ভোলা
ভোলায় পারিবারিক বিরোধের জেরে যুবক নিহত, গ্রেপ্তার ১
ভোলায় পারিবারিক বিরোধের জেরে মো. টুলু নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকালে ভোলা সদরের রাজাপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চরমনষা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত টুলু ভোলা চরমনষা গ্রামের মো. আব্দুর রহমানের ছেলে। এদিকে এই হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ফারুককে দুপুরে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: নাশকতার অভিযোগে ২৮ অক্টোবর থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত ৬৫৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, টুলু ও অভিযুক্ত ফারুক ওই গ্রামের সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পে দুইটি আলাদা ঘরে বসবাস করতেন। শুক্রবার বিকালে তাদের পরিবারের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঝগড়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরই জেরে শনিবার সকালে টুলু কাজের উদ্দেশ্যে বের হলে ফারুক তাকে ছুরিকাঘাতে করেন। এসময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে ফারুক পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলেই টুলুর মৃত্যু হয়।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন ফকির সাংবাদিকদের জানান, খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ হত্যার কাজে ব্যহৃত ছুরি জব্দ করে এবং দুপুরের দিকে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: মাগুরায় জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই সদস্য গ্রেপ্তার
বেনাপোলে ফেনসিডিল জব্দ, গ্রেপ্তার ১
ভোলায় বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত ১, আহত ১
ভোলায় বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন।
সোমবার লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের জনতা বাজার সংলগ্ন একটি বাড়িতে বোমা তৈরির সময় ঘটনাটি ঘটে।
নিহত যুবকের নাম মনির বয়াতি (৪৮) এবং ওই এলাকার তালের আলীর ছেলে। আহত ব্যক্তির নাম ফিরোজ।
আরও পড়ুন: খুলনায় চায়ের দোকানে বোমা বিস্ফোরণে আহত ৩
স্থানীয়রা জানান, ভোলার লালমোহন উপজেলার ধলীগৌর নগর ইউনিয়নের জনতা বাজার সংলগ্ন আজাহার মাঝির ঘরে সোমবার রাত ১১টার দিকে মনির বয়াতি ও ফিরোজ বোমা তৈরির সময় তা বিস্ফোরিত হয়।
এতে মনির বয়াতি, ফিরোজ গুরুতর আহত হন। এ ছাড়াও আরও একজন তাকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহত হয়েছেন। এদিকে আহতদের উদ্ধার করে লালমোহন হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক উন্নয়ন চিকিৎসার জন্য ভোলা জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে নেওয়ার পথে আহত মনির বয়াতির মৃত্যু হয়।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুল আলম জানান, বোমা বিস্ফোরণে একজন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ঢাবি’র কলা ভবন থেকে দুটি বোমা উদ্ধার
গাইবান্ধায় ৮টি ককটেল ও ৬টি পেট্রলবোমা উদ্ধার
ভোলায় ইলিশ ধরায় ১২ জেলের কারাদণ্ড
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশ ধরার অপরাধে ১২ জেলেকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
কোস্টগার্ড ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যৌথ অভিযানে ১ লাখ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও ২০ হাজার মিটার সুতার জালসহ ৬০ কেজি মা ইলিশ জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরার অভিযোগে ২৩ জেলের কারাদণ্ড
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বিকাল থেকে শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট বিএন এইচ.এম.এম হারুন অর রশীদ জানান, মা ইলিশ রক্ষার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা সফল করতে কোস্টগার্ডের একটি দল এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ভোলা জেলার বিভিন্ন উপজেলার নদী থেকে ২২ জেলেকে আটক করা হয়েছে।
এদের মধ্যে ১২ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এদিকে জব্দ করা জাল মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং জব্দ করা মা ইলিশ স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৪৯ জেলের কারাদণ্ড
চাঁদপুরে মেঘনায় জাটকা ধরায় ১০ জেলের কারাদণ্ড
ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ শিকারের দায়ে আটক ২১
ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ ধরার অভিযোগে ২১ জেলেকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: ভোলার ঘটনায় ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: প্রধানমন্ত্রী
তিনি জানান, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে তিনি সোমবার তেঁতুলিয়া নদীতে অভিযান চালিয়েছেন। ইলিশা, চরফ্যাশন, বোরহানউদ্দিনসহ বিভিন্ন এলাকায় মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে মোট ১৪টি অভিযান চালানো হয়।
