নিহতের সংখ্যা
মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত: আরও দুজনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ৩৫
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৫ জনে।
শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল ৯টা ১০ মিনিটে জারিফ ফারহান নামের ১৩ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী মারা যায় বলে জানান স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন। পরে সোয়া দশটার দিকে মাসুমা নামের আরেক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
নিহত জারিফ মাইলস্টোন স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। শ্বাসনালীসহ শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে সে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিল।
বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন শুক্রবার বিকালে জানিয়েছিলেন, চিকিৎসাধীন পাঁচ শিক্ষার্থীর অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’। এরপর আজ সকালেই এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর কথা জানানো হয়।
অন্যদিকে, এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মাসুমা নামের ওই নারীর বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
দুজনের মৃত্যুর কথা ঘোষণা করা হলেও লাশদুটি এখনও তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত: শিক্ষার্থী মাকিনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ৩৩
এ নিয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৬ জনে, আর সবমিলিয়ে এ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলো ৩৫ জনের।
সোমবার দুপুরে বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের একটি ভবনের মুখে বিধ্বস্ত হয়। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই সামরিক বিমান দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত যে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের বেশিরভাগই শিশু।
অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দীনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বার্ন ইনস্টিটিউটের অনেকেই ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। সুস্থ ১৫ জনকে আজ শনিবার থেকেই ছাড়পত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
১৪৭ দিন আগে
মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত: চলে গেল ৯ বছরের নাফিস
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হাসপাতালে আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এতে এই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ জনে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে শিশুটির মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গতরাত পৌনে ২টার দিকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ৪৪ জনের মধ্যে নাফিস নামের ৯ বছর বয়সী একটি শিশু মঙ্গলবার রাত সোয়া ১২টার দিকে মারা যায়। শরীরের ৯৫ শতাংশ পোড়ার ক্ষত নিয়ে ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিল শিশুটি।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে কুর্মিটোলার বিমানবাহিনী ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর বিমানটি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ চত্বরে বিধ্বস্ত হয়। পরে জানা যায়, স্কুল চত্বরের একটি দোতলা ভবনে বিধ্বস্ত হওয়া ওই বিমানটি ছিল বিমানবাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান। প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহৃত চীনের তৈরি এই যুদ্ধবিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উত্তরার ওই স্কুল ভবনে আছড়ে পড়েছিল।
বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই স্কুল ভবনে আগুন ধরে যায়। এ ঘটনায় দেড় শতাধিক হতাহতের ঘটনা ঘটে যার বেশিরভাগই শিশু। যারা এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছে, তাদের অধিকাংশের শরীরও মারাত্মকভাবে পুড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: নিহতদের কবরের স্থান নির্ধারণ করে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়ক বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান গতকাল দুপুরে বার্ন ইনস্টিটিউটে এক ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন, যারা চিকিৎসাধীন, তাদের মধ্যে ১০ জনকে ‘শঙ্কামুক্ত’ বলে মনে করা হচ্ছে।
তার কথায়, ‘৩০ জন একটা অস্পষ্ট জায়গায় আছে, যার মধ্যে ১০ জনকে মনে করছি এখনও শঙ্কার মধ্যে আছে। বাকিদের অবস্থা মাঝামাঝি জায়গায়।’
নাফিসের মৃত্যুর পর ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের সংখ্যা কমে ৬৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ৪৩ জন, ঢাকা সিএমএইচে ২১ জন, কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে ১ জন, শহিদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ জন এবং উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ জন ভর্তি আছে।
এর আগে, গতকাল দুপুরে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিহতের সংখ্যা ৩১ ও আহতের সংখ্যা বলা হয়েছিল ১৬৫ জন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আইএসপিআরের পক্ষ থেকে দুই ধরনের তথ্য দেওয়ায় জনসাধারণের মাঝে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। এ বিষয়ে গতকাল সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন জানান, এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ২৮, আর বিভিন্ন হাসপাতালে আহত অবস্থায় ভর্তি আছেন ৬৮ জন।
তিনি আরও জানান, আইএসপিআর পরিচালকের সঙ্গে মন্ত্রণালয় থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যই সঠিক।
আরও পড়ুন: ‘চোখের সামনেই মারা গেল আমার বন্ধু’
এদিকে, নিহতদের মধ্যে ২২ জনের পরিচয় শনাক্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) মর্গে রাখা ছয়টি অজ্ঞাত লাশের পরিচয় শনাক্তে স্বজনদের খুঁজছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এখন পর্যন্ত মর্গে রাখা ছয়টি লাশের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ডিএনএ বিশ্লেষণের (প্রোফাইলিং) জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধায়নে লাশগুলো থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। দ্রুতই সিআইডির ল্যাবরেটরিতে ডিএনএ প্রোফাইলিং করা হবে।
সায়েদুর রহমানকে উদ্ধৃত করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেসব নিখোঁজ পরিবারের সদস্যদের নাম আহত ও নিহতদের প্রকাশিত তালিকায় নেই, তাদের মালিবাগে সিআইডির কার্যালয়ে গিয়ে ডিএনএ নমুনা প্রদান করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত মাত্র একটি পরিবারের পক্ষ থেকে নমুনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যত দ্রুত সম্ভব নিখোঁজ পরিবারের সদস্যদের নমুনা পাওয়া গেলে ডিএনএ ম্যাচিংয়ের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এ বিষয়ে সকলের সহযোগিতা কাম্য।
১৫০ দিন আগে
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১
ইন্দোনেশিয়ার দুর্গম নাতুনা দ্বীপপুঞ্জের একটি পাহাড়ি গ্রামে ভূমিধসের ঘটনায় কয়েক টন মাটির নিচে চাপা পড়া আরও লাশ উদ্ধার হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ জনে।
বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সোমবার প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট ভূমিধসে আশপাশের পাহাড় ধসে পড়ে এবং দক্ষিণ চীন সাগরের প্রান্তে নাতুনা দ্বীপপুঞ্জের একটি ছোট্ট দ্বীপের জেন্টিং গ্রামে ৩০টি বাড়ি চাপা পড়ে।
এতে আরও বলা হয়, কর্তৃপক্ষ অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থা, পুলিশ এবং সামরিক বাহিনীর ২০০ জনেরও বেশি উদ্ধারকর্মীকে এখনও নিখোঁজ ৩৩ জনের সন্ধানে মোতায়েন করেছে। যারা ভূমিধসের কারণে প্রায় ৪ মিটার গভীরে আটকা পড়ে।
আরও পড়ুন: পেরুতে প্রবল বর্ষণে ভূমিধসে ৩৬ জনের মৃত্যু
ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির প্রধান সুহারিয়ান্তো বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, আটজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সোমবার গভীর রাতে তাদের জেন্টিং থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে বোর্নিও দ্বীপের পন্টিয়ানাক শহরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
দুর্যোগস্থলের আশেপাশে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হয়। সুহারিয়ান্তো বলেন, আবহাওয়ার কারণে বেশ কয়েকবার অনুসন্ধান কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বাধ্য হতে হয় এবং যোগাযোগ লাইন ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় অভিযান বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
সোমবারের ভূমিধসে প্রায় এক হাজার ৩০০ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং তাদের চারটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুহারিয়ান্তো।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৪, নিখোঁজ ৯
১০১৭ দিন আগে
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা সাড়ে ২০ হাজার ছাড়িয়েছে
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্প ও ধারাবাহিক পরাঘাতে তিন দিনেরও বেশি সময় পরে আরও অনেক লোককে জীবিত খুঁজে পাওয়ার আশা ম্লান হতে শুরু করেছে, কারণ এখন পর্যন্ত ২০ হাজার ৭০০ এরও বেশি মানুষ মারা গেছে।
ডিএইচএ নিউজ এজেন্সির খবরে বলা হয়, আন্তাকিয়ার পূর্বে দিয়ারবাকিরে উদ্ধারকর্মীরা ভোরে একটি ধসে পড়া ভবন থেকে আহত এক নারীকে উদ্ধার করলেও ধ্বংসস্তূপের মধ্যে তার পাশে থাকা তিনজনকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।
তুরস্কে ১২ হাজার ৮৭৩ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, ৬০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। সিরিয়ার সীমান্তে তিন হাজার ১৬২ জন নিহত এবং পাঁচ হাজারেরও বেশি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প: বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে আজ
ধারণা করা হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ তাদের ঘরবাড়ি হারিয়েছে। আন্তাকিয়ার একটি ধসে পড়া ভবনের বাসিন্দারা বৃহস্পতিবার রাতভর বাইরের আগুনের আশেপাশে জড়ো হয়ে ছিলেন, নিজেদের চারপাশে কম্বল শক্ত করে মুড়ে উষ্ণ থাকার চেষ্টা করছিলেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বৃহস্পতিবার ভূমিকম্পকবলিত গাজিয়ানটেপ, ওসমানিয়া ও কিলিস প্রদেশে যাওয়ার কথা ছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়া এবং মৌলিক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পেতে অক্ষমদের বেঁচে থাকার জানালা দ্রুত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে তারা বলছেন যে আশা হয়তো খুব তাড়াতাড়ি ছেড়ে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: একটু উষ্ণতার জন্য লড়ছে তুরস্ক-সিরিয়ার ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়া মানুষেরা
১০৪৪ দিন আগে
নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭
নারায়ণগঞ্জের মসজিদে এয়ার কন্ডিশনার বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে শনিবার সন্ধ্যায় ১৭ জনে পৌঁছেছে।
১৯৩২ দিন আগে
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের পরও গত বছর ঝরেছে ৪৬২৮ প্রাণ
নিরাপদ সড়কের দাবিতে দেশব্যাপী তীব্র আন্দোলনের পরও ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়েছে। অবশ্য দুর্ঘটনার সংখ্যা কমেছে।
২১৭৮ দিন আগে