চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাটে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ
চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাট জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এছাড়াও রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু অংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
তবে কিছু জায়গায় তীব্রতা কমতে পারে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে।
আরও পড়ুন: ৮ বিভাগে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ
বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: আরও ৫ দিন অব্যাহত থাকতে পারে তাপপ্রবাহ: বিএমডি
৪০.২ ডিগ্রি দাবদাহে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, হাঁপিয়ে উঠেছে খেটে খাওয়া মানুষ
চুয়াডাঙ্গায় শনিবার (৬ এপ্রিল) এই মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ছে, হাঁপিয়ে উঠেছে খেটে খাওয়া মানুষ। এছাড়া পুরো সপ্তাহজুড়ে এ জেলার উপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
এর আগে শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি।
আরও পড়ুন: ৫ বিভাগে তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি বাড়তে পারে: আবহাওয়া অফিস
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক আলতাফ হোসেন বলেন, শনিবার দুপুরে ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বিকেল ৩টায় তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা দেশের ও চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
তিনি আরও বলেন, এপ্রিলের শুরু থেকে চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় প্রচুর ঘাম ঝরছে এবং গরমের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে।
ধারণা করা হচ্ছে, তাপমাত্রা আগামী কয়েকদিন এমন থাকতে পারে এবং জেলায় এ মাসে অতি তীব্র তাপপ্রবাহের আশঙ্কা আছে।
আলতাফ হোসেন বলেন, এ পরিস্থিতি থাকবে আরও কয়েকদিন। দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও এ অঞ্চলে তেমন সম্ভাবনা নেই।
এদিকে, তীব্র গরমে রোজাদারসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ হাঁপিয়ে উঠেছে। বিশেষ করে প্রাণিকূলের অবস্থা আরও খারাপ।
চুয়াডাঙ্গা সদরের আমিরপুর মাঠে গরু চরান জব্বার আলী। তিনি বলেন, যে গরম এতে করে মাঠে দাঁড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। গরুও মাঠে থাকছে না। খুব কষ্ট হচ্ছে। বৃষ্টি হলে ভালো হয়।
ভ্যানচালক মিঠুন মিয়া বলেন, এই গরমে গাড়ি নিয়ে বের হওয়া যাচ্ছে না। সামনে ঈদ অথচ গরমের কারণে যাত্রী নেই। খুব খারাপ অবস্থা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সাধারণত তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মৃদু তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা যদি ৩৮-৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে, তবে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০-৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে তা হয় তীব্র বা প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ। আর ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলে তা হয় চরম বা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি, হিট অ্যালার্ট জারি
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪০ ছুঁই ছুঁই
চুয়াডাঙ্গায় বাস চাপায় প্রতিবন্ধী কিশোরের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় যাত্রীবাহী বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে নুরনবী (১৬) নামে এক প্রতিবন্ধী কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামের আমতলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নুরনবী একই উপজেলার সিংনগর গ্রামের মসজিদ পাড়ার হাসেম আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: নড়াইলের ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম, ৪ দিন পর মৃত্যু
এ ঘটনায় ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় উত্তেজিত জনতা।
খবর পেয়ে জীবননগর থানা পুলিশ এবং জীবননগর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রায় ২ ঘণ্টা পর সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
প্রতক্ষদর্শীরা জানায়, সিংনগর গ্রামের প্রতিবন্ধী নুরনবী বাইসাইকেলযোগে বিকেল সাড়ে ৪টার সময় বাড়ি থেকে বের হয়ে উথলী বাসস্ট্যান্ডে যাচ্ছিল। সে সাড়ে ৫টার দিকে উথলীর আমতলায় প্রধান সড়কে উঠলে জীবননগর থেকে ছেড়ে আসা চুয়াডাঙ্গাগামী যাত্রীবাহী বাস খাতুন এন্টারপ্রাইজ তাকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে নুরনবী রাস্তার ওপর ছিটকে পড়লে বাসের পেছনের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
জীবননগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জাবীদ হাসান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ২৬ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু নেই
কুমিল্লায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক জনের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় সাইকেলে বাসের ধাক্কা, নিহত ১
চুয়াডাঙ্গা সদরের আলুকদিয়ায় বাসের ধাক্কায় সাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের আলুকদিয়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শামসুল ইসলাম (৫০) সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের পীরপুর গ্রামের মৃত মিসকার মল্লিকের ছেলে।
আলুকদিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুল জব্বার বলেন, সকালে সাইকেলে পান বিক্রির জন্য চুয়াডাঙ্গা বড়বাজার পানের হাটে যাচ্ছিলেন শামসুল। এ সময় চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে উঠলে চুয়াডাঙ্গাগামী চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের একটি বাস তাকে ধাক্কা দেয়।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে ট্রাকচাপায় শিশুসহ নিহত ২
তিনি সড়কে পড়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ও ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেকেন্দার আলী বলেন, অভিযোগ না থাকায় আবেদনের প্রেক্ষিতে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে তিন বাহনের সংঘর্ষ, নিহত ১
