ডা. দীপু মনি
৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রধান হাতিয়ার শিক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমাদের সামনে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের তৈরি হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এটি মোকাবিলার মূল হাতিয়ার হচ্ছে শিক্ষা। তাই প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের বর্তমান শিক্ষাক্রম সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নেই তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: উচ্চমাধ্যমিকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষায় ভর্তিতে অসুবিধা হবে না: শিক্ষামন্ত্রী
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ‘৪র্থ সমাবর্তন-২০২৩’- অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের মূল উপাদানগুলো হবে-স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সরকার। এছাড়া ২০৩১ সালের মধ্যে আমরা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করব। আমাদের ডেমোগ্রাফিক যে ডিভিডেন্ট রয়েছে, সেটি আর ৯/১০ বছরের রয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাকে উপযুক্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম করতে হলে গবেষণালব্ধ জ্ঞান ও প্রযুক্তির কোনো বিকল্প নেই। গবেষণালব্ধ জ্ঞানের ফসলকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে প্রয়োজন হয় উদ্যোক্তা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের। এছাড়া, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবগুলো বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ধীরে ধীরে যুক্ত হচ্ছে। এটা সত্যিই খুশির খবর।
দীপু মনি বলেন, উচ্চ শিক্ষার মানোন্নয়নে আমরা ইতোমধ্যে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল গঠন করেছি, তারা কাজও শুরু করেছে। এছাড়া শিক্ষাকে সহজলভ্য করার জন্য সকল জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। সে কারণে আমাদের যে বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রয়েছে, তারা যেন তাদের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি না করেন। কারণ ধারণ ক্ষমতার বাইরে নানা সমস্যা তৈরি হয়, অসন্তোষ তৈরি হয়।
এছাড়াও গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা আপানদের যাত্রাপথকে অসততা দিয়ে কলুষিত করবেন না। এটি খেয়াল রাখতে হবে। সত্যের পথ একটু কঠিনই হয়। তাই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, ‘সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালোবাসিলাম সে কখনো করে না বঞ্চনা’।
মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে তিনি এ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশের পর প্রথমে তিনি যবিপ্রবির প্রধান ফটকস্থ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে সমাবর্তনের শোভাযাত্রা সহকারে তারা অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করেন। এবারের সমাবর্তনে যবিপ্রবির স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ে এক হাজার ৮৩৪ জন গ্রাজুয়েট অংশগ্রহণ করে।
তাদের মধ্যে ২২ জন গ্রাজুয়েট চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক, ২৬ জন ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড এবং ৯ জন ডিন্স অ্যাওয়ার্ড পান।
আরও পড়ুন: সমাজের কাছে ইমামদের কথা গুরুত্ব বহন করে: শিক্ষামন্ত্রী
নতুন শিক্ষাক্রমে সপ্তাহে ৫দিন ক্লাস হবে: শিক্ষামন্ত্রী
সমাজের কাছে ইমামদের কথা গুরুত্ব বহন করে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আলেমদের উদ্দেশে বলেছেন, সমাজে ইমামদের কথা অনেক গুরুত্ব বহন করে। মানুষকে সঠিক পথে রাখা আপনাদের একটা বড় দায়িত্ব। একটি চক্র বর্তমানে বইয়ের মাধ্যমে ইসলাম ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে বলে অপপ্রচার করছে।
তিনি বলেন, যারা অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করছে তাদের বিচার আপনাদের কাছে দিলাম। যখন সমাজের মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন বা পথপ্রদর্শন করবেন তখন সঠিক কথা বলবেন।
