ভোলা
ভোলায় বাড়িতে ঢুকে মসজিদের খতিবকে কুপিয়ে হত্যা
ভোলায় নিজ বাড়িতে ঢুকে মাওলানা আমিনুল হক নোমানী (৪৫) নামে এক মসজিদের খতিব ও মাদরাসা শিক্ষককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত সোয়া ৯টার দিকে শহরের চরনোয়াবাদে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মাওলানা আমিনুল হক নামের ওই ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা।এরপর স্থানীয়রা উদ্ধার করে রাত ১০টার দিকেভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।
নিহত মাওলানা আমিনুল হক নোমানী ওই এলাকার মাওলানা এনামুল হকের ছেলে। তিনি ভোলা সদর উপজেলা জামে মসজিদের খতিব ও ভোলা দারুল হাদিস কামিল মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম চরনাবাদ জামে মসজিদ থেকে এশার নামাজ শেষ করে বাড়িতে যান আমিনুল হক। এ সময় তার স্ত্রী, এক মেয়ে ও দুই ছেলে সন্তানদের কেউই বাড়িতে ছিল না। রাত সোয়া ৯টার দিকে আমিনুল হককে তার নিজ ঘরের মধ্যে কুপিয়ে জখম করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।
এ সময় তার চিৎকার শুনে ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য আমিনুল হককে ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের মাথা, গলা, ঘাড়, বুক ও পেটসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর জখমের আঘাত ছিল বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
সরেজমিনে তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, আমিনুল হকের বাড়ির ড্রয়িং রুমে সোফার সামনে মেঝেতে রক্ত পড়ে আছে। একটি ওয়েব ক্যামসহ কম্পিউটার অন করা অবস্থায় রয়েছে। টেবিলের ওপর তার কম্পিউটারের সামনে একটি ঘড়ি। অপর টেবিলে তার টুপি পড়ে আছে। তবে তাকে হত্যার কারণ এখনো জানা যায়নি।
এ ঘটনার বিচার দাবিতে তাৎক্ষণিক ভোলা সদর রোডে বিক্ষোভ মিছিল করে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন ইসলামিক দলের নেতারা ও এলাকাবাসী। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীকে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু শাহদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে পুলিশের একাধিক টিম কার্যক্রম শুরু করেছে।
৮৯ দিন আগে
ভোলায় ছাত্রলীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার
ভোলায় মো. সাইফুল্লাহ আরিফ নামে (৩০) এক নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (৩০ আগস্ট) ভোরে সদর উপজেলার কালিবাড়ী রোড এলাকার নববী মসজিদ-সংলগ্ন নিজ বাড়ির সামনে থেকে তার মরদেহ উদ্ধার পুলিশ।
নিহত আরিফ ভোলা সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং স্থানীয় সাবেক শিক্ষক মো. বশির উদ্দিনের একমাত্র ছেলে। তিনি পেশায় একজন ডিপ্লোমা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার।
একমাত্র ছেলের এমন হত্যা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না বাবা-মা, ছেলেকে হারিয়ে প্রায় পাগল তারা।
আরিফের বাবা জানান, গতকাল (শুক্রবার) রাতের খাবার শেষে মাকে পানি খাইয়ে ১২টার দিকে আরিফ তার রুমে ঘুমাতে যান। শনিবার ভোরে ফজরের নামাজের সময় গেইট খুলে বাইরে বের হলে বাড়ির সামনের রাস্তায় আরিফের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। পরে তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসেন।
স্থানীয় ও স্বজনদের ধারণা, রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা আরিফকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: সাভার ও আশুলিয়ায় শিশুসহ দুজনের মরদেহ উদ্ধার
এরপর ভোলা ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, কারা বা কী কারণে আরিফকে হত্যা করেছে তা তাদের জানা নেই। এ ঘটনায় প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করেন নিহতের পরিবার।
ভোলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন জানান, এ ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনে তদন্ত চলছে।
৯৬ দিন আগে
তিন দিন বন্ধ থাকার পর ভোলার নৌপথে লঞ্চ চলাচল শুরু
বৈরী আবহাওয়ার কারণে টানা তিন দিন বন্ধ থাকার পর ভোলার ১০টি অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রীবাহী লঞ্চ ও সি-ট্রাক চলাচল শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) সকাল থেকে এসব নৌপথে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে জানায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
বিআইডব্লিউটিএর ভোলা নদী বন্দরের পরিবহন পরিদর্শক কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন জানান, শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে এসব রুটে নৌযান চলাচল শুরু হয়েছে। এতে করে যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। দূরদূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা ইলিশা লঞ্চ ঘাট দিয়ে নৌপথে যাতায়াত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: ভোলার মেঘনায় ঝড়ে ট্রলারডুবি, পাঁচ জেলে উদ্ধার
