ঘোষণা
মুসলিমদের বাদ রেখেই নাগরিকত্ব আইন বাস্তবায়নের ঘোষণা ভারতের
ভারতে মুসলিমদের বাদ রেখেই ২০১৯ সালের নাগরিকত্ব আইন বাস্তবায়নের জন্য বিধি ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন মোদি সরকার।
সোমবার (১১ মার্চ) আসন্ন ভোটের কয়েক সপ্তাহ আগে তৃতীয় মেয়াদে দেশটির ক্ষমতায় যাওয়ার সময় এই ঘোষণা দেন হিন্দু জাতীয়তাবাদী নেতা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে ভারতে পালিয়ে আসা হিন্দু, পার্সি, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন ও খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে দ্রুত নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। এই আইনে মুসলমানদের বাদ দেওয়া হয়েছে, যারা উল্লেখিত তিনটি দেশেই সংখ্যাগরিষ্ঠ।
আইনটি ভারতের সংসদে ২০১৯ সালে অনুমোদিত হলেও রাজধানী নয়াদিল্লিসহ অন্যান্য স্থানে প্রাণঘাতী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ফলে মোদি সরকার এর বাস্তবায়ন আটকে দেয়। সেসময় কয়েকদিনের চলা সংঘর্ষে বিপুল সংখ্যক মানুষ নিহত হয়।
২০১৯ সালে দেশব্যাপী বিক্ষোভগুলো সব ধর্মের অনুসারীদের দৃষ্টিগোচর হয়। সে সময় তারা বলেছিল, আইনটি ধর্মনিরপেক্ষ জাতি হিসেবে ভারতের ভিত্তিকে দুর্বল করে। মুসলমানরা বিশেষত উদ্বিগ্ন ছিল, সরকার তাদের কোণঠাসা করার জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় নাগরিক নিবন্ধকের সঙ্গে আইনটি ব্যবহার করতে পারে।
অবৈধভাবে ভারতে আসা ব্যক্তিদের শনাক্ত ও নির্মূল করতে মোদি সরকারের প্রচেষ্টার অংশ হচ্ছে ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনস (এনআরসি)। নিবন্ধনটি কেবল উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে প্রয়োগ করা হয়েছে এবং ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি দেশব্যাপী অনুরূপ নাগরিকত্ব যাচাইকরণ কর্মসূচি চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৩ বাংলাদেশির ভাগ্য নির্ধারিত হতে যাচ্ছে ভারতের আদালতে
মোদির সরকার ২০১৯ সালের নাগরিকত্ব আইনকে মানবিক পদক্ষেপ হিসেবে বহাল রেখেছে। তাদের যুক্তি, এই আইন শুধু নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আসা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য। এটি ভারতীয় নাগরিকদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে না।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক টুইট বার্তায় বলেন, 'এই নিয়মের আওতায় এখন থেকে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানে ধর্মীয় কারণে নিপীড়নের শিকার সংখ্যালঘুরা আমাদের দেশের নাগরিকত্ব পাবেন।’
ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস পার্টি এই ঘোষণা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছে, 'নির্বাচনের মেরুকরণের জন্যই এর ঠিক আগের সময়টিতে এটি ঘোষণা স্পটতই পরিকল্পনা করা হয়েছে।’
মানবাধিকার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়া এক বিবৃতিতে এই আইনটিকে 'বৈষম্যমূলক' বলে উল্লেখ করেছে।
সংস্থাটি বলেছে, ‘এটি সমতাভিত্তিক সাংবিধানিক মূল্যবোধ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের পরিপন্থী।’
এতে আরও বলা হয়, আইনটি 'ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যকে বৈধতা দেয়' এবং 'এর কাঠামো ও উদ্দেশ্য বর্জনীয়'।
আরও পড়ুন: নোম্যান্সল্যান্ডে যৌথভাবে বাংলাদেশ-ভারতের ২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপন
১৪০ কোটিরও বেশি মানুষের দেশ ভারতে ২০ কোটি মুসলমান রয়েছে, যারা বড় সংখ্যালঘু গোষ্ঠী। তারা ভারতের প্রায় প্রতিটি অংশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ২০১৪ সালে মোদির দল প্রথম ক্ষমতায় আসার পর থেকে তারা ধারাবাহিক হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।
সমালোচকরা বলছেন, মুসলিমবিরোধী সহিংসতার বিষয়ে মোদির স্পষ্ট নীরবতা তার কিছু চরমপন্থী সমর্থককে উৎসাহিত করেছে। মুসলমানদের বিরুদ্ধে আরও ঘৃণামূলক বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দিয়েছে।
মোদি এমন একটি ফর্মুলায় ক্রমান্বয়ে ধর্মকে রাজনীতির সঙ্গে মিশিয়ে ফেলেছেন যা ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু জনগোষ্ঠীকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে, তিনি উত্তর অযোধ্যায় একটি মসজিদকে ধ্বংস করে সেখানে রাম মন্দির উদ্বোধন করেন। যা তার দলের দীর্ঘদিনের হিন্দু জাতীয়তাবাদী প্রতিশ্রুতি পূরণের প্রতিফলন।
বেশিরভাগ জরিপ বলছে, আগামী মে মাসে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনে মোদি আবারও সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবেন।
আরও পড়ুন: ভারতে পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: নারীর প্রতি যৌন সহিংসতা রোধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ
মসিক নির্বাচন: মেয়র প্রার্থী টজুর ১৫ দফা নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা
আসন্ন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) নির্বাচনে ১৫ দফা নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করলেন হাতি প্রতীকের মেয়র পদপ্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সাদেকুল হক খান টজু।