তিনি বলেন, এসময় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ ধরার অভিযোগে ২১ জেলেকে আটক করা হয়। আটক জেলেদের কাছ থেকে দুটি নৌকা, ১২ হাজার মিটার অবৈধ জাল এবং ২২ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরও জানান, জব্দকৃত মাছ এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া দুই জেলেকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আটক অন্য জেলেদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় মাছ শিকারে দায়ে ১৩ জেলে আটক
সমুদ্রে মাছ শিকারে বিরত জেলেদের জন্য আরও ১১ হাজার ৯০৩ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ
ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় ৩৪ জেলে গ্রেপ্তার
ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ ধরায় ৩৪ জেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে কারেন্ট জাল ও ইলিশ জব্দ করা হয়।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাত থেকে রবিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ভোলা সদর, দৌলতখান ও চরফ্যাশন উপজেলার মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ৩৮ জেলেকে গ্রেপ্তার করে কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ রবিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে জানান, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরার সময় মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশের সমন্বয়ে অভিযান চালিয়ে ভোলা সদর, দৌলতখান ও চরফ্যাশন উপজেলার মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় ৫৪ হাজার ৭০০ মিটার কারেন্ট জাল, ৮টি নৌকা ও ১৯২ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়।
এ নিয়ে ৪ দিনে মোট ৩৬ জেলেকে আটক করা হলো।
আরও পড়ুন: মা ইলিশ আহরণ বন্ধ করলে উৎপাদন আরও বাড়বে: মৎস্যমন্ত্রী
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার ৩৬ জেলের মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২৮ জেলেকে ১৮ হাজার টাকা জরিমানা, দুই জেলেকে ১৫ দিন কারাদণ্ড ও ৬ জেলে অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা রেখে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
অভিযানে জব্দ করা জাল আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে এবং জব্দ করা মাছ অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
আরও পড়ুন: বরিশালে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে জেলেদের হামলায় মৎস্য কর্মকর্তাসহ আহত ৫
মনপুরা দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় এবং আনুষঙ্গিক খরচ
অন্যান্য দ্বীপদেশগুলোর মত জাঁকজমক না হলেও, বাংলাদেশের উপকূলগুলো মোটেই বঞ্চিত হয়নি প্রাকৃতিক শোভা থেকে। পৃথিবীর এই বৃহত্তম ব-দ্বীপের আঙ্গিনা সযত্নে ধুয়ে দিয়ে যায় বঙ্গোপসাগরের ফেনিল জলরাশি। সামুদ্রিক হাওয়ার পরশে পলিমাটির অলঙ্করণে যেন নিয়ত সেজে থাকে কাঁচা জীবনধারার ঘনবসতিগুলো।
২০০৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মনপুরা চলচ্চিত্রটি ঠিক যেন এমনি এক কাদামাটি তুলে এনেছিল সাগরের বুক থেকে। তারপর চলচ্চিত্রপ্রেমি থেকে ভ্রমণপিপাসুদের হৃদয় অব্দি পাড়া হতে খুব বেশি সময় লাগেনি মনপুরার। দেশের মূল ভূখন্ডের সঙ্গে সরাসরি কোনো যোগসূত্র না থাকলেও তারা ছুটে গেছে এই দ্বীপ সৈকতে।
চলুন, সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক এই মনপুরা দ্বীপ ভ্রমণের আদ্যোপান্ত।
মনপুরা নামের পটভূমি
দ্বীপের নাম কিভাবে মনপুরা হলো সে নিয়ে অনেক মতভেদ আছে। স্থানীয় বায়োজ্যেষ্ঠগণের মতে, দ্বীপের অপরূপ সৌন্দর্য্য ও উপকূলবর্তী খাবার আগন্তুকদের মন জয় করত। এ কারণেই দ্বীপ ও ইউনিয়নের নাম মনপুরা হয়েছে।
অনেকের ধারণা, মনগাজী শাহবাজপুর জমিদারের কাছ থেকে ইজারা নেওয়া হয়েছিলো বিস্তৃত এই জায়গাটি। ফলে তার নামের উপর ভিত্তি করেই এলাকার নামকরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পঞ্চগড় ভ্রমণের উপায়
এছাড়া একটি অদ্ভূত গল্পও প্রচলিত আছে এ দ্বীপকে ঘিরে। জায়গাটিতে আগে বাঘ ও হাতীর মত হিংস্র সব জন্তু-জানোয়ার বিচরণ করতো। একদা মনগাজী নামের এক লোক বাঘের আক্রমণে শিকার হয়ে বেঘোরে প্রাণ হারান। সেই থেকে সবাই দ্বীপটিকে মনপুরা নামে ডাকতে শুরু করে।
ভোলার ইলিশায় নদী তীরের সিসি ব্লক ধ্বসে বাকপ্রতিবন্ধী নারীর মৃত্যু
ভোলার ইলিশায় এলাকায় তীর সংরক্ষণের সিসি ব্লক ধ্বসে লাইজু নামে এক বাকপ্রতিবন্ধী নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়াও শিশুসহ ৫ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার দুপুরের দিকে উত্তাল মেঘনা নদীর ঢেউ আর তীব্র স্রোতের আঘাতে ইলিশার লঞ্চঘাট এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: সাভারে পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী গ্রেপ্তার
স্থানীয়রা জানান, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে হঠাৎ করে ইলিশা লঞ্চঘাটসংলগ্ন মাছঘাট এলাকায় মেঘনা নদীতে সিসি ব্লক ধ্বসে যায়। এ সময় ব্লকের উপরে থাকা বাকপ্রতিবন্ধী নারী লাইজু বেগম ও এক শিশুসহ অন্তত ৫ জন নদীতে পড়ে যায়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করলে ঘটনা স্থলে লাইজু বেগমের মৃত্যু হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, ইলিশায় সিসি ব্লক ধ্বসে কয়েকজন নদীতে পড়ে গেছে। এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে পিকআপ থেকে ছিটকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
কেরানীগঞ্জে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে সবজি ব্যবসায়ীর মৃত্যু
ভোলায় নসিমন উল্টে শ্রমিক নিহত, আহত ৫
ভোলায় নসিমন উল্টে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও পাঁচ শ্রমিক আহত হয়েছেন।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কের বাংলাবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. আল আমিন (৩৫) সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের মো. রুহুল আমিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: পাবিপ্রবির নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে ২ শ্রমিক নিহত, আহত ১
আহতরা হলেন- মঞ্জু, মো. বাবুল, নূর উদ্দিন, আব্দুল ও আজিজল। তাদের সবার বাড়ি ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নে।
আহতদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালের দিকে সদর উপজেলা থেকে একটি নসিমনে করে ঢালাইয়ের মিক্সার মেশিনসহ ১০-১৫জন নির্মাণশ্রমিক দৌলতখান উপজেলায় কাজে যাচ্ছিলেন। এসময় বাংলাবাজার এলাকার ব্রিজ থেকে নামার সময় নসিমনটি উল্টে ছয় জন শ্রমিক গুরুতর আহত হয়।
পরে খবর পেয়ে ভোলা ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আল আমিন নামের এক শ্রমিক মারা যান।
ভোলা ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারি পরিচালক মো. লিটন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে আহতের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে সেখানে একজনের মৃত্যু হয়।
ভোলা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের জানান, নসিমন উল্টে একজন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরো পাঁচ শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল যেহেতু ভোলা সদর ও দৌলতখান থানার সীমান্তবর্তী এলাকা। তাই ঘটনাস্থল নির্ধারণ করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যুতায়িত হয়ে নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু
মুন্সীগঞ্জে ভবনে রং করার সময় রশি ছিঁড়ে পড়ে ২ শ্রমিক নিহত
ভোলায় সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ
ভোলায় সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে মো. রাসেল (১৯) নামে এক জেলেকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ইলিশা মাছ ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রাসেলের বাড়ি পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কালুপুর গ্রামে। তার বাবার নাম তোফাজ্জেল হোসেন ভাণ্ডারী।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ছুরিকাঘাতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্য হত্যা, আটক ৩
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে স্থানীয় আকতার মাঝির নৌকায় রাসেল ও রিয়াজ জাল বুনতে বসেন। জাল বোনার একপর্যায়ে সিগারেট নিয়ে রাসেল ও রিয়াজের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রিয়াজ তার হাতে থাকা জাল কাঁটার ছুরি দিয়ে পেটে আঘাত করে হত্যা করেন রাসেলকে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা রাসেলকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভোলা ইলিলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, রাসেলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রিয়াজকে আটক করেছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে স্ত্রী ও ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক
চুয়াডাঙ্গায় 'মেয়ের ছুরিকাঘাতে' বাবা খুন, স্ত্রী-মেয়ে আটক
ভাইয়ের জন্য দুধ কিনতে গিয়ে বোনের মৃত্যু
ভোলায় ছোট ভাইয়ের জন্য দোকান থেকে দুধের প্যাকেট কিনতে গিয়ে অটোরিকশার চাপায় ৭ বছর বয়সী বোনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২৬ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে ভোলা-ইলিশা আঞ্চলিক মহাসড়কের বাপ্তা বুড়ি মসজিদের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কুর্মিটোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ভাই ও বোনের মৃত্যু
নিহত মারিয়া ওই এলাকার মো. ইসমাইল কাজীর মেয়ে।
প্রতক্ষদর্শীরা জানান, মারিয়া তার ছোট এক চাচাতো ভাইয়ের জন্য দোকানে একটি দুধের প্যাকেট কিনতে যায়। রাস্তা পারাপারের জন্য রাস্তার একপাশে সে দাঁড়িয়ে ছিল। এসময় ইলিশা থেকে যাত্রী নিয়ে ভোলার উদ্দেশে ছেড়ে আসা দ্রুতগতির একটি অটোরিকশা মারিয়াকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় এবং অটোরিকশাটি রাস্তার পাশে খালে পড়ে যায়।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন ফকির জানান, শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: চকরিয়ায় পাহাড় ধসে ভাই-বোনের মৃত্যু
রংপুরে পুকুরের ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু