সজীব গ্রুপ
কারখানা নির্মাণে কোনো অনিয়ম চলবে না: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
শ্রমিকদের প্রাণহানি মেনে নেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। তিনি বলেন, ‘কারখানা নির্মাণে কোনো অনিয়ম চলবে না। কেউ অনিয়ম করলে আমরা তার শাস্তি চাই। সরকার কাউকে ছাড় দেবে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘শ্রমিক ভাই-বোনেরা দেশের অর্থনীতি সচল রাখছে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমার দাবি থাকবে অগ্নিকান্ডে নিহতদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করবেন।‘
আরও পড়ুনঃ রূপগঞ্জে আগুন: সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ৮ জন ৪ দিনের রিমান্ডে
নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকান্ডে দগ্ধ হয়ে মানুষের মৃত্যু হওয়ার ঘটনায় কারখানাটি পরিদর্শন কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রবিবার দুপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা (টিম) কারখানায় যান এবং নিহত ও আহতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন এবং কারখানাটি ঘুরে দেখেন।
আরও পড়ুনঃ রূপগঞ্জে আগুনে ৫২ জনের প্রাণহানিতে ভারতের শোক
স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপগঞ্জে অগ্নিকান্ডে নিহত ও আহতদের বিষয়ে খোঁজ খবর রাখছেন। এ ঘটনায় তিনি খুব দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি আহত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) মির্জা আজম,এমপি, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস, এমপি, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক বাদল, নারায়ণগঞ্জ -২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম বাবুসহ স্থানীয় নেতারা ।
আরও পড়ুনঃ রূপগঞ্জে আগুনে কারও গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে: শ্রম প্রতিমন্ত্রীপ্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার পর সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ফুডস (সেজান জুস নামে পরিচিত)কারখানাটিতে আগুন লাগে।
রূপগঞ্জে আগুন: সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ৮ জন ৪ দিনের রিমান্ডে
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জন নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তারের পর সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তাঁর চার ছেলেসহ আটজনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। শনিবার নারায়ণগঞ্জের একটি আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শনিবার বিকেলে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাদের আদালতে হাজির করার পর শুনানি শেষে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ফাহমিদা খানম এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুনঃ রূপগঞ্জে আগুনে কারও গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান আদালত থেকে ইউএনবির সংবাদদাতাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. আবুল হাশেম; তাঁর চার ছেলে হাশেম বিন হাশেম, তারেক ইব্রাহিম, তাওসিব ইব্রাহিম ও তানজিম ইব্রাহিম; প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শাহান শাহ আজাদ, উপ মহাব্যবস্থাপক মামুনুর রশিদ এবং প্রশাসনের প্রধান সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এর আগে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় এই ৮ জন ও অজ্ঞানামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা দায়ের করে বলে নারায়ণগঞ্জের জেলা পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল আলম জানান।
আরও পড়ুনঃ নারায়ণগঞ্জে কারখানায় আগুন: গেটে তালা থাকায় এতো প্রাণহানি
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হাশেমকে গুলশানে তাঁর বাসভবন থেকে আর সিইও শাহান শাহ আজাদকে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় সজীব গ্রুপের প্রধান কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় হাশেম ফুডস এন্ড বেভারেজ গ্রুপের কারখানায় আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ১৮ টি ইউনিট। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কমপক্ষে ৫২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ফারার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুনঃ নারায়ণগঞ্জে জুস কারখানায় ভয়াবহ আগুন, ৫২ লাশ উদ্ধার
তবে এই অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে এখনও কোনো তথ্য জানা যায়নি। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ৯ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
রূপগঞ্জে কারখানায় আগুন: সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ৮
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের হাশেম ফুড এন্ড বেভারেজ ফুডসের (সেজান জুস) কারখানায় অগ্নিকান্ডে ৫২ জন নিহতের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানসহ ৮ জনকে প্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার তাদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নারায়ণগঞ্জ পুলিশ ইউএনবিকে নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুনঃ নারায়ণগঞ্জে জুস কারখানায় ভয়াবহ আগুন, ৫২ লাশ উদ্ধার