আরও পড়ুন: এবার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হবে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে শহরের কদমতলা মন্ত্রীর নিজ বাসভবনে চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলার আওতাধীন মসজিদের খতীব ও ইমামদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমি আপনাদের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। আপনাদের ভোটের কারণে আমি এতবড় সম্মানে যেতে পেরেছি। আপনাদের মাথা ছোট হয় এমন কোন কাজ আমি কখনো করিনি। অভিযোগ উঠলে তার সত্যতা যাচাই করতে হবে। মিথ্যা প্রচারে অংশ নিলে নিজের দায়িত্ব পালন করা হলো না।
দীপু মনি বলেন, বর্তমানে পরিবর্তনের গতিটা অনেক বেশি। এখন ক্ষণে ক্ষণে নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে। যেটা সত্য না, তা বইতে আসতে পারে না। একটি চক্র বলছে বানর থেকে মানুষ হইছে এ কথাটা ছড়াচ্ছে। আর কিছু মানুষ তার পিছনেই দৌঁড়াচ্ছে যাচাই না করে।
চলমান রাজনীতি প্রসঙ্গে দীপু মনি বলেন, সরকার কি ধাক্কা দিয়া ফালানোর জিনিস! আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ দেশে কেউ না খেয়ে থাকে না। সকলের ছেলে মেয়েরা স্কুলে যায়, উপবৃত্তি পায়। শেখ হাসিনার সময়ে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন শিক্ষাক্রমে সপ্তাহে ৫দিন ক্লাস হবে: শিক্ষামন্ত্রী
উচ্চমাধ্যমিকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষায় ভর্তিতে অসুবিধা হবে না: শিক্ষামন্ত্রী
নতুন শিক্ষাক্রমে সপ্তাহে ৫দিন ক্লাস হবে: শিক্ষামন্ত্রী
নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সপ্তাহে পাঁচদিন ক্লাস হবে এবং দুইদিন সাপ্তাহিক বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কয়দিন বন্ধ থাকবে তা একটি নীতিগত সিদ্ধান্তের ব্যাপার। আমাদের নতুন শিক্ষাক্রমে সপ্তাহে পাঁচদিন শ্রেণিকক্ষে পাঠদান হবে। বাকি দুইদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে চাঁদপুর সার্কিট হাউজে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, এটি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদিত শিক্ষাক্রম। গতবছর আমাদের শিক্ষাক্রমে ছিল ছয়দিন শ্রেণীকক্ষে পাঠদান। যখন বিদ্যুৎ নিয়ে সঙ্কট ছিলো তখন সেটাকে আমরা পাঁচদিন করেছি। তখনই বলা হয়েছিলো যে এখন বিদ্যুৎ সঙ্কটের কারণে করা হচ্ছে, কিন্তু নতুন শিক্ষাক্রমেও পাঁচদিনই শ্রেণীকক্ষে পাঠদান হবে।
আরও পড়ুন: স্কুল-কলেজে উপবৃত্তির ৭৫১ কোটি টাকা বিতরণ শুরু
তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতে যে নিয়ম, আমাদের দেশেও তা। আর তাছাড়া শিক্ষকদেরও ১-২ দিন সময়ের দরকার। তাদেরও একটু বিশ্রামের প্রয়োজন আছে। আবার শিক্ষার্থীদেরও বিশ্রামের প্রয়োজন আছে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, কারিগরি বিভাগে তার আগের ১০বছর কোন শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। গত চার বছরে সমস্ত শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে।
তিনি বলেন, সবসময়ই কোনো না কোনো শিক্ষক অবসরে যাচ্ছেন, কাজেই কিছু কিছু পদ শূন্য হয়।আবার সেই চাহিদা অনুযায়ী আমরা সেগুলোতে নিয়োগ দেই। এ নিয়োগ প্রক্রিয়া যে খুব সহজ তাও নয়।
তিনি আরও বলেন, এমুহূর্তে আমাদের কোনো শিক্ষক সঙ্কট নেই। কোথাও শূন্য থাকলে তা পূরণ হয়ে যাচ্ছে।এসময় জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারীসহ সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষার ফল ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে
জুন থেকে স্কুল ফিডিং চালু হবে: প্রতিমন্ত্রী
এবার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হবে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ২০২২ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া একই সিলেবাসের ওপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র করা হবে।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমরা তাদের এইচএসসি পরীক্ষার সিলেবাসের আলোকে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করতে অনুরোধ জানিয়েছি।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে কলেজ অধ্যক্ষ লাঞ্ছিতের ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রী বিব্রত
আশা করি, সব বিশ্ববিদ্যালয় এটি বাস্তবায়ন করবে।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ২০২২ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আলাদাভাবে ভর্তি পরীক্ষা নিতো। এখন অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে এসেছে। এসএসসিতে যে বিষয়গুলো নিয়ে পরীক্ষা হয়, তার আরেকটু উচ্চতর স্তরে এইচএসসি। সেই এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়গুলো নিয়ে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা হয়।
তিনি বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে একটা পরীক্ষা হয়। সেখানে গণিত, বিজ্ঞান, ভাষা ও সাধারণ বিষয়ের ওপর পরীক্ষা নেয়া হয়। এক পরীক্ষা দিয়েই জাতীয় পর্যায়ে তালিকা তৈরি হয়। সেই স্কোরের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ফের করোনায় আক্রান্ত
নতুন কারিকুলামে শিক্ষকের দায়িত্বশীলতা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী যা বললেন
শিক্ষাক্রম নিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যাচার করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমাদের শিক্ষাক্রম নিয়ে যে এতোরকমের কথা বলা হচ্ছে, তারমধ্যে অধিকাংশই হচ্ছে মিথ্যাচার। যেখানে ভুল আছে সেখানে আমরা নিশ্চয়ই সংশোধন করেছি এবং করবো। যেখানে চিহ্নিত হবে ভুল, তখনই তা সংশোধন হবে। কিন্তু যে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার চলছে, সেটিতো উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হচ্ছে।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি)) দুপুরে চাঁদপুর জেলা স্টেডিয়ামে শেখ কামাল আন্তস্কুল ও মাদরাসা অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী জানান, শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের এ ডামাঢোলের মধ্যে যেটা চাপা পড়ে যাচ্ছে, আপনারাও সেটাকে এড়িয়ে যাচ্ছেন। তা হলো নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে আমাদের পুরো পঠন ও শিখন পদ্ধতি সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে এবং সেটির মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীরা আনন্দময় শিক্ষা পাচ্ছে এবং সত্যিকার অর্থে ‘করে করে’ (ব্যবহারিকভাবে) শিখছে। যেটি তারা সারাজীবন ধারণ করবে, আত্মস্থ ও প্রয়োগ করতে পারবে প্রয়োজন মতো। মূল্যায়ন পদ্ধতিতে যে গুণগত পরিবর্তন এসেছে, এটি সম্পূর্ণ এড়িয়ে যাচ্ছেন। এর অর্থ হচ্ছে সবাই একটি ভাসা ভাসা জিনিস নিয়ে কথা বলছি। একজন চিৎকার করছেন এবং অন্যজন তার সঙ্গে গলা মিলাচ্ছেন। এরতো কোনো অর্থ নেই।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তির ব্যবহার একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
দীপু মনি বলেন, শিক্ষাক্রমের যে বিশাল গুণগুলো রয়েছে এবং সেগুলো যে উদ্দেশ্যে করা হয়েছে সে উদ্দেশ্যেগুলো নিয়ে বরং কথা বলা উচিত। কিন্তু যারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছে, এগুলো অন্যদেরকে আরও উসকে দিবে। বরং এই শিক্ষাক্রম নিয়ে গঠনমূলক চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই কিভাবে শিক্ষার্থীদের দক্ষ, মানবিক ও সৃজনশীল করা যায় সেসব বিষয়ে পরামর্শ দেয়া দরকার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোছাম্মৎ রাশেদা আক্তার, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবু, জেলা ক্রীড়া অফিসার মো. তারেক হোসেনসহ জেলা ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: অনেক নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাস নেই: দীপু মনি
পাঠ্যবই নিয়ে মিথ্যাচারকে প্রশ্রয় দেয়ার সুযোগ নেই: শিক্ষামন্ত্রী
পাঠ্যবই নিয়ে মিথ্যাচারকে প্রশ্রয় দেয়ার সুযোগ নেই: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, দেশে একশ্রেণীর অপশক্তি পাঠ্যবইয়ে যে তথ্য নেই, সেই তথ্য আছে বলে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। মিথ্যাচারকে প্রশ্রয় দেওয়ার কখনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, আমাদের যদি ভুল থাকে ভুল স্বীকার করে সংশোধন করবো। ইতোমধ্যে যেখানে ভুল দেখা গেছে, তখনই দায়িত্বশীলদের দিয়ে সংশোধন করে দেয়া হয়েছে। নতুন কারুকলামের পাঠ্যবইয়ে কোথাও কোথাও ভুল থাকতে পারে, এগুলো সংশোধনের জন্য দুটি কমিটি করে দিয়েছি। যখনই ভুলগুলো চিহ্নিত হবে তা সঙ্গে সঙ্গে সংশোধন করা হবে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় যশোর শামস্-উল-হুদা স্টেডিয়ামে ৬ দিনব্যাপী ৫১তম শীতকালীন জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
এসময় দীপু মনি বলেন, তবে যেখানে ভুল নেই, বইয়ে ভুল নিয়ে মিথ্যাচার করছে একটি অপশক্তি। তারা দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যেতে চাই। যারা মিথ্যাচার করছে সেই অপশক্তি প্রচেষ্টাকারীদের প্রতিহত করবো ঐক্যবদ্ধ থেকেই।
এ সব মিথ্যা অপপ্রচারে কান না দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন ছিলো স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার। তারই কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দিপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে চলছে সেই পথ। আমাদের অনেক লক্ষ্য রয়েছে। ২০৩০ সালে উন্নত সম্মৃদ্ধ, টেকসই বাংলাদেশ গড়ার। দেশ গড়বার জন্য যেমন সম্ভাবনা রয়েছে তেমনি চ্যালেঞ্জও রয়েছে। সম্ভাবনাকে সম্ভব করতে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদের তৈরি করতে হবে। সেই তৈরি হওয়ার জন্য আমাদের শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: পাঠ্যবইয়ে ত্রুটি নিয়ে ২টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে: দীপু মনি
তিনি বলেন, তারা যেন সুস্থ ধারায় সুন্দর মন নিয়ে কর্মের লক্ষে এগিয়ে যেতে পারে, তারই অংশ হিসেবে বিগত শিক্ষাব্যবস্থাকে রুপান্তর করা হয়েছে। নতুন কারুকলামে শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরা জ্ঞানের দক্ষতা বৃদ্ধি, চিন্তা করবার দক্ষতা, সমসাময়িক বিষয়ে সমাধানের দক্ষতা অর্জন করতে পারবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- শিক্ষামন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সিনিয়র সচিব কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. ওমর ফারুক, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাবিবুর রহমান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড ঢাকার চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার, জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর-এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.আহসান হাবিব।
আরও পড়ুন: এনসিটিবি’র নতুন পাঠ্যক্রমের ৩ পাঠ্যবইয়ে ৯ ভুল সংশোধন
নতুন পাঠ্যপুস্তকে চুরির অভিযোগ স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ জাফর ইকবালের
পাঠ্যবইয়ে ভুল থাকলে সংশোধন করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে এ বছর যে বইগুলো গেছে সেগুলো পরীক্ষামূলকভাবে গেছে। তাই পাঠ্যবইয়ে ভুল থাকলে সংশোধন করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা ৩৩ হাজার মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষামূলকভাবে বইগুলো দিয়েছি। প্রতিনিয়ত আমাদের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে আমরা ফিডব্যাক নিবো। সারা বছর বইগুলোকে আমরা পরিমার্জন ও পরিশীলন করব।
আরও পড়ুন: দেশ-বিদেশের শ্রম বাজার মাথায় রেখে শিক্ষা কাঠামো তৈরি করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ষষ্ঠ-সপ্তম ও প্রথম শ্রেণিতে যে যে বইগুলো গেছে সেগুলোতে কোথাও ভুল থাকতে পারে। কোনো কোনো বিষয় নিয়ে কারও অস্বস্তি থাকতে পারে। আমাদেরকে জানাবেন, আমরা আগামী বছরের জন্য সেগুলো সংশোধন করব এবং বাকি ক্লাসের বইগুলো আমরা সেই আলোকে তৈরি করব।
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা এখন একটি সময় উপযোগী শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করেছি। কারণ সামনে ২০৩০ সালে আমাদের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের একটি বিষয় রয়েছে। যেটি আমাদের আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার। যেখানে ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এখানে চার নম্বরে যেটি রয়েছে সেটি হল শিক্ষা এবং সেটি সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
এছাড়া শিক্ষার লক্ষ্য পূরণ হলে বাকিগুলোও সহজে পূরণ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: পাঠ্যবইয়ের কাগজ বেশি ব্রাইট হলে চোখের জন্য ক্ষতি হতে পারে: শিক্ষামন্ত্রী
কলেজে ভর্তির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পড়ালেখার মান নিশ্চিত করা: শিক্ষামন্ত্রী
উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধান হাতিয়ার শিক্ষা: দীপু মনি
