অবৈধ সম্পদ
অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে পিকে হালদারের ২২ বছরের কারাদণ্ড
গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারকে ২ ধারায় ২২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া, মামলার অপর ১৩ আসামিকে অবৈধ সম্পদের অর্জনের দায়ে ৩ বছর এবং মানিলন্ডারিংয়ের দায়ে ৪ বছর করে মোট ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিচার শুরু
রবিবার (৮ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালত এ রায় দেন।
গত ৪ অক্টোবর দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালতে রায়ের এ তারিখ ঠিক করেন।
মামলার ১৪ আসামির মধ্যে সুকুমার মৃধা, অনিন্দিতা মৃধা, অবন্তিকা বড়াল ও শংখ বেপারী কারাগারে আছেন। পি কে হালদারসহ ১০ জন পলাতক রয়েছেন।
পলাতক অপর আসামিরা হলেন- পি কে হালদারের মা লিলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পি কে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন।
মামলাটি তদন্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। অভিযোগপত্রে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে প্রায় এক কোটি ১৭ লাখ কানাডিয়ান ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশটিতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
গত বছর ৮ সেপ্টেম্বর এ মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: পিকে হালদারকে কি বাংলাদেশের হাতে তুলে দেবে ভারত?
পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাহেদের তিন বছরের কারাদণ্ড
রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি সাহেদকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। এই অর্থ আগামী ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে সরকারি কোষাগারে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২১ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় এর আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় সাহেদকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
আরও পড়ুন: রিজেন্টের সাহেদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার রায় ঘোষণা ২১ আগস্ট
গত ১০ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও আসামিপক্ষের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায় ঘোষণার জন্য আজকের তারিখ ঠিক করেন।
১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ ২০২১ সালের ১ মার্চ মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি দুদক আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। এর পর গত বছরের ১৭ জুলাই সাহেদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর অস্ত্র মামলায় সাহেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং গুলি উদ্ধারের ঘটনায় আরও ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন ঢাকার একটি আদালত।
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাতের মামলায় রিজেন্টের সাহেদের জামিন চেম্বার আদালতে স্থগিত
ঋণ জালিয়াতির মামলায় রিজেন্ট সাহেদের জামিন
কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ দখলের অভিযোগে স্বামী-স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কুয়েত-বাংলাদেশ সরকারি মৈত্রী হাসপাতালের স্টোর অফিসার ও তার স্ত্রী নবীনগর উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুদক কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাফী মো. নাজমুস সা'দাৎ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দুদকের মামলা থেকে ৫ জনকে অব্যাহতি দিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন
অভিযুক্ত কুয়েত বাংলাদেশ সরকারি মৈত্রী হাসপাতালের স্টোর অফিসার মো. হাবিবুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার চরলাপাংয়ের চিত্রী গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে এবং অপর অভিযুক্ত তার স্ত্রী মোসাম্মাৎ শিউলী আক্তার নবীনগর উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ফজলুল হক।
মামলার নথিপত্র সূত্রে জানা যায়, মো. হাবিবুর রহমান এবং তার স্ত্রী নারী ভাইস চেয়ারম্যান শিউলী রহমান ওরফে মোসাম্মাৎ শিউলী আক্তার একে অপরের সহযোগিতায় মোট এক কোটি চার লাখ ১৪ হাজার ৭৬৪ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগদখলে রেখেছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
বগুড়ায় ‘৫০০ কোটির বাড়ি’র মালিকের নামে দুদকের মামলা
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাহেদের বিচার শুরু
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।
আগামী ২০ মে মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
তিনি জানান, বিচারক অভিযোগ পড়ে শোনালে সাহেদ কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং ন্যায়বিচার চান। এ সময় তার পক্ষে করা অব্যাহতি ও জামিন আবেদন নাকচ করেন বিচারক।
শুনানিতে অভিযোগ গঠনের পক্ষে দুদকের আইনজীবী বলেন, সাহেদ হ্যাবিচুয়াল অফেন্ডার। তার আবেদন নাকচ করা হোক।
আরও পড়ুন: প্রতারণার মামলায় সাহেদের বিচার শুরু
সাহেদের দীর্ঘ কারাবাস ও অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তার কয়েকজন আইনজীবী এ মামলায় জামিন চান। অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে তারা বলেন, ‘এ মামলা মিথ্যা। সাহেদের এত সম্পদ নেই। তিনি তথ্য ফাঁকি দেননি।’
এ সময় সাহেদের আইনজীবীরা তাকে বিশেষ গাড়িতে করে আলাদাভাবে আদালতে আনার আবেদন করলে সে আবদারে বিচারক সায় দেননি বলে জানান দুদকের আইনজীবী জাহাঙ্গীর।
জানা যায়, গত বছরের ১ মার্চ দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী বাদী হয়ে সাহেদের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা করেন।
মামলায় এক কোটি ৬৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়। তদন্ত শেষে চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।
তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ৩৬টির বেশি মামলা দায়ের হয়। ওই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনে দায়ের হওয়া মামলায় আদালত সাহেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।
আরও পড়ুন: কালাম-সাহেদসহ ৬ জনের অভিযোগপত্র গ্রহণ ২২ ফেব্রুয়ারি
দুর্নীতির অভিযোগে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষকে দুদকের তলব
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহানারা বেগমকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার দুদকের সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান সরকার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ১৫ নভেম্বর সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে তাকে উপস্থিত হয়ে তার বক্তব্য রেকর্ড করাতে বলা হয়েছে।
দুদকের জনসংযোগ কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ আরিফ সাদেক ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রদত্ত সময়ে তিনি (শাহানারা বেগম) উপস্থিত হতে ব্যর্থ হলে অভিযোগের বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য নেই বলে বিবেচনা করা হবে।
আরও পড়ুন: তদন্তকালে ঘুষ দাবি, দুদকের সহকারী পরিচালককে হাইকোর্টে তলব
কুষ্টিয়ায় শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অবৈধ সম্পদ: ওসি প্রদীপ দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ
সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় কারাবন্দি টেকনাফের বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন মামলায় দুদকের দেয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত।
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ও মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়।
এর আগে গত ২৬ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছিলেন।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক বলেন, পলাতক থাকায় আদালত ওসি প্রদীপের স্ত্রী চুমকী বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এছাড়া প্রদীপের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার শুনানি উপলক্ষে আজ সকালে প্রদীপ দাশকে পুলিশি প্রহরায় কক্সবাজার কারাগার থেকে চট্টগ্রাম আনা হয়।
গত ২৬ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন। তবে প্রদীপ গ্রেপ্তারের পরে থেকে পলাতক রয়েছেন তার স্ত্রী চুমকি।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, প্রদীপের স্ত্রী চুমকির ৪ কোটি ৮০ লাখ ৬৪ হাজার ৬৫১ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিপরীতে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ২ কোটি ৪৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৩৪ টাকার। বাকি সম্পদ অর্থাৎ ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জনের প্রমাণ পেয়েছে দুদক।
আরও পড়ুন: কাঠগড়ায় ওসি প্রদীপের ‘ফোনালাপ’: ৩ পুলিশ প্রত্যাহার, তদন্ত কমিটি
দুর্নীতি মামলায় ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট
এছাড়া নগরীর পাথরঘাটায় ছয়তলা বাড়ি, ষোলশহরের বাড়ি, ৪৫ ভরি স্বর্ণ, একটি কার ও মাইক্রোবাস, কক্সবাজারের একটি ফ্ল্যাট ও ব্যাংক হিসাবের মালিক প্রদীপের স্ত্রী চুমকি। প্রদীপের ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থে স্ত্রী চুমকি কারণ এসব সম্পদ অর্জন করেন বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তে উঠে এসেছে। এছাড়া চুমকি নিজেকে মাছ ব্যবসায়ী দাবি করলেও তার কোনো অস্তিত্ব পায়নি দুদক।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩১ জুলাই টেকনাফের বাহারছড়ায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় গত বছরের ৬ আগস্ট থেকে কারাগারে আছেন প্রদীপ। এ ঘটনায় নিহতের বোনের করা মামলায় ২৭ জুন অভিযোগ গঠনের মধ্যে বিচার শুরু হয়েছে। যে মামলার আসামি প্রদীপসহ ১৫ জন।