চাহিদা
ময়মনসিংহ অঞ্চলে চাহিদার বিপরীতে খাদ্য উৎপাদন আড়াইগুণ
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে খাদ্য উৎপাদন হয়েছে ৪৪ লাখ ৮৮ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন। উৎপাদনের বিপরীতে খাদ্য চাহিদা মাত্র ১৮ লাখ ৭ হাজার ২৩৩ মেট্রিক টন। যা চাহিদার তুলনায় প্রায় আড়াইগুণ। চলতি অর্থবছরে প্রায় ২৬ লাখ ৮১ হাজার ৭১৭ মেট্রিক টন খাদ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে।
সোমবার (১১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় ‘ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসল উৎপাদন পরিস্থিতি এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরের কর্মপরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব তথ্য জানান ময়মনসিংহ অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়ের উপপরিচালক সালমা আক্তার।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কেন্দ্রে ময়মনসিংহ অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়ের আয়োজনে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের চারটি জেলা ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, জামালপুর ও শেরপুরের জাতভিত্তিক ফসল উৎপাদনের অগ্রগতি ও বিভিন্ন কার্যক্রম, বিগত পাঁচ বছরে বোরো, আমন ও আউশ ধানের উৎপাদন চিত্র ও কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়।
কর্মশালায় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘দেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদী না থাকে’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বক্তারা বিভিন্ন কৃষিবান্ধব কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করেন।
এ প্রসঙ্গে বক্তারা উদাহরণ হিসেবে পারিবারিক পুষ্টি বাগান ও বস্তায় আদা চাষপদ্ধতি উল্লেখ করেন।
তারা আরও জানান, বস্তায় আদা চাষে জমির সঠিক ব্যবহারের পাশাপাশি কৃষকেরা আর্থিকভাবেও লাভবান হবেন। এক বস্তা আদা চাষে করতে খরচ হবে মাত্র ৭০ টাকা কিন্তু লাভ হবে বস্তাপ্রতি প্রায় ২১৫ টাকা।
কর্মশালায় অন্যান্য ফসল যেমন সরিষা, মধু, ভুট্টা, রঙিন ফুলকপি, ক্যাপসিকামসহ নতুন জাতের বিভিন্ন ফসল উৎপাদন ও রপ্তানিযোগ্য কৃষি বিপণন ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন মতামত প্রদান করেন বক্তারা।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে শস্যের গড় নিবিড়তা পূর্বের চেয়ে ১ দশমিক ৫২ শতাংশ বেড়েছে, আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ বেড়েছে ৪ হাজার ৯৪৯ হেক্টর, আউশের আবাদ বেড়েছে ৪ হাজার ৬৬ হেক্টর জমিতে, মসলা জাতীয় ফসলের আবাদ বেড়েছে ১ হাজার ১৪৬ হেক্টর জমিতে, নারী ক্ষমতায়ন ৩০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে এবং নার্স সিস্টেম হতে উদ্ভাবিত প্রযুক্তির ব্যবহার পূর্বের চেয়ে দুই শতাংশ বেড়েছে।
ময়মনসিংহ অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে জুম মিটিংয়ে যুক্ত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস।
গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির সাবেক উপাচার্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞ পুলের সদস্য অধ্যাপক ড. এম. এ সাত্তার মন্ডল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং এর পরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম ও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর।
গ্রাহক চাহিদা-সুবিধা বিবেচনায় গ্রামীণফোন নিয়ে এলো সহজ প্ল্যান
গ্রাহককেন্দ্রিক সেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশের ডিজিটাল পার্টনার গ্রামীণফোন নিয়ে এসেছে সহজ ও সুবিধাজনক সব প্ল্যান।