শিক্ষাকে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত হতে যাচ্ছি।আর এই উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে শিক্ষা।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপহার বিতরণ এবং একুশ শতকের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্রসমাজের করণীয় শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যা বলতেন তাই করতেন, তেমনি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাও যা বলেন তাই করেন। শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন, মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ গঠন করবেন বলেছিলেন এবং তিনি তা করেছেন।
তিনি বলেন, আজকে আমরা তার সুযোগ্য নেতৃত্বে উন্নয়নশীল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে তার নেতৃত্বে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ এবং স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হবো।
আরও পড়ুন: আ.লীগের নেতৃত্বে সিনিয়র-জুনিয়র সমন্বয়ের আশা দীপু মনির
তিনি আরও বলেন, আমরা একটি সময়োপযোগী শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করেছি। কারণ আমাদের সামনে ২০৩০ এর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে যা আমাদের আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার। এই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় ১৭টি অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রার ৪ নম্বরে অর্থাৎ কেন্দ্রে অবস্থান করছে শিক্ষা।
মন্ত্রী আরও বলেন, সেই শিক্ষায় যদি আমরা মান অর্জন করতে পারি, শিক্ষাকে যদি আমরা জীবনব্যাপী করতে পারি এবং সেই শিক্ষা যদি হয় অন্তর্ভুক্তিমূলক, তাহলে তাহলে বাকি যে ১৬টি লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তা আমরা সহজেই অর্জন করতে পারবো।
শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপহার বিতরণ আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, পিইঞ্জ, বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের পর বাংলাদেশকে তার স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করতে সময় পেয়েছিলেন মাত্র সাড়ে তিন বছর।
এছাড়া এই স্বল্প সময়ে জাতির পিতা বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরে সফল ভাবে অবদান রেখেছেন। আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশের সূত্রপাতও হয়েছিলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর হাতে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, পিইঞ্জ, বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন শুরু করেছেন গ্রাম থেকে। একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা ছাড়া বিশ্বের অন্য কোন নেতা এখনো বুঝতে পারেননি যে, উন্নয়ন গ্রাম থেকে শুরু করতে হয়।
তিনি বাংলাদেশের অধিকাংশ জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছেন এবং দেশের প্রত্যেকটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, ১০০ টির বেশি হাইটেক পার্ক স্থাপন করেছেন এবং দেশের প্রত্যেকটি জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিয়েছেন।
যার কারণে প্রত্যন্ত অঞ্চলের একজন নাগরিকও ইন্টারনেটের মাধ্যমে আউটসোর্সিং করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
উপাচার্য আরও বলেন, শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনির সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০২১ থেকে ২০২২ সালে মাত্র এক বছরে গ্লোবাল নলেজ ইন্ডাস্ট্রিতে ১৪ ধাপ এগিয়েছে।আমি মনে করি এটি আমরাদের জন্য একটি যুগান্তকারী অর্জন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন এবং সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।
অনুষ্ঠানে নীলক্ষেত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উদয়ন স্কুল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপহার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ এর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি’র ষড়যন্ত্র রুখতে আওয়ামী লীগের শক্তি জনগণ ও সংগঠনের ঐক্য: দীপু মনি
গুসি শান্তি পুরস্কার পেলেন ডা. দীপু মনি
দেশ-বিদেশের শ্রম বাজার মাথায় রেখে শিক্ষা কাঠামো তৈরি করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, দেশ ও বিশ্বের শ্রম বাজার মাথায় রেখে শিক্ষা কাঠামো তৈরি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক থেকে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত শুধু পরিবর্তন নয় রুপান্তর ঘটানো হচ্ছে। সে অনুযায়ী সামনের বছর থেকেই নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হবে।
