জাতীয়
ইতালিতে স্বাধীনতার ৫২তম বার্ষিকী ও জাতীয় দিবস উদযাপন
ইতালির রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসে বাংলাদেশের ৫২তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে।
স্থানীয় সময় রবিবার(২৬ মার্চ) সকাল ১০টায় ইতালি, সার্বিয়া ও মন্টিনিগ্রোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব মো. শামীম আহসান দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
এরপর এক মিনিট নীরবতা পালন ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বটি মিশনের অডিটোরিয়ামে কমিউনিটির নেতা, সাংবাদিক ও মিশনের কর্মকর্তা- কর্মচারিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে তেলাওয়াত এবং রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং আলোচনা সভা। আলোচনা পর্বে কমিউনিটির রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা বঙ্গবন্ধু ও সকল শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু ও শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত জনাব মো. শামীম আহসান স্বাগত বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন যে তার সম্মোহনী নেতৃত্ব ছিল দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল চালিকাশক্তি। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু সারাজীবন তার স্বপ্নের সোনার বাংলার জন্য সংগ্রাম করেছেন। তার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও অসাধারণ ব্যক্তিত্ব সমগ্র বাঙালি জাতিকে এক সূতোয় সংযুক্ত করেছে যা মাত্র ৯ মাসে বাংলাদেশের দীর্ঘ লালিত স্বাধীনতা অর্জনে সহায়তা করেছে।
আরও পড়ুন: ইতালির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী মেলোনিকে শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা
এর আগে পবিত্র রমজান মাসের কারণে, জাতীয় ও স্বাধীনতা দিবসের সংবর্ধনা গত ২০ মার্চ রোমের অভিজাত পারকো দে প্রিন্সিপি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগতিক দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, কূটনৈতিক কোরের সদস্য, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সুশীল সমাজের সদস্যরা, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী ও চেম্বার নেতৃরা এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিসহ প্রায় ২০০ অতিথি উপস্থিত ছিলেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন ইতালির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাসচিব (সচিব) জনাব ডা. জোভানি লিওনার্দি।
ইতালিয় এবং বাংলাদেশি শিল্পীদের বাংলা ভাষায় চমৎকার পরিবেশনা অনুষ্ঠানটিতে বর্ণিল মাত্রা যোগ করে এবং উপস্থিত দর্শকদের বিমোহিত করে।
মূল অনুষ্ঠানের পাশাপাশি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে দেশের পর্যটন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনার উপর তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন এবং মোটিফ দিয়ে সুসজ্জিত বাংলাদেশ কর্নারে রপ্তানিযোগ্য সামগ্রী এবং হস্তশিল্পের প্রদর্শনী এবং দ্বিভাষিক প্রকাশনা প্রদর্শন করা হয়। যা অতিথিদের প্রশংসা অর্জন করে। অতিথিদের দূতাবাসের দ্বিভাষিক প্রকাশনা অপর্চুনিটা বাংলাদেশ -এর একটি করে কপি প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: ইতালি যাওয়ার পথে ট্রলারডুবিতে ফরিদপুরের ৪ যুবক নিখোঁজ
জাতীয় ৪ নেতার খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছে সরকার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত যারা বিদেশে পালিয়ে আছে, তাদেরকে ফিরিয়ে আনতে সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সরকার। এছাড়া বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পলাতক আসামিদেরও ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর চকবাজার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে নিহত চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমরা যখন যাকে দেশে ফেরাতে পারব, তখন আইন অনুযায়ী তাদের শাস্তি ভোগ করতে হবে। এ বিষয়ে সরকার খুব সজাগ।
আরও পড়ুন: টার্মিনাল বাদে অন্য কোথাও টোল নেয়া যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতীয় চার নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা জেলখানার মতো একটি নিরাপদ জায়গায় হয়েছে। যেখানে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিরাপত্তা দেয়া হয়, সেখানে এ ঘটনা ঘটেছে! এমন ঘটনায় জাতি থমকে গিয়েছিল। সেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমরা বিচারের দাবি তুলেছিলাম। দীর্ঘদিন পর প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আসায় আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দেখতে পেলাম। শুধু সে হত্যাকাণ্ড নয়, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডও নৃশংস ছিল।
তিনি বলেন, আমরা পৃথিবীতে অনেক রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড দেখেছি, কিন্তু পুরো বংশের লোককে একসঙ্গে হত্যাকাণ্ডের দৃশ্য আমরা দেখিনি। ঠিক সেই রকমই যারা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে দায়িত্ব নিতে পারতেন, তাদেরকেও হত্যা করা হলো।
এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এইসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পলাতক আসামিরা যেসব দেশে পালিয়ে আছেন,সেসব দেশের আইন অনুযায়ী তারা আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু এসব দেশের সঙ্গে আমাদের অপরাধী বিনিময়ে চুক্তি নেই। এসব নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের নায়ক- সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানকে হত্যা করা হয়।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের প্রচেষ্টায় নেতৃত্বদানকারী মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বে চার নেতাই মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদ, অর্থমন্ত্রী হিসেবে এম মনসুর আলী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী হিসেবে ছিলেন এএইচএম কামারুজ্জামান।
আরও পড়ুন: পুলিশিং দক্ষতা বাড়াতে আরও প্রি-ডিপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং প্রয়োজন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কমিউনিটি পুলিশিং দরকার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সন্ধ্যা ৭টায় পুরোপুরি বিদ্যুৎ চালু হতে পারে: নসরুল হামিদ
জাতীয় পাওয়ার গ্রিড বিকল হওয়ার পর আজ বিকেল ৫টার দিকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনসহ ঢাকার কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি চালু হতে পারে বলে আশা করছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে বঙ্গভবন ও গণভবন এবং মিরপুর ও ঢাকার অন্যান্য এলাকার কিছু অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুণরায় চালু করেছি।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তারা সারা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে কঠোর পরিশ্রম করছেন।
ইতোমধ্যে ঢাকার বাইরে বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তবে ঢাকা শহরের জন্য আমি স্থিরভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছি যাতে আর কোনো বিঘ্ন না ঘটে।’
নসরুল হামিদ আরও বলেন, ‘তারা তাড়াহুড়ো করলে তা আরও বিঘ্ন ঘটাতে পারে।’
দুপুর ২টা ৫ মিনিটে জাতীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন গ্রিড ব্যর্থ হলে দেশের উত্তরাঞ্চলের কিছু অংশ ছাড়া সারা বাংলাদেশে ব্ল্যাকআউট সৃষ্টি করে।
নির্বাচন কমিশন নিজেই প্রশ্নবিদ্ধ: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতকে উপেক্ষা করে ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
তিনি বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত দ্বারা সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে নির্বাচন কমিশন।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীর দলের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার কাউন্সিলের প্রস্তুতি সভায় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা জিএম কাদের এসব কথা বলেন।
আগামী সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে ইসির সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখান করে তিনি বলেন, দেশের অশিক্ষিত ও কম শিক্ষিত মানুষ এখনও প্রার্থীদের নাম পড়তে পারে না, সাধারণ মানুষ নির্বাচনে প্রার্থীর প্রতীক দেখে ভোট দেয়।
জাতীয় পার্টির প্রধান বলেছেন, ‘অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ মনে করে ইভিএম হলো ভোট জালিয়াতির যন্ত্র। তাই রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ নির্বাচনে ইভিএম-এর ব্যবহার চায় না।’
এমন বাস্তবতায় সাধারণ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জিএম কাদের বলেন, ‘সাধারণ মানুষ মনে করে যে একটি দলকে ক্ষমতায় আনতে কাজ করছে ইসি।’
এর আগে নির্বাচন কমিশন আগামী বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনে প্রচলিত ব্যালটের পাশাপাশি সংসদীয় মোট ৩০০ আসনের ১৫০টিতে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে কমিশনের বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: পুলিশ হেফাজতে রবিউলের মৃত্যুর তদন্ত করতে হবে: জিএম কাদের
জনদুর্ভোগ নিয়ে সরকার খুব একটা চিন্তা করে না: জিএম কাদের
সরকার মোমেনের বক্তব্যের দায় এড়াতে পারে না: জিএম কাদের
রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যে পদত্যাগ করলেন সুদানের প্রধানমন্ত্রী