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. আবুল হাশেম, তাঁর চার ছেলে, প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শাহান শাহ আজাদ, উপ মহাব্যবস্থাপক এবং উপ মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন)।
নারায়ণগঞ্জের জেলা পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল আলম বলেন, রূপগঞ্জের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৮ ব্যাক্তিকে অভিযুক্ত করে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ। তিনি জানান, প্রেপ্তার ৮ জনকে জেলা আদালতে নেয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ রূপগঞ্জে আগুনে কারও গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
জায়েদুল আলম আরও জানান, প্রতিষ্ঠানটির সিইও শাহান শাহ আজাদকে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় সজীব গ্রুপের প্রধান কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় হাশেম ফুডস এন্ড বেভারেজ গ্রুপের কারখানায় আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ১৮ টি ইউনিট। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কমপক্ষে ৫২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ফারার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুনঃ নারায়ণগঞ্জে কারখানায় আগুন: গেটে তালা থাকায় এতো প্রাণহানি
তবে এই অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে এখনও কোনো তথ্য জানা যায়নি। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ৯ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জে কারখানায় আগুন: গেটে তালা থাকায় এতো প্রাণহানি
২৪ ঘণ্টার বেশি সময় পরেও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাশেম ফুডস লিমিটেডের সাততলা কারখানায় আগুন নেভাতে পারেননি দমকলকর্মীরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে এই আগুনের সূত্রপাত। শুক্রবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২ তে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ কল কারখানাগুলোতে কাজের নিরাপদ পরিবেশ নেই: বিএনপি
এই বিপর্যয়ের বিশদ বিবরণ প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে এটি স্পষ্ট হচ্ছে যে শ্রমিকদের এই আগুন থেকে বাঁচার কোন পথ ছিল না। ভবনের প্রতিটি তলা ঘি, মাখন, তেল, পলিথিনের মতো দাহ্য পদার্থে ভর্তি ছিল, যা থেকে আগুন এতো ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছিল। যদি নির্মাণ নীতিমালা মেনে ভবনটিতে জরুরি বহির্গমন পথ রাখা হতো তাহলে হয়তো এতো প্রাণহাণি হতো না। এছাড়া ভবনটির প্রতি তলার কলাপসিবল গেটে তালা দেয়া ছিল। ২০১২ সালে আশুলিয়ার তাজরীন ফ্যাশনের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডেও এই একই কারণে প্রাণহানির ঘটনা বেশি হয়েছিল। ওই অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ১১২ জন নিহত হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ নারায়ণগঞ্জে জুস কারখানায় ভয়াবহ আগুন, ৫২ লাশ উদ্ধার
ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক দেবাশীষ বর্ধন ইউএনবিকে নিশ্চিত করেছেন যে উদ্ধারকর্মীরা ভবনের চতুর্থ তলার কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে লাশগুলো উদ্ধার করেন। সেখানেই তাঁরা পুড়ে যাওয়া ৪৯ টি লাশ পান।
লাশগুলো চেনার কোন উপায় ছিল না। নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শামীম বেপারি জানিয়েছেন, সনাক্ত করার জন্য লাশগুলোর ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। এরপর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ইতোমধ্যে ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার জন্য লাশগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ নারায়নগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে দোষীদের শাস্তি দাবি বিরোধীদলীয় নেতার
এর আগে ঢামেক এবং রূপগঞ্জের ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁরা আগুন থেকে বাঁচার জন্য ভবন থেকে লাফিয়ে পড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কারখানার ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) কাজী রফিকুল ইসলাম জানান, করোনার কারণে কারখানার বেশিরভাগ ইউনিট বন্ধ ছিল। কয়েকটি বিভাগ খোলা ছিল। ভবনের একাধিক তলা গোডাউন হিসাবে ব্যবহৃত হয়। তবে ঘটনার সময় কে বা কারা গেটে তালা দিয়েছিল সে ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে পারেননি।
আরও পড়ুনঃ নারায়ণগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানিতে রাষ্ট্রপতির গভীর শোক
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান জানান, ভবনের বিভিন্ন তলার গেট তালাবদ্ধ থাকায় উদ্ধার কাজ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। যদি তালাবদ্ধ না থাকতো, তবে এতো বেশি প্রাণহানি হতো না।
সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. আবুল হাশেম কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের দায়-দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।