জালিয়াতি
জালিয়াতি রোধে বুয়েট উদ্ভাবিত ডিভাইস শনাক্তকরণ যন্ত্রের সাফল্য
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) উদ্ভাবিত ডিভাইস জালিয়াতি শনাক্তকরণ সিস্টেমের কার্যকর প্রয়োগের ফলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে লিখিত পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় এ চিত্র ফুটে উঠেছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইস জালিয়াতি ও বদলি পরীক্ষা দেওয়ায় আটক ১৮
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, প্রথম ধাপের পরীক্ষায় কিছু ক্ষেত্রে অসদুপায় অবলম্বনের চেষ্টা নজরে আসায় মন্ত্রণালয় এ ধরনের অপপ্রয়াস রোধককল্পে কঠোর পদক্ষেপ নেয়।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় এ ধরনের অভিযোগ খুব স্বল্প পরিমাণে এসেছে। তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় এ ধরনের অভিযোগ যাতে না উঠে সেজন্য কার্যকর পন্থা খুঁজে বের করতে বুয়েটের আইআইসিটি বিভাগের অধ্যাপক এস এম লুৎফুলর কবিরকে দায়িত্ব দেয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আরও বলেন, বুয়েট ইনোভেশন টিম স্বল্পসময়ে ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে অসদুপায় অবলম্বন শনাক্তকরণে সহজ ও কার্যকর সিস্টেম উদ্ভাবন করে। এতে শুক্রবারের লিখিত পরীক্ষায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৫ জেলায় এ সিস্টেমের সহজ ও কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা সচিব বলেন, সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এ ধরনের সিস্টেম চালু করা গেলে ডিভাইসমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণ সম্ভব হবে।
তখন কেউ পরীক্ষা নিয়ে কোনো অভিযোগ তোলার সুযোগ পাবে না।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সহকারী শিক্ষক নিয়োগে পরীক্ষা ২০২৩ এর তৃতীয় ধাপে ও শেষ ধাপের লিখিত পরীক্ষা (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ- ৩টি পার্বত্য জেলা ব্যতীত) অনুষ্ঠিত হয়।
এ পর্বের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইস ব্যবহার, যুবক আটক
গাইবান্ধায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ আটক ৩৫
রংপুরে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির অভিযোগে শিক্ষকসহ আটক ১৯
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে রংপুরে ১৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এসময় তাদের কাছ থেকে ৮০টি মোবাইল ফোন ও ডিভাইসসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে রংপুর মহানগরীর বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র ও এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাসায় ঢুকে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, আটক ৩
শুক্রবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান জানান, শুক্রবার পরীক্ষা চলাকালীন সিন্ডিকেট দলের সদস্য শিক্ষকরা অভিনব কায়দায় আধুনিক ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে তা বাইরে সরবরাহ করেন। এরপর বাইরে থেকে উত্তর সরবরাহের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেয়।
তিনি আরও জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ আগে থেকে তৎপর থাকায় বৃহস্পতিবার রাত থেকে অভিযান শুরু করে। একপর্যায়ে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে আটজন পরীক্ষার্থী এবং অন্যভাবে তিনজন পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়। এছাড়া তিনজন শিক্ষকসহ সিন্ডিকেট দলের আরও পাঁচ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এসময় ৮০টি মোবাইল ফোন ও আধুনিক ডিভাইস জব্দ করা হয়।
পুলিশ কমিশনার বলেন, সাধারণ প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় পরীক্ষা শুরুর আগে। কিন্তু এখানে আগে থেকে কোনো প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। মূলত পরীক্ষা শুরুর পর অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে প্রশ্নপত্র বাইরে পাঠিয়ে তার উত্তর সরবরাহের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেয়।
তিনি জানান, রংপুর ছাড়াও বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে এই সিন্ডিকেট দলের আরও সদস্যদের আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরসহ পরে যাদের নাম আসবে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ওসমানী বিমানবন্দরে ৩৪ কেজি স্বর্ণ জব্দ, আটক ৪
শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইস জালিয়াতি ও বদলি পরীক্ষা দেওয়ায় আটক ১৮
অনলাইন জালিয়াতি চক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার
বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ) সোমবার রাজধানীর ভাটারা ও মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে অনলাইন প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- তৌহিদ মোল্লার ছেলে মো. তুর্জাউল হোসেন তুর্জো(২২), আব্দুল মোল্লার ছেলে জুলহাস হোসেন ওরফে শায়ন(৩০), মো. বখতিয়ার গাজীর ছেলে মো. মনির হোসেন(২৪), মো. কায়েস বিশ্বাসের ছেলে মো. রাজিব বিশ্বাস (২১), আবু জার বিশ্বাসের ছেলে মো. মাহফুজ বিশ্বাস ওরফে মাহফুজ(২৭) ও আব্দুল আল মুকিত কাওসার (২১)।
আরও পড়ুন: দলিল জালিয়াতির মামলায় জাপার আহ্বায়ক গ্রেপ্তার
এটিইউ সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আসলাম খান (মিডিয়া ও সচেতনতা বিভাগ) বলেছেন, খবর পেয়ে এটিইউ -এর একটি দল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর ভাটারা ও মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
অভিযানের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কাছ থেকে দুটি ল্যাপটপ, ১৮টি মোবাইল ফোন সেট এবং দুটি হার্ডডিস্ক উদ্ধার করেছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, অনলাইন প্রতারক চক্র ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রির নামে প্রতারণা করে আসছে।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঋণ জালিয়াতির মামলায় রিজেন্ট সাহেদের জামিন
রাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি: ছাত্রলীগ নেতাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ সালের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এক নেতাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার সকালে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বিজয় কুমার বসাক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম নগরীর মতিহার ও চন্দ্রিমা থানায় মামলাগুলো করেন।
আরও পড়ুন: রাবিতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ: ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
অভিযুক্তদের মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা, সরকারি বিসিএস কর্মকর্তা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গ্রেপ্তার হয়েছেন।
আসামিরা হলেন- রাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক হাসিবুল ইসলাম শান্ত, নাটোর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র এনামুল হক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র মো. স্বপন হোসেন।
জনপ্রশাসন অধিদপ্তর, বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা শেখ আবু হানিফ মো. তানভীর আহমেদ, কাওসার আলী বিদ্যুৎ, মো. মাইনুল ইসলাম, মো. আব্দুর রকিব, মো. ইসরাফিল হোসেন, জাহিদ আল হাসান সিয়াম, রূপম সরকার ও শেখ আবু হানিফ।
বাকি চারজনের নাম এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
এদের মধ্যে হাসিবুল, শেখ আবু হানিফ, এনামুল হক ও স্বপনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাবি ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিমানের বিশেষ ফ্লাইট
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. ইসরাফিল হোসেন ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে জাহিদ আল হাসান সিয়ামের প্রক্সি প্রার্থী হিসেবে পরীক্ষায় অংশ নেন।
তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের ৪২৪ নম্বর কক্ষ থেকে গ্রেপ্তার করে।
এছাড়া হাসিবুল ইসলাম শান্ত এনামুল হককে ৫০ হাজার টাকায় নিয়োগ দেন। তিনি প্রধান প্রার্থী তানভীর আহমেদের পক্ষে প্রক্সি দেন।
শেখ আবু হানিফকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আসল প্রার্থী রূপম সরকারের পক্ষে হাজির হন।
ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে ছাত্রলীগের রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, আমরা কিছুক্ষণ আগে বিষয়টি জানতে পেরেছি, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা করেছি। এখন বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বিজয় কুমার বসাক বলেন, গতকাল যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবি ভর্তি পরীক্ষা: রাবিতে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আমরা একজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তবে তিনি মূল অপরাধী নন।
আশা করছি শিগগিরই মূল অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে পারব। একই সঙ্গে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।
বিএসএমএমইউ কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে পদ পেতে জালিয়াতির অভিযোগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান চাকরির মেয়াদ ও পদোন্নতি নিশ্চিত করতে জালিয়াতি ও অসঙ্গতির আশ্রয় নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ে দাখিলকৃত নথি অনুযায়ী, ডা. আতিকুর বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সহকারী অধ্যাপক থেকে সহযোগী এবং পরে পূর্ণ অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান।
