মঞ্জুর
মির্জা আব্বাসের জামিন মঞ্জুর
রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্টের অভিযোগে ঢাকা রেলওলয়ে থানার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে শুনানি শেষে ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলহাস উদ্দিনের আদালত এ আদেশ দেন।
মির্জা আব্বাসের পক্ষে জামিন শুনানি করেন আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন মঞ্জুর
তিনি বলেন, ৩১ অক্টোবর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ১১টি মামলা করা হয়। আগে ১০ মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। এই এক মামলায় তিনি কারাগারে আছেন। অসুস্থ, বয়স্ক মানুষ তিনি। তার জামিন প্রার্থনা করছি।
রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিনের আদেশ দেন।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা দায়ের হয়। এর মধ্যে শাহজাহানপুর থানার নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৩১ অক্টোবর রাতে ঢাকার শহীদবাগ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। ১ নভেম্বর তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ৫ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক ও তার স্ত্রীর জামিন নামঞ্জুর
৬ মামলায় জামিন পেলেন মির্জা আব্বাস, ৩টিতে নামঞ্জুর
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন মঞ্জুর
রাজধানীর পল্টন থানার নাশকতার এক মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত জামিনের আদেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল জামিন আবেদন আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তির নির্দেশ বহাল
আসামি পক্ষের আইনজীবী মহসিন মিয়া, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ জামিন শুনানি করেন।
তারা বলেন, আসামির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ নেই। বয়স্ক, অসুস্থ বিবেচনায় জামিনের প্রার্থনা করেছেন তারা। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়েছে।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ছিল। মহাসমাবেশ শুরুর পর কাকরাইলে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ বিজয় নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: ৯ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো মির্জা ফখরুলকে
এক পর্যায়ে বিকাল ৩টার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হন। সংঘর্ষে আহত হয় পুলিশের ৪১ ও আনসারের ২৫ সদস্য। এছাড়া কমপক্ষে ২০ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষে হাজারের বেশি নেতা-কর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি বিএনপির।
গত ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে ডিবি পুলিশ। ওইদিনই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: ৯ মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন, বিচারাধীন আরও ২ মামলা
এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। গত ৯ জানুয়ারি রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানার নাশকতার পৃথক ৯ মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
তবে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা মামলায় জামিন না মেলায় এখনই কারামুক্ত হচ্ছেন না মির্জা ফখরুল।
আরও পড়ুন: নাশকতা মামলায় মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর জামিন নামঞ্জুর
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর
২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ ঘিরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে পুলিশ কনস্টেবল নিহতের মামলাসহ দুই মামলায় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: আমীর খসরু একদিনের রিমান্ডে
এদিকে বুধবার রমনা ও পল্টন মডেল থানার পৃথক আট মামলায় তার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জেল হোসেনের আদালতে গ্রেপ্তার ও জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল।
এদিন আমীর খসরুকে আদালতে হাজির করা হয়নি। এ জন্য শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন আদালত।
গত রবিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালত শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।
তারও আগে আমীর খসরুর আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ গ্রেপ্তার ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা আমীর খসরু আটক
জানা গেছে, ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় আমীর খসরুর বিরুদ্ধে মোট ১০টি মামলা হয়। দু’টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এজন্য অপর আট মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ আট মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এর মধ্যে রমনা মডেল থানায় চার এবং পল্টন মডেল থানায় চারটি মামলা রয়েছে।
গত ২ নভেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে গুলশানের ৮১ নম্বর রোডের বাসা থেকে আমীর খসরুকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় গত ৩ নভেম্বর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলায় তার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ১০ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও আলাল গ্রেপ্তার
এরপর পল্টন থানার নাশকতার আরেক মামলায় গত ১৪ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক সুমিত কুমার সাহা গ্রেপ্তার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