চুয়াডাঙ্গায় আবারও শীত বেড়েছে, তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি
চুয়াডাঙ্গায় আবারও শুরু হয়েছে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়াতে।
আরও পড়ুন: মাঘের শীতে কাবু কুড়িগ্রামের মানুষ, তাপমাত্রা ৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস
সকাল থেকে সূর্যের দেখা মিললেও শৈত্যপ্রবাহের কারণে কমেনি শীতের দাপট।
শহরের মুরগি বিক্রেতা ইয়ারুল আলি বলেন, কয়েকদিন পর শুক্রবার সকালে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। গ্রাম থেকে খুব সকালে শহরে মুরগি বিক্রি করতে হয়। প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে লোকজনের দেখা মিলছে না।
দিনমজুরেরা বলেন, কনকনে শীত পড়ছে সঙ্গে বাতাসে আরও শীতের তিব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। ভোরে কৃষি কাজের জন্য মাঠে এসেছি। ঠান্ডায় হাত চলছে না।
এদিকে, শীতজনিত কারণে রোটাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শিশু ডায়রিয়া রোগী সদর হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এছাড়া নিউমোনিয়ার রোগীও বাড়ছে।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস
সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন জানিয়েছেন, প্রতিদিন শীতজনিত কারণে ৭০০-৮০০ রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান হক বলেন, শুক্রবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়াতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
তিনি আরও জানান, এছাড়া মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাছে। শনিবারও একই রকম আবহাওয়া থাকতে পারে। এরপর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র শীতে বোরোর বীজতলা নষ্টের আশঙ্কা
তিনি জানান, আগামী ১৫-১৬ তারিখের দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
শৈত্য প্রবাহে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ
চুয়াডাঙ্গায় আবারও শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। হাড় কাঁপানো শীত ও ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় জনজীবন স্থবীর হয়ে পড়েছে।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯০ শতাংশ। তীব্র শীতে জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হলেও খোলা রয়েছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
আরও পড়ুন: শৈত্য প্রবাহ থেকে ফসল রক্ষায় যে পরামর্শ দিল কৃষি মন্ত্রণালয়
সরেজমিনে জেলার কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা যায়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো চলছে আগের নিয়মেই। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধের ব্যাপারে আগে থেকে না জানায় তীব্র শীত উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ে আসে শিশু শিক্ষার্থীরা। একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও দাপ্তরিক কার্যক্রম চালু থাকায় বিদ্যালয়ে এসেছেন শিক্ষকরা।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে হালকা বৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। ওই দিন সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এরপর সারাদিনই আকাশ মেঘলাসহ কিছু জায়গায় বৃষ্টি হয়। শুক্রবার আকাশ পরিষ্কার হয়ে সূর্যের দেখা মিললেও ছিল না রোদের উত্তাপ। তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
একদিন পরই শনিবার এ জেলায় তাপমাত্রা ২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে দাঁড়ায় ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বশেষ রবিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজ সোমবার ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসককে কৃষি মন্ত্রণালয়ে বদলি
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ ধারাবাহিকতায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয় আজ বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। এদিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তবিবুর রহমান জানান, সোমবার চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামায় প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে বার্তা পাঠিয়ে বিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান জানান, সোমবার জেলার সব মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা থাকবে। তবে তীব্র শীতের কারণে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, সোমবার সকাল ৬টায় এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। আর সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় পশু-পাখির সুরক্ষা: বন্যা, খরা ও শৈত্য প্রবাহে করণীয়
চুয়াডাঙ্গায় ৭ কেজি রূপা জব্দ
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে সাত কেজি রূপার গহনা জব্দ করেছে ডিবি পুলিশ। এ সময় পুলিশ দেখে মোটরসাইকেল রেখে দৌড়ে পালিয়ে যান এসব গহনা বহনকারী ব্যক্তি।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৩ লাখ ইউরো সহায়তা দিচ্ছে ইইউ
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা ডিবি পুলিশের একটি টহলদল গোপন সংবাদ পেয়ে দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করছিল। এ সময় এক ব্যক্তি মোটরসাইকেলে করে বাসস্ট্যান্ড অতিক্রম করছিলেন। ডিবি পুলিশ তাকে চ্যালেঞ্জ করলে মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যান তিনি।
পরে জনসম্মুখে ডিবি পুলিশ মোটরসাইকেলের ছিটের নিচ থেকে সাত কেজি রূপার গহনা উদ্ধার করে। যার আনুমানিক মূল্য ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিমানে আসনের নিচ থেকে সাড়ে ৪ কেজি স্বর্ণালঙ্কার জব্দ
চুয়াডাঙ্গা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, সাত কেজি রুপাসহ মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে দামুড়হুদা থানায় একটি মামলা হয়েছে এবং আসামি আটকের জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ২৩টি স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ২
চুয়াডাঙ্গা ও নওগাঁর বদলগাছীতে আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড
দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যৌথভাবে চুয়াডাঙ্গা ও নওগাঁর বদলগাছীতে রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একইসঙ্গে নওগাঁ জেলার বদলগাছীতেও ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানান, গত কয়েক দিন ধরে জেলায় তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রির আশপাশে থাকলেও হঠাৎ করে আজ নেমে গেছে। সকাল ৯টায় এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এ জেলার ও দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন।
তিনি আরও বলেন, নওগাঁ জেলার বদলগাছীতেও ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ফলে যৌথভাবে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এই দুই জায়গায়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
এদিকে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় ঠাণ্ডায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সড়কে কমেছে মানুষের চলাচল। শীতকে উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে ছুটছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
দিনমজুর সাত্তার আলী বলেন, ‘খুব শীত পড়ছে। আজ কাজে যেতে পারিনি। কাজ না করলে সংসার চালানো কষ্ট হয়ে যাবে।'
চালক আলামিন বলেন, ‘শীতে মানুষ বাইরে কম বের হচ্ছে। তাই যাত্রী কম। আর যে শীত, গাড়ি চালানোও খুব কষ্টের।’
উল্লেখ্য, গত কয়েক দিন রাত থেকে সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছে। সকাল থেকে ঘন কুয়াশায় দৃষ্টিসীমা কমে আসে। সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যান চলাচল করতে দেখা যায়। যার কারণে রাস্তাঘাটে মানুষ চলাচল তুলনামূলক কম দেখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ফের বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
চুয়াডাঙ্গায় ১৫ প্রার্থীর মধ্যে ৯ জন জামানত হারালেন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনের ১৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ৯ জন প্রয়োজনীয় ভোট না পাওয়ায় জামানত হারিয়েছেন।
তারা হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ শহীদুর রহমান, জাতীয় পার্টির সোহরাব হোসেন, জাকের পার্টির আব্দুল লতিফ খান, স্বতন্ত্র প্রার্থী নূর হাকিম, স্বতন্ত্র নজরুল মল্লিক, জাতীয় পার্টির রবিউল ইসলাম ও জাসদের দেওয়ান মো. ইয়াসিন উল্লাহ। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গা-১ ও ২ আসনের ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ইদ্রিস চৌধুরী।
আরও পড়ুন: ২২ দল আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়নি নির্বাচন কমিশনে
এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে ৩ জন এবং চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে ৬ জন প্রার্থী রয়েছেন বলে রবিবার রাতে চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ঘোষিত ফলাফলে জানা গেছে।
নিয়ম অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী যদি মোট ভোটের অন্তত ১২ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট না পান, তাহলে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: কোনো কেন্দ্রে জাল ভোট হলে প্রিজাইডিং অফিসারকে বরখাস্ত করা হবে: নির্বাচন কমিশনার
ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তারা সবাই তাদের জামানত বাঁচাতে ন্যূনতম ভোট পেতে ব্যর্থ হয়েছেন।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোতাওয়াক্কিল রহমান জানান, নিয়ম অনুযায়ী যারা নির্বাচনে মোট ভোটের ন্যূনতম ১২ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পাননি, তারা জামানতের টাকা ফেরত পাবেন না।
দেশের ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৯৯টিতে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোট গ্রহণ চলে।
আরও পড়ুন: ভালো নির্বাচন না হলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে: নির্বাচন কমিশনার
চুয়াডাঙ্গার দু’টি আসনে প্রতীক পেয়েই জোর প্রচারণায় ১৩ প্রার্থী
চুয়াডাঙ্গার দু’টি আসনে ১৩ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন হয়েছে। প্রতীক পেয়েই প্রার্থীরা জোর প্রচারণায় নেমেছেন।
নির্বাচনী আচরণ মেনে ভোটারদের কাছে ভোট চাওয়া শুরু করেছেন তারা। প্রথম দিনেই নির্ধারিত সময়ে মাইকিং শুরু করেছেন তারা। প্রচারণার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই চুয়াডাঙ্গা শহরের সড়কে সড়কে প্রার্থীরা টাঙানো শুরু করেছেন পোস্টার।
প্রতীক পেয়েছেন চুয়াডাঙ্গা—১ আসনে ৬ জন ও চুয়াডাঙ্গা—২ আসনে ৭ জন প্রার্থী। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে প্রতীক বরাদ্দ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা—১ ও ২ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা-১ ও ২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কিনলেন যারা
প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই শুরু হয়েছে আনুষ্ঠিানিক প্রচার—প্রচারণা। চুয়াডাঙ্গা শহরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীরা পোস্টার লিফলেট বিতরণ শুরু করেছেন।
চুয়াডাঙ্গা—১ আসনে প্রতীক বরাদ্দ পেলেন যারা-
আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন পেয়েছেন ‘নৌকা প্রতীক’, স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ—কমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা পেয়েছেন ‘ঈগল’, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী আইনজীবী সোহরাব হোসেন পেয়েছেন ‘লাঙ্গল’, এনপিপি মনোনীত ইদ্রিস চৌধুরী পেয়েছেন ‘আম’, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অর্থ উপ—কমিটির সদস্য রাজ্জাক খান পেয়েছেন ‘ফ্রিজ’ প্রতীক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক নৌ কমান্ডার এম শহিদুর রহমান পেয়েছেন ‘ট্রাক’ প্রতীক।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে ৪টি আসনের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