তাবিজ
শ্লীলতাহানির অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রাম সদরে এক নারীর স্বামীকে তাবিজের মাধ্যমে বশ করার আশ্বাস দিয়ে ওই নারীর সাথে অশোভন আচরণ করার অভিযোগে এক মাদরাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষককে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী নারীর স্বামীর দায়ের করা এক এজাহারের ভিত্তিতে সোমবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুনঃ রোগীকে ধর্ষণের অভিযোগে গাইবান্ধায় পল্লী চিকিৎসক গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হরিকেশ কানিপাড়া গ্রামের মৃত শামছুল হকের পুত্র মাওলানা মোফাচ্ছের হোসেন সামসি (৪৫)।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুনঃ পঞ্চগড়ে শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ‘প্রেমিক’ গ্রেপ্তার
পুলিশ জানায়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হরিকেশ কানিপাড়ার এক ব্যক্তিকে তার স্ত্রীর পক্ষে বশে আনার জন্য তাবিজসহ বিভিন্ন উপায়ের আশ্বাস দেখিয়ে আসছিলেন মাওলানা মোফাচ্ছের হোসেন সামসি। ফাঁদে পা দিয়ে বিভিন্ন সময় ওই নারী মাওলানা মোফাচ্ছের হোসেনের নির্দেশনা মেনে আসছিলেন। গত ১৩ আগস্ট সুযোগ পেয়ে ওই নারীকে শ্লীলতাহানিসহ যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করে অভিযুক্ত মাওলানা মোফাচ্ছের হোসেন সামসি। এরপর সোমবার ভুক্তভোগী নারীর স্বামীর দায়ের করা এক এজাহারের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুনঃ যশোরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক
পুলিশ আরও জানায়, অভিযুক্ত মাওলানা মোফাচ্ছের হোসেন সামসি এক সময় কুড়িগ্রাম সদরের এক স্বনামধন্য মসজিদের ইমাম ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ থাকায় তাকে মসজিদ থেকে বহিষ্কার করে মসজিদ কমিটি। বর্তমানে তিনি সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের একটি মাদরাসায় শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত আছেন। হজ্বের টাকা নিয়ে পালানোর অপরাধে তিনি জেল খেটেছেন এবং তিনি বিভিন্ন সময় নারীদের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিক অপকর্মের সাথে যুক্ত বলেও জানায় পুলিশ।
'ডাব পড়ায় কাজ না হওয়ায়’ নারীকে কুপিয়ে হত্যা
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ‘ডাব পড়ায় কাজ না হওয়ায় ‘ দা দিয়ে কুপিয়ে ফাতেমা বেগম (৪৬) নামের এক নারী কবিরাজকে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় বাধা দিতে গেলে শিশুসহ আরও তিন নারীকে কুপিয়ে আহত করা হয়।
সোমবার সকালে উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড দাসপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে পুলিশ ।
আরও পড়ুনঃ যাদু শেখানোর নামে হাত পা বেঁধে দুই খুন
নিহত ফাতেমা বেগমের বাড়ি ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দাসপাড়ায়। আর আটক এহসান ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মাইজ পাড়া এলাকার মো. ইব্রাহীম প্রকাশ বদর আমিনের ছেলে।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শীলকূপে চারজনকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় এহসানকে পুলিশ আটক করেছে। আহতদের মধ্যে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুনপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দাসপাড়ার নূর উদ্দীন সিকদার বাড়ির ফাতেমা বেগম ঝাড় ফুঁকের কাজ করে। স্থানীয় যুবক এহসান এক মেয়েকে ভালোবেসে তাকে বশে আনার জন্য গত এক বছর ধরে তাঁর কাছ থেকে ডাব পড়া ও তাবিজ কবজ নিয়ে যেতেন। কিন্তু এতে কাজ না হয়ে উল্টো পড়া ডাবের পানি পান করে এহসানের শরীর খারাপ হয়। এতে সে ফাতেমাকে শিক্ষা দিতে সোমবার সকাল সাড়ে ৬টায় তাঁর বাড়ি যান। ওইদিনও ফাতেমা এহসানকে খেতে দেয়ার জন্য ডাব কাটছিলেন। এ সময় দা দিয়ে ফাতেমাকে তিনি কোপাতে থাকেন। ফাতেমার চিৎকারে তার মেয়ে পাখি আক্তার (২০), প্রতিবেশী রাবেয়া বেগম (৩৫) ও ১০ বছরের বৃষ্টি এগিয়ে গেলে তাদেরও কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন এহসান।
আরও পড়ুনঃ বিয়ে করায় ছেলেদের হাতে খুন হলেন বাবা
আহত চারজনকে উদ্ধার করে বাঁশখালীতে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেয়া হয়।সেখানে ফাতেমার মৃত্যু হয়।