১২৫ দিন আগে
ভোলায় ১৪ কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ জাল ও পলিথিন জব্দ
ভোলার চরফ্যাশনে প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ জাল ও নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কোস্ট গার্ড ও মৎস্য অধিদপ্তরের সমন্বয়ে ভোলার চরফ্যাশন বাজারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
শনিবার (১৯ জুলাই) সকালে কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘গতকাল (শুক্রবার) অভিযান চলাকালে ১০টি গুদাম তল্লাশি করে প্রায় ১৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা মূল্যের ৫ লাখ মিটার নতুন কারেন্ট জাল, ৫ লাখ মিটার চরঘেরা জাল, ১ লাখ মিটার মশারি জাল, ৩ হাজার পিস চায়না দুয়ারি জাল, ৪ পিস বেহুন্দি জাল এবং ২০ হাজার কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়।’
পরে জব্দ করা জাল উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বিনষ্ট করা হয় এবং নিষিদ্ধ পলিথিন ভোলা পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলেও জানান তিনি।
১৩৮ দিন আগে
ভোলায় ২০ কেজি হাঙ্গরসহ ৮০০ কেজি সামুদ্রিক মাছ জব্দ
ভোলার লালমোহন উপজেলায় ২০ কেজি হাঙ্গরসহ ৮০০ কেজি সামুদ্রিক মাছ ও ২টি অবৈধ আর্টিসানাল ট্রলিং বোট জব্দ করেছে কোস্টগার্ড।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রাতে ভোলা কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুর ৩টা থেকে মঙ্গলবার রাত ১টার মধ্যে লালমোহন উপজেলার গজারিয়া লঞ্চঘাট-সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ওই এলাকা থেকে ২টি অবৈধ আর্টিসানাল ট্রলিং বোট (এফ বি মায়ের দোয়া-২ ও এফ বি নবীপুর-৪) এবং ২০ কেজি হাঙ্গরসহ ৮০০ কেজি সামুদ্রিক মাছ জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে সীমান্তে ২ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ
পরবর্তীতে জব্দ করা সামুদ্রিক মাছ উপজেলা মৎস্য বিভাগের নিকট হস্তান্তর করা হয়। হাঙ্গর মাছ বন বিভাগ প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বিনষ্ট করা হয় এবং জব্দকৃত ট্রলিং বোটের বিরুদ্ধে লালমোহন থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ২৪ ঘণ্টা টহল জারি রেখেছে। এর ফলে কোস্টগার্ডের আওতাধীন উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকাংশে উন্নত হয়েছে। কোস্টগার্ডের এখতিয়ারভুক্ত এলাকায় মৎস্যসম্পদ রক্ষায় এমন অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
১৩৯ দিন আগে
এক সপ্তাহ পর ভোলা থেকে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল শুরু
লঘচাপের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বিরাজমান থাকায় ভোলা থেকে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল। তবে টানা ৭ দিন পর সমুদ্রবন্দর থেকে ৩ নম্বর সর্তক সংকেত তুলে নেওয়ায় আজ থেকে ফের নৌযান চলাচল শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) সকাল থেকে জেলার ১০টি নৌ-রুটে লঞ্চ ও সি-ট্রাক চলাচল শুরু হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল থেকে ভোলার ইলিশা লক্ষ্মীপুর, দৌলতখান আলেকজান্ডার, তজুমুদ্দীন-মনপুরাসহ ১০টি রুটে যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ও সি-ট্রাক গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
টানা কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর এসব রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র ভোলা নদীবন্দর ট্রাফিক কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে সমুদ্র বন্দর থেকে ৩ নম্বর সর্তক সংকেত তুলে নিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ কারণে ভোলার বন্ধ থাকা ১০টি রুটে লঞ্চ ও সি-ট্রাক চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ভোলা-বরিশাল সেতুর দ্রুত ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের দাবি
এদিকে, শুক্রবার সকালেও উপকূলীয় এই জেলার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে; কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টিপাতও হয়েছে।
ভোলা আবহাওয়া অফিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান ইউএনবিকে জানিয়েছেন, গত ৮ দিনে ভোলায় ৪২৬.২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় (আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত) ২৯ মিলিমিটার বৃষ্টি রের্কড করা হয়।
১৪৬ দিন আগে
ভোলায় পানিতে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু
ভোলা সদর উপজেলায় পৃথক দুই ঘটনায় পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দুপুরে সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ও চরসামাইয়া ইউনিয়নে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