রাজনৈতিক অচলাবস্থা ও গণতন্ত্রপন্থীদের ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন সুদানের প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লাহ হামদক। রবিবার দেশটির একটি জাতীয় টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে পদত্যাগের ঘোষণা দেন আবদাল্লাহ হামদক নিজেই।
হামদক জাতিসংঘের একজন প্রাক্তন কর্মকর্তা, তাকে সুদানের অন্তর্বতীকালীন সরকারের বেসামরিক মুখ হিসাবে ভাবা হয়েছিল। গত অক্টোবরে সুদানের সেনাবাহিনী দেশটির ক্ষমতা পুরোপুরি নিজেদের দখলে নেয়। সেসময় তারা প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লাহ হামদককে গৃহবন্দী করে, গ্রেপ্তার করে তার সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীকে। পরবর্তীতে সেনা অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেয়াদের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তির পর তাকে পুনর্বহাল করা হয়।
তবে হামদকের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি অনেকে। এরপর দেশজুড়ে বিক্ষোভ, সহিংসতা শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, তারা সামরিক বাহিনীকে বিশ্বাস করে না।
রবিবার টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে হামদক বলেন, সুদানের পরিস্থিতি ‘বিপজ্জনক দিকে মোড় নিচ্ছে, যা দেশের সমগ্র অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে।’
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে মন্দিরে পদদলিত হয়ে নিহত ১২
তিনি বলেন, তার পদত্যাগ অন্য একজনকে জাতির নেতৃত্ব দেয়ার এবং একটি ‘বেসামরিক, গণতান্ত্রিক দেশে গঠণের’ সুযোগ দেবে। তবে এসময় হামদক তার কোনো উত্তরসূরির নাম বলেননি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে ক্রমবর্ধমান ব্যবধান পূরণ ও বিরোধ নিষ্পত্তিতে তার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
ভাষণে হামদক আরও বলেন, তিনি দেশটিকে ‘বিপর্যয়ের দিকে চলে যাওয়া’ থেকে থামানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে যা করা হয়েছে তা সত্ত্বেও ...এটি ঘটেনি।’
২০১৯ সালের অক্টোবরে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাবাহিনী দেশটিরে ক্ষমতাসীন দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক ওমর আল-বশির এবং তার ইসলামপন্থী সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করে। আল-বশিরের ক্ষমতাচ্যুতির চার মাস পরে জেনারেল ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ২০২৩ সালে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ শাসন করার জন্য একটি ক্ষমতা ভাগাভাগি চুক্তি হয়।
নভেম্বরে হামদকের সঙ্গে সমঝোতার অধীনে, পুনর্বহাল হওয়া প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত টেকনোক্র্যাটদের একটি মন্ত্রিসভার নেতৃত্ব দেয়ার কথা ছিল। তবে নতুন বেসামরিক সরকারের কতটা ক্ষমতা থাকবে তা স্পষ্ট করা হয়নি তখন।
ভাষণে হামদক বলেন, আমি দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে আমার দেশের মানুষের সেবা করার সম্মান পেয়েছি। এসময়কালে আমি কোনো কোনো ক্ষেত্রে সফল হয়েছি, আবার কখনও কখনও ব্যর্থ হয়েছি।
আরও পড়ুন: গণহত্যা ও জ্বালাও-পোড়াও নীতিতে ফিরে যাচ্ছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কূলে পৌঁছে দিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনী
সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-গুলি উদ্ধার, আটক ১
হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ১৫টি রকেট প্রফেল গ্রেনেড (আরপিজি), ২৫টি বুস্টার এবং লংরেঞ্জ অটোমেটিক মেশিনগানের ৫১০টি গুলি উদ্ধার করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিটিসি)।
এই অভিযানের নেতৃত্বকারী সিটিটিসি’র ডিআইজি আসাদুজ্জামান এদিন বিকালে চুনারুঘাট থানায় এক প্রেস বিফিংয়ে এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় পিস্তলসহ আটক হন আবেল ত্রিপুরা অমিত (৩৩) নামে এক যুবক। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ওই রাতেই ঢাকা থেকে তাকে নিয়ে সাতছড়িতে রওয়ানা হন তারা।
আরও পড়ুন: টেকনাফে সাড়ে ৫ কোটি টাকার অস্ত্র-মাদক জব্দ, আটক ২
অমিত খাগড়াছড়ি জেলার পানচড়ির এলাকার বিশু ত্রিপুরার ছেলে।
তিনি জানান,এ নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য নবমবারের মতো অভিযান চালানো হলো। আবেলকে জিজ্ঞেসাবাদ করে তার দেয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই পরবর্তী অভিযান চালানো হবে।
প্রেস বিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের জয়েন্ট কমিশনার ইলিয়াস শরীফ, স্পেশাল একশন গ্রুপের ডিসি আবদুল মান্নান, হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মহেশখালীতে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ১
টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ১: ইয়াবা ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম আর নেই