গ্রাহকদের পরিবর্তনশীল চাহিদা মেটাতে ও ব্যবহারবান্ধব সেবা প্রদানের লক্ষ্যে গ্রামীণফোনের নতুন এ উদ্যোগ।
নানা ধরনের কানেক্টিভিটি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশের এক নম্বর নেটওয়ার্কের সঙ্গে সমৃদ্ধ সেবার অভিজ্ঞতা দিতে নতুন প্ল্যানগুলো ডিজাইন করা হয়েছে।
অবিরাম ডাটা বান্ডেলের সঙ্গে চরকি, হৈচৈ, লায়ন্সগেট, টি-স্পোর্টসসহ অন্যান্য জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সাবস্ক্রিপশন সুবিধাসহ বেশ কয়েকটি নতুন সাপ্তাহিক ও মাসিক ডাটা প্ল্যান এনেছে গ্রামীণফোন, যা বিনোদনের দিগন্তকে প্রসারিত করেছে।
আরও পড়ুন: সাড়ে ৪ লাখ সুবিধাবঞ্চিত তরুণকে ডিজিটাল প্রশিক্ষণ দিবে গ্রামীণফোন ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল
সাপ্তাহিক ডাটা প্ল্যানে ৪০ জিবি পর্যন্ত এবং মাসিক ডাটা প্ল্যানে ২০০ জিবি পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহকরা। সম্পূর্ণ ডাটা ভলিউম ব্যবহারের পর ক্রয় করা প্ল্যানের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ৭ দিনের প্ল্যান এবং ৩০ দিনের প্ল্যান, উভয় প্ল্যানের ক্ষেত্রে ফেয়ার ইউসেজ পলিসি (২৫৬ কেবিপিএস) প্রযোজ্য হবে।
ব্যবহারবান্ধব ও ভ্যালু ফর মানি– এই প্ল্যানগুলো সহজেই কেনা যাবে। মাইজিপি, ফ্লেক্সিলোড, আইভিআর ও ইউএসএসডি– যেকোনো মাধ্যমে প্ল্যানগুলো কিনতে পারবেন গ্রাহকরা।
ডিজিটাল দুনিয়ায় নিশ্চিন্তে যুক্ত থাকার সুবিধা নিয়ে সাজানো ফিচার-প্যাকড এই প্ল্যানগুলো ঝামেলামুক্ত একটি সাইন-অন প্রক্রিয়ায় গ্রহণ করে উপভোগ করা যাবে।
এ ছাড়াও গ্রাহকরা এখন গ্রামীণফোনের কম্বো ও ডাটা প্ল্যানে অতিরিক্ত সুবিধা পেতে পারেন, যেখানে প্ল্যানের মেয়াদের মধ্যে পুনরায় ক্রয় করলে বোনাস ডাটা পাবেন তারা। তাছাড়া ডাটা প্ল্যানে অগ্রিম ক্রয়ের সুবিধাও উপভোগ করতে পারবেন।
গ্রামীণফোন তার পোর্টফোলিওকে আরও সহজ করার পাশাপাশি প্রিমিয়াম অফারগুলো আরও বিস্তৃত করেছে। অত্যধিক সংখ্যক অপশনের মধ্য থেকে বিকল্প বেছে নেওয়ার ঝামেলা দূর করা হয়েছে।
এতে গ্রাহকের ইউসেজ জার্নির অভিজ্ঞতা হয়ে উঠেছে আরও সহজ, সুবিধাজনক ও ব্যবহারবান্ধব। একইসঙ্গে গ্রাহকদের নিজ নিজ প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন সেবা বেছে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্রামীণফোনে নতুন সিএফও ও সিআরও নিয়োগ
গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হাসিব বলেন, গ্রামীণফোনের সব কার্যক্রমেরই কেন্দ্রে থাকেন গ্রাহকরা। আর এটি বিবেচনায় নিয়ে গ্রামীণফোন ধারাবাহিকভাবে গ্রাহকদের জন্য সহজ, উদ্ভাবনী, সুবিধাজনক ও ব্যবহারবান্ধব সেবা প্রদানের চেষ্টা করে, যা তাদের পরিবর্তনশীল ও বৈচিত্র্যময় কানেক্টিভিটি চাহিদা পূরণ করছে। অবিরাম ডাটা প্ল্যানসহ সহজ নতুন প্ল্যানগুলো গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিতে পেরে আমরা আনন্দিত।
তিনি আরও বলেন, আজকের গতিময় বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার পাশাপাশি নতুন প্ল্যানগুলো গ্রামীণফোন গ্রাহকদের যেমন সবসময় রাখবে কানেক্টেড, তেমনি বিনোদনেরও সুযোগ করে দেবে। গ্রাহকরা মাসিক ডাটা ও কম্বো প্ল্যানগুলোর সঙ্গে ওটিটি সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে বিনোদনের জগৎ উপভোগ করতে পারবেন। গ্রাহকদের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে নতুন এসব প্ল্যান নিয়ে এসেছে গ্রামীণফোন। এর লক্ষ্য হলো ভবিষ্যতে মানুষের ক্ষমতায়ন, যেখানে যোগাযোগ সক্ষমতা একটি বড় ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে ২৬ কোটি টাকা দিলো গ্রামীণফোন
দেশের উত্তরাঞ্চলে চাহিদা বাড়ছে নোনা ইলিশের