গত ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে জেলগেটে দুদিনের জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা আমীর খসরু জামিনে মুক্ত
মিয়া আরেফির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
মিথ্যা পরিচয় দিয়ে বিশ্বাসভঙ্গ ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেওয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক জামাল উদ্দিন মীর আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরীর ভার্চুয়াল আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ডের মঞ্জুর করেন।
গত ২৯ অক্টোবর রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আরেফিকে আটক করা হয়। পরদিন জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। বুধবার এ মামলায় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: মিয়া আরেফির বিষয়ে কনস্যুলার অ্যাকসেস চেয়েছে মার্কিন দূতাবাস
প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর দিনব্যাপী সংঘর্ষের পর যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে একটি প্রতিনিধিদল বিএনপি কার্যালয়ে যাচ্ছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ‘জো বাইডেনের উপদেষ্টা’ পরিচয়ে নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন জাহিদুল ইসলাম আরেফি। একপর্যায়ে তাকে নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়। তবে, ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস জানায়, জাহিদুল ইসলাম আরেফী মার্কিন সরকারের কেউ না।
জাহিদুল ইসলাম আরেফির জন্ম ও বেড়ে ওঠা সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়ায়। তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে থাকেন। মাঝে মাঝে বাংলাদেশে আসেন জাহিদুল ইসলাম আরেফি।
আরও পড়ুন: বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেওয়া মিয়া আরেফিকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আটক
মির্জা আব্বাসের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
রাজধানীর শাহজাহানপুর থানার নাশকতা ও পিস্তল ছিনতাই মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (১ নভেম্বর) শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত।
আরও পড়ুন: মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির ১৩০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে শাহজাহানপুর থানায় ৬ মামলা
এর আগে, মির্জা আব্বাসকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। মির্জা আব্বাসের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী মহসিন মিয়া, মোসলেহ উদ্দিন জসিম, ওমর ফারুক ফারুকী, গোলাম মোস্তফা খান রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
শাহজাহানপুর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক শাহ আলম রিমান্ডের তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও আলাল গ্রেপ্তার
মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
বিএনপি নেতা এ্যানির ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
পুলিশের কাজে বাধা ও গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. রশিদুল আলম এ আদেশ দেন।
ধানমন্ডি থানার নাশকতার মামলায় বুধবার শহীদ উদ্দিন চৌধুরীকে ঢাকার আদালতে হাজির করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: এ্যানিকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ: বিএনপি
এ মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানায়। শুনানি নিয়ে তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২৩ মে ধানমন্ডি সিটি কলেজের সামনে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের প্রায় ১০-১৫ হাজার নেতা-কর্মী পদযাত্রা শেষে চলে যাচ্ছিলেন।
এ সময় তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লাঠিসোটা, ইটপাটকেল ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুলিশের কাজে বাধা দেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর আক্রমণ, সরকারকে উৎখাত এবং জনসাধারণের জানমালের ক্ষতিসাধন, গণপরিবহনে ভাঙচুর এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাস সৃষ্টি ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড শুরু করেন।
এসময় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর হামলা করেন এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। যাতে পুলিশ কর্মকর্তা ও ফোর্স গুরুতর আহত হন। পরে সরকারি সম্পত্তি, জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তার জন্য বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য আসামিদের ধাওয়া করলে তারা ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্নভাবে ছত্রভঙ্গ হয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি করে।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে বিএনপির সালাম-এ্যানির অন্তবর্তী জামিন
নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: রিজভী, এ্যানিসহ কারাগারে ৪৪৫ বিএনপি নেতাকর্মী
ধর্ষণ মামলায় এএসপি সোহেলের জামিন মঞ্জুর
এক নারী কর্মকর্তাকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সোহেল উদ্দীন প্রিন্সের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার ৬ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ছাবেরা সুলতানা খানমের আদালতে আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুম ইসলাম জামিন শুনানি করেন।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় এএসপি সোহেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
অপর দিকে বাদীপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল কবির বাবুল জামিনে বিরোধিতা করেন। দুপক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আগামী ধার্য তারিখ পর্যন্ত ৫০০০ টাকার মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২৫ জুলাই ঢাকার ৬ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আল মামুন মামলার বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
গত বছরের ২৩ নভেম্বর সোহেল উদ্দীন প্রিন্সের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে ঢাকার আদালতে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা।
এরপর আদালত মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সোহেল উদ্দীন প্রিন্সের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারী একজন সরকারি কর্মকর্তা। পরিচয়ের সুবাদে এএসপি সোহেল উদ্দীনের সঙ্গে তার বিয়ের কথা হয়।
২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সোহেল উদ্দীন ওই নারীকে রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে আসতে বলেন। সেখানে তার আত্মীয় স্বজনের উপস্থিতিতে কাজির মাধ্যমে বিয়ে হবে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
ওইদিন সন্ধ্যা ৭টায় রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে উপস্থিত হয়ে সোহেল উদ্দীন ছাড়া আর কাউকে দেখতে পাননি তিনি।
এ নিয়ে প্রশ্ন করলে সোহেল জানান কিছুক্ষণের মধ্যে সবাই এসে যাবে। ওই নারী সরল বিশ্বাসে আসামির সঙ্গে কথা বলতে থাকেন।
কথাবার্তার একপর্যায়ে সোহেল উদ্দীন তাকে খুন করার ভয় দেখিয়ে তার ওপর নির্যাতন চালান। ঘটনার পর থেকে সোহেল উদ্দিন প্রিন্স বরখাস্ত।
তিনি ৩৬তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: এএসপি আনিস হত্যা: ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা
করোনা পরবর্তী শারীরিক জটিলতায় সিনিয়র এএসপির মৃত্যু
ডাচ বাংলা ব্যাংকের টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৮ জনের রিমান্ড মঞ্জুর আদালতের
রাজধানীর উত্তরায় ডাচ্ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার আটজনের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের মিরপুর জোনাল টিমের ইন্সপেক্টর সাজু মিয়া।
শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিক তাদের প্রত্যেকের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন-চালক আকাশ, ইমন ওরফে মিলন, সাগর মাতুব্বর, এনামুল হক বাদশা, সানোয়ার হোসেন, বদরুল আলম, মিজানুর রহমান ও সোনামিয়া।
আসামীপক্ষে কোন আইনজীবী ছিলেন না।
আরও পড়ুন: বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার ও রিমান্ড নিয়ে রিভিউ শুনানি পেছালো
গত বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর উত্তরা থেকে বেসরকারি ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের টাকা বহনকারী গাড়ি থেকে প্রায় সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। দিনের আলোতে রাস্তা থেকে নজিরবিহীন এ ছিনতাইয়ের ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে মাঠপর্যায়ে অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই উত্তরা এলাকা থেকে ছিনতাই হওয়া চার বক্সের মধ্যে তিন বক্স উদ্ধারের কথা জানায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে মানি প্ল্যান্ট লিঙ্ক প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক আলমগীর হোসের বাদি হয়ে ডিএমপির তুরাগ থানায় মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: ফারদিন হত্যা: রিমান্ড শেষ, বুশরা জেলে
সেজান জুস অগ্নিকাণ্ড: হাসেম, ২ ছেলের জামিন
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হাসেম ফুডস লিমিটেডের কারখানায় অগ্নিকান্ডে ৫২ শ্রমিকের প্রাণহানির ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এম.এ হাসেম ও তার দুই ছেলে জামিন পেয়েছেন।
সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আনিসুর রহমানের আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে কারখানায় আগুন: গেটে তালা থাকায় এতো প্রাণহানি
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান বুলবুল জানান, ভার্চুয়াল শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী এই মামলায় কারাবন্দি ছয় আসামির জামিন আবেদন করলে আদালত এম.এ. হাসেম এবং তার দুই ছেলে তারেক ইব্রাহিম ও হাসিব বিন হাসেম এর জামিন মঞ্জুর করেন। এছাড়া আদালত প্রতিষ্ঠানটির ডিজিএম ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত ‘আইওয়াশ’: বিএনপি
এর আগে গত ৮ জুলাই বিকেলে রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাসেম ফুডস লিমিটেডের কারখানার ছয়তলার একটি ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় আগুনে পুঁড়ে নিহত হয় কারখানার ৫২ জন শ্রমিক-কর্মচারী। ঘটনার পরদিন রাতে উপজেলার ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টন নাজিম উদ্দিন বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শেষ, বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার
ওই মামলায় আসামি করা হয় সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ হাসেম, তার চার ছেলে ও তিন কর্মকর্তাকে।
পুলিশের দায়ের করা এই মামলার পর শ্রম আদালতে শ্রম আইনের ৮০ ধারায় প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ডিজিএমের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের করে জেলা কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর কতৃপক্ষ।