ব্যবসায়ী
সিলেটে জ্বালানি সংকট, অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ঘোষণা
সিলেটে জ্বালানি সংকটের কারণে বুধবার (১৮ জানুয়ারি) থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্টস এ্যান্ড পেট্রোলিয়াম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিলেট বিভাগীয় কমিটি। এছাড়া আগামী রবিবার (২২ জানুয়ারি) থেকে তেল বিক্রী বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন সংগঠনটি।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে সিলেটের চণ্ডিপুলে কুশিয়ারা কনভেশন হলে কমিটির জরুরি সভা শেষে এই ঘোষণা দেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও সিলেট বিভাগীয় কমিটির নবনির্বাচিত সভাপতি জুবায়ের আহমদ চৌধুরী ও নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন আহমেদ।
সভায় জানানো হয়, দীর্ঘদিন থেকে সিলেটের ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী জ্বালানি তেল সরবরাহ করছে না। এমন পরিস্থিতিতে বারবার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেও কোন সুরাহা হচ্ছে না। এ অবস্থায় আন্দোলন ছাড়া কোন উপায় নেই সিলেটের জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের।
সভায় বুধবার (১৮ জানুয়ারী) থেকে সিলেটের ব্যবসায়ীরা ডিপো থেকে তেল নেয়া বন্ধ ও পরবর্তী রবিবার (২২ জানুয়ারি) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল বিক্রী বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: উত্তরের অনেক জেলায় জ্বালানি সংকট, যানবাহন চলাচলে ভোগান্তি
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্টস এ্যান্ড পেট্রোলিয়াম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ নাজমুল ইসলামের উপস্থিতিতে এই অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ঘোষণা দেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সভায় সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সিলেটের জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রাম থেকে রেলের ওয়াগনের মাধ্যমে সিলেটে তেল আসে। নানা কারণে রেলের ওয়াগন চলাচল অনিয়মিত হয়ে পড়া ও কোনো কোনো দিন বন্ধ থাকায় অধিকাংশ পাম্পে জ্বালানি তেলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
তাছাড়া সিলেটের গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে যে কনডেনসেট পাওয়া যায়, তা আগে সিলেটের বিভিন্ন প্লান্টেই জ্বালানি তেলে রূপান্তর করা হতো। সরকারি মালিকানাধীন এ প্লান্টগুলো দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এখন চট্টগ্রামের বেসরকারি মালিকানাধীন প্লান্টে কনডেনসেট থেকে জ্বালানি তেলে রূপান্তর করা হয়।
এতে এখানকার সংকট আরও তীব্র হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা মনে করেন, ডিপোগুলোর কর্মকর্তারা তৎপর হলে এ সংকট অনেকটাই কমে আসতো।
এবিষয়ে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভাপতি জুবায়ের আহমদ চৌধুরী বলেন, সিলেটে আবারও জ্বালানি তেল সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে। তেল সরবরাহে কর্তৃপক্ষ বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন।
তারা বিভিন্ন অযুহাতে তেল সরবরাহ বন্ধ রেখে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির মুখে ঠেলে দিচ্ছেন। তাই বাধ্য হয়েই আমরা আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছি।
আরও পড়ুন: গ্রীষ্মের জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় তথ্য সংগ্রহ করছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
জ্বালানি সংকট: ঢাকায় আজ কোন এলাকায় কখন লোডশেডিং
রপ্তানি আয় ফিরিয়ে আনতে ডলার প্রতি ১ টাকা বেশি পাবেন ব্যবসায়ীরা
রপ্তানিকারকরা তাদের রপ্তানি আয় ফিরিয়ে আনতে এক মার্কিন ডলারের বিপরীতে ১০২ টাকা পাবেন।
সোমবার থেকে কার্যকর রপ্তানিকারকদের জন্য নতুন ডলারের হার ঘোষণা করেছে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেডা)।
এটি আগের দর থেকে এক টাকা বেশি যা ডলার প্রতি ১০১ টাকা ছিল।
ডলারের দাম নির্ধারণে রবিবার রাতে এবিবি ও বাফেডার নেতারা বৈঠক করেন।