বাংলাদেশের জাতীয় মাছ হওয়া সত্ত্বেও বেশিরভাগ নিম্ন আয়ের মানুষেরই নাগালের বাইরে ইলিশ। তবে সাশ্রয়ী মূল্যের কারণে দেশের উত্তরাঞ্চলে জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় তারা শুকনো, নোনা (লবণ দেওয়া) ইলিশের স্বাদ নিতে পারে।
প্রতি বছর চাঁদপুর বড় স্টেশন মৎস্য ঘাটের শ্রমিকরা অবিক্রীত ইলিশ মাছ প্রক্রিয়াজাত করেন। তারা এখন মাছ কেটে তাতে লবণ দিতে ব্যস্ত।
ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, কুড়িগ্রাম, শেরপুর ও মানিকগঞ্জ জেলায় শুকনো লবণাক্ত ইলিশ বা ‘নোনা ইলিশ’পাওয়া যাচ্ছে এবং এর চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে।
আরও পড়ুন: ভোলার ইলিশায় নদী তীরের সিসি ব্লক ধ্বসে বাকপ্রতিবন্ধী নারীর মৃত্যু
মৎস্য ঘাটে মৌসুমে নরম হয়ে যাওয়ায় অনেক ইলিশ অবিক্রীত থেকে যায়। কিছু ব্যবসায়ী এগুলো অল্পদামে কিনে লবণ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে। শুকনো লবণযুক্ত মাছ বিক্রি হচ্ছে ৯০০-১২০০ টাকা কেজি দরে।
এছাড়া শ্রমিকরা মাছ থেকে আলাদা করা ডিম বিক্রি করছেন আড়াই হাজার থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা কেজি দরে। গত বছর প্রতি কেজি ইলিশের ডিম বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার ৪০০ টাকায়।
রমজান বেপারী নামে এক ব্যবসায়ী জানান, তিনি গত ৩০ বছর ধরে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন এবং প্রতি বছর ইলিশ মৌসুমে ময়মনসিংহ থেকে এসে এই এলাকায় থাকেন।
পাইকারি বাজার থেকে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে ৭০০-১০০০ গ্রাম ওজনের অবিক্রিত ইলিশ কিনেছেন তিনি।
এ বছর ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার মণ ইলিশ প্রক্রিয়াজাত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন তিনি। এই শুকনো নোনা ইলিশ আগামী ৬ মাস খাওয়ার উপযোগী থাকবে বলে দাবি করেন তিনি।
রমজানের মতো আনোয়ার হোসেন, জাকির হোসেন, চারি গাজীসহ অনেক ব্যবসায়ী একই উদ্দেশ্যে চাঁদপুরে এসেছেন।
প্রায় ১০০ জন নারী ও ১৫০ জন পুরুষ ইলিশ মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে জড়িত। তারা যে দৈনিক মজুরি পান তাতেই খুশি।
চাঁদপুরের মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ইলিশ বিশেষজ্ঞ ড. আনিসুর রহমান বলেন, লবণ দিয়ে ইলিশ ছয় মাস সংরক্ষণ করা যায়।
রেফ্রিজারেটরে সঠিক তাপমাত্রা নিশ্চিত করার মাধ্যমে ইলিশের ডিমও একইভাবে সংরক্ষণ করা যায়।
প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লাখ মানুষ এখন ইলিশ মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে জড়িত এবং তারা মুনাফা করছে।
আরও পড়ুন: মুনাফালোভীদের কারণে ইলিশের দাম বেশি: মৎস্যমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার থেকে ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা
ইলিশের চাহিদা পূরণে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
ইলিশ মাছের চাহিদা পূরণে এরই মধ্যে সরকার নানা প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) সকালে বরিশালের সার্কিট হাউজে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, ইলিশের চাহিদা পূরণ করতে সরকারিভাবে নানা প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলেদের আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ নদীর প্রবাহমানতা বাড়াতে এবং গতিশীল করতে ইতোমধ্যে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া মাংসে বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ বলেও জানান প্রাণিসম্পদমন্ত্রী। তিনি বলেন, উৎপাদন বাড়ার কারণে এখন মাংস বিদেশে রপ্তানিও করছে বাংলাদেশ। ফলে এই খাত থেকে প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে বাংলাদেশ।