মঙ্গলবার সকালে বিজয় দিবস উপলক্ষে নাটোরের অনিমা চৌধুরী অডিটোরিয়ামে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন: প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানিদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, নানা প্রতিকূলতার মাঝেও নতুন বছরে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বিএনপি ও অন্যদলগুলো। দেশের ভেতরে এসব অপশক্তিকে ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নাই।
দীপু মনি বলেন, দেশে রাজনীতি থাকবে, পক্ষ বিপক্ষ থাকবে কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী কেউ থাকবে না এবং রাজনীতি করার সুযোগও পাবেনা।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন-সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস ও শফিকুল ইসলাম মিমুল, মুক্তিযোদ্ধা শিরিন আক্তার, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর নিজাম উদ্দিনসহ রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলার সরকারি বেসরকারি কলেজ ও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: কলেজে ভর্তির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পড়ালেখার মান নিশ্চিত করা: শিক্ষামন্ত্রী
বন্দুকের নল ঠেকিয়ে ক্ষমতা দখলের সুযোগ নেই: শিক্ষামন্ত্রী
প্রশ্নফাঁসের চেষ্টা করলেই কঠোর ব্যবস্থা: শিক্ষামন্ত্রী
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্নফাঁসের অপচেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রবিবার রাজধানীর বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।
এসময় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো আবু বকর ছিদ্দীক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ,ঢাকা বোর্ডের চেয়ার ও আন্তঃবোর্ড সমন্বয়ক অধ্যাপক তপন কুমার সরকার উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পাঠ্যবই ছাপার কাজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু: দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে অভিনব কায়দায় প্রশ্নফাঁসের চেষ্টা হয়েছিল। ওই পরীক্ষায় যেসব ছোটখাটো ঘটনা ঘটেছে, তা বিশ্লেষণ করে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। কেউ যদি কোথাও প্রশ্ন ফাসের অপচেষ্টা করে তাহলে আমরা সবাই মিলে তা প্রতিরোধ করব। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।'
পরীক্ষার কেন্দ্রের বাহিরে ভিড় প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কেন্দ্র ঘুরে দেখলাম বাইরে অভিভাবকদের অনেক ভিড়। যারা আগে এসেছেন তারা সন্তানকে ভেতরে ঢুকিয়ে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করছেন। তাদের এতো ভিড় যে, বাকি পরীক্ষার্থীদের ঢুকতে সমস্যা হচ্ছে। অভিভাবকদের আমি অনুরোধ জানাব, সন্তানকে কেন্দ্রে দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্র ত্যাগ করবেন। তাহলে কোনও পরীক্ষার্থীর কেন্দ্রে ঢুকতে সমস্যা হবে না।'
কোচিং সেন্টার বন্ধ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'কোচিং বন্ধের নির্দেশনা রয়েছে। আর একই কোচিং সেন্টারে অনেক ধরনের কোচিং চলে। এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা শিক্ষা বোর্ডের পক্ষে একা বন্ধ করা সম্ভব নয়। স্থানীয় প্রশাসনেরও সহযোগিতা প্রয়োজন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোচিংয়ের প্রয়োজন আছে। ক্লাসে এত শিক্ষার্থী, সকলের প্রতি শিক্ষকদের আলাদা নজর দেয়া সম্ভব নয়। তবে নতুন যে শিক্ষাক্রম,তাতে কোচিংয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না বলে আশা করি। '
২০২৩ সালের পরীক্ষা প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী বছরের পরীক্ষা এগিয়ে আনা হবে। এবার আমরা চেষ্টা করেছিলাম জুলাই-আগস্টে পরীক্ষা নিয়ে আসতে। কিন্তু দেশের একটি অঞ্চলে বন্যার কারণে পরীক্ষা নিতে দেরি হয়ে গেল। আগামী বছর আরও এগিয়ে আনার চেষ্টা করবো। আর আগামীতে যদি কোনও অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয় তাহলে সেই বোর্ডের পরীক্ষা সাময়িক বন্ধ রেখে অন্য বোর্ডের পরীক্ষা নেয়ার চেষ্টা করব। যত দ্রুত সম্ভব ঐ বোর্ডের পরীক্ষাও নেব।'
আরও পড়ুন: জানুয়ারির ১ তারিখেই নতুন বই পাবে শিক্ষার্থীরা: দীপু মনি
৩ নভেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে: দীপু মনি