ট্রানজিট
ভিসা নীতিতে বড় পরিবর্তন চীনের, মিলতে শুরু করেছে সুফল
পর্যটক টানতে ভিসা নীতি শিথিল করেছে চীন। ৭৪টি দেশের নাগরিকদের বিনা ভিসায় ভ্রমণের সুযোগ দিয়েছে দেশটি। এর ফলে ধীরে ধীরে আবারও বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ছে চীনে।
নতুন নীতি অনুযায়ী, ৭৪টি দেশের নাগরিকরা চীনে প্রবেশের পর টানা ৩০ দিন পর্যন্ত ভিসা ছাড়াই অবস্থান করতে পারছেন যা আগের নিয়মের তুলনায় অনেক বড় পরিবর্তন।
ইউরোপ, এশিয়া, লাতিন আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের মোট ৭৪টি দেশকে এ পর্যন্ত ৩০ দিনের ভিসা ছাড় দিয়েছে চীন। চলতি মাসের ১৬ জুলাই এই তালিকায় আজারবাইজান যুক্ত হলে মোট দেশের সংখ্যা দাঁড়াবে ৭৫টিতে।
মূলত পর্যটন, অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি বা ‘সফট পাওয়ার’ বাড়াতে ধারাবাহিকভাবে ভিসা-মুক্ত প্রবেশাধিকার বাড়াচ্ছে চীন।
দেশটির জাতীয় অভিবাসন প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ২ কোটির বেশি বিদেশি পর্যটক ভিসা ছাড়াই চীনে প্রবেশ করেছেন, যা মোট বিদেশি পর্যটকের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এবং আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি।
ভিসা ছাড়াই চীন ভ্রমণ করা অস্ট্রিয়ায় বসবাসকারী জর্জিয়ার নাগরিক জর্জি শাভাদজে বেইজিংয়ের বিখ্যাত ‘টেম্পল অব হেভেন’ ঘোরার সময় বলেন, ‘ভিসা আবেদন ও প্রক্রিয়া নিয়ে যে ঝামেলা, তাতে চীনের এই সিদ্ধান্ত ভ্রমণপিপাসুদের অনেক সুবিধা দেবে।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত: ট্রাম্প
তারপরও চীনে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা তুলনামূলক কম, দেশটির বেশিরভাগ পর্যটনকেন্দ্রই এখনও দেশীয় পর্যটকে ঠাসা। তা সত্ত্বেও গ্রীষ্মের ছুটিতে বিদেশি পর্যটকের বড় ঢল নামতে পারে বলে আশা করছে পর্যটন ব্যবসা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ট্যুর গাইডরা।
দীর্ঘ ২০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ইংরেজিভাষী গাইড গাও জুন বলেন, ‘আমি পর্যটক সামলাতে হিমশিম খাচ্ছি। সবটা আমি একা সামলাতে পারছি না।’
জুন জানান, চাহিদা সামলাতে তিনি এখন নতুন একটি ব্যবসা শুরু করেছেন, যেখানে ইংরেজিভাষী ট্যুর গাইড তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
কঠোর কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর ২০২৩ সালের শুরুতে চীন বিদেশি পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খুলে দেয়। তবে ওই বছর মাত্র ১ কোটি ৩৮ লাখ পর্যটক চীন সফর করেন, যা মহামারি শুরু হওয়ার আগের বছর, অর্থাৎ ২০১৯ সালের তুলনায় অনেক কম।
২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, স্পেন ও মালয়েশিয়ার নাগরিকদের জন্য ভিসা-মুক্ত প্রবেশের অনুমতি দেয় চীন। এরপর থেকে ইউরোপের প্রায় সব দেশকেই এই সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে।
গত মাসে লাতিন আমেরিকার পাঁচটি দেশ এবং উজবেকিস্তান এই সুবিধা পায়, এরপর যুক্ত হয় মধ্যপ্রাচ্যের আরও চারটি দেশ। তবে এই সুবিধা দেওয়া দেশগুলোর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের জন্যই এটি এক বছরের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে।
নরওয়ের পর্যটক ওইস্টেইন স্পরসেইম জানান, নতুন নিয়মে তার পরিবারকে আর চীনের পর্যটন ভিসার জন্য ওসলোতে অবস্থিত চীনা দূতাবাসে দুইবার যেতে হবে না। তিনি বলেন, ‘ওরা দূতাবাস খুব কমই খোলে। তাই আগের নিয়মে ভিসা পাওয়া খুব কঠিন ছিল।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বিষাক্ত ছত্রাক পাচারের অভিযোগে চীনা বিজ্ঞানীর বিরুদ্ধে মামলা
‘ওয়াইল্ডচায়না’ নামের বিলাসবহুল পর্যটন সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেনি ঝাও বলেন, ‘নতুন ভিসা নীতির সুবিধা আমাদের জন্য শতভাগ ইতিবাচক।’ মহামারির আগের তুলনায় বর্তমানে তাদের ব্যবসা অন্তত ৫০ শতাংশ বেড়েছে বলেও জানান তিনি।
ঝাও আরও বলেন, এখন পর্যন্ত পর্যটন ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রই তাদের সবচেয়ে বড় বাজার, যা বর্তমানে তাদের মোট ব্যবসার প্রায় ৩০ শতাংশ। তবে ইউরোপীয় পর্যটকদের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ২০১৯ সালের আগে যা ৫ শতাংশের নিচে ছিল, এখন তা ১৫ থেকে ২০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ভিসা নীতির চলমান এই সুবিধা যেন স্থায়ী হয়—এমনটাই আশা করছেন তিনি।
অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি ‘ট্রিপ ডটকম’ জানিয়েছে, মুক্ত ভিসা নীতির কারণে চীনে পর্যটন ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এ বছরের প্রথম তিন মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় চীনগামী বিমান, হোটেলসহ অন্যান্য বুকিং প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। তাদের তথ্য অনুযায়ী, এসব পর্যটকের ৭৫ শতাংশই ভিসা-মুক্ত সুবিধা দেওয়া দেশগুলোর।
তবে, লক্ষণীয় বিষয় হলো, চীনের সঙ্গে তুলনামূলক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকলেও আফ্রিকার কোনো বড় দেশ এখনও এই সুবিধার আওতায় আসেনি।
১০ দিনের ‘ট্রানজিট’ সুযোগ
ভিসা-মুক্ত তালিকায় না থাকা দেশের নাগরিকদের জন্য বিকল্প পথও চালু করেছে বেইজিং। ওইসব দেশের দেশের নাগরিক যদি ভিন্ন কোনো দেশে যাওয়ার পথে চীন হয়ে ট্রানজিট করেন। যদিও ৫৫টি দেশের জন্য এই ট্রানজিট নীতি চালু রয়েছে, কিন্তু এদের অধিকাংশই ৩০ দিনের ভিসা-মুক্ত তালিকায় রয়েছে।
তবে এই সীমিত সুযোগটি কার্যত যে ১০টি দেশের জন্য সেগুলো হলো— চেক প্রজাতন্ত্র, লিথুনিয়া, সুইডেন, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ইউক্রেন, ইন্দোনেশিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। ইউরোপের ধনী দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্যকে বাদ দিলে শুধু সুইডেনই ৩০ দিনের তালিকায় স্থান পায়নি।
সুইডেনের সঙ্গে চীনের সম্পর্কে টানাপড়েনের পেছনে ২০২০ সালে সুইডিশ বই বিক্রেতা গুই মিনহাইকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া বড় কারণ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
২০১৫ সালে থাইল্যান্ডে সমুদ্রতীরবর্তী বাড়ি থেকে গুই নিখোঁজ হন। পরে চীনের মূল ভূখণ্ডে পুলিশের হেফাজতে দেখা যায় তাকে।
১৪৮ দিন আগে
ট্রানজিটসহ ভারতকে দেওয়া সব সুবিধা বাতিল করতে আইনি নোটিশ
ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্টসহ ভারতকে দেওয়া সব সুবিধা বাতিল চেয়ে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। পররাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এ নোটিশ পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ আজিজুল হক এ নোটিশ পাঠিয়েছেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এই আইনজীবী বলেন, ‘নোটিশ পাওয়ার পর সরকার যদি ভারতকে দেওয়া ট্রানজিট, ট্রান্সপশিপমেন্ট সুবিধা ও বৈষম্যমূলক চুক্তি বাতিলে পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তাহলে প্রতিকার চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘ভারত এরই মধ্যে বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে। এখন বাংলাদেশের জনগণও চায় ভারতকে দেওয়া সব সুবিধা বাতিল করা হোক।’
২৩২ দিন আগে
বাংলাদেশ-নেপালের মধ্যে জ্বালানি ও ট্রানজিট সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করলেন অধ্যাপক ইউনূস-প্রধানমন্ত্রী ওলি
বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে ব্যবসা, জ্বালানি ও ট্রানজিট সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি।
নিউইয়র্ক সময় বুধবার বিকালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইডলাইনে এক বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
বৈঠকে বাংলাদেশে নেপালের শিক্ষার্থীদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির বিষয়টিও উঠে আসে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সংস্কারে ৩৫০ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক: অজয় বাঙ্গা
নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আনন্দিত। নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক, জ্বালানি ও ট্রানজিট সহযোগিতা, পর্যটন, সাংস্কৃতিক বিনিময়, শিক্ষা সম্পর্ক এবং আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক ফোরামে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, নেপাল থেকে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ রপ্তানির জন্য আগামী মাসে একটি চুক্তি হতে পারে।
আলম বলেন, দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগের গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
অধ্যাপক ইউনূস ইউএসএআইডির অ্যাডমিনিস্ট্রেটর সামান্থা পাওয়ার; পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ; জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার ভলকার তুর্ক; বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা এবং বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের গ্লোবাল সিইও মার্ক সুজম্যানের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
এছাড়াও জাতিসংঘের সামাজিক ব্যবসা, যুব ও প্রযুক্তি বিষয়ক একটি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এবং মানবাধিকার কর্মকর্তাদের ও সামাজিক অধিকার বিষয়ক সংগঠনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস নিউইয়র্ক টাইমসের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক একটি কথোপকথনেও যোগ দেন যা নিউইয়র্ক টাইমস স্টুডিও থেকে সরাসরি সম্প্রচার হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সোলার প্যানেল উৎপাদনে বিনিয়োগ এবং সম্পর্ক গভীর করতে আগ্রহী চীন
৪৩৫ দিন আগে
ট্রানজিট নিয়ে ওমরাহ করতে পারবেন বাংলাদেশিরা
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রী ড. তৌফিক বিন ফাউজান আল-রাবিয়াহ জানিয়েছেন, বিদেশগামী বাংলাদেশিরা এখন থেকে ট্রানজিট নিয়ে সৌদি আরবে ওমরাহ করতে পারবেন।
বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর সচিবালয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের সঙ্গে সৌদি সরকারের হজ ও ওমরাহমন্ত্রী তৌফিক বিন ফাউজান আল-রাবিয়াহের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের দ্বিপক্ষীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: ওমরাহ ই-ভিসা: বাংলাদেশসহ ৫ দেশের যাত্রীদের জন্য বায়োমেট্রিক তথ্য আবশ্যক
এসময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেন, ট্রানজিটে গিয়েও বাংলাদেশিরা সৌদি আরবে হজ করতে পারবেন। তবে শর্ত থাকে যে, শুধু সৌদি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের যাত্রীরা এ সুবিধা পাবেন। ট্রানজিট ভিসার মেয়াদ হবে ৪ দিন।
তিনি বলেন, এ ছাড়া ওমরা ভিসার মেয়াদ ১ মাস থেকে বাড়িয়ে ৩ মাস করা হয়েছে। এ ভিসায় গিয়েও দেশটিতে ঘুরতে পারবেন বাংলাদেশি যাত্রীরা।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের হজ কোটা বাড়ানো এবং হজ খরচ কমানো বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ওমরাহ করতে গিয়ে বাংলাদেশির ইন্তেকাল
সৌদি সরকার বিদেশি তীর্থযাত্রীদের ওমরাহ বীমা খরচ ৬৩% কমিয়েছে
৮৩৫ দিন আগে
কাজ ও ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভিসা স্টিকার অপসারণ করে ই-ভিসা চালু সৌদি আরবের
কাজ, ভ্রমণ ও ট্রানজিটের জন্য ভিসা স্টিকার অপসারণ করে ই-ভিসা চালু করেছে সৌদি আরব।
বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত এসা ইউসুফ এসা আলদুহাইলান সোমবার বিকালে ঢাকাস্থ দূতাবাসে এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, সৌদি সরকারের কয়েকটি দেশে একই ধরনের ই-ভিসা ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে অবৈধ ভিসা ব্যবসার অভিযোগে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি আটক
৯৪৯ দিন আগে
ভুটান-বাংলাদেশ ট্রানজিট চুক্তি সই: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ট্রানজিট চুক্তি সই হলো।
তিনি বলেন, এই যুগান্তকারী চুক্তির ফলে উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সহজতর হবে।
বুধবার (২২ মার্চ) ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে ‘এগ্রিমেন্ট অন দ্য মুভমেন্ট অব ট্রাফিক ইন ট্রানজিট অ্যান্ড প্রটোকল’ এই শিরোনামে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি সই হয়। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা জানান।
অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, যুগান্তকারী এই চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সহজতর হওয়ার পাশাপাশি বাণিজ্য সম্পর্ক নতুন মাত্রা পাবে।
এছাড়া সই করা চুক্তি দেশের জন্য কুটনৈতিক, অর্থনৈতিক, সংযোগ এবং কৌশলগত সুবিধা বয়ে আনবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে বাংলাদেশকে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ আন্ত:যোগাযোগ বৃদ্ধি ও আঞ্চলিক ভ্যালু চেইন সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে চায়। এর অংশ হিসেবে চারিদিকে স্থলভাগ বেষ্টিত ভুটানকে বাংলাদেশ ট্রানজিট চুক্তির আওতায় বিমান, রেল, স্থল, নৌবন্দর ও সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের সুযোগ প্রদান করছে।
এ চুক্তির ফলে উভয় দেশের কুটনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক যোগাযোগে ব্যাপক প্রসার ঘটবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে ভুটানের পণ্য রপ্তানি ও আমদানি করলে বাংলাদেশ বিভিন্ন ফি এবং চার্জ লাভ করবে।
এছাড়া অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটবে। ট্রানজিট এগ্রিমেন্ট বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের সমুন্দ্র বন্দরসমূহ অধিকতর কর্মক্ষম হবে এবং রাজস্ব আয় বাড়বে। অধিকন্তু কর্মসংস্থান বৃদ্ধিসহ বন্দরসমূহের সার্বিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আসবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পেরে তিনি গর্বিত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের সমাপ্তির প্রাক্কালে ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে সর্বপ্রথম স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় তিনি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং বাংলাদেশ ভুটানের নিবিড় বন্ধুত্বকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দ্বিপক্ষীয় এই সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারিত ও শক্তিশালী করতে উভয় রাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
টিপু মুনশি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে গত এক দশকে অর্থ-বাণিজ্য, স্বাস্থ্য-শিক্ষা এবং যোগাযোগ ও অবকাঠামোসহ সকল খাতে অসাধারণ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। যার ফলে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে রুপান্তরিত হয়েছে, পরিচিতি পেয়েছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে।
চুক্তি সইয়ের সময় ভুটানের শিল্প বাণিজ্য কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব দাশ তাশি ওমাং এবং জ্বালানি ও নবায়নযোগ্য সম্পদ বিষয়ক সচিব জনাব দাশ কর্মা শেরিং, ভুটান চেম্বার অব ইন্ডাষ্ট্রিজ এর সভাপতি এবং ভুটানের বিভিন্ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকরাসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রোজার প্রথম সপ্তাহেই চিনির দাম কেজিতে ৫ টাকা কমবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
রমজানে সামান্য মুনাফা করুন, ব্যবসায়ীদেরকে বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী
৯৮৯ দিন আগে
ট্রানজিট সুবিধায় যানবাহন চলাচলে বাংলাদেশ-ভুটানের চুক্তি স্বাক্ষর
বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ট্রানজিট সুবিধায় যানবাহন চলাচলের বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বুধবার ভুটানের রাজধানী থিম্ফুতে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই যুগান্তকারী চুক্তি দুই দেশের মধ্যে অভিন্ন সমৃদ্ধির জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যকে সহজতর করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভুটান অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি সই
কয়েকটি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারে সম্মত বাংলাদেশ-ভুটান
৯৮৯ দিন আগে
তুমব্রু থেকে ট্রানজিট ক্যাম্পে নেয়া হয়েছে ১৮০ রোহিঙ্গাকে
কক্সবাজারের উখিয়ার পাশ্বর্বতী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের সশস্ত্র দুইটি গোষ্টির মধ্যে সংঘাতের ঘটনা ঘটে।তুমব্রু কোনার পাড়ায় আশ্রিত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের ভুখন্ডে আশ্রয় নেয়।
রবিবার আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।প্রথম দফায় ৩৫ পরিবারের ১৮০জন রোহিঙ্গা নিবন্ধিত হয়েছেন।এদেরকে ঘুমধুমসহ ট্রানজিট ক্যাম্পে সরিয়ে নেয়া হয়।পর্যায়ক্রমে উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প হস্তান্তর করা হবে।সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলে।
আরও পড়ুন: ‘তুমব্রু সীমান্তে অবস্থান নেয়া রোহিঙ্গারা নিবন্ধিত কি না যাচাই করা হবে’
এ ব্যাপারে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ সত্যতা নিশ্চিত করেন।
জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে তাদের ট্রানজিট ক্যাম্পে হস্তান্তর শুরু হয়। এখানে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন (আরআরআরসি) ২ কর্মকর্তার অধীনে ডজনাধিক স্টাফ কাজ করেন। প্রথমদিন ৩৫ পরিবারের ১৮০ জনকে তার ইউনিয়ন এলাকার পশ্চিমাংশে অবস্থিত কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পূর্বাংশের ট্রানজিট ক্যাম্পে রাখা হয়।
চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ বলেন, নিবন্ধিতদের প্রত্যেককে স্লিপ দেয়া হয়েছে। সেখানে কোন রোহিঙ্গাকে কোন ক্যাম্প বা সেটে পাঠানো হবে তা উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে। নম্বর উল্লেখ আছে। আর এসব স্লিপের নিচে সই করেছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন (আরআরআরসি) এর কর্মকর্তা প্রিতম সাহা।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে দুর্বৃত্তের গুলিতে রোহিঙ্গা যুবক খুন
উল্লেখ্য, বর্তমানে তুমব্রু ৫৫৮ পরিবারের ২৯৭০ জন রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। যাদের মধ্যে ৩৭৭ রোহিঙ্গা পরিবারের দুই হাজার ৯৮ রোহিঙ্গা নিবন্ধিত। বাকি ১৭৯ পরিবারের ৮৭২ জন রোহিঙ্গা অনিবন্ধিত।গত ১৮ জানুয়ারি নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রোহিঙ্গা হামিদ উল্লাহ নিহত এবং দু’জন আহত হয়েছেন। এ সময় শূন্যরেখার বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের বসতঘর পুড়ে যায়। এরপর তুমব্রু বাজারে তাবু টাঙিয়ে আশ্রয় নেন তারা।
১০৩৩ দিন আগে
ট্রানজিট: চূড়ান্ত পর্যায়ে চট্টগ্রাম-মোংলা বন্দর হয়ে ভারতীয় পণ্যের নিয়মিত চলাচল
ভারত থেকে পণ্য পরিবহনের জন্য চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করার চুক্তিটি বাস্তবায়নের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চুক্তিটি সই হয়।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ট্রায়াল রান সমাপ্ত হওয়ার পর এই চুক্তির অধীনে পণ্য পরিচালনা ও নিয়মিত চলাচলের জন্য বাংলাদেশ সরকার এখন প্রয়োজনীয় স্থায়ী আদেশ বা বিজ্ঞপ্তি জারি করবে।
সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে যে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয় তা বাস্তবায়নে এটি এক ধাপ এগিয়ে রাখবে।
আরও পড়ুন: বিকিরণ প্রযুক্তির বিনিময় সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশ ও ভারত
১১৪৩ দিন আগে
বাংলাদেশকে তৃতীয় বিশ্বে ট্রানজিট ফ্রি রপ্তানির প্রস্তাব ভারতের
ভারতের নির্দিস্ট স্থল, বিমান ও নৌবন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশকে তৃতীয় বিশ্বে পণ্য রপ্তানির প্রস্তাব দিয়েছে ভারত।
এজন্য বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের তাদের পণ্য পরিবহনের জন্য ভারতীয় বন্দরের অবকাঠামো পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরকালে নয়াদিল্লির হায়দারাবাদে নরেন্দ্র মুদির সঙ্গে প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় আলোচনাকালে ভারতীয় পক্ষ এই প্রস্তাব দেন।
বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, নেপাল ও ভুটানে পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশকে ফ্রি ট্রানজিট সুবিধা দিবে ভারত।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নতুন করে উদ্বোধন করা হলদিবাড়ি রুট দিয়ে ভুটানের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপনের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ভারতীয় পক্ষ কার্যক্ষমতা ও সম্ভাব্যতার ভিত্তিতে অনুরোধটি বিবেচনা করতে সম্মত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সেপা চুক্তির জন্য চলতি বছরেই আলোচনা শুরুর নির্দেশ হাসিনা-মোদির
এটি করতে আন্তসীমান্ত রেল সংযোগ কার্যকর করতে ভারতীয় পক্ষ বাংলাদেশকে চিলাহাটি হলটিবাড়ি বন্দর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অনুরোধ করে।
দুই নেতা বিবিআইএন মোটর ভেহিকেল চুক্তির দ্রুত কার্যকরের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় এবং উপ-আঞ্চলিক সংযোগ উন্নত করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করতে সম্মত হয়েছেন।
ভারত পশ্চিমবঙ্গের হিলি থেকে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে মেঘালয়ের মহেন্দ্রগঞ্জ পর্যন্ত একটি মহাসড়কসহ নতুন উপ-আঞ্চলিক সংযোগ প্রকল্প শুরু করতে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ করেছে। এবং এই বিষয়ে একটি বিশদ প্রকল্প প্রতিবেদন তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে।
একইভাবে, বাংলাদেশ ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড ত্রিপক্ষীয় হাইওয়ে প্রকল্পের চলমান উদ্যোগে অংশীদার হওয়ার আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।
দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক এবং উপ-আঞ্চলিক রেল, সড়ক এবং অন্যান্য সংযোগ উদ্যোগ বাস্তবায়নের গুরুত্বারোপ করেন।
চলমান দ্বিপাক্ষিক উদ্যোগ টঙ্গী-আখাউড়া লাইনের ডুয়েল-গেজে রূপান্তর, রেলওয়ে রোলিং স্টক সরবরাহ, বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নত পরিষেবার জন্য আইটি সমাধান ভাগাভাগি করাকে উভয় পক্ষই স্বাগত জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রানজিট চুক্তি: ভারতের পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ‘এমভি ট্রান্স সামুদেরা’
এছাড়া সিরাজগঞ্জে একটি কন্টেইনার ডিপো নির্মাণ সহ কাউনিয়া-লালমনিরহাট-মোগলঘাট-নতুন গীতালদহ সংযোগ, হিলি ও বিরামপুরের মধ্যে একটি সংযোগ স্থাপন, বেনাপোল-যশোর লাইন বরাবর ট্র্যাক এবং সিগন্যালিং সিস্টেম এবং রেলওয়ে স্টেশনগুলির উন্নীতকরণ, বুড়িমারী ও চ্যাংরাবান্ধার মধ্যে সংযোগ পুনঃস্থাপনের মতো নতুন উদ্যোগকে উভয় পক্ষই স্বাগত জানিয়েছে।
এবং উভয় পক্ষ দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগিতার অধীনে বিভিন্ন আর্থিক উপকরণের মাধ্যমে এই প্রকল্পগুলোর অর্থায়ন অন্বেষণ করতে সম্মত হয়েছে।
২০টি ব্রড-গেজ ডিজেল লোকোমোটিভ অনুমোদনে ভারতের ইঙ্গিতকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ।
দুই নেতা চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর (এসিএমপি) ব্যবহারের চুক্তির অধীনে ট্রায়াল রানের সফল সমাপ্তিকে স্বাগত জানান এবং শিগগির এটি সম্পূর্ণরূপে চালুর অপেক্ষায়।
ভারতীয় পক্ষ তৃতীয় দেশের এক্সিম কার্গো অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ২০১৫ সালের দ্বিপক্ষীয় উপকূলীয় শিপিং চুক্তি সম্প্রসারণ কাজের জন্য তার অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করেছে।
উভয় পক্ষ দুই দেশের মধ্যে সরাসরি শিপিং কার্যক্রম চালু করতে সম্মত হয়েছে।
তারা অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন ও বাণিজ্য (পিআইডব্লিউটিটি) রুটে ৫ ও ৬ (ধুলিয়ান থেকে রাজশাহী-আরিচা পর্যন্ত সম্প্রসারণ) এবং ৯ ও ১০ (দাউদকান্দি থেকে সোনামুড়া) রুটে প্রটোকলের অধীনে নদী পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সম্মত হয়েছে।
ত্রিপুরাকে বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্তকারী ফেনী নদীর ওপর মৈত্রী সেতুর কার্যক্রম চালু করতে অবশিষ্ট অবকাঠামো, অভিবাসন এবং শুল্ক সুবিধা দ্রুত সম্পন্ন করতে বাংলাদেশকে অনুরোধ করেছে ভারত।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর ভারতে সরকারি সফর করছেন।
সফরকালে, তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখরের সঙ্গে সাক্ষাত করেন।
আরও পড়ুন: জনসমর্থনহীন সরকার ভারতের সঙ্গে সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ: ফখরুল
১১৮৫ দিন আগে