মন্ত্রী আরও বলেন, এই খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আরও পরিকল্পনা রয়েছে। খুব দ্রুত সময়ে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কাজ করা হবে।
আরও পড়ুন: সমুদ্র সম্পদ নিয়ে গবেষণা ও বিনিয়োগের আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
জীবাণু সংক্রমণে সাফারি পার্কে প্রাণীর মৃত্যু ঘটছে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতায় যেতে চাওয়া রাষ্ট্রদ্রোহিতা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
চাহিদা বাড়ায় রাজধানীতে বেড়েছে ঈদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গত ৪৮ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকার কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ঈদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। কেননা ঈদ উপলক্ষে এই পণ্যগুলোর চাহিদা এই সময়ে বেশি থাকবে।
রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ততম বাজার মালিবাগে গিয়ে ইউএনবি এমন তিনটি আইটেমের দাম খুঁজে পেয়েছে - পোলাও চাল, চিনি ও সেমাই।
প্যাকেটজাত পণ্যের দামে কোনো পরিবর্তন না হলেও খোলাবাজারে বিক্রি হওয়া পণ্যের দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি আর প্যাকেটজাত সুগন্ধি চাল (চিনিগুঁড়া) বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজিতে।
একইভাবে মঙ্গলবার প্রতিকেজি খোলা সেমাই বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়। অথচ মাত্র দুদিন আগেও একই সেমাই বিক্রি হচ্ছিল প্রতিকেজি ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। মঙ্গলবার লাচ্ছা সেমাই প্রতিকেজি ১২৫-১৩৫ টাকায় বিক্রি হলেও দুদিন আগে তা ছিল মাত্র ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। প্যাকেটজাত ২০০ গ্রামের প্যাকেট লাচ্ছা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, যা কেজির তুলনায় অনেক বেশি দাম।
মালিবাগ কাঁচাবাজারে এদিন চিনির দামও ঊর্ধ্বমুখী দেখা গেছে। এই বাজারে খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১৪০-১৫০ টাকায়।
অনেক ভোক্তা তাদের কেনাকাটা শেষ করতে বিকালের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যেও বাজারে এসেছিলেন। হঠাৎ করে প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি তাদের হতাশ করেছে।
আরও পড়ুন: বাজারে মসলার দামের ঊর্ধ্বগতি, ঈদুল আজহার আগে বিপাকে ক্রেতারা
আব্দুল আলিম নামে একজন ভোক্তা বলেন,‘আমি বিস্মিত হয়েছি যে বেশিরভাগ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে,।’
মালিবাগ বাজারে হাজী ফারুক জেনারেল স্টোর পরিচালনাকারী ফারুক হাসান বলেন, ‘সবকিছুর দাম বেশি, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
ফারুক আরও বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি ১৬০ টাকা কেজি পর্যন্ত পোলাও চাল বিক্রি করছি, কিনতে চাইলে কিনতে পারেন। আমি কাউকে জোর করছি না। আমি এখানে লস না, লাভ করতে এসেছি।’
একই বাজারে বরিশাল জেনারেল স্টোরের ব্যবসায়ী শাহিন হাওলাদার জানান, তিনি খোলা চিনি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা কেজি এবং ভালো মানের চিনি ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন।
এদিকে রাজধানীতে এখনো ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে। সোনালী কক বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৩০০ থেকে ৩১০ টাকায়। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায়।
রাষ্ট্রায়ত্ত বাজারদর নিয়ন্ত্রক সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়।
গুঁড়ো দুধের মধ্যে ১ কেজি ডানো, ডিপ্লোমা ও ফ্রেশ মিল্ক ৮৪০ টাকা কেজি এবং মার্কস দুধ বিক্রি হচ্ছে ৮৩০ টাকা কেজি।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে পাইকারি ও খুচরা কাঁচাবাজার নির্ধারিত স্থানে বসাতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
