হাতে
ছেলের হাতে বাবা খুন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ছেলের ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন প্রবাসী বাবা। রবিবার (২৩ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার শাহজাদাপুর ইউনিয়নের দেওড়া পশ্চিমপাড়ায় (৭ নম্বর ওয়ার্ড) এ ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহত মগুল হোসেন (৫৫) ওই এলাকার মৃত নবী হোসেনের ছেলে।
ঘটনার পরই বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে ঘাতক ছেলে মনির হোসেন (৩১) ও তার স্ত্রী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সরাইল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন।
আরও পড়ুন: ঝগড়া থামাতে গিয়ে ছেলের দায়ের কোপে বাবা খুন!
তিনি জানান, মধ্যবিত্ত পরিবারের মগুল মিয়া দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরব ছিলেন। তিনি গত এক মাস আগে দেশে ফিরেছেন। মগুল মিয়ার দুই ছেলে তিন মেয়ের মধ্যে মনির সবার বড়। তিন সন্তানের জনক মনির ছিল অনেকটা ভবঘুরে প্রকৃতির। তার বিরুদ্ধে রয়েছে মাদক সেবন ও একাধিক বিয়ের অভিযোগ। সে বিভিন্ন দোকানে ও মানুষের কাছে দেনা করতো। নিজে কোন কাজ না করে বাবার কাছ থেকে নিয়মিত টাকা চেয়ে নিতো মনির। শনিবার সে ঢাকায় যায়, রাতে ফিরে আসে।
রবিবার ফজরের নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বাড়িতে ফেরেন মগুল হোসেন। কিছুক্ষণ পর বাবার কাছে টাকা চায় মনির। বাবা মগুল মিয়া টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মনির উচ্চস্বরে চেঁচামেচি শুরু করে। পরে এক পর্যায়ে বাবা মগুল হোসেনের বুকে ছুরিকাঘাত করে মনির। গুরুতর আহত অবস্থায় স্বজনরা মগুল হোসেনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান।
তিনি আরও জানান, ঘাতক ছেলে মনির ও তার স্ত্রী ঘটনার পর পালিয়ে গেছে। তাদের আটক করতে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়া লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারসাম্যহীন ছেলের হাতে বাবা খুন!
ঝগড়া থামাতে গিয়ে ছেলের দায়ের কোপে বাবা খুন!
পিকে হালদারকে কি বাংলাদেশের হাতে তুলে দেবে ভারত?
দেশের ইতিহাসে অন্যতম আলোচিত অর্থ পাচারকারী প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করতে পারে ভারত। চলতি বছরের শুরুর দিকে পশ্চিমবঙ্গের ফেডারেল অর্থনৈতিক অপরাধ সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) হালদারকে গ্রেপ্তার করেছিল।
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক এমডি পিকে হালদার বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক অর্থ পাচার এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার পর থেকে পলাতক ছিলেন।
আরও পড়ুন: পিকে হালদারের আরও দুই নারী সহযোগী আটক
উচ্চপদস্থ একটি সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে, ‘যেহেতু ইন্টারপোল গত বছর হালদারের বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিশ জারি করেছিল, তাই ইডি শেষ পর্যন্ত তাকে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে পারে।’
ইডি চলতি বছরের মে মাসে কলকাতা এবং এর পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে একাধিক অভিযান চালিয়ে হালদার এবং তার দুই সহযোগী প্রীতিশ কুমার হালদার ও প্রাণেশ কুমার হালদারকে গ্রেপ্তার করে।
ইডি তখন এক বিবৃতিতে জানায়, ‘পিকে হালদার বিভিন্ন সরকারি পরিচয় জালিয়াতি করে সবশেষে শিবশঙ্কর হালদার নামে একজন ভারতীয় নাগরিক পরিচয়ে ভারতে বসবাস করছিলেন…।’
ইডি আরও জানায়, এই তিনজনই জাল নথির ভিত্তিতে ভারতীয় কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছিল।
আরও পড়ুন: পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিচার শুরু
কুষ্টিয়ায় ভাইয়ের হাতে ভাই খুনের অভিযোগ
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে কথা-কাটাকাটির জের ধরে ভাতিজার হাতে চাচা খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার রাত পৌনে ৯ টার দিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের সিরাজনগর রিফিউজি পাড়া গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হয়েছেন।
নিহত রিয়াজ উদ্দিন খাঁ (৭০) ওই গ্রামের মৃত মজি খাঁ'র ছেলে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খুন
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, তাজিয়া মিছিল বের করার নেতৃত্বকে কেন্দ্র করে কথা-কাটাকাটির জের ধরে বুধবার রাত পৌনে ৯ টার দিকে নিজ বাড়ির সামনে দিরাজ খাঁ (৪৬) ও তার ছেলে সাদ্দাম (২৬) রামদা দিয়ে রিয়াজ উদ্দিন খাঁকে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই রিয়াজ উদ্দিন খাঁ নিহত হন।
এ সময় রিয়াজউদ্দিন খাঁ'র ছেলে স্বপন (৪৫) ও প্রতিবেশী আরজিনা খাতুন হামলাকারীদের ঠেকাতে গিয়ে আহত হন। আহত দু’জনকে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলাকারী দিরাজ খাঁ নিহত রিয়াজউদ্দিন খাঁর আপন ছোট ভাই ওই গ্রামের সিরাজ খাঁ'র ছেলে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বড় ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে ছোট ভাই খুন
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভেড়ামারা সার্কেল ইয়াসির আরাফাত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পুলিশ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। ঘটনার পর থেকে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।