সোমবার দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ইশতেহার ঘোষণা করেন।
তিনি বিজয়ী হলে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনকে একটি আধুনিক ডিজিটাল নগরী হিসেবে গড়ে তুলবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন সাদেকুল।
এ ছাড়া নগরীর বাসিন্দাদের হোল্ডিং ট্যাক্স সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং দুর্ভোগ লাঘব করা, নগরীকে যানজট ও বায়ূ দূষণমুক্ত করা, নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ওভার ব্রিজ ও ফ্লাইওভার নির্মাণ করা, জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য ড্রেনেজ সিস্টেম আধুনিক, প্রশস্ত ও উন্নত করা এবং ব্রহ্মপুত্র নদ ড্রেজিং করে এর নাব্য ফিরিয়ে আনা, ব্রহ্মপুত্র নদীর পাড় দিয়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি ।
আরও পড়ুন: জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে বললেন গণপূর্তমন্ত্রী
শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে এর সুনাম বৃদ্ধি করাসহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজকে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করতে উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালটি নির্মিতব্য স্টিল আর্চওয়ে ব্রিজকে বিবেচনায় নিয়ে সুবিধাজনক স্থানে স্থানান্তর করা,
পরিকল্পিতভাবে পার্ক, পাবলিক টয়লেট ইত্যাদি নির্মাণ করা বরে বলেও জানানেএ প্রার্থী।
এ ছাড় খেলাধুলা, চিত্তবিনোদন ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড জোরদার করে যুব সমাজকে মাদকাসক্তি ও অসামাজিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন।
ইশতেহারে আরও বলা হয়, শশীলজ, জয়নুল যাদুঘরসহ অন্যান্য ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও উন্নত ও সমৃদ্ধ করা হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক পরিষ্কার ও জঞ্জাল মুক্ত করা এবং আনন্দ মোহন কলেজকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরীত করতে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানান।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাদেকুল হক খান বলেন, বিগত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে প্রধান দায়িত্ব পালন করেছি। আশা করি আমার নির্বাচনে নৌকার এমপি মোহিত উর রহমান শান্ত’র সমর্থন আছে।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফারুক আহমেদ খান, সদস্য বদর উদ্দিন আহাম্মদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুর রহমান আল হোসাইন তাজ ও সদস্য আল নুর রাজিব, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কৃষিবিদ সামছুন নাহার শারমীনসহ আরও অনেকে ছিলেন।
আগামী ৯ মার্চ ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র ইকরামুল হক টিটু এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলমও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে না আসায় বিএনপিকে খেসারত দিতে হবে: কাদের
গত মাসের নির্বাচন নিয়ে বিশ্বের কোনো নেতা প্রশ্ন তোলেননি: প্রধানমন্ত্রী
পরিবেশবান্ধব ব্লক ইট তৈরিতে প্রণোদনা দিতে বিভিন্ন প্যাকেজ ঘোষণা করবে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশবান্ধব ব্লক ইট তৈরিতে উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা দিতে সরকার বিভিন্ন প্যাকেজ ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, বায়ুদূষণকারী ও কৃষিজমির মাটি ক্ষয়কারী ইটভাটা বন্ধ করে আধুনিক পদ্ধতির ব্লক ইটের ব্যবহার পুরোপুরি চালু করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ক্ষয়ক্ষতি তহবিল সমৃদ্ধ করে অবিলম্বে বিতরণ শুরু করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ফেনী সার্কিট হাউসে বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় সভা শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, পুরোনো ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ইটভাটাগুলো যাতে আবার চালু হতে না পারে সেই ব্যবস্থাও নিচ্ছে সরকার।
মন্ত্রী আরও বলেন, পৌরসভাগুলোর বর্জ্য রিসাইকেল করার জন্য নির্দিষ্ট স্থান করে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: অস্তিত্ব রক্ষায় বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধসহ পরিবেশ দূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, পরিবেশ ছাড়পত্র না নিলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। পরিবেশ ছাড়পত্র প্রদানে দীর্ঘসূত্রিতাও পরিহার করতে হবে। চিকিৎসা বর্জ্য ও পৌর বর্জ্য প্রতিদিন পরিষ্কার করা হচ্ছে কি না তদারকি করতে হবে।
একই সঙ্গে জবরদখল করা বনভূমি উদ্ধার এবং নগর ও উপকূলীয় বনায়নের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: জলবায়ু প্রতিশ্রুতি পূরণে উন্নত বিশ্বের প্রতি আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
জাপার জাতীয় কাউন্সিলের দিন ঘোষণা করলেন রওশন এরশাদ
জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের মধ্যেই দলের জাতীয় কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করেছেন দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। এর আগেই তিনি নিজেকে দলের চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন।
রবিবার গুলশানে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আগামী ৯ মার্চ জাতীয় পার্টির জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, দল এখন যে চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন তা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন রওশন এরশাদ
রওশন বলেন, একটি রাজনৈতিক দলে গণতন্ত্র চর্চার প্রধান ক্ষেত্র হচ্ছে দলের নিয়মিত জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠান করা।
তিনি বলেন, ‘দলের কাউন্সিল আয়োজনের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। দলের নেতা-কর্মীদের দাবি অনুযায়ী আগামী মার্চে জাতীয় পার্টির দশম কাউন্সিল করার ঘোষণা দিচ্ছি।’
কাউন্সিল সফলভাবে সম্পন্ন করতে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন রওশন এরশাদ। এতে আহ্বায়ক হিসেবে কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাকে সহআহ্বায়ক, গোলাম সারোয়ার মিলনকে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সফিকুল ইসলাম সেন্টুকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় পার্টিতে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন নিয়ে নতুন ভাঙন দেখা দেয়। গত সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ছিলেন রওশন। তবে এবার তার দেবর ও দলের প্রধান জিএম কাদেরের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে নির্বাচনে অংশ নেননি তিনি। দলটি রওশনের অনুগত কোনো নেতাকে মনোনয়ন দেয়নি বলেও জানা গেছে।
এ অবস্থায় রওশন একটি সফল কাউন্সিলের মাধ্যমে জাতীয় পার্টির শক্তি ফিরিয়ে আনার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এদিকে রওশনকে সমর্থন দেওয়ায় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাকে দল থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টির নেতাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান রওশন এরশাদের
রওশনের কাউন্সিল করার ঘোষণার পরপরই জিএম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাবলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান।
এর আগে জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব নিয়ে রওশন এরশাদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে দলের কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ ও প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়সহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে দল থেকে সরিয়ে দেন জিএম কাদের।
এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি রওশন এরশাদ নিজেকে দলের চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা দেন এবং দলের প্রধান ও মহাসচিবকে দলের পদ থেকে অব্যাহতি দেন।
তিনি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশীদকে দলের মহাসচিব নিযুক্ত করেন।
সম্প্রতি গুলশানে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা দলের নেতাদের একাংশের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় রওশন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'চলমান সংকট থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে দলের নেতা-কর্মীদের অনুরোধে আমি দলের গঠনতন্ত্রের ২০-১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জিএম কাদেরকে চেয়ারম্যান এবং সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে মুজিবুল হক চুন্নুকে অব্যাহতি দিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: ইসির তফসিলকে স্বাগত জানিয়েছেন রওশন এরশাদ
মঙ্গলবার থেকে বিএনপির ৬ দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
ছয় দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বাতিল ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার থেকে সারাদেশে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণসহ এ কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে দলটি।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের দেশপ্রেমের অভাব আছে: নানক
তিনি বলেন, দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আগামী ১৩ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার ও বুধবার) ঢাকাসহ অন্যান্য মহানগরে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করবেন।
এদিকে ১৭ ফেব্রুয়ারি সব জেলা শহরে এবং ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশের সব উপজেলা, থানা, পৌরসভা ও ইউনিয়নে অনুরূপ কর্মসূচি পলন করা হবে।
এছাড়া সম্প্রতি বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলিতে নিহত বাংলাদেশিদের স্মরণে ১৬ ফেব্রুয়ারি বাদ জুমা দেশের সব মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করবে দলটি।
রিজভী বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ কারাবন্দি অন্যান্য নেতা-কর্মীদের মুক্তির জন্যই তাদের গণযোগাযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধারের দাবি পুলিশের
তিনি দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের সম্ভাব্য সব বাধা ও প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে তাদের নতুন কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান।
৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটি বিএনপির তৃতীয় দফা রাজপথ কর্মসূচি।
এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বাতিলের দাবিতে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ঢাকাসহ সব মহানগর শহরে কালো পতাকা মিছিল করে বিএনপি।
পরে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশনের প্রথম দিন ৩০ জানুয়ারি রাজধানীসহ সারাদেশে কালো পতাকা নিয়ে মিছিল বের করার ঘোষণা দেয় বিএনপি।
তবে সেদিন রাজধানীর সাতটি পয়েন্টে বিএনপিকে মিছিল বের করতে দেয়নি পুলিশ। কারণ সেদিন সংসদের নতুন অধিবেশনের প্রথম দিন ছিল।
আরও পড়ুন: সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকরা চরম নিরাপত্তাহীনতায়: বিএনপি
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে ৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় চলমান অস্থিরতার কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আক্তারুন্নাহার সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় আরও দুই দিন বন্ধ থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাময়িকভাবে বন্ধ থাকা পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো হলো- বাইশপারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিমকুল তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
স্থানীয় পরিস্থিতির উন্নতি হলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এসব বিদ্যালয়ে আবারও পাঠদান করাসহ বিদ্যালয়সমূহ খুলতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা, বান্দরবানে ৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বর্জ্যমুক্ত করতে জাপানি মডেল ব্যবহার করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
শোয়েব মালিকের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা সানিয়া মির্জার পরিবারের
পাকিস্তানি ক্রিকেট তারকা শোয়েব মালিকের সঙ্গে ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে সানিয়ার পরিবার।
শোয়েব তার নববিবাহিতা স্ত্রী পাকিস্তানি অভিনেত্রী সানা জাভেদের সঙ্গে ছবি পোস্ট করার একদিন পরই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।
আরও পড়ুন: দু-একদিনের মধ্যে ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বাড়বে: নসরুল হামিদ
সানিয়া ও শোয়েব ২০১০ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন। এরপর ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করে।
মির্জা পরিবারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সানিয়া সবসময় তার ব্যক্তিগত জীবনকে লোকচক্ষুর আড়ালে রেখেছেন। তবে আজ তার প্রয়োজন হয়েছে যে শোয়েব এবং তার কয়েক মাস হলো বিয়ে বিচ্ছেদ হয়েছে।’ শোয়েবের নতুন যাত্রার জন্য শুভ কামনা জানিয়েছেন তিনি।
সানিয়া যখন বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ধারাভাষ্য বক্সে মগ্ন, তখন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) খেলতে ব্যস্ত শোয়েব।
তাদের ছেলে সানিয়ার সঙ্গেই থাকে।
আরও পড়ুন: আবারও প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা হলেন জয়
রোহিঙ্গা ইস্যুকে জাতিসংঘের আলোচ্যসূচির শীর্ষে রাখতে মহাসচিবের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধ
কুড়িগ্রামে শৈত্যপ্রবাহ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে কুড়িগ্রাম জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কয়েকদিন ধরেই ঘন কুয়াশার সঙ্গে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে জেলাজুড়ে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ জানিয়েছেন, পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত আমরা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আরও পড়ুন: সারা দেশে চলমান মৃদু শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’
দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা কুড়িগ্রামে বৃহস্পতিবার ৯ ডিগ্রি এবং শুক্রবার সকালে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের দায়িত্বরত সুবল চন্দ্র সরকার জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে জেলায় ৯ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস
গত ১০ থেকে ১২ বছরে জেলায় এত শীত পড়েনি। এ ধরনের তাপমাত্রা আরও দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
এর আগে মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে যে কোনো জেলার শিক্ষা কর্তৃপক্ষ স্কুল বন্ধ রাখতে পারবে।
আরও পড়ুন: চলমান মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে ঢাকায় কবে বৃষ্টি হবে?
মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা
মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের জন্য বুধবার(১৭ জানুয়ারি) সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, 'কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অগ্রাধিকার হচ্ছে যেকোনো মূল্যে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি রোধে আরেকটি পদক্ষেপের জন্য আমরা ব্যাংকের বাইরে মুদ্রা প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের নীতি নির্ধারণ করেছি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি মালিকানাধীন শিপিং এবং এয়ারলাইন কোম্পানিগুলো বৈদেশিক মুদ্রা অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে: বিবি
আর্থিক খাতে চলমান চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় বাংলাদেশ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস প্রাথমিক ৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ করেছে।
মুদ্রানীতির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভোক্তা মূল্য ক্রমাগত উচ্চমাত্রায় থাকায় কর্তৃপক্ষ মুদ্রাস্ফীতির পূর্বাভাস ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত করেছে।
গভর্নর বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক জুনের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি সাড়ে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায়। এ জন্য নতুন মুদ্রানীতিতে সুদের হার ২৫ শতাংশ পয়েন্ট বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শুক্র-শনিবার খোলা থাকবে ব্যাংক: বিবি
তিনি বলেন, অর্থ সরবরাহ রোধে আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে জুন মাসে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ১১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী সুদের হার ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করা হচ্ছে।
এর ফলে অন্য ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যে পরিমাণ অর্থ ঋণ নেবে, তার সুদের হার বাড়বে।
এছাড়া রিভার্স রেপো রেট (বর্তমানে স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি বা এসডিএফ নামে পরিচিত) ন্যূনতম সুদের হার ৭৫ শতাংশ পয়েন্ট বাড়িয়ে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ করার ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাজারে উদ্বৃত্ত টাকা থাকলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিভার্স রেপোর মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে।
আরও পড়ুন: চিংড়ি-মাছ রপ্তানিতে নগদ সহায়তা দিতে বিবি’র নতুন নীতিমালা জারি
পলিসি ইন্টারেস্ট করিডোরে স্পেশাল রেপো বা স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি (এসএলএফ) সুদের হারের সীমা ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। এতে ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকটের সময় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার খরচ কমবে।
চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (ডিসেম্বর পর্যন্ত) ঘোষিত মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ দশমিক ৯ শতাংশ। কিন্তু মুদ্রাস্ফীতির মতো ঋণ প্রবৃদ্ধির এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। আর গত নভেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ শতাংশ কম।
আরও পড়ুন: মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় ঋণের সুদের হার বাড়াল বিবি
নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার নতুন সদস্য হিসেবে শপথ নিতে ২৫ জন সংসদ সদস্যকে মন্ত্রী ও ১১ জনকে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
বুধবার(১০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিসভার সদস্যরা হলেন-
আ ক ম মোজাম্মেল হক, ওবায়দুল কাদের, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, আসাদুজ্জামান খান কামাল, ডা. দীপু মনি, মো. তাজুল ইসলাম, মুহাম্মদ ফারুক খান, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, আনিসুল হক, ড. হাছান মাহমুদ, মো. আব্দুস শহীদ, সাধন চন্দ্র মজুমদার, র, আ, ম, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, মো. আব্দুর রহমান, নারায়ন চন্দ্র চন্দ্র, আব্দুস সালাম, মহিবুল হাসান চেীধুরী, ফরহাদ হোসেন, মো. ফরিদুল হক খান, মো. জিল্লুর হাকিম, সাবের হোসেন চেীধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, নাজমুল হাসান, ইয়াফেস ওসমান, সামন্ত লাল সেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সব পক্ষকে সহিংসতা পরিহারের আহ্বান জাতিসংঘের
প্রতিমন্ত্রী
সিমিন হোসেন (রিমি), নসরুল হামিদ, জুনাইদ আহমেদ পলক, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, মো. মহিববুর রহমান, খালিদ মাহমুদ চেীধুরী, জাহিদ ফারুক, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বেগম রুমানা আলী, শফিকুর রহমান চেীধুরী, আহসানুল ইসলাম (টিটু)।
তাদের মধ্যে ইয়াফেস ওসমান ও ড. সামন্ত লাল সেন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন।
দপ্তরের বিষয়ে সচিব বলেন, আগামীকাল শপথ গ্রহণের পর তা জানা যাবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রীদের আপ্যায়নে যা থাকছে