প্রসিদ্ধ শিক্ষাবিদ, জাতীয় অধ্যাপক, লেখক, গবেষক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বাংলা একাডেমির চেয়ারম্যান এবং ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের(ইউল্যাব) সেন্টার ফর বাংলা স্টাডিজের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম আর নেই। ইন্নালিল্লাহি………রাজিউন। মঙ্গলবার রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৮৭ বছর বয়সী এই গুণীব্যক্তিত্ব।
রফিকুল ইসলামের ছেলে বর্ষণ ইসলামের বন্ধু আফজাল রহমান বাবু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তাঁর পরিবারিকসূত্রে জানা যায়, শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আগামীকাল বুধবার দুপুর ২টায় তার মৃতদেহ জাতীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর বাদ আসর রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে।
প্রফেসর রফিকুল ইসলামকে ২৬ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। এর এক সপ্তাহ আগে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালের হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক শামীম মাশরেকী আর নেই
গত ৭ অক্টোবর পেটে ব্যথা নিয়ে বিএসএমএমইউতে ভর্তি হন ৮৭ বছর বয়সী এই জাতীয় অধ্যাপক। বিভিন্ন পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেন, তার ফুসফুসে পানি জমেছে। পরবর্তীতে পানি বের করা হয়।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রফিকুল ইসলাম দেশেই চিকিৎসা নিতে চেয়েছিলেন। এমনকি তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে আসতেও চাননি, বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা করতে ইচ্ছুক ছিলেন তিনি।
১৯৩৪ সালের ১লা জানুয়ারি চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার কোলাকান্দা গ্রামে ডা. মো. জুলফিকার আলী ও জান্নাতুনেসার ঘরে জন্মগ্রহণ করেন অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। ১৯৫৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ পাশ করেন। তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ছিলেন।
তিনি ১৯৬০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভার্সিটি থেকে ভাষাবিজ্ঞানে এমএ পাশ করেন। এবং ১৯৭৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি আর নেই
বরেণ্য অভিনেতা মাহমুদ সাজ্জাদ আর নেই
৯৯৯ এ কল: নাফ নদী থেকে ৩৮ পর্যটক উদ্ধার
বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় দ্বীপ সেন্টমার্টিনে যাওয়ার পথে নৌযান বিকল হয়ে পড়লে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর সহযোগিতায় উদ্ধার হলেন শিশুসহ ৩৮ পর্যটক। কক্সবাজারের নাফ নদীতে ভাসতে থাকা বিকল নৌযানের এক পর্যটকের ফোন কলে বিকল নৌযান মেরামত করে পর্যটদের নিরাপদে সেন্ট মার্টিন যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয় কক্সবাজারের টেকনাফ থানা পুলিশ।
জানা যায়, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় ৯৯৯ কলটেকার কনষ্টেবল রাজু আহমেদ একটি কল রিসিভ করেন। আকবর হোসেন নামে একজন কলার কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন নাফ নদী থেকে ফোন করে জানান, তারা ১২ জন নারী ও ২ শিশু সহ মোট ৩৮ জন পর্যটক টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌযান (ট্রলার) যোগে যাত্রা করেছিলেন। পর্যটকদের মধ্যে ঢাকা, কুমিল্লা, রাজশাহীর এবং স্থানীয় কিছু পর্যটক ছিলেন।
যাত্রার কিছুক্ষণ পর তাদের নৌযানের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। অনেক চেষ্টা করেও নৌযানের চালক ইঞ্জিন ঠিক করতে পারেনি। শেষে কোন উপায় না পেয়ে তিনি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে তাদের উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: ৯৯৯-এ কল, চলন্ত ট্রাকে ‘ধর্ষণের শিকার’ প্রতিবন্ধী তরুণী উদ্ধার
৯৯৯ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি টেকনাফ থানা পুলিশ এবং নৌ-পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষে জানিয়ে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়। ৯৯৯ ডিসপাচার এসআই (উপ-পরিদর্শক) শাহরিয়ার রুবেল এবং ৯৯৯ ডিউটি টিম সুপারভাইজার ইন্সপেক্টর (পরিদর্শক) জনাব নুর মোহাম্মদ বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ এবং কলারের সাথে যোগাযোগ করে উদ্ধার তৎপরতার সমন্বয় কাজ পরিচালনা করেন।
৯৯৯ থেকে সংবাদ পেয়ে টেকনাফ থানা পুলিশের একটি উদ্ধারকারী দল একজন ইঞ্জিন মেরামতকারী মেকানিক সহ রওনা হয় তাদের উদ্ধার করতে।
আরও পড়ুন: ৯৯৯-এ অভিযোগ পেয়ে ২ ভুয়া পুলিশ আটক
পরে উদ্ধারকারী পুলিশ দলের এ.এস.আই (সহকারী উপ-পরিদর্শক) মিজান ৯৯৯ কে ফোনে জানান, তারা পর্যটকদের জন্য খাবার ও পানীয় নিয়ে গিয়েছিলেন এবং সকলে মাঝে বিতরণ করা হয়। এরপর মেকানিক ইঞ্জিন মেরামত করে দিলে পর্যটকদের নিয়ে ট্রলারটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এবং নিরাপদে সেন্টমার্টিন পৌঁছে যায়।