জেলা পুলিশ জানায়, রোববার (৬ এপ্রিল) ভোলার সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. কামালের মেয়ে তামান্না (১৩), একই ওয়ার্ডের মো. মহিউদ্দিনের ছেলে তানজিল (৮) ও সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ফরাজিকান্দি গ্রামের বাসিন্দা মো. রুবেল চৌধুরীর ছেলে মো. জিসান (৬) পানিতে ডুবে মারা গেছে।
নিহত তামান্না ও তানজিলের স্বজনরা জানান, মাছ চাষ করার জন্য বাড়ির পাশের পুকুরে খাল থেকে পানি প্রবেশ করাচ্ছিল স্থানীয়রা। এ সময় তানজিল সেখানে খেলতে গিয়ে স্রোতের মুখে ডুবে যায়। তাকে বাঁচাতে তামান্না ঝাঁপ দিলে সেও ডুবে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু দুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: জাফলংয়ে পানিতে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু
অন্যদিকে মৃত জিসানের চাচা মিলন চৌধুরি বলেন, ঘরের পাশের পুকুরে জিসান হঠাৎ পিছলে পানিতে পড়ে গেলে সাহায্যের জন্য পাশে থাকা বড় বোন চিৎকার করে মানুষ ডাকে। কিন্তু ঘরের পাশে স-মিল চালু থাকায় চিৎকারের শব্দ কারো কানে পৌঁছায়নি। পরে জিসানকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। পৃথক দুই ঘটনায় ভোলা থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
২৪২ দিন আগে
ভোলায় যুবকের হাত-পা ভেঙে চোখ তুলে ফেলল গ্রামবাসী
ভোলায় সন্ত্রাস, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও মাদক বিক্রির অভিযোগে মো. হাসান নামের এক যুবককে পিটুনি দিয়ে, হাত-পা ভেঙে, দুই চোখ খুঁচিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বোরহানউদ্দিন উপজেলায় দেউলা ইউনিয়নের ঝিটকা বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। হাসান একই গ্রামের হাওলাদার বাড়ির মো. রতন মাঝির ছেলে।
রতন মাঝি বলেন, ‘দুদিন আগে হাসানের সঙ্গে এলাকার রুবেলের মারামারি হয়। এর জেরে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে মোবাইল ফোনে হাসানকে ঝিটকা বাজারের কাছে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে ২০-২৫ জন তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে, ছুরি দিয়ে চোখ খুঁচে দেয়।’
আরও পড়ুন: আসনবিহিন টিকিট কেটে ‘বসে যাওয়ার অপরাধে’ বৃদ্ধকে মারধর: ট্রেনের কর্মকর্তা বরখাস্ত
হাসানের বাবা আরও বলেন, ‘পরে গ্রাম-পুলিশ ও স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ভোলার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেও তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
হাসানের দাবি— ‘তিনি নির্দোষ। পূর্ব শত্রুতার জেরে ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসী, মাদক সেবন ও বিক্রির অভিযোগ তুলে তাকে মারধর করা হয়।’
ভোলার বোরহানউদ্দিনের দেউলা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম-পুলিশ আব্দুল মান্নান চৌকিদার বলেন, ‘হাসান দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও অস্ত্রসহ চলাফেরার জন্য পরিচিত।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকে হাসান এলাকায় ব্যাপকভাবে চাঁদাবাজি শুরু করেন। পথচারী এবং অটোরিকশা থামিয়ে টাকা আদায় করতেন। সম্প্রতি এক অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনাতেও তার সম্পৃক্ততা রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাসানের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে গ্রামবাসীরা শুক্রবার রাতে হাসানকে ধরে গণধোলাই দেয়। তার হা-তপা ভেঙে, চোখ খুঁচে দেয়, যাতে আর এ ধরনের কাজ করতে না পারেন। তাকে মারধরের এক পর্যায়ে মারা গেছেন ভেবে রাস্তার পাশে রেখে যাওয়া হয় তাকে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে গ্রাম-পুলিশকে নিয়ে উদ্ধার করে হাসপাতাল নিয়ে যায়।’
বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা নিরুপম সরকার বলেন, ‘ছুরি দিয়ে হাসানের চোখ খুঁচে দেওয়া হয়েছে। তার হাত ও পায়ের অবস্থাও ছিল গুরুতর।’
আরও পড়ুন: মাছ ধরতে গিয়ে ভারতীয়দের মারধরের শিকার বাংলাদেশি, হাসপাতালে ভর্তি
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘এ ব্যাপারে এখনও কেউ থানায় মামলা করেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
‘তবে হাসান চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী হিসাবে অভিযুক্ত। তার বিরুদ্ধে বোরহানউদ্দিন থানায় দুটি মামলা রয়েছে,’ বলেন ওসি।
২৪৩ দিন আগে
ভোলায় তাবলীগ জামায়াতের কর্মসূচিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা
ভোলায় সাদপন্থীদের কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে তাবলীগ জামায়াতের অবস্থান কর্মসূচিতে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় আমার দেশ পত্রিকার ভোলা জেলা প্রতিনিধি গুরুতর আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে জেলার শহরের বরিশাল দালান এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আহত ওই সাংবাদিকের নাম মো. ইউনুস শরীফ। হামলায় তার মাথা ফেটে গেছে। এতে চারটি সেলাই লেগেছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সকাল ১০টার দিকে শহরের সদর রোডে সাদপন্থীদের কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে ওলামা মাশায়েখ ও তৌহিদী জনতার ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তাবলীগ জামায়াতের লোকজন। এ সময় শহরের বাংলা স্কুল মোড় থেকে কালিনাথ বাজার মোড় পর্যন্ত পুরো সদর রোড ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
কর্মূসূচির অংশ হিসেবে বরিশাল দালানের সামনে ট্রাকের ওপর মঞ্চ করে বক্তব্য দেন স্থানীয় আলেম-ওলামারা। বক্তব্য চলাকালে হাবিব মেডিকেলের সামনে থেকে মহাজনপট্টি পর্যন্ত এলাকাজুড়ে কয়েক হাজার মানুষ সড়ক অবরোধ করে বসে পড়েন।
আরও পড়ুন: নাটোরে তাবলীগ জামাতের দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪০
এ সময় তাবলীগ জামায়াতের অবস্থান কর্মসূচির সংবাদ কভারেজ করতে যান সাংবাদিক ইউনুস শরীফ। সেখানে পথচারীদের চলাচলের ফুটপাত আটকানো নিয়ে কর্তব্যরত এক স্বেচ্ছাসেবকের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। এর একপর্যায়ে অন্য স্বেচ্ছাসেবকসহ উপস্থিত মুসল্লীদের মধ্য থেকে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। হামলায় একপর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকদের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে ইউনুসের মাথায় আঘাত করলে তার মাথা ফেটে যায়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা অন্য সাংবাদিকরা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে একটি দোকানে মধ্যে নিয়ে যান।
ইউনুস শরীফ বলেন, ‘ফুটপাত দিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় আটকে থাকা কয়েকজন নারীদের যাওয়ার জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের ফুটপাতের পথ ছেড়ে দিতে বললে তারা লাঠি ও পাইপ দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে।’
‘এই সমাবেশ ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য নয়, সন্ত্রাসীদের সমাবেশ। আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব। আমি এই সন্ত্রাসীদের বিচার চাই।’
তিনি বলেন, এটা যদি সন্ত্রাসীদের সমাবেশ না হয়, তা হলে লোহার রড, লাঠি তাদের হাতে থাকবে কেন? আমি তো খারাপ কিছু বলিনি, শুধু বলেছি- ফুটপাত ছেড়ে দেন, নারীদের আসা-যাওয়ার পথ করে দেন।’
এদিকে সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় ভোলার সাংবাদিকরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হামলাকারীকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
তবে বিষয়টি ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ আখ্যা দিয়ে আয়োজক কমিটির পক্ষে ভোলা জেলা হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা মিজানুর রহমান বলেন, ‘তারাও মাইকে উপস্থিত মুসল্লীদের ফুটপাত ছেড়ে দেওয়ার কথা বারবার বলছিলেন। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক ইউনুস শরীফ ভাইয়ের সঙ্গে একজন স্বেচ্ছাসেবকের কথা কাটাকাটি হয়েছে। মঞ্চ থেকে বিষয়টি নিরসনের চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে এরমধ্যেই সাংবাদিক ভাই টান দিয়ে একজন স্বেচ্ছাসেবকের মাথার পাগড়ি খুলে ফেললে অন্যরাও উত্তেজিত হয়ে যায়। তারপরই এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটে।’
আরও পড়ুন: ভারতে কারাভোগের পর দেশে ফিরলেন তাবলীগ জামায়াতের ১৪ জন
তবে তিনি বিষয়টি নিয়ে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং হামলায় জড়িতদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেন।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ জানান, তিনি হাসপাতালে গিয়ে আহত সাংবাদিকের খোঁজখবর নিয়েছেন। এ বিষয়ে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৩৪৫ দিন আগে
ভোলায় ট্রাকচাপায় এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত
ভোলায় ট্রাকচাপায় মো. ইমন (১৬) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে সদর উপজেলার পরানগঞ্জ বাজার সংলগ্ন চত্বরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ইমন ভোলা সদরের কাচিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মিজিবাড়ির বাসিন্দা ও পরানগঞ্জে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে চুমকি রাণী হত্যা, ১ সন্দেহভাজন আটক
পুলিশ ও স্থানীয় প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, ইমন ভেদুরিয়া ফেরিঘাট যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়।
পথে পরানগঞ্জ চত্বরে ভেদুরিয়া ফেরিঘাট থেকে আসা একটি ট্রাকের চাপায় ইমনের মৃত্যু হয়।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসনাইন বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
৩৬৩ দিন আগে