ্বের দুই শক্তিশালী দেশের প্রধানদের এই বৈঠকের দিকেই তাকিয়ে আছে বিশ্ব।
আরও পড়ুন: বাইডেন-পুতিনের প্রথম ফোনালাপ: কী কথা হলো তাদের মধ্যে?
দীর্ঘ এক সপ্তাহের ইউরোপ সফরের পর এটাই প্রতীয়মান হচ্ছে, জো বাইডেন মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির অংশ হিসেবেই ইউরোপীয় বন্ধু দেশগুলোর সাথে নিবিড় সম্পর্ক জোরদার করতে চাইছেন। এর পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বী রাশিয়া ও চীনের সাথে লড়াইয়ে এগিয়ে যাবার চেষ্টাও করছেন।
আরও পড়ুন: করোনা মহামারি ইস্যুতে শি জিনপিং-পুতিন ফোনালাপ
এর আগে গ্রুপ অব সেভেন (জি-৭), ন্যাটো এবং মার্কিন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন সামিটে অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
ফাইভজি সামিট আয়োজন করবে রিয়েলমি
তারুণ্য-কেন্দ্রিক ব্র্যান্ড রিয়েলমি ফাইভজি’র উন্নয়ন এবং এর সম্ভাবনা নিয়ে ‘মেকিং ফাইভজি গ্লোবাল: অ্যাক্সেসিবিলিটি ফর অল’ শীর্ষক একটি ভার্চুয়াল বৈশ্বিক ফাইভজি সামিট আয়োজন করতে যাছে।
আগামী ৩ জুন এই সামিট অনুষ্ঠিত হবে। এই আয়োজনে তাদের সাথে আছে জিএসএমএ, কাউন্টারপয়েন্ট ও কোয়ালকম।
এই সামিটটি জিএসএমএ’র লাইভস্ট্রিম চ্যানেল ও রিয়েলমি’র অফিশিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলগুলো থেকে সম্প্রচারিত হবে।
উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানগুলো বর্তমান সময়ে আইসিটি খাতের নেতৃত্বস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত। সামিটে এ প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা ফাইভজি সম্পর্কে তাদের ভাবনা তুলে ধরবেন এবং ফাইভজি’র বিকাশের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ বিশ্বে কী ধরনের সম্ভাবনা তৈরি হবে তা নিয়ে আলোচনা করবেন।
আরও পড়ুন: অন্ধকারে ছবি তুলতে আসছে ডুয়েল স্পটলাইট স্মার্টফোন ভিভো ভি২১
জিএসএমএ ইন্টেলিজেন্সের প্রিন্সিপাল ইকোনোমিস্ট ক্যালভিন বাহিয়া, কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের ভিপি ও কো-ফাউন্ডার পিটার রিচার্ডসন, রিয়েলমির ব্র্যান্ড ডিরেক্টর জনি চেন, কোয়ালকম ইন্ডিয়া ও সার্কের ভিপি ও প্রেসিডেন্ট রাজেন ভাগাদিয়া, এবং রিয়েলমির ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং রিয়েলমি ইন্ডিয়া ও ইউরোপের সিইও মাধব শেঠ এ সামিটে অংশগ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন: ঈদে আসছে স্লিম এবং ট্রেন্ডি রিয়েলমি ৮, সি২৫ এবং গেম প্রো কিট
অংশগ্রহণকারীরা বর্তমানের উদীয়মান বাজারে ফাইভজি’র প্রত্যাশিত বিকাশ, মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারে প্রতিবন্ধকতা, বৈশ্বিক মহামারি পরবর্তী সময়ে এর বিকাশের সম্ভাব্য উপায়, নিম্ন মূল্য পরিসীমায় ফাইভজি নামিয়ে আনা, ফাইভজি’র জন্য ফিচার সমৃদ্ধ স্মার্টফোন তৈরি এবং ফাইভজি প্রযুক্তিকে আরও ভালোভাবে ব্যবহার করা যাবে এমন অ্যাপ্লিকেশন করা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করবেন।
রিয়েলমি এই ভার্চুয়াল সামিটে ফাইভজি যুগে তাদের ভূমিকা ও ভবিষ্যৎ পণ্য নিয়ে আলোচনা করবে।
প্রতিষ্ঠানটি তুলে ধরবে, কেন তারা মনে করে তরুণদের জন্য ফাইভজি ইন্টারনেট সুবিধা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে?
আরও পড়ুন:বাংলাদেশে শীর্ষ চারে উঠে আসলো রিয়েলমি
রিয়েলমি’র পণ্যগুলো কীভাবে ফাইভজি প্রযুক্তির সাথে অনবদ্য একটি অভিজ্ঞতা নিয়ে আসবে সে সম্পর্কে আলোকপাত করবে রিয়েলমি।
এ সামিট নিয়ে রিয়েলমি বাংলাদেশের টিম শাও বলেন, ‘এই সামিটটি রিয়েলমি’র জন্য অনেক গুরত্বপূর্ণ একটি আয়োজন, কারণ আমরা এ সামিটের মতামতগুলো গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করবো। এটি উল্লেখযোগ্য যে, তরুণদের পছন্দের ব্র্যান্ড রিয়েলমি ভবিষ্যতে বাংলাদেশে যেসব ফাইভজি সমর্থিত মোবাইলফোন আনবে সেগুলো সবার জন্য সহজলভ্য হবে এবং সর্বোচ্চ ফাইভজি সুবিধা নিয়েই ফোনগুলো আসবে। আমরা নিশ্চিত করবো যে সর্বোচ্চ সুবিধাসহ মোবাইল ফোনগুলো মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত পর্যায়ের সকল মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই থাকবে।’