বিএসএমএমইউতে চাকরি স্থায়ী করতে তিনি প্রতারণার আশ্রয় নেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম হাসপাতালে বিল জালিয়াতির চেষ্টা, ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ
ডক্টর মোহাম্মদ আতিকুর রহমান মঙ্গলবার ইউএনবিকে ফোনে বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের অনুমোদনে তিনি পদোন্নতি পেয়েছেন। তিনি আরও বলেন, নিয়োগ ও পদোন্নতি নিয়ে কোনো অনিয়ম নেই।
রেসপিরেটরি মেডিসিনের অধ্যাপক ডা. আতিকুরকে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে তিন বছরের জন্য বিএসএমএমইউ’র কোষাধ্যক্ষ নিযুক্ত করা হয়েছিল।
তিনি ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে তিন বছরের জন্য পুনরায় নিযুক্ত হন।
১৯৬৯ সালে জন্ম নেওয়া আতিকুর ১৯৯৪ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে মেডিসিন ও সার্জারিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি ২০২২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার ডাক্তারের মেডিসিন ডিগ্রি অর্জন করেন। তারপর ২০১৪ সালে আমেরিকান কলেজ অব চেস্ট ফিজিশিয়ান থেকে তার এফসিসিপি ডিগ্রি অর্জন করেন।
আরও পড়ুন: জালিয়াতির মাধ্যমে রপ্তানি: ৭ কনটেইনার পণ্য জব্দ
চট্টগ্রাম কাস্টমসে নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, গ্রেপ্তার ২৩
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে সিপাহী পদে লিখিত পরীক্ষার জালিয়াতির অভিযোগে ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছেন, ১০ থেকে ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভিন্নজনকে দিয়ে কৌশলে তারা লিখিত পরীক্ষায় জালিয়াতি করিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার ১৮ জন ও বুধবার সকালে পাঁচজনকে পাহাড়তলী থানার পুলিশ গ্রেপ্তার দেখায়।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৩, মামলা ৬
এর আগে তাদের আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
পাহাড়তলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রোজিনা খাতুন বুধবার দুপুরে বলেন, ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২৩ জনকে আসামি করে মামলা করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
গ্রেপ্তার ২৩ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কাস্টমস হাউস সূত্রে জানা গেছে, ৯৮ জন সিপাহী পদে তিন হাজার ৩৪৪ জন প্রার্থী অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে উত্তীর্ণ ৩৫০ জন প্রার্থী সোম, মঙ্গল ও বুধবার মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন।
লিখিত পরীক্ষায় জালিয়াতির বিষয়টি মৌখিক পরীক্ষার সময় ধরা পড়ায় ২৩ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান নিয়োগ পরীক্ষায় সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর জালিয়াতির মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষা দিতে আসা সাতজনকে আটক করা চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছিল।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, প্রথমিকভাবে আটককৃত ১৮ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেয়ার সময় তাদের হাতের লেখা গড়মিল পরিলক্ষিত হয়। একইসঙ্গে লিখিত পরীক্ষার খাতার লেখা কোন প্রশ্নের জবাবও দিতে পরেননি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, ১০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে কৌশলে লিখিত পরীক্ষায় অন্যকে দিয়ে পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার ২৩ মামলার আসামি, রাতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রমের সংশোধিত নির্দেশিকা জারি বাংলাদেশ ব্যাংকের
এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধান ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) সংশোধিত নির্দেশিকা জারি করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকে (বিবি)ব্যাংকগুলোকে লেনদেনের সময় টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (টিএফএ), ফটো আইডি ব্যবহার,পিন কোড, বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা অন্য কোনও গোপন কোড বা বার্তা ব্যবহার নিশ্চিত করতে বলেছে।
বিবির নির্দেশে বলা হয়েছে, এজেন্টরা নির্দেশিকা এবং চুক্তি অনুযায়ী কাজ করছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য ব্যাংকের কর্মী বা অনুমোদিত ব্যক্তিদের দ্বারা ত্রৈমাসিক/মাসিক শারীরিক পরিদর্শন করতে হবে।
আরও পড়ুন: ব্যাংক খোলা থাকবে ২৯ ও ৩০ এপ্রিল
এছাড়াও,শাখা ব্যবস্থাপক/শাখা মনোনীত কর্মকর্তারা শাখার সঙ্গে যুক্ত আউটলেটের এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন।
নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে,কোন এজেন্ট ব্যাংকের পূর্ব লিখিত সম্মতি ছাড়া তার এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটকে স্থানান্তর, প্রতিস্থাপন বা বন্ধ করতে পারবে না। আউটলেটের স্থানান্তর এবং আউটলেