বাস্তবায়ন
‘ওয়ান হেলথ বাস্তবায়নে দক্ষ ভেটেরিনারিয়ান প্রয়োজন’
ওয়ান হেলথ বাস্তবায়ন করতে মানুষ, প্রাণী চিকিৎসক ও পরিবেশ বিজ্ঞানীদের একযোগে কাজ করতে হবে। এছাড়া স্মার্ট ভেটেরিনারি প্রতিষ্ঠিত হলে ওয়ান হেলথ বাস্তবায়ন সহজ হবে।
বাংলাদেশ সোসাইটি ফর ভেটেরিনারি এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের (বিএসভিইআর) ৩০তম বার্ষিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন বক্তারা।
বক্তারা আরও বলেন, ওয়ান হেলথ, স্মার্ট বাংলাদেশ ও একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভেটেরিনারিয়ানদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে নজর দিতে হবে। ভেটেরিনারি গ্রাজুয়েটদের যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি, পারস্পারিক সহযোগিতা, নেতৃত্ব গুনাবলী অর্জন, দলগত কাজ সমন্বয় করার দক্ষতা ও বেসিক ডিজিটাল স্কিল অর্জন করতে হবে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, স্মার্ট পাঠ্যক্রম, স্মার্ট গ্রাজুয়েট ও স্মার্ট খামারির মাধ্যমে দেশের কৃষির উন্নয়ন সম্ভব।
আরও পড়ুন:কেবল দেখতেই সুন্দর নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর রঙিন ফুলকপি: বাকৃবি অধ্যাপক
তিনি আরও বলেন, বিএসভিইআর ভেটেরিনারি শিক্ষা ও গবেষণা উন্নয়নে কাজ করে। স্মার্ট ভেটেরিনারিয়ান তৈরিতে ভেটেরিনারি শিক্ষাকে যুগোপযোগী পাঠ্যক্রমের আওতায় আনতে হবে।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় 'স্মার্ট ভেটেরিনারি এডুকেশন অ্যান্ড ওয়ান হেলথ’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে বাকৃবির শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সম্মেলনে প্রাণীর বিভিন্ন রোগ ও উৎপাদন বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করা এবং এ সম্পর্কে বিভিন্ন পোস্টার, পেপার, মৌখিক গবেষণা ও প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।
উপস্থাপিত এসব পোস্টার, পেপার, মৌখিক গবেষণা ও প্রবন্ধ থেকে যে ফলাফল পাওয়া যাবে স্মার্ট ভেটেরিনারি প্রতিষ্ঠা করতে তা নীতিনির্ধারকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
বিএসভিইআরের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমীন বারির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক উপাচার্য এবং বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক ড. এম. গোলাম শাহি আলম।
সম্মেলনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ছিলেন- বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী।
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে এনএসটির অর্থায়নে বিটরুট গবেষণায় দ্বিগুণ ফলন
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আউয়াল, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) সিনিয়র বিশেষজ্ঞ নারেশ চন্দ্র দেব বার্মা, ইন্টার এগ্রোভেট বিডি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ. কে. এম খসরুজ্জামান।
অধ্যাপক ড. এম. গোলাম শাহি আলম বলেন, আন্তর্জাতিক কর্মবাজারে আমাদের ভেটেরিনারি গ্রাজুয়েটদের প্রতিষ্ঠিত হতে হলে দক্ষতা সমপন্ন হতে হবে। দক্ষতায় ঘাটতি থাকার কারণেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ গ্রাজুয়েটই বেকার।
তিনি আরও বলেন, তাই একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভেটেরিনারি গ্রাজুয়েটদের যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি, পারস্পারিক সহযোগিতা, নেতৃত্ব গুনাবলি অর্জন, দলগত কাজ সমন্বয় করার দক্ষতা ও বেসিক ডিজিটাল স্কিল অর্জন করতে হবে।
ওয়ান হেলথ সম্পর্কে ডা. এ. কে. এম খসরুজ্জামান বলেন, ওয়ান হেলথ একটি পারস্পরিক সহযোগিতামূলক পদ্ধতি যা মানুষ, প্রাণী ও পরিবেশগত স্বাস্থ্য তিনটি বিষয়েই আলোকপাত করে।
তিনি বলেন, সফল জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য এমন এক স্বাস্থ্য পদ্ধতির প্রয়োজন যা মানুষ এবং প্রাণী উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ভেটেরিনারিয়ানদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ বছর বিএসভিইআর সম্মেলনে অধ্যাপক ড. এম. গোলাম শাহি আলমকে ‘বার্ষিক লেকচার অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে শ্লীলতাহানির প্রতিবাদে ৬ দফা দাবি
বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বর্জ্য সম্পদে পরিণত হবে: ডিএনসিসি মেয়র
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, বর্জ্যবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্মার্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হবে, বর্জ্য সম্পদে রুপান্তরিত হবে এবং পরিবেশবান্ধব পরিচ্ছন্ন ঢাকা গড়ে উঠবে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর ২০২৩) দুপুরে আমিনবাজার ল্যান্ডফিলে চলমান ডিএনসিসি'র ‘বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্লান্ট’- পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অনুমতি ছাড়া ডিএনসিসি এলাকায় কেউ গাছ কাটতে পারবে না: ডিএনসিসি মেয়র
এসময় ডিএনসিসি মেয়র বলেন, চুক্তি অনুযায়ী প্রকল্পটির কাজ পাওয়া চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনকে আমারা ৩০ একর জমি হস্তান্তর করেছি। জানুয়ারি থেকে পুরোদমে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।
তিনি বলেন, কোম্পানি জানিয়েছে জমি বুঝে পাওয়ার পর প্রকল্প সম্পন্ন করতে তাদের দুই বছর সময় লাগবে। ২০২৬ সালের মধ্যে প্রকল্পটি থেকে বিদুৎ উৎপাদন শুরু হবে। প্রতি ঘন্টায় উৎপাদন হবে ৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
তিনি আরও বলেন, এজন্য চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনকে প্রতিদিন তিন হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য সরবরাহ করবে ডিএনসিসি। উৎপাদিত বিদুৎ যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডে, কিনে নেবে বিদুৎ বিভাগ।
মেয়র বলেন, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব, পরিচ্ছন্ন ঢাকা গড়ে তোলা হবে হবে। এর ফলে বায়ু দূষণ রোধ হবে,বর্জ্য সম্পদে পরিণত হবে। স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হবে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত কঠিন ছিল।
তিনি বলেন, জমি অধিগ্রহণ করা অনেক চ্যালেঞ্জিং এবং সময় সাপেক্ষ একটি কাজ ছিল। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে।
মেয়র আরও বলেন, ২০০৮, ২০১১ ও ২০১৩ সালে বারবার চেষ্টা করা হয়েছে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের। কিন্তু আমরা আলোর মুখ দেখতে পারি নাই। চীন সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের সমন্বয়ে উত্তর সিটি করপোরেশন এই প্রকল্পে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে।
মেয়র বলেন, জায়গাটি ৩০ ফিট নিচু ছিল। এখানের ৩০ একর জমিকে ল্যান্ডফিল করতে ৩০ ফিট নিচু জায়গাকে ভরাট করতে হয়েছে। অনেক কাজ করতে হয়েছে তাই কিছুটা সময় লেগেছে।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ইতোমধ্যে সিএমইসি'র প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা কাজ শুরু করেছে। তাদের কিছু যন্ত্রপাতি প্লান্টে চলে এসেছে, আরও যন্ত্রপাতি দ্রুতই পৌঁছবে। চীনের রাষ্ট্রদূত ও সিএমইসি'র কর্মকর্তা আমাকে জানিয়েছে জানুয়ারির শুরু থেকে পুরোদমে প্লান্টের কার্যক্রম শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, মোট চারটি টারবাইন স্থাপনের মাধ্যমে প্রতি ঘন্টায় ৪২ দশমিক ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে ২০২৫ সালের মধ্যে অন্তত একটি টারবাইন চালু করার বিষয়ে।
আরও পড়ুন: রাস্তা বাড়াতে জায়গা ছাড়ার আহ্বান ডিএনসিসি মেয়রের
খাল পাড়ের অবৈধ স্থাপনা সরাতে হুঁশিয়ারি দিল ডিএনসিসি মেয়র
নতুন মজুরি ডিসেম্বর থেকেই বাস্তবায়ন করবে পোশাক শিল্প
সরকারের গঠন করা মজুরি বোর্ড ঘোষিত নতুন মজুরি কাঠামো চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকেই বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
তিনি বলেন, আমরা গত ৩১ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দিয়েছিলাম, সরকার নতুন যে বেতনকাঠামো ঘোষণা করবে, আমরা পোশাক শিল্পের সব উদ্যোক্তা সেটিই মেনে নেব, শিল্পে যত প্রতিকূলতাই থাকুক না কেন। আমরা ঘোষিত মজুরি মেনে নিয়েছি। যত কষ্টই হোক, এই মজুরি বাস্তবায়ন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। নতুন মজুরি কাঠামো আগামী ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
চলমান শ্রমিক বিক্ষোভের মধ্যে বুধবার (৮ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) নূন্যতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা ঘোষণা করেছে সরকার গঠিত ন্যূনতম মজুরি বোর্ড। ঘোষিত নতুন মজুরি কাঠামোতে শ্রমিকদের দাবি অনুযায়ী ৭টি গ্রেডের জায়গায় ৫টি গ্রেড করা হয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নতুন মজুরি কাঠামো অনুযায়ী মজুরি ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। অনেক উদ্যোক্তার জন্য এই মজুরি দেওয়াই কঠিন হবে। এছাড়াও প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে মজুরি বাড়ানো বহাল রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা পোশাক রপ্তানিতে প্রভাব ফেলবে না: বিজিএমইএ
নূন্যতম মজুরি বোর্ড নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা করার পর বেশ কিছু কারখানায় শ্রমিকদের ধর্মঘট ও কারখানা ভাঙচুর করায় দুঃখও প্রকাশ করেন বিজিএমইএ সভাপতি।
শিল্পের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় ও ক্রেতাদের আস্থা বিনষ্ট হয়- এমন কাজ না করতেও শ্রমিকদের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।
দেশ ও শিল্পের স্বার্থে এবং কর্মসংস্থানকে সুরক্ষিত রাখতে শ্রমিকরা বৃহস্পতিবার থেকে কারখানায় কাজ করবেন বলে আশা করছেন ফারুক হাসান।
আরও পড়ুন: নতুন ডিসিটিএস স্কিম যুক্তরাজ্যের সঙ্গে শক্তিশালী বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব তৈরি করতে পারে: বিজিএমইএ সভাপতি
নিত্যপণ্য সরবরাহ প্রক্রিয়া দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
ভারত থেকে বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত প্রক্রিয়া দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) ভারতের জয়পুরে অনুষ্ঠিত জি-২০ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ মন্ত্রীদের সভার আগে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে সাইডলাইনে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি।
ভারত থেকে বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের প্রক্রিয়া প্রণয়নের অগ্রগতির জন্য টিপু মুনশি ভারতীয় বাণিজ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রস্তাবিত ব্যবস্থার দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য তার ক্রমাগত সমর্থন কামনা করেন।
এ সময় টিপু মুনশি সম্প্রতি পেঁয়াজের ওপর ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপের ফলে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দামের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে বলে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য সম্পর্কিত গবেষণা ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
এ প্রসঙ্গে পীযূষ গোয়েল জানান, বিশ্বব্যাপী উৎপাদনে ব্যাঘাত, সরবরাহের ঘাটতি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট অসুবিধাগুলো কাটিয়ে উঠতে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রতিকূল আবহাওয়া এবং খাদ্য মূল্যস্ফীতির কারণে ভারতও কৃষিজাত পণ্যের উৎপাদন ঘাটতিতে ভুগছে। এ কারণে ভারত সরকারকে কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
তিনি বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করে বলেন, খুব শিগগিরই এ সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে।
বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের পাটজাত পণ্যের উপর থেকে অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য ভারত সরকারের প্রতি অনুরোধ করলে পীযূষ গোয়েল এ বিষয়ে সর্বোচ্চ বিবেচনার আশ্বাস দেন।
এ ছাড়া, অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী দুই মাসের মধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে উপস্থাপন এবং এগুলো নিষ্পত্তি করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী জি-২০ মন্ত্রী পর্যায়ের ঘোষণা চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মূল্যবান অবদানের প্রশংসা করে বলেন, ভারত সবসময় বাংলাদেশের সঙ্গে বিশেষ বন্ধুত্ব ও অংশীদারিত্বকে মূল্যায়ন করে থাকে।
পরে টিপু মুনশি সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রী এমই মাজিদ আল কাসাবির সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকও করেন।
এর আগে ২৪-২৫ আগস্ট জয়পুরে অনুষ্ঠিত জি-২০ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ মন্ত্রীদের সভায় যোগদান দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
সভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি বাংলাদেশসহ গ্র্যাজুয়েশন ট্র্যাকে থাকা দেশগুলোকে ২০২৬ সালের পর এলডিসি দেশসমূহের জন্য প্রযোজ্য শুল্কমুক্ত কোটা মুক্ত বাজার সুবিধা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে সমর্থন প্রদানের জন্য জি-২০ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
আগামী ১৩তম ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন (ডব্লিউটিও) মিনিস্টারিয়াল কনফারেন্সে (এমসি১৩) এলডিসি থেকে উত্তরণপ্রাপ্ত দেশগুলোর পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তিনি জি-২০ দেশের মন্ত্রীদের অনুরোধ করেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি দিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য বিজনেস-২০ (বি-২০) সামিটে বক্তব্য রাখবেন।
আরও পড়ুন: বাঙালির মুক্তি ও স্বাধীনতার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু ছিলেন আপোষহীন: বাণিজ্যমন্ত্রী
ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতে আইনের সঙ্গে সচেতনতা জরুরি: বাণিজ্যমন্ত্রী
‘জরুরি পরিচালন কেন্দ্র’ স্মার্ট ঢাকা বাস্তবায়নকে নতুন ধাপে উন্নীত করেছে: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, জরুরি পরিচালন কেন্দ্রসহ পাঁচটি কেন্দ্রের উদ্বোধন ডিএসসিসিকে স্মার্ট ঢাকা হিসেবে বাস্তবায়নকে নতুন ধাপে উন্নীত করেছে।
এছাড়াও এখন থেকে জরুরি পরিচালন কেন্দ্র থেকে দুর্যোগ মোকাবিলায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে বলেও জানিয়েছেন ডিএসসিসি মেয়র।
সোমবার (২৬ জুন) দুপুরে ডিএসসিসি প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে দুর্যোগ মোকাবিলায় ‘জরুরি পরিচালন কেন্দ্র’, নগর কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, নগর উপাত্ত কেন্দ্র, নিরাপত্তা ও অন্তর্জাল কেন্দ্র এবং নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রেরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র এসব বলেন।
আরও পড়ুন: মেয়র তাপসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা: শুনানি ১৪ আগস্ট
তাপস বলেন, জরুরি পরিচালন কেন্দ্রসহ পাঁচটি কেন্দ্রের উদ্বোধনের মাধ্যমে আজ আমরা দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির একটি উচ্চ পর্যায়ে অবস্থান করতে পারছি। সক্ষমতা বৃদ্ধির একটি উচ্চতর শিখরে আমরা পৌঁছাতে পেরেছি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার যে রূপকল্প দিয়েছেন, সেই স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট ঢাকা গড়ার একটি নতুন ধাপে আমরা উন্নীত হতে পেরেছি।
এ পরিচালন কেন্দ্রের মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবিলায় আরও একধাপ এগিয়ে গিয়েছি মন্তব্য করে ডিএসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আপনারা লক্ষ্য করেছেন, অত্যাধুনিক সব সরঞ্জাম দিয়ে এই জরুরি পরিচালন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে রিয়েল টাইম অর্থাৎ দুর্যোগ সংক্রান্ত সব তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে আমরা পেয়ে যাবো। যেমন, আপনার লক্ষ্য করেছেন, আমি এখন কথা বলছি।
তিনি বলেন, এখন যদি কোথাও ভূমিকম্প হয়, ঢাকা বা বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের যে কোনো জায়গায় ভূমিকম্প হয়, আমি কিন্তু সেটার বিস্তারিত বিবরণসহ তাৎক্ষণিক তথ্যটা পেয়ে যাচ্ছি যে কোথায় ভূমিকম্প হচ্ছে।
তিনি বলেন, তেমনি আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত তথ্য, বন্যার তথ্যসহ দুর্যোগজনিত প্রায় সব তথ্যই কিন্তু আমরা সঙ্গে সঙ্গে এই পরিচালন কেন্দ্রে পেয়ে যাচ্ছি। আর তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা কী কী জরুরি ব্যবস্থা নিতে হবে, সেগুলো কিন্তু আমরা এখানে বসেই বিচার-বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করতে পারব।
সুতরাং আজকে এই কেন্দ্র উদ্বোধনের মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবিলায় স্বয়ংসম্পূর্ণতার পথে আমরা আরও একধাপ এগিয়ে গেলাম।
আরও পড়ুন: ২ দিনের মধ্যে কোরবানি সম্পন্ন করতে মেয়র তাপসের আহ্বান
ডেইলি স্টারকে মেয়র তাপসের ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের নোটিশ
ইউসেপ বাংলাদেশের কোয়েস্ট-২ প্রকল্পের উদ্বোধন
ঝরে পড়া শিক্ষার্থী ও অনগ্রসর তরুণদের মানসম্মত কারিগরি শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ করে কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে কোয়েস্ট-২ নামক প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে ইউসেপ বাংলাদেশ।
সোমবার (২০ মার্চ) মিরপুরের ইউসেপ বাংলাদেশ প্রধান কার্যালয়ে ডিপার্টমেন্ট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেড এর অর্থায়নে ইউসেপ বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে গৃহীত প্রকল্প কোয়ালিটি এডুকেশন অ্যান্ড স্কিলস ফর ট্র্যান্সফরমেশন (কোয়েস্ট)-২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার।
আরও পড়ুন: যমুনা নদী সংকীর্ণকরণ প্রকল্প বাতিলের দাবি বিএনপির
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী এনডিসি।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইউসেপ বাংলাদেশের চেয়ারপার্সন মোহাম্মদ আলাউদ্দিন।
অনুষ্ঠানে প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন ইউসেপ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ড. মো. আবদুল করিম।
প্রধান অতিথি অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার ১৯৭২ সাল থেকে কারিগরি শিক্ষার প্রসারে অসামান্য অবদানের জন্য ইউসেপ বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।
তিনি নারী ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিসহ সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও যুবকদের জীবন উন্নয়নে সামগ্রিক কার্যক্রমের জন্য ইউসেপ বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।
অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের ডিপার্টমেন্ট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেড এর অর্থায়নে ইউসেপ বাংলাদেশের গৃহিত প্রকল্প ‘কোয়ালিটি এডুকেশন অ্যান্ড স্কিলস ফর ট্রান্সফরমেশন’ (কোয়েস্ট) প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলো-অনগ্রসর পরিবার, মেয়ে, প্রতিবন্ধী মানুষ এবং সংখ্যালঘুদের জন্য মানসম্মত শিক্ষা গ্রহণে সমান সুযোগ নিশ্চিত করা এবং সংস্থা হিসেবে ইউসেপ বাংলাদেশকে স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নের মাধ্যমে দৃঢ়ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা করা।
ইউসেপ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ-মিয়ানমার পাইলট প্রকল্পের আলোচনায় ‘সম্পৃক্ত নয়’ ইউএনএইচসিআর
ত্রিপক্ষীয় মহাসড়ক প্রকল্পে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্তকরণে একমত ভারত ও থাইল্যান্ড
বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডসের ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দ্বিতীয় পর্যায়ের সমঝোতা স্মারক
নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে বাংলাদেশ- নেদারল্যান্ডের ষষ্ঠ ইন্টার গভার্নমেন্টাল কমিটি’র সভায় বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা (বিডিপি-২১০০) এর দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০২২ হতে ২০৩২ পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
সোমবার উক্ত সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)-এর সচিব শরিফা খান ও নেদারল্যান্ডসের পক্ষে ডাচ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রদূত রেনে ভ্যান হেল স্বাক্ষর করেন।
স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) ড. মো. কাউসার আহাম্মদ ও নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মু. রিয়াজ হামিদুল্লাহ। ইআরডি’র সচিব এই সভায় ভার্চুয়ালি যোগ দেন এবং সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা ও ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিষয়ক সমঝোতা স্মারক সই
এছাড়াও, এ সভায় বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয় ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (পশ্চিম ইউরোপ) ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
এই সভায় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দ্বিতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নে ডাচ এবং বাংলাদেশি বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের কিভাবে আকৃষ্ট করা যায় এবং বিভিন্ন প্রকল্পসমূহকে কীভাবে বিজনেস মডেলে রূপান্তর করা যায় তার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সরকারি দপ্তর, বিশ্ববিদ্যালয়, স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান ও এনজিওদের মধ্যে সমন্বয় করে ব-দ্বীপ পরিকল্পনার আওতাধীন প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন করা অধিক ফলপ্রসূ হবে সভায় আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: রুট-টু-মক্কা : বাংলাদেশি হজযাত্রীদের সফর সহজে সমঝোতা স্মারক সই
বৈদ্যুতিক ও যান্ত্রিক সিস্টেমের ওপর চলে মেট্রোরেল, বাস্তবায়নে এল অ্যান্ড টি
রাজধানীর উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশে অত্যাধুনিক বৈদ্যুতিক ও যান্ত্রিক(ই অ্যান্ড এম) মেট্রোরেলের বাণিজ্যিক কার্যক্রম সফলভাবে শুরু হয়েছে। এটি ঢাকা মেট্রোরেলের লাইন-৬। সিস্টেমটি বাস্তবায়ন করেছে রেলওয়ে পরিবহন অবকাঠামো ব্যবসায়ী লারসেন অ্যান্ড টুব্রো কন্সট্রাকশন।
মেট্রো জগতে, সামগ্রিক সিস্টেম ইন্টিগ্রেশনসহ ইন্টিগ্রেটেড ইএন্ডএম সিস্টেমের কাজগুলো সফলভাবে সম্পন্ন করেছে ভারতীয় বহুজাতিক সংস্থা, লারসেন অ্যান্ড টুব্রো যা এল অ্যান্ড টি নামে পরিচিত।
এই মাইলফলক অর্জনের পর ঢাকা মেট্রো লাইন-৬ এর ফেজ-১ (১১ দশমিক চার কি.মি.) এর বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৮ ডিসেম্বর এটির উদ্বো্ধন করেন।
আরও পড়ুন: নিউ ইয়ার উদযাপনের ফানুস বৈদ্যুতিক তারে, ২ ঘণ্টা পর মেট্রোরেলে চালু
১০ দফা বাস্তবায়নই বিএনপির নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ: মোশাররফ
সরকার পতনের ১০ দফা বাস্তবায়ন করাই নতুন বছরে বিএনপির চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, আগামী দিনে আমাদের চ্যালেঞ্জ ১০ দফা বাস্তবায়ন। আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করা, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে স্বাধীনভাবে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়া।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ গ্রেপ্তার হওয়া দলের সব নেতাকর্মীকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে হবে।
‘আর এটা করতে হলে যত শিগগিরই সম্ভব এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। অতএব, আগামী দিনে আমাদের যে টার্গেট এই ১০ দফা বাস্তবায়ন এবং ১০ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিবর্তন আনার আহ্বান জানাচ্ছি, বলেন তিনি।
রবিবার ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
আরও পড়ুন: সরকার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে জনগণ বাধ্য করবে: খন্দকার মোশাররফ
এর আগে ১০ ডিসেম্বর দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালসহ ১০ দফা দাবির সনদ ঘোষণা করে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ এ সমাবেশে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্র এখন ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ একটি সংকটময় সময় পার করছে।
তিনি বলেন, গণমুখী সরকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করবে দেশবাসী।
এছাড়া সরকার প্রতিষ্ঠা হলেই আমরা আমাদের দলের ২৭ দফার ভিত্তিতে দেশ গড়ব। অন্ধকার কেটে যাবে ইনশাআল্লাহ।
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল দেশের জনগণ, বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন করে ইতিহাস সৃষ্টি করবে।
সরকারের দমন-পীড়নমূলক কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমন ও গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
বিএনপি নেতা জানান, আপনারা (সরকার) বিভিন্ন দমনমূলক কর্মকাণ্ড করেও আমাদের আন্দোলনকে দমাতে পারেননি। জনগণ ইতোমধ্যে রাজপথে নেমেছে এবং এবার আপনাকে রেহাই দেয়া হবে না।
আরও পড়ুন: বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ লুটপাট, ভাংচুর করেছে: খন্দকার মোশাররফ
বিএনপির সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান খন্দকার মোশাররফের
জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা: বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী, প্রয়োজন ২৩০ বিলিয়ন ডলার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৩ থেকে ২০৫০ সালে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এজন্য মোট ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন।
রবিবার তিনি বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উভয় সংস্থান থেকে আমাদের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আমাদের ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক জলবায়ু অর্থায়ন থেকে অভিযোজন ও প্রশমনের মধ্যে ৫০-৫০ বন্টনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘গ্লোবাল হাব অন লোকাললি লেড অ্যাডাপটেশন’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: অভিযোজন গ্লোবাল হাব উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা আমাদের বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ ও মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনার অধীনে করা কাজের পরিপূরক হবে। আমি প্যারিস চুক্তির চেতনায় এই প্রচেষ্টায় আমাদের সঙ্গে যোগ দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সরকারি ও বেসরকারি খাত থেকে আমাদের অংশীদারদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন জলবায়ু অভিযোজনে জিডিপির ৬-৭ শতাংশ ব্যয় করে। বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ২০০৯ সালে নিজস্ব সম্পদে প্রতিষ্ঠিত একটি জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অধীনে জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমন উভয়ের জন্য ৮০০টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।
তিনি সমস্ত প্রধান কার্বন নির্গমনকারী দেশগুলোকে তাদের জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদানের সুযোগ আরও বাড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের সকলকে অবশ্যই বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য প্রচেষ্টাকে দ্বিগুণ করতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে অভিবাসনকে জলবায়ু প্রভাবের অভিযোজিত প্রতিক্রিয়া হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মানুষের গতিশীলতা বৃদ্ধি প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা উভয়কেই আমাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।’
ফ্ল্যাগশিপ আশ্রয়ণ কর্মসূচির অধীনে তার সরকার গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষের জন্য প্রায় এক মিলিয়ন আধা পাকা দুর্যোগ সহনশীল বাড়ি নির্মাণ করেছে। কক্সবাজারের খুরুশকুলে জলবায়ু অভিবাসীদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় বহুতল আবাসন প্রকল্প নির্মিত হচ্ছে। প্রায় পাঁচ হাজার জলবায়ু শরণার্থী পরিবার যারা বিভিন্ন দ্বীপ থেকে স্থানান্তরিত হয়েছে, তাদের ইতোমধ্যে সেখানে ১৩৯টি বহুতল ভবনে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
স্থানীয় জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যুগ যুগ ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহ্য করে আসছে। তারা বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড় ও অন্যান্য বিপদের বিরুদ্ধে একধরনের স্থিতিস্থাপকতা অর্জন করেছে। তারা প্রকৃতির পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে শিখেছে। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা বাংলাদেশকে জলবায়ু অভিযোজন হাবে পরিণত করেছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে স্থানীয় সম্প্রদায়ের কাছে তাদের ঐতিহ্যগত জ্ঞান ও জলবায়ু অভিযোজনের সমাধান রয়েছে। সরকার সংস্থান ও উদ্ভাবনের সঙ্গে উক্ত সমাধানগুলোকে সমর্থন করে। এই সংমিশ্রণটি স্থানীয়ভাবে পরিচালিত অভিযোজন ব্যবস্থাগুলোর একটি ক্ষেত্র বিকাশে আমাদের ভালভাবে পরিবেশন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
অগ্নিসন্ত্রাসী, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে ক্ষমতায় যেতে দেবেন না: প্রধানমন্ত্রী