এতে রপ্তানি আয়ের জন্য হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হলেও প্রবাসী আয় ও আমদানি শুল্ক পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রপ্তানিকারকরা প্রতি ডলারের বিপরীতে ১ টাকা বেশি পাবেন। আর প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে যা ১০৭ টাকা।
এ ছাড়া আমদানি শুল্ক পরিশোধের ক্ষেত্রে প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ের গড় থেকে ডলারের মূল্য শূন্য দশমিক ৫০ টাকা বেশি হবে।
বর্তমানে প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম ১০৭ টাকা এবং রপ্তানি আয়ে ১০২ টাকা।
আরও পড়ুন: ঋণ কেলেঙ্কারি সত্ত্বেও ২০২২ সালে পরিচালন মুনাফার শীর্ষে ইসলামী ব্যাংক
ফলে প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ের গড় ১০৪ দশমিক পাঁচ টাকা। এর সঙ্গে শূন্য দশমিক ৫০ টাকা যোগ করলে প্রতি ডলার আমদানি বিল হবে ১০৫ টাকা।
গত বছরের মার্চ থেকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর মার্কিন ডলারের স্বল্প সরবরাহ রয়েছে যা বিশ্ব অর্থনীতিকে ধাক্কা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে জুলাই-ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় ২৭.২২ বিলিয়ন ডলার
ব্যবসায়ীরা কানাডা থেকে গম আমদানি করছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
ইউক্রেন-রাশিয়ার বাজার বন্ধ থাকায় কানাডাসহ অন্য দেশ থেকে গম আনা শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা। গমের বাজারও স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গমের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। এটা নিয়ে আমাদের এক বড় ব্যবসায়ী বললেন, তাদের একটি জাহাজ তুরস্কে আটকে ছিলো। সেটা রওনা হয়েছে। সেখানে ৫৫ হাজার টন গম রয়েছে। অর্থাৎ গমেরও সরবরাহ বা সাপ্লাই ঠিক হয়ে যাবে। তবে ইউক্রেন হলো আমাদের প্রধান সরবরাহকারী দেশ। সেখান থেকে আনতে পারলে গমের বাজার স্থিতিশীল হবে। তবে এখন দাম বেশি পড়লেও দেশের ঘাটতি মেটাতে কানাডা থেকে এনে আনার দেয়ার চেষ্টা করছি। অনেক ব্যবসায়ীরা কমিটমেন্ট করেছে তাদের যা প্রয়োজন তা আনতে পারবে।
আরও পড়ুন: ব্রুনাইয়ের জন্য বাংলাদেশ হতে পারে বিনিয়োগের উপযুক্ত জায়গা: বাণিজ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, যে পরিমাণ গম আমাদের আমদানির কথা ছিলো সেখানে একটু ঘাটতি দেখছি। ইউক্রেন রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিলে গম সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। তবে আমাদের ব্যবসায়ীরা এই বাজারে সমস্যার জন্য অন্য বাজার থেকে গম কেনা শুরু করেছে। যদিও দাম একটু বেশি পড়ছে। কানাডা থেকে আসছে তাদের মানও ভালো। এই বাজারটা যদি স্বাভাবিক হয় তাহলে আমাদের কোন সমস্যা থাকবে না।
গত দুই তিন দিনে ডালের দাম প্রায় কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এখন টিসিবির মাধ্যমে আমাদের নির্ধারিত দামেই দিচ্ছি। ডালের সরবরাহ কিছুটা কমেছে। সে কারণে হয়তো দাম কিছুটা বাড়তে পারে। ট্যারিফ কমিশন এ বিষয়ে দেখবে তারা যে দামটা বাড়িয়েছেন সেটা যৌক্তিক কিনা সেটা তারা দেখবে। বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার কারণে সে প্রভাবটা এখানে এসে পড়েছে।
সভায় রড সিমেন্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন,আমাদের আরও একটু ডিটেলে যেতে হবে। বিশ্ববাজারে দাম কমার ফলে আমাদের যে সুবিধা পাওয়ার কথা ছিলো ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে সে সুবিধা পাচ্ছি না। এখন ডলারের দাম যদি কমে তাহলে আমরা ভোক্তাদের সে সুবিধা দিতে পারবো। খাদ্যের যে উৎপাদন সব মিলিয়ে খাদ্যের কোন সমস্যা হবে না। মানুষের মূল ফোকাস থাকে খাদ্যে। সেটা ঠিক থাকলে কোন সমস্যা হয় না। অন্যদিকে আপস করা যায় কিন্তু খাদ্যে আপস করা যায় না।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার হাইকমিশনারের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক
অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য সমান বিধান নিশ্চিত করুন: ব্রুনাইয়ের প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী
চট্টগ্রামে নদীতে পড়ে নিখোঁজ ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামের কর্ণফুলি নদী পার হওয়ার সময় নৌকা থেকে পড়ে নিখোঁজ ব্যবসায়ী মো. বাহারুল আলম বাহারের (৬২) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (১ অক্টোবর) সকালে শাহ আমানত সেতুর নিচ থেকে তার লাশ পাওয়া যায়। পরে নগরীর সদরঘাট নৌ-থানার পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে আ.লীগ নেতা হত্যায় সন্দেহভাজন কিশোরের ‘আত্মহত্যা’
ব্যবসায়ী মো. বাহারুল আলম বাহার চট্টগ্রাম বন্দর লাইটারেজ ঠিকাদার সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও মেসার্স বিজয় শিপিং অ্যান্ড ট্রেডিং এজেন্সির মালিক। ভোলার দৌলতখান এলাকার মৃত বেলায়েত হোসেন হাওলাদারের ছেলে বাহারুল। দীর্ঘদিন ধরে কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সদরঘাট নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. একরাম উল্লাহ বলেন, স্থানীয়রা সকালে লাশ ভাসতে দেখে খবর দেয়। এরপর শাহ আমানত সেতুর নিচ থেকে ভাসমান অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য- গত বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ২টায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়িতে ফেরার জন্য সদরঘাটে গিয়ে নৌকায় ওঠার সময় ব্যবসায়ী বাহার পা পিছলে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন। পরে খবর পেয়ে নদীতে তল্লাশি শুরু করে নৌ-পুলিশ। শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরীরাও তল্লাশি চালায়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা
উলিপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা
চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে এক পল্ট্রি ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার সকালে উপজেলার ভূজপুর থানার হাসনাবাদ এলাকা থেকে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মো. ইউসুফ (৩৮) ওই এলাকার মৃত আবুল কালামের ছেলে।
আরও পড়ুন: স্বামী-শ্বাশুড়ির বিরুদ্ধে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ
নিহতের পরিবার জানায়, শনিবার রাত ১১ টার দিকে নিজের মাছের প্রজেক্ট ও মুরগির খামারে উদ্দেশে ঘর থেকে বের হন ইউসুফ। কিন্তু রাতে ফিরে না আসায় রবিবার সকালে তার স্ত্রী তাকে খুঁজতে গিয়ে মাছের প্রজেক্টের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেন। তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে পুলিশে খবর দেয়।
তাদের দাবী দুর্বৃত্তরা ইউসুফকে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে যায়।
ভূজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন ফারুকী বলেন, সকালে পরিবারের সদস্যরা থানায় খবর দেয়। ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে রাতে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরের আঘাতের চিহ্ন আছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে ফুটবলারের আত্মহত্যার অভিযোগ
বগুড়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
রাজবাড়ীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা
জেলার সদর উপজেলায় শনিবার সন্ধ্যায় চায়ের দোকানে এক ব্যবসায়ীকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত আরিফুল ইসলাম রকি (২৫) উপজেলার খানখানাপুর সরদার পাড়ার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ও পোল্ট্রি ব্যবসায়ী।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ নেতাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ
স্থানীয় আবুল কালাম জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে খানখানাপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন হাইস্কুলের সামনে বসে ছিলেন আরিফুল। এ সময় খানখানাপুর বাজারের দিক থেকে মোটরসাইকেলে এসে কিছু দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে তার মাথা ও বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
আরও পড়ুন: উখিয়া ক্যাম্পে রোহিঙ্গা শরণার্থীকে গুলি করে হত্যা
খানখানাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক শওকত হাসান জানান, কে বা কারা কী কারণে তাকে গুলি করে হত্য করেছে, তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা!
তিনি আরও জানান, পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, সেখান থেকে তারা কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছেন।
কক্সবাজারে ব্যবসায়ী অপহরণ: ডিবির বহিস্কৃত ৭ সদস্য ফের কারাগারে
কক্সবাজারের টেকনাফের ব্যবসায়ী আবদুল গফুরকে অপহরণ করে ১৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় সোমবার দুপুরে কক্সবাজারের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বহিস্কৃত সাত সদস্যের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা দায়রা ও জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ আদেশ দেন। আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌশুলি ফরিদুল আলম জানান, ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর কক্সবাজার শহরের থানার পেছনের রোড থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাকধারী ব্যক্তিরা টেকনাফের ব্যবসায়ী আবদুল গফুরকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। এরপর ‘ক্রসফায়ারে’ মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তার স্বজনদের কাছে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। পরে তার পরিবার ১৭ লাখ টাকা দিতে রাজি হয়। টাকা দেয়া হলে পরদিন ভোররাতে আবদুল গফুরকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুরে ছেড়ে দেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য সেনাবাহিনীর এই নিরাপত্তাচৌকি স্থাপন করা হয়েছিল। অপহরণের বিষয়টি গফুরের স্বজনেরা সেনাবাহিনীর নিরাপত্তাচৌকির কর্মকর্তাকে জানান। মেরিন ড্রাইভ সড়কে চৌকির সেনাসদস্যরা মুক্তিপণ আদায়কারী ডিবি সদস্যদের মাইক্রোবাস তল্লাশি করে তাতে ১৭ লাখ টাকা পান।
এসময় ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান দৌড়ে পালিয়ে গেলেও বাকি ছয়জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেন সেনাসদস্যরা।
পিপি জানান, এ ঘটনায় ব্যবসায়ী আবদুল গফুর বাদি হয়ে ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান ও আবুল কালাম আজাদ, এএসআই ফিরোজ, গোলাম মোস্তফা ও আলাউদ্দিন এবং দুই কনস্টেবল আল আমিন ও মোস্তফা আজমকে আসামি করে মামলা করেন। ঘটনার প্রায় ১০ মাসের মাথায় ২০১৮ সালের আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ডিবির সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
আরও পড়ুন:কক্সবাজার সৈকতে প্রতিদিন ভেসে আসছে অসংখ্য জেলিফিশ
পিপি আরও জানান, মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ইতোমধ্যে জামিনে থাকা ডিবি পুলিশের সাত সদস্যের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠান বিচারক। এবং মামলার রায়ের জন্য ২০ সেপ্টেম্বর সময় নির্ধারণ করেন।
আবদুল গফুর জানান, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আদালত মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেছে। এ ক্ষেত্রে ন্যায় বিচার পাবো বলে আশা করছি।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় গ্রেপ্তারের পর ডিবির সাত সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটি ডিবির সাত পুলিশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার সুপারিশও করে। বিভাগীয় মামলার কার্যক্রমটি এখনো চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন:কক্সবাজারে দেড় কোটি টাকার ইয়াবা জব্দ, আটক ১
কক্সবাজারে ৭ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার বিজিবির
খুলনায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা!
খুলনায় চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে এক ব্যবসায়ী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জোড়াগেট বিশ্বাসপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত এমদাদুল হক (৫০) খুলনা মহানগরীর বানরগাতী এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে এবং পেশায় কাপড় ব্যবসায়ী।
খুলনা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মো. খবির আহমেদ বলেন, খুলনা রেল স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া রাজশাহীগামী সাগরদাড়ি এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে মেহেদী আত্মহত্যা করেছেন। ট্রেনে কাটা পড়ে তার শরীর চার টুকরো হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: কানে হেডফোন, ট্রেনের ধাক্কায় যুবক নিহত
নিহতের পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে রেলওয়ে থানার উপপরির্শক (এসআই) মো. ইদ্রিস বলেন, মেহেদী ঋণগ্রস্ত ছিলেন। এই চাপ সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাগেরহাট: লোডশেডিংয়ে ভোগান্তি বাড়ছে, ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা
বাগেরহাটে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে। দিন-রাতে তিন থেকে চার বার লোডশেডিং করা হচ্ছে শহরে। আর গ্রাম অঞ্চলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা আরও বেশি। লোডশেডিংয়ের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বাসা-বাড়িতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ব্যাহত হচ্ছে। ক্ষতির মুখে রয়েছে ব্যবসায়ীরা।
বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রতিদিন চাহিদায় তুলনায় ২৫ মেগাওয়াট এবং ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের চাহিদার তুলনায় আড়াই মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকছে। সবাইকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে।
জানা গেছে, বাগেরহাটের গ্রাম অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবারহ করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। আর বাগেরহাট পৌর এলাকায় বিদ্যুৎ সরবারহের দায়িত্বে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। সব ধরণের ব্যবসা-বার্ণিজ্য এবং উৎপাদনমুখী কলকারখানায় লোডশেডিংয়ের প্রভাব পড়েছে। লোডশেডিংয়ের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মালটিমিডিয়া ক্লাশ করানো সম্ভব হচ্ছে না। বিদ্যুৎ না থাকায় ঘুরছে না ফ্যান আর জ্বলছে না লাইট।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানায়, জাতীয় গ্রিড থেকে বাগেরহাট ১৩২/৩৩ কেবি গ্রিড উপকেন্দ্রে বিদ্যুৎ সরবারহ করা হয়। এই উপকেন্দ্র থেকে বাগেরহাট জেলা এবং পিরোজপুরের সদর, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবারহ করে। বাগেরহাট উপকেন্দ্রের প্রতিদিন পিক আওয়ারে চাহিদা ৯৮ মেগাওয়াট। সেখানে ৩০ থেকে ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকছে।
বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মুহাম্মদ নুরুল হোসাইন জানান, জেলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহক সংখ্যা তিন লাখ ৪০ হাজার। ৬১টি ফিডারের মাধ্যমে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবারহ করা হয়। প্রতিদিন তাদের চাহিদা রয়েছে ৭০ থেকে ৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। কিন্তু সেখানে তারা পাচ্ছে ৫০ মেগাওয়াট। ২৫ মেগাওয়াট ঘাটতি থাকছে। দিন-রাতে চার বারে চার ঘণ্টা লোডশেডিং করে বিদ্যুতের ঘাটতি মিটানো হচ্ছে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
পড়ুন: স্কুলশিক্ষকের তৈরি ভাসমান সেতুতে দুর্ভোগের অবসান হলো গ্রামবাসীর
চট্টগ্রামে ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং এলাকায় জালাল উদ্দীন সুলতান নামে এক ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় দুই জনের মৃত্যুদণ্ড ও দুই জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রবিবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল ভূঁঞা এ রায় দেন।মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- আসামি কামাল হোসেন ও রাসেল।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সুরমা আক্তার ও নীলু আক্তার রিয়া।বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পিপি মোহাম্মদ নোমান চৌধুরী বলেন, আদালত কামাল হোসেন ও রাসেল নামে দুজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং লিলু আক্তার ও মোছা. সুরমা আক্তার নামের দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। চারজনের মধ্যে আসামি নীলু জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন। আর বাকিরা কারাগারে রয়েছেন।আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২০ অক্টোবর ডবলমুরিং থানার সিডিএ আবাসিক এলাকার ব্যাংক কলোনীর উত্তর গেট থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ব্যবসায়ী হাজী জালাল উদ্দীন সাগরের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ডবলমুরিং থানায় নিহতের ছেলে ইমাজ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেন। এরপর ২০১৭ সালের ২৮ মে আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দেয় পুলিশ। ২০১৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর চার্জগঠন করা হয়। আদালতে ২২ জনের সাক্ষী শেষে আজ এ রায় দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চৌগাছায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে ১ জনের মৃত্যুদণ্ড
সিরাজগঞ্জে মেয়ে হত্যার দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড