হস্তক্ষেপ
এনবিআরের অচলাবস্থা নিরসনে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ চাইলেন আন্দোলনকারীরা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মধ্যে চলমান অচলাবস্থা নিরসনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই আবেদন জানানো হয়।
ব্রিফিংয়ে, কাউন্সিল ২৭ জুনের মধ্যে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমত খানকে অপসারণের দাবিতে তাদের আল্টিমেটাম পুনর্ব্যক্ত করে। আর যদি তা না হলে তারা ২৮ জুন থেকে সারা দেশে সকল কাস্টমস ও কর অফিসে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করার হুমকি দিয়েছে।
এই আন্দোলনকে বেগবান করার অংশ হিসেবে কাউন্সিল ২৮ জুন ‘এনবিআরের অভিমুখে মার্চ’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এর মাধ্যমে সারা দেশ থেকে আন্দোলনকারীদের জড়ো করা হবে।
পড়ুন: সক্ষমতা বাড়াতে এনবিআরের ডিজিটাল রূপান্তর প্রয়োজন: সেমিনারে বক্তারা
সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে কাউন্সিলের সভাপতি হাসান মুহাম্মদ তারেক রিকাবদার বলেন, ‘এই মুহূর্তে, এনবিআর চেয়ারম্যানকে অবিলম্বে অপসারণ ছাড়া সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই।’
কাঠামোগত সংস্কার ও নেতৃত্ব পরিবর্তনের দাবিতে কর্মকর্তাদের চলমান বিক্ষোভ এবং কর্মবিরতির কারণে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এনবিআর পরিষেবায় মারাত্মক ব্যাঘাত হচ্ছে।
১৬১ দিন আগে
উচ্চ আদালতে আমাদের হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই: আইন উপদেষ্টা
উচ্চ আদালতের ওপর আমাদের হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ছিল ফ্যাসিস্ট, তাদের কোনো নীতি ছিল না। তারা চিফ জাস্টিসকে পর্যন্ত গলা ধাক্কা দিয়ে দেশ থেকে বের করে দিয়েছে। আমরা সেই সরকার না। উচ্চ আদালতের স্বাধীনতার ওপর আমরা অনেক শ্রদ্ধাশীল।’
সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘শিশু আছিয়া হত্যার ঘটনায় নিম্ন আদালতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিচার করা হচ্ছে। মনে হয় আমরা খুব দ্রুত শিশু আছিয়ার ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় পাব।’
মেজর সিনহা হত্যা মামলায় দীর্ঘসূত্রতার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মেজর সিনহা হত্যা একটা পাশবিক হত্যা ছিল। এতে আমরা সবাই বিচার চেয়েছি। এটাও বুঝতে হবে কোনো মামলা উচ্চ আদালতে বা হাইকোর্টে থাকে তখন এটা সম্পূর্ণভাবে হাইকোর্টের এখতিয়ারভুক্ত বিষয়।’
আরও পড়ুন: গড়ে প্রতিবছর ৫ লাখ মামলা দায়ের হয়: আইন উপদেষ্টা
তিনি আরও বলেন, ‘এটা কার্যতালিকায় কত নম্বরে আসবে, কবে বিচার হবে সেটা সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে হাইকোর্ট ঠিক করে। এখানে আইন মন্ত্রণালয়ের কোনো ভূমিকা রাখার অবকাশ নেই।’
তিনি বলেন, ‘কাউকে দোষী করার আগে ভালো করে জেনে করতে হয়। আপনাদের মতো আমিও আশা করি, যাতে এটার বিচার দ্রুত হয়। দোষীদের যেন সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হয়।’
২২০ দিন আগে
বাংলাদেশে ১/১১ ঘটনায় হস্তক্ষেপ করে যুক্তরাষ্ট্র ভুল করেছে: মার্কিন কূটনীতিক
২০০৭-০৮ সালে ওয়ান-ইলেভেনে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ভূমিকায় ত্রুটি ছিল বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় সফররত সাবেক মার্কিন কূটনীতিক জন এফ ড্যানিলোভিচ। তিনি বলেছেন, বিশেষ করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটের এই সময়টায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের ওপর যথেষ্ট মনোযোগ দেয়নি। তবে বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের সমর্থনে অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিচ্ছে।
শনিবার (৮ মার্চ) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘ঢাকার এক নতুন ভোর: গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কের গতিশীলতা নেভিগেট করা’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে ছিলেন সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলাম এবং সাবেক মার্কিন কূটনীতিক ড্যানিলোভিচ।
বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন বিদেশি মিশনের কূটনীতিক, রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী নেতা, আন্তর্জাতিক, উন্নয়ন সংস্থা, নাগরিক সমাজের সদস্য, গণমাধ্যমকর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
সম্প্রতি রাজধানীর বারিধারার গার্ডেন গ্যালারি কসমসে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘস্থায়ী প্রতিশ্রুতি নিয়ে এক আলোচনায় নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত মাইলাম ও কূটনীতিক ড্যানিলোভিচ। সেখানে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে সমর্থন করতে আন্তর্জাতিক অংশীদারত্বের ভূমিকা এবং নীতিগত দৃষ্টিভঙ্গির ওপর আলোকপাত করেন তারা।
আরও পড়ুন: সাবেক মার্কিন কূটনীতিক উইলিয়াম মিলাম ও জন ডেনিলওয়িক্স এর ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ: শাহরিয়ার
এদিন রাষ্ট্রদূত মাইলাম বাংলাদেশের গণতন্ত্র সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে সচেতন করার জন্য তার সংস্থার কার্যক্রম সম্পর্কে বলেন, ‘আমরা একটি ছোট সংগঠন গঠন করি এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমেরিকান জনগণকে সচেতন করার জন্য কাজ করি। গত পাঁচ বছরে আমরা অর্থায়নের ব্যবস্থা করেছি এবং এই উদ্যোগকে সমর্থন করার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।’
এই সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখানে আসতে পেরে আমি আনন্দিত, বিশেষ করে গত দশ বছরে ভিসার কারণে আমি বাংলাদেশ সফর করতে পারিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্ভরযোগ্য তথ্য সংগ্রহ করা ছিল আমার জন্য সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ। আমি যে তথ্য আমার সরকারের কাছে পৌঁছে দেব, তা সঠিকভাবে সংগ্রহ করাটা ছিল সবচেয়ে কঠিন অংশ। সেই সময় সরকার আমাকে তাদের পক্ষ নিতে বাধ্য করার চেষ্টা করেছিল।’
গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতার গুরুত্ব তুলে ধরে জন এফ ড্যানিলোভিচ বলেন, ‘১৯৭১ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ নীতির ধারাবাহিকতা রয়েছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলের সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি হলো শাসক দলের জবাবদিহির অভাব। গণতন্ত্রকে বিকশিত করতে হলে একটি শক্তিশালী সামরিক-বেসামরিক সম্পর্ক অপরিহার্য। স্বৈরাচারী শাসন কখনোই গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক নয়।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে একটি তথ্যযুদ্ধের সম্মুখীন। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার মিডিয়াভিত্তিক বিভ্রান্তিমূলক তথ্য মোকাবিলায় কাজ করছে।’
‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বাংলাদেশে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তহবিল সম্পর্কে দেওয়া বিবৃতিও বিভ্রান্তিকর, যা মূলত কিছু ব্যক্তি দ্বারা প্রচারিত, যারা দুই দেশের সম্পর্ক অস্থিতিশীল করতে চায়।’
‘সেন্ট মার্টিন দ্বীপে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কার্যক্রম সম্পর্কিত বিভ্রান্তিমূলক তথ্য নিছক মিথ্যা প্রচারণা, যা কিছু গোষ্ঠী উদ্দেশ্যমূলকভাবে ছড়াচ্ছে। সাবেক সরকার বিদেশি দেশগুলোর বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে, যাতে তারা নিজেদের দুর্নীতি ও অনিয়ম আড়াল করতে পারে।’
ড্যানিলোভিচ আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পারে। স্বৈরাচারী শাসন কখনোই যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের অনুকূলে নয়।’
এ সময় তিনি ২০০৭-০৮ সালে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতির কিছু ভুলের কথা স্বীকার করেন। বলেন, ‘সে সময় যুক্তরাষ্ট্র সরকার প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারে যথেষ্ট মনোযোগ দেয়নি। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের সমর্থন নিয়ে সেই ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করছে। যেমন: যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন, তাদের অর্থায়ন নীতি এবং চলমান সংস্কারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত।’
‘নাগরিক সমাজকে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে এবং গত ১৭ বছরে বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধার করে সুশাসন সংস্কারের জন্য ব্যবহার করা উচিত।’
জিল্লুর রহমান সুশাসন উন্নয়নকে উৎসাহিত করে—এমন উদ্যোগগুলোর গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন এবং উল্লেখ করেন যে, এই ধরনের আলোচনা বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক রূপান্তরকে পরিচালিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিনি দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে সমর্থন এবং একটি টেকসই ও জবাবদিহিমূলক শাসন কাঠামো নিশ্চিত করতে ধারাবাহিক সংলাপের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: 'ফাইভ আইজ' দেশগুলোর গোয়েন্দা তথ্য কানাডাকে শিখ হত্যার সঙ্গে ভারতকে যুক্ত করতে সাহায্য করেছে: মার্কিন কূটনীতিক
আলোচনায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথাও উল্লেখ করা হয়। এ বিষয়ে ড্যানিলোভিচ বলেন, ‘প্রবাসী সম্প্রদায় প্রাতিষ্ঠানিক ও আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখতে পারে।’
উভয় বক্তাই গণতন্ত্রে গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। ড্যানিলোভিচ বলেন, ‘মিডিয়ার প্রভাব অস্বীকার করা যায় না। গণতান্ত্রিক আলোচনাকে শক্তিশালী করতে নাগরিক সাংবাদিকতাকে উৎসাহিত করা উচিত।’
অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষার্থী, রাজনীতিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিগণের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এই দুই কূটনীতিক।
২৭১ দিন আগে
গণপরিবহনে শৃঙ্খলায় রাজনৈতিক দলগুলোর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
রাজধানীর গণপরিবহনে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক দলগুলোর হস্তক্ষেপ জরুরি বলে জানিয়েছেন রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা জানায় সংগঠনটি।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ জাহাঙ্গীর, অধ্যাপক হাসিনা বেগম, ড. কামরান উল বাসেত, আব্দুল্লাহ মো. ফেরদৌস খান ও নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান এই বিবৃতি দেন।
এতে বলা হয়, রাজধানীর গণপরিবহনে বিশৃঙ্খলাজনিত সমস্যাটি আসলে রাজনৈতিক। তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে হবে।
রাজনৈতিক দলগুলো যেহেতু দাবি করে, তাদের রাজনীতি মানুষের কল্যাণে, তাই রোড সেফটি ফাউন্ডেশন শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় দলগুলোর হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গণপরিবহনে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও যানজট নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে সহজ এবং টেকসই সমাধান ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিশেন অথরিটির (ডিটিসিএ) অধীনে রুট ফ্রাঞ্চাইজ পদ্ধতিতে কোম্পানিভিত্তিক গণপরিবহন পরিচালনা করা।
পুরাতন বাস প্রত্যাহার করে রুট ফ্রাঞ্চাইজ পদ্ধতিতে ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ হাজার আধুনিক নতুন বাস পরিচালনা করলে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি প্রাইভেটগাড়ি ব্যবহারকারীরা বাসে চলাচল করবেন। এতে প্রাইভেটগাড়ি নিরুৎসাহিত হবে। রাজধানীতে যানজট নিয়ন্ত্রণে আসবে। একইসঙ্গে মোটরসাইকেলও হ্রাস পাবে।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে সারাদেশে সড়কে ৪৬৭ জনের প্রাণহানি: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
বিবৃতিতে বলা হয়, আসলে রুট ফ্রাঞ্চাইজ পদ্ধতিতে বাস সার্ভিস পরিচালনা ছাড়া গণপরিবহনে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও যানজট নিয়ন্ত্রণের সহজ কোনো ব্যবস্থা নেই। এজন্য সরকারের নিজস্ব বাস থাকার সঙ্গে নগরের পরিবহন ব্যবস্থা সবসময় তাদের নিয়ন্ত্রণেই থাকতে হবে। যানজট নিয়ন্ত্রিত হলে কর্মঘণ্টা বাঁচবে, জ্বালানি সাশ্রয় হবে, আর্থিক কর্মকাণ্ডে গতি আসবে এবং মানুষের মানসিক ও শারীরিক অসুস্থতা কমবে।
সবকিছু মিলে একটি স্বস্তির পরিবেশ গড়ে উঠবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।
ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিশেন অথরিটির (ডিটিসিএ) রুট ফ্রাঞ্চাইজ পদ্ধতিতে বাস সার্ভিস পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করলেও পরিবহন সংশ্লিষ্ট কতিপয় স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এই প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত গণপরিবহনে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে বিআরটিএ ও ডিটিসিএর পাশে দাঁড়িয়ে উদ্যোগটি সফল করা। রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারি উদ্যোগে সমর্থন জানালে স্বার্থবাদী গোষ্ঠীর অপতৎপরতা ব্যর্থ হবে।
২৮৩ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপে অবশেষে দিনাজপুরে নারী ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে অবশেষে তৌহিদি জনতার বাধায় বাতিল হওয়া দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলায় প্রমীলা প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঘটনার ছয় দিন পর সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টায় শুরু হয়ে ম্যাচটি শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টার দিকে।
ম্যাচে জয়পুরহাট বনাম ঢাকা প্রমীলা ফুটবল দল অংশগ্রহণ করে। এতে জয়পুরহাট প্রমীলা দলকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ঢাকা প্রমীলা ফুটবল দল বিজয়ী হয়।
এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করে উপজেলার আলীহাট ইউনিয়নের ইটাই ভূমিহীন বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড ও ইটাই মৎস্যচাষী সমবায় সমিতি লিমিটেড।
প্রধান অতিথি হিসেবে ম্যাচের উদ্বোধন করেন দিনাজপুর জেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা হাশমাতুন নাহার শুভ্রা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসিনা বেগম, সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারুল নাহার ও ইটাই গ্রামের সমাজসেবক মাহফুজা বেগম। এছাড়া জাতীয় নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড়রাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন ।
এই ম্যাচ ঘিরে দর্শকদের ব্যাপক উপস্থিতি, উৎসাহ ও উদ্দীপনা যেমন ছিল, তেমনি স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
ম্যাচ শেষে কয়েকজন নারী খেলোয়াড় বলেন, আজকে মাঠের সুন্দর পরিবেশ দেখে ভালো লাগছে। দর্শকদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখে আমরা উৎসাহ পেয়েছি।
তারা বলেন, কিছুদিন আগেও খেলতে দেওয়া হয়নি। তৌহিদি জনতার ব্যানারে আমাদের বাধা দেওয়া হয়েছিল। তারা আয়োজকদের সঙ্গে গণ্ডগোলও করেছিল। আমরা খেলাধুলা নিয়ে থাকতে চাই, দেশের জন্য কিছু করতে চাই।
ম্যাচ দেখতে আসা দর্শক লায়লা ইয়াসমিন ও আলেয়া বেগম বলেন, নারীরা খেলবে, এজন্য খেলা দেখতে এসেছি। নারীরা সব ক্ষেত্রেই কিছু একটা করতে পারে, তার উদাহরণ এই নারী ফুটবলাররা। তারা শুধু বাংলাদেশে নয়, বিদেশেও সুনাম বয়ে আনবে— এই প্রত্যাশা করি।
স্থানীয় আয়োজক কমিটির সদস্য মাসুদ রানা বলেন, স্থানীয় তৌহিদি জনতা গত ২৮ জানুয়ারি প্রমীলা ফুটবল ম্যাচ খেলতে বাধা দেওয়ায় এ নিয়ে আয়োজকদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর আমরা আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম যে, হাকিমপুরে কোনো প্রমীলা ফুটবল ম্যাচ আর হবে না। কিন্তু বাধা দেওয়া ও হামলার খবর গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেন। এরপর পুনরায় প্রমীলা ম্যাচ আয়োজনে সব ধরনের সহযোগিতাসহ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দিনাজপুর জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ও নারীদের এগিয়ে নিতে আমরা আবারও প্রমিলা ম্যাচ শুরু করতে পেরেছি। কোনো ধরনের বাধা বা সমস্যা হয়নি। স্থানীয় প্রশাসন আমাদের সহযোগিতা করেছেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে প্রমীলা ফুটবল আয়োজন বাধা, সংঘর্ষে আহত ২০
দিনাজপুর জেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা হাশমাতুন নাহার শুভ্রা ও সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারুল নাহার বলেন, নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে ও যাবে। এটা নিয়ে কারও কোনো আপত্তি করা ঠিক নয়। আমরা মনে করি, সমাজে কিছু মানুষ এখনও আছে যারা নারীদের পথচলাকে রুদ্ধ করতে চায়। কয়েকদিন আগে তৌহিদি জনতার ব্যানারে খেলার মাঠে যারা এই ন্যক্কারজনক হামলা করেছে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা তার প্রতিবাদ করছি।
হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজন মিঞা বলেন, এখানে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রমীলা ফুটবল ম্যাচ আয়োজন যাতে হয়, সে ব্যাপারে আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। সুন্দরভাবে ম্যাচ শেষ হয়েছে।
এদিকে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিত রায় বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। সবকিছু ভালোভাবেই হয়েছে। পুলিশ এলাকায় টহলে ছিল।
গত মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) উপজেলার একই ইউনিয়নের বাওনা মাঠে প্রমীলা ফুটবল ম্যাচ আয়োজনকে ঘিরে স্থানীয় আয়োজক কমিটি ও তৌহিদি জনতার মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের নারীসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। এরপর ম্যাচটি বাতিল হয়ে যায়।
এ ঘটনার খবর প্রকাশিত হলে সারা দেশে এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। পরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস নিন্দা জানিয়ে পুনরায় ম্যাচ আয়োজনের সকল ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দিনাজপুর জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা দেন। তারপর সোমবার পুনরায় ম্যাচের আয়োজন করেন আয়োজকরা।
৩০৩ দিন আগে
জাতিসংঘের তদন্তে কোনো হস্তক্ষেপ করব না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের তদন্তে বাংলাদেশ কোনো হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ একটা তদন্ত হোক। আমরা কোনো হস্তক্ষেপ করব না। তারা তদন্তের কাজে কোথাও গেলে, সেখানকার নিরাপত্তার ব্যবস্থা বা থাকার ব্যবস্থা করতে হলে, সেসব লজিস্টিকস সহযোগিতা করতে আমরা রাজি আছি। এটি তাদের বলেছি।’
মঙ্গলবার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের তদন্তকাজ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: এটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে 'অর্থবহ সম্পর্কের' ভিত্তি: পররাষ্ট্র সচিব
জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন সরকারের কাছে কোনো সহযোগিতা চেয়েছে কি না প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এখনো তারা সহযোগিতার বিষয়ে কিছু বলেনি। তারা নিজেরাই সবকিছু আয়োজন করতে পারবে বলে মনে করছে। প্রয়োজন হলে তারা আমাদের জানাবে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে কোন স্ট্যাটাসে আছেন, তা অফিসিয়ালি জানা গেছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানি না। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রথমে যেটুকু বলেছিলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) এসেছেন, খুব তাড়াতাড়ি তাকে আসতে দিতে হয়েছে- সেটুকুই আমরা জানি।
শেখ হাসিনা কী স্ট্যাটাসে ভারতে রয়েছেন, তা জানতে চাওয়া হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে চাওয়া হয়নি।’
পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর শেখ হাসিনা কোন প্রক্রিয়ায় ভারতে অবস্থান করবেন- জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সবকিছু শুধু আইন দিয়ে চলে না। ভারত সরকার তাকে আশ্রয় দিয়েছে, তিনি সেখানে থাকছেন; আমাদের এটা সেভাবেই দেখতে হবে।
এর আগে সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে আলাদা সাক্ষাথৎ করেন, ঢাকায় নিযুক্ত মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিউনিন রাশীদ এবং ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব মাইগ্রেশনের (আইওএম) বাংলাদেশ মিশন প্রধান আব্দুসাত্তার ইসোয়েভ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদের ভাষাকে আরও ‘শক্তিশালী’ করেছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
রাষ্ট্রপতির নাগরিকত্বের বিষয়ে যা বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
৪৪৩ দিন আগে
পুরান ঢাকায় হরিজন উচ্ছেদ বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইলেন চুন্নু
পুরান ঢাকার হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষদের উচ্ছেদ না করে বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু।
বুধবার (১২ জুন) সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় তিনি এই আহ্বান জানান।
চুন্নু বলেন, ' আমি সংসদ নেতাকে অনুরোধ করব, বিকল্প ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত মানবিক কারণে তাদের উচ্ছেদ না করতে।’
তিনি উল্লেখ করেন, হরিজন সম্প্রদায়ের লোকেরা কয়েক দশক ধরে ঢাকা শহরের কিছু এলাকায় বসবাস ও সেবা করে আসছে।
পুরান ঢাকার বংশালের আগা সাদেক রোডের কাছে মীরনজিলা কলোনিতে উচ্ছেদ অভিযানের কথা উল্লেখ করে চুন্নু বলেন, এখানে দীর্ঘদিন ধরে হরিজন সম্প্রদায়ের প্রায় তিন হাজার মানুষ বসবাস করছেন।
আরও পড়ুন: ব্যাংক সংকট সমাধানে সরকার ব্যর্থ : জিএম কাদের
তিনি বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন তাদের বসবাসের জায়গায় বাজার তৈরি করতে চায়।’
তিনি উল্লেখ করেন, এটি সত্য যে এই জায়গার মালিক নয় হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষ নয়।
‘কিন্তু তারা যুগ যুগ ধরে সিটি করপোরেশনের এই জায়গায় আছে, তাদের উচ্ছেদের আগেই বিকল্প ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে আসছেন তারা।’
তিনি বলেন, গতকাল উচ্ছেদ অভিযান শুরু হলে হরিজন শিশুরা রাস্তায় শুয়ে পড়ে। ‘ফলে উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি।’
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কমিশনার ওয়াহিদা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা প্রসঙ্গে চুন্নু বলেন, একজন কর কমিশনার গ্রামীণ ফোনসহ চারটি মোবাইল কোম্পানির ১৭০ কোটি টাকা মওকুফ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এনবিআর চেয়ারম্যান, অর্থসচিব ও অর্থমন্ত্রী কোথায়? দেশের স্বার্থে এটাকে যথাযথভাবে দেখতে হবে।’
আরও পড়ুন: সিন্দবাদের দৈত্যের মতো দেশ শাসন করছে আ.লীগ সরকার: জিএম কাদের
৫৪০ দিন আগে
নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা অন্যায় হস্তক্ষেপ করবেন না: দীপু মনি
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে মন্ত্রী-এমপিরা এই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কোনো অন্যায় হস্তক্ষেপ করবেন না।
তিনি বলেন, তারা কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তারও করবেন না, এসব নির্দেশনাও আছে। এছাড়া এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দল থেকে কোনো দলীয় প্রতীক, দলীয় মনোনয়ন কিংবা সমর্থন কাউকে দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের চেষ্টার পাশাপাশি সবারই সহযোগিতা প্রয়োজন: দীপু মনি
সোমবার (১৩ মে) বিকালে চাঁদপুর শহরের তিন নদীর মোহনা বড় স্টেশন মোলহেডে শহর সংরক্ষণ পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় নদীতীর প্রতিরক্ষা কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, যারা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন তারা সবাই প্রায় একই আদর্শের মানুষ। তারা দিন শেষে একই স্থানে। অর্থাৎ পরবর্তী কোনো নির্বাচনে সবাই একই পক্ষের হয়ে কাজ করবে। কাজেই তারা কেউই যেন এমন কোনো কাজ না করেন, যার জন্যে পরবর্তীতে একটি বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। তারা যেন একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার না করেন।
দীপু মনি আরও বলেন, নির্বাচনে প্রার্থীরা প্রত্যেকে নিজের যোগ্যতার কথা বলে ভোট চাইবেন। কোনো নেতা-কর্মীকে যেন তারা অন্যভাবে চাপ প্রয়োগ না করেন তাদের পক্ষে যাওয়ার জন্য। সবাই নির্বাচন করুক। স্বাধীনভাবে নির্বাচন করার অধিকার সবার আছে। তাদের প্রতি আমার অনুরোধ আমরা চাই একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, সুন্দর ও উৎসব মুখর নির্বাচন। আমি বিশ্বাস করি ২১ মে সেরকম একটি সুন্দর নির্বাচন হবে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কাছেও আমার চাওয়া একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। প্রশাসনও আমাকে জানিয়েছে তারা এই ধরনের নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুত।
মন্ত্রী বলেন, আমার সম্মানিত ভোটারদের আশ্বস্ত করতে চাই তারা উৎসবমুখর পরিবেশে এসে ভোট দেবেন। কোনো চাপ প্রয়োগ ছাড়া আনন্দমুখর পরিবেশে ভোট দেবেন। পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করবেন এটিই আমার প্রত্যাশা।
মন্ত্রী আরও বলেন, এর আগেও চাঁদপুর থেকে হাইমচর নদী তীর সংরক্ষণের কাজ হয়েছে। ওই কাজটিও খুবই সুন্দর হয়েছে। কারণ তখন কাজ চলাকালীন জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, অন্যান্য পেশার লোকজন এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কাজের মান দেখেছেন। কোথাও কাজের অনিয়ম হলে তা জানিয়েছেন। এবারও শহর সংরক্ষণ পুনর্বাসন কাজ শুরু হলে সেভাবেই কাজের তত্ত্বাবধান করা হবে।
আরও পড়ুন: ‘মুখে বঙ্গবন্ধু, অন্তরে আরেক’ এর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে: দীপু মনি
সাংবাদিকতায় অনেক সময় নিরপেক্ষতার কথা বলে দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া হয়: দীপু মনি
৫৭০ দিন আগে
মার্কিন কংগ্রেসম্যানরা যদি এরকম চিঠি দেন, তাহলে এটা সরকারকে আদালতের উপর হস্তক্ষেপ করতে বলা: হাছান মাহমুদ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তার প্রতিষ্ঠানের বঞ্চিত কর্মীদের দায়ের করা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে। এখানে সরকার কোনো পক্ষ নয়।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকার আদালতকে নির্দেশ দিতে পারে না। ড. ইউনূসের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমি বলতে চাই, সরকার এ মামলায় কোনো পক্ষ নয়। তার প্রতিষ্ঠানের বঞ্চিত কর্মচারীরা এ মামলা করেছে।’
তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নয়, দেশের নাগরিক ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এ মন্তব্য করেছেন বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নতুন সরকারকে বিশ্ব নেতাদের অভিনন্দন বিএনপির মাথা খারাপ করে দিচ্ছে: হাছান মাহমুদ
এর আগে ড. ইউনূস সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের একটি চিঠির বিষয়ে একজন টিভি সাংবাদিক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন কংগ্রেসম্যানরা এ ধরনের কোনো চিঠি লিখে থাকলে তারা সরকারকে আদালতের কাজে হস্তক্ষেপ করতে বলছেন। সরকার কি তা করতে পারে? এটা কি যৌক্তিক?’
তবে ইউএনবি স্বাধীনভাবে চিঠির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ঢাকার একটি আদালত।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আশরাফুল হাসান, মো. ট্রাস্টি নূরজাহান বেগম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম শাহজাহান।
আরও পড়ুন: কাম্পালায় ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাছান মাহমুদের সাক্ষাৎ
তাদের বিরুদ্ধে গ্রামীণ টেলিকমের ১০১ জন কর্মচারীকে স্থায়ী না করা, সরকারি ছুটি নগদায়ন না করা এবং শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে লভ্যাংশ জমা না দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
৮৪ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারক বলেন, তাদের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তবে আদালত তাদের শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন।
ড. ইউনূস বলেন, তিনি এমন একটি অপরাধের জন্য শাস্তি পেয়েছেন যা তিনি করেননি।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ড. ইউনূস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এমন একটি অপরাধের জন্য শাস্তি পেয়েছি, যা আমি করিনি। আপনি যদি এটাকে ন্যায়বিচার বলতে চান, আপনি বলতে পারেন।’
আরও পড়ুন: বিএনপির এমপিরা পদত্যাগ করলে তাদের আসনে উপ-নির্বাচন হবে: হাছান মাহমুদ
৬৮১ দিন আগে
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হবে বাংলাদেশিদের: চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন তার দেশের ‘হস্তক্ষেপ না করার’ নীতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশিদের দ্বারা নির্ধারিত হওয়া উচিৎ।
ইউএনবিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমাদের নীতি অত্যন্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ, আর তা হলো- চীন কখনোই কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না।’
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, আসন্ন নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জোহানেসবার্গে বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যা বলেছেন তা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবন নিশ্চিত করতে বাহ্যিক হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ এবং অভ্যন্তরীণ ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে চীন।
বৈঠকের বিষয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় চীন বাংলাদেশকে সমর্থন করে।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, ‘চীন বাংলাদেশের উন্নত ভবিষ্যতের পাশাপাশি চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখে।’
তিনি বলেন, বর্তমানে ৬০০টিরও বেশি চীনা এন্টারপ্রাইজ বাংলাদেশে কাজ করছে এবং হাজার হাজার চীনা নাগরিক এখানে বসবাস ও কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: যারা মিয়ানমারের পরিস্থিতি প্রত্যাবাসনের ‘উপযোগী নয়’ বলে দাবি করছে, তারা কখনোই রাখাইন যায়নি: চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও
রাষ্ট্রদূত ইয়াও অনুসারে, চীনা কোম্পানিগুলো স্থানীয় অর্থনীতির উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা, স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সামাজিক সেবা প্রদান, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়তা, জনশক্তির সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দাতব্য প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে সামাজিক দায়িত্ব পালন করে থাকে।
তিনি বলেন, ‘তাদের অবদান ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে দুই দেশের জনগণের হৃদয়কে আরও কাছাকাছি আনা হয়েছে।’
উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিবেশের প্রেক্ষাপটে চীনা কোম্পানি ও নাগরিকদের স্বার্থ সম্পর্কে জানতে চাইলে ইয়াও বলেন, চীনা নাগরিক বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও যৌথ উন্নয়নের জন্য এখানে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা অবশ্যই নিশ্চিত এবং বৈধ স্বার্থ রক্ষা করতে হবে।’
গত বছরের শেষের দিকে ঢাকায় আসার পর তার প্রথম সাক্ষাৎকারে চীনা রাষ্ট্রদূত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ, জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক এবং ভবিষ্যতের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: অগ্রাধিকারমূলক ঋণ, জিডিআই ও সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন তহবিলের উপযুক্ত ব্যবহার করবে বাংলাদেশ: প্রত্যাশা চীনা রাষ্ট্রদূতের
৮৩১ দিন আগে