সুসম্পর্ক
চিকিৎসকরা চাইলেই রোগীর সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি হতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, রোগীরা সাধারণত রোগ থেকে মুক্তি পেতে অসহায়ের মতো চিকিৎসকের উপর নির্ভর করে। অনেকক্ষেত্রে একজন চিকিৎসককে বাবার স্থান দখল করতে হয়। চিকিৎসকরা চাইলেই রোগীদের সঙ্গে একটা সুসম্পর্ক তৈরি করতে পারে। এতে করে রোগীর আত্মবিশ্বাস বাড়ে ও ভালো চিকিৎসা সেবা দেওয়া যায়।
শনিবার (৯ মার্চ) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এমডি-এমএস ফেইজে ভর্তি করা রেসিডেন্টদের ইনডাকশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশে মেডিকেল ডিভাইস তৈরি করলে তা সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, `আজকে যারা এখানে আমার সামনে বসে আছেন, আমি সবিনয়ে তাদের কাছে একটা কথা বলব। আসুন আমরা চিকিৎসকদের মানসম্মান এমন এক জায়গায় নিয়ে যাই, যেন এই দেশের লোকজন একদিন চিকিৎসকদের দেখলেই মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে যায়। এক্ষেত্রে প্রধান কাজ হলো ধৈর্য ধরে রোগীদের কথা শোনা, ধৈর্য ধরে তাদেরকে সেবা দেওয়া।’
মন্ত্রী বলেন, ‘চিকিৎসকরাই হলো ভবিষ্যতের আসল কাণ্ডারি। ডাক্তার-রোগীর সম্পর্ক অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। এটি শুধু ডাক্তারের উপরই নির্ভর করে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটা হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা সেবা হাসপাতাল পরিচালক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ সবার উপরই নির্ভর করে। সবার সমন্বিত প্রয়াসেই চিকিৎসা সেবার সুনাম বৃদ্ধি করে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সময়মতো হাসপাতালে যাব-আসব। সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেকে উজাড় করে দেব। আমাদের সাধারণ মানুষ কিন্তু খুব বেশি কিছু চায় না, শুধু একটু গায়ে হাত দিয়ে কথা বলা, সুন্দর করে একটু কুশলাদি বিনিময় করলেই কিন্তু তারা খুশি।’
বাংলাদেশি চিকিৎসকদের সক্ষমতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, হাঙ্গেরি থেকে চিকিৎসক এনে আমরা জোড়া শিশুর অপারেশন করেছি। আমি দেখেছি বাচ্চাদের যখন এনেস্থেসিয়া দেওয়া হয়, তখন হাঙ্গেরির চিকিৎসকরা কিন্তু পারেনি, পেরেছে বাংলাদেশের চিকিৎসকরাই। কাজেই আমি বিশ্বাস করি আমাদের চিকিৎসকরা কোনো দেশের তুলনায় কম নয়।
আরও পড়ুন: দেশের চিকিৎসকদের মান পৃথিবীর কোনো দেশ থেকেই কম নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যখাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা পূরণ হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে চান বাইডেন: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ ও উষ্ণ পরিবেশে আলোচনা করেছেন। এতে বোঝা যায় দুই দেশেরে মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীর।
শনিবার নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার সব ইচ্ছা তার (বাইডেন) রয়েছে।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর কোনো দেশ মানবতার কথা বলেনি: মোমেন
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার নয়াদিল্লি যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সম্মেলনের দুটি অধিবেশনে ভাষণ দেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন।
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো অ্যাঞ্জেল ফার্নান্দেজ, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সৌদি যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, ‘এটি (বাইডেন, শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও সায়মা ওয়াজেদের মধ্যে অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে নৈশভোজসহ দু’টি পৃথক অনুষ্ঠানে আলোচনা) স্পষ্ট যে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আমাদের গভীর ও দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে এবং আমরা ভবিষ্যতে এটি আরও শক্তিশালী করব।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে আগ্রহী এবং এর জন্য তারা তাদের লোক পাঠাচ্ছে এবং এ জন্য আলোচনা করছে। তারা (আমেরিকান সরকার) আমাদের ওপর কোনো চাপ প্রয়োগ করছে না, বরং মিডিয়া তা করছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের রাজধানীর প্রগতি ময়দানের ভারত মণ্ডপম ইন্টারন্যাশনাল এক্সিবিশন সেন্টারে জো বাইডেন, শেখ হাসিনা ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ ১৫ মিনিট বক্তৃতা করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী যখন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেছেন, তখন তাকে খুব খুশি ও পুরোপুরি উৎসাহী দেখা গেছে এবং আলোচনাটি অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ ও উষ্ণ পরিবেশে হয়। আলোচনাটি ১৫ মিনিট ধরে চলেছিল।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ যখন জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন তার মুঠোফোন বের করে সেই মুহূর্তের ছবি তোলেন। তখন নিজের মুঠোফোন নিয়ে সেলফি নেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা-মোদি বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলেননি: মোমেন
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ ঢাকায়, আজই বৈঠকে বসবেন মোমেনের সঙ্গে
রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক চান কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সরকারের কাজ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য রাজনীতিবিদ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার (২৫ আগস্ট) বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদ আয়োজিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের সাথে সরকারি কর্মকর্তাদের ভালো সম্পর্ক থাকা উচিত। রাজনীতিবিদরা সিদ্ধান্ত নেন এবং সরকারি কর্মকর্তারা সেগুলো বাস্তবায়ন করেন।’
তিনি নব্য-আওয়ামী লীগারদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘যারা সরকারের তোষামোদ করে ‘বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার’পক্ষে স্লোগান দিতে দেখা যায়, এটা কি সত্যিই তাদের মনের কথা?’
তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের আগে অনেকে ‘মুজিব কোট’পরতো, কিন্তু ১৫ আগস্টের পর অনেকেই কোট লুকানোর চেষ্টায় ছিল।
কাদের বলেন, সচিবালয়ের চারপাশে বিলবোর্ড ও পোস্টার দেখলে আজ ভয় হয়, এটি ১৫ আগস্টের আগের দৃশ্যের কথা মনে করিয়ে দেয় যখন অনেকে বঙ্গবন্ধুর কাছে ফুল ও মিছিল নিয়ে এসেছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তারা পালিয়ে যায়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার স্বচ্ছতা, সততা এবং নিরপেক্ষতা বিশ্বাস করে।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এবং পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে ইউএনও-পুলিশের দুই মামলায় ১২ আসামির জামিন
বরিশালের ভুল বোঝাবুঝি সমাধানের পথে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
বরিশালে ইউএনও’র বিরুদ্ধে ২ মামলার আবেদন