বন্যা: ঢাকার কাঁচাবাজারে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম
বিদেশে অদক্ষ শ্রমিকের চাহিদা নেই: মন্ত্রী
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, বর্তমানে বিদেশে অদক্ষ শ্রমিকের কোনো বাজার নেই। তবে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা বেড়েছে।
রবিবার নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় নবনির্মিত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হবে সেপ্টেম্বরে: রেলমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের লক্ষ্যে সারাদেশে টিটিসি স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন।
তিনি বলেন, সরকার দক্ষ কৃষকদের বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থাও নিয়েছে, তবে কৃষকদের অবশ্যই তাদের দক্ষতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এ ধরনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে এবং জনগণের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য পর্যায়ক্রমে প্রতিটি উপজেলায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
মন্ত্রী বলেন, প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোকে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে যাতে প্রশিক্ষিত কর্মীদের প্রশিক্ষণের পরপরই বিদেশে পাঠানো যায়।
তিনি আরও বলেন, ৩৪ কোটি ৭১ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাণীনগরের টিটিসিতে ৬টি ট্রেডে ৬ মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন ৮৮০ জন।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. শহিদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন হেলাল, প্রকল্প পরিচালক সাইফুল হক চৌধুরী ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. জাকির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের খেলা থেকে পালিয়ে যাবেন না: বিএনপিকে তথ্যমন্ত্রী
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
তীব্র গরমে বেড়েছে খুলনার দাকোপের তরমুজের চাহিদা
তীব্র তাপদাহের কারণে হঠাৎ করে বেড়ে গিয়েছে খুলনার দাকোপের তরমুজের চাহিদা। আর তাই দামও বেড়ে গেছে। শেষ সময়ে এসে তরমুজ বিক্রি করে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছে খুলনার কৃষকেরা।
জানা যায়, অন্যান্য জেলার তরমুজ এর আগেই বিক্রি হয়ে গেছে। এখন দাকোপ উপজেলার তরমুজই ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। গরমে চাহিদা বাড়ায় তাই সবাই তাকিয়ে আছে দাকোপের তরমুজের দিকে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা অনেকেই দাকোপে গিয়ে তরমুজ কিনে আনছেন।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এ বছর খুলনায় ১২ হাজার ২২৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। এর মধ্যে দাকোপ উপজেলাতেই চাষ হয়েছে ছয় হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে।
তবে কৃষকদের অভিযোগ, চার মাস রোদে পুড়ে হাড় ভাঙা খাটুনি করে তারা যে মুনাফা করছে, তার থেকে তিনগুণ মুনাফা করছে খুচরা ব্যবসায়ীরা।
নগরীর কদমতলা মোকাম ঘুরে দেখা গেছে, সোমবার মাঝারি সাইজের তরমুজ গড়ে বিক্রি হয়েছে (১০০ পিস) ছয় হাজার টাকায়। অর্থাৎ ছোট-বড় সব তরমুজের গড় মূল্য প্রতি পিস ৬০ টাকা।
আরও পড়ুন: খুলনায় লবণাক্ত এলাকায় তরমুজের বাম্পার ফলন
মাত্র এক কিলোমিটার দূরে নগরীর ময়লাপোতা মোড়ে ভ্যান ও ফলের দোকানে সেই তরমুজ বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়।
কৃষকরা জানান, দুইভাবে তরমুজ বিক্রি হয়। ঢাকা থেকে ব্যবসায়ীরা দাকোপে এসে মাঠ থেকে সরাসরি তরমুজ কেনেন। তারাই ট্রাকে করে তরমুজ নিয়ে যান। চলতি সপ্তাহে ছোট আকারের তরমুজ (তিন থেকে পাঁচ কেজি) প্রতি বিঘা বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। একই তরমুজ গত বছর বিক্রি হয়েছে ৩০/৩৫ হাজার টাকা।
এছাড়া বড় আকারের (আট কেজির ওপরে) তরমুজ বিক্রি হচ্ছে এক লাখ টাকায়।
এছাড়া কিছু কৃষক নিজেই তরমুজ নিয়ে খুলনার কদমতলায় পাইকারি বিক্রি করেন। পাইকারি তরমুজ বিক্রি হয় পিস হিসেবে। ছোট আকারের তরমুজ (তিন থেকে পাঁচ কেজি) প্রতি বিক্রি সোমবার বিক্রি হয়েছে ৫০/৬০ টাকা পিস। এছাড়া বড় তরমুজ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা পিস।
দাকোপ উপজেলার পানখালী ইউনিয়নের কৃষক আজগর হোসেন জানান, শুরুতে প্রতি বিঘা ৪০/৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি হবে বলে তারা আশা করেছিলেন। কিন্তু এখন দাম ৭০ হাজারের ওপর। এতে কৃষকেরা খুশি।
দাকোপ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কে এম মাকসুদুন্নবী জানান, ‘সোমবার পর্যন্ত আড়াই হাজার হেক্টর জমির তরমুজ বিক্রি হয়েছে। প্রতিদিন ৫০০/৬০০ হেক্টর জমির তরমুজ সংগ্রহ হচ্ছে। বেশিরভাগ তরমুজই ঢাকায় যাচ্ছে। ঈদের আগেই ৮৫ শতাংশ তরমুজ বিক্রি করা হবে।’
কৃষকদের অভিযোগ, তরমুজ বিক্রিতে বড় বাধা হয়ে দেখা দিয়েছে পরিবহনে চাঁদাবাজি। প্রতিদিন অসংখ্য ট্রাক তরমুজ পরিবহনের জন্য দাকোপ থেকে বিভিন্ন রুটে যাচ্ছে। প্রায় মোড়ে তারা চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছে। এ থেকে পরিত্রাণের দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।
আরও পড়ুন: তরমুজের বাম্পার ফলন হলেও খুলনার চাষিরা হতাশ
খুলনায় তরমুজের বাম্পার ফলন, কৃষকের চোখে সোনালী স্বপ্ন
ইউরোপের চাহিদা মতো পাটপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে সমঝোতা চুক্তি সই
ইউরোপের বাজার উপযোগী বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের সহায়তায় মঙ্গলবার দুপুরে একটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে।
এদিন রাজধানীর জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার’ (জেডিপিসি) সম্মেলন কক্ষে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ‘জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার’ (জেডিপিসি)-এর নির্বাহী পরিচালক মো. মাহমুদ হোসেন এবং সেন্টার ফর প্রমোশন ইম্পোর্ট ফর্ম ডেভলপিং কান্ট্রিস (সিবিআই) এর পক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন মধ্যে এ সমঝোতা চুক্তি সই হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে রেমিট্যান্স বাড়ছে
এসময় সেন্টার ফর প্রমোশন ইম্পোর্ট ফর্ম ডেভলপিং কান্ট্রিস (সিবিআই) ও জেডিপিসি'র ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলন।
‘জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার’ (জেডিপিসি) ও সেন্টার ফর প্রমোশন ইম্পোর্ট ফরম ডেভলপিং কান্ট্রিস (সিবিআই) এর মধ্য সমঝোতা চুক্তি সই হওয়ায় জেডিপিসি’র হোম টেক্সটাইল এন্ড হেম ডেকোরেশন উৎপাদনকারী উদ্যোক্তারা ইউরোপের বাজারের চাহিদা অনুযায়ী নতুন নতুন ডিজাইনের পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে সক্ষম হবে।
ফলশ্রতিতে ইউরোপের বাজার উপযোগী বহুমুখী পাটপণ্য রপ্তানি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। এতে রপ্তানি আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি হবে।
আগামি পাঁচ বছরের জন্য এ সমঝোতা চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হল।
বিশ্বব্যাপি পরিবেশ সচেতনতারর কারণে পরিবেশবান্ধব পাটপণ্যের চাহিদা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়ছে। সরকার জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) এর মাধ্যমে পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্ভাবন, ব্যবহার সম্প্রসারণে গুরুত্বারোপ করেছে।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ইস্যুতে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দল ঢাকায়
পানির ভবিষ্যৎ চাহিদা পূরণে ওয়াটার গ্রিড লাইন চালু করবে সরকার: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
দেশে পানির ভবিষ্যৎ চাহিদা পূরণে গ্যাস-বিদ্যুতের মতো ওয়াটার গ্রিড লাইন স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে সিনেট ভবনে আয়োজিত ‘দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে কমিউনিটি ভিত্তিক সুপেয় পানি অবকাঠামোর টেকসই শাসন কমিউনিটি ম্যানেজমেন্ট প্লাস মডেলের একটি কেস স্টাডি’-শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসরত মানুষের জন্য সুপেয় পানি নিশ্চিত করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে বলেও জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: রাস্তা না রেখে উঁচু উঁচু বিল্ডিং করা কি সমীচিন: স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর প্রশ্ন
মন্ত্রী বলেন, দেশে একশোটি অর্থনৈতিক জোন তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়াও অনেক নতুন শিল্পকারখানা হচ্ছে। যেখানে প্রচুর পরিমাণে পানির প্রয়োজন হবে। পানির ভবিষ্যৎ চাহিদা মেটাতে এখন থেকেই পদক্ষেপ নিতে হবে।উপকূলীয় অঞ্চলের পানি লবণাক্ত হওয়া ছাড়াও দেশের কিছু কিছু এলাকায় নিরাপদ সুপেয় পানি সরবরাহ একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘ন্যাশনাল ওয়াটার গ্রিড লাইন’ তৈরির মাধ্যমে জোন এবং সাব-জোন করে পানি সরবরাহ করতে পারলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।’এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সরকার ভূ-পৃষ্ঠের পানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে ভূ-উপরিস্থি পানির ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন সারা দেশে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে ওয়াটার ট্রিট প্ল্যান্ট স্থাপন করার কাজ চলমান রয়েছে। বর্তমানে দেশের কোথাও পানির সংকট নেই বলেও জানান তিনি।মন্ত্রী আরও বলেন, দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং সে লক্ষ্য পূরণে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণ নেতৃত্বেগুণে ২০৪১ সালের আগেই দেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে রুপান্তির হবে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ বদরুল হাসান সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন।
প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সকলের জন্য উন্নত ও নিরাপদ পানির দুর্লভতা একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয়। অনুমান করা হয় যে,বিশ্বের দুই বিলিয়নেরও বেশি মানুষ এখনো নিরাপদ পানি পায় না।সুপেয় পানির সঙ্কট নিরসনে কমিউনিটি ম্যানেজমেন্ট প্লাস (সিএম+) মডেলের রুপরেখা তুলে ধরে বদরুল হাসান জানান সিএম+ মডেল হলো একটি শাসন ব্যবস্থা যেখানে পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ব্যবহারকারীদের এবং সরকারী বস্তবায়নকারী সংস্থা বা স্থানীয় এনজিওগুলোর মধ্যে ভাগ করে দেয়া হয়। কোন পরিস্থিতিতে কমিউনিটি পানীয় জলের ব্যবস্থা টেকসই পরিচালনায় সিএম+ মডেলটি সফল হতে পারে সে বিষয়ে অন্বেষণ করাই ছিলো তার গবেষণার মূল উদ্দেশ্য।ঢাবি ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক আইনুল ইসলামের পরিচালনায় সেমিনারে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. তাসনিম আরেফা সিদ্দিকী,ঢাবির প্রোভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল,সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান,ভূতত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মতিন উদ্দিন আহমদ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক লিয়াকত আলী খান, ঢাকাস্থ নেদারল্যান্ড দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি ফকার দে জ্যাগার।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু কম, তবুও আমরা উদ্বিগ্ন: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
পানিতে ভর্তুকি দেয়া বন্ধ করবে ঢাকা ওয়াসা: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
সৌদি আরবে বাংলাদেশি খাদ্য পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে: রাষ্ট্রদূত
সৌদি আরবে বাংলাদেশি খাদ্য ও জুসসহ বিভিন্ন পানীয় পণ্যের চাহিদা থাকায় আগামী দিনে এ সকল পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবে বসবাসরত প্রায় ২৬ লাখ বাংলাদেশি অভিবাসী ও অন্যান্য এশিয়ান দেশের অভিবাসীদের কাছে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা রয়েছে যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে সৌদি নাগরিকদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব হলে সৌদি আরবে বাংলাদেশি পণ্যের বিশাল বাজার তৈরির সুযোগ রয়েছে।’
বুধবার রিয়াদের আন্তর্জাতিক এক্সিবিশন সেন্টারে আয়োজিত আন্তর্জাতিক খাদ্য ও পানীয় পণ্যের মেলা ‘ফুডেক্স সৌদি’ তে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আসছে উচ্চ পর্যায়ের সৌদি প্রতিনিধি দল: রাষ্ট্রদূত
রিয়াদে ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে চার দিন ব্যাপী নবম আন্তর্জাতিক ফুডেক্স সৌদি মেলা শুরু হয়েছে। মেলায় ৩০টি দেশের প্রায় দুই শতাধিক কোম্পানি অংশগ্রহণ করে। রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর উদ্যোগে বাংলাদেশের চারটি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশগ্রহণ করে। প্রতিষ্ঠানগুলো হল- বেঙ্গল মিট প্রসেসিং, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ, বসুন্ধরা ফুড এন্ড বেভারেজ এবং এস এন্ড বি নাইস ফুড ভ্যালি লিঃ।
বুধবার রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা এ মেলা পরিদর্শন করেন। এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশি পণ্য বিশ্বমানের এবং আশা করা যায় মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সৌদি আরবে বাংলাদেশি খাদ্য পণ্যের বাজার ও রপ্তানি আরও বৃদ্ধি পাবে। সৌদি আরবের বাজারে মাছ, মাংসসহ সকল খাদ্যপণ্য প্রবেশের ক্ষেত্রে যে সকল মান অর্জন দরকার তা নিশ্চিত করে পণ্য রপ্তানি সুগম করার জন্য দূতাবাস নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: ‘পদ্মা সেতু সৌদি কোম্পানিসহ আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের চোখ খুলে দেবে’
আগামী দিনে সৌদি আরবের সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন।
সৌদি আরবে ইতোমধ্যে প্রাণ, বিডি ফুডসহ বিভিন্ন বাংলাদেশি কোম্পানির পণ্য বাজারে রয়েছে, যা বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয়। তিনি এসকল পণ্যের বাজারজাতকরণ, প্রচার এবং উন্নতমানের প্যাকেজিংয়ে গুরুত্বারোপ করেন। সৌদি আরব প্রায় ৮০ শতাংশ খাদ্যপণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করে থাকে তাই এখানে বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। মেলায় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শেফ নিয়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সৌদি বায়ার, বাংলাদেশি অভিবাসীগণ ও বিভিন্ন দেশের মানুষ মেলায় বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: শ্রমবাজার সম্প্রসারণে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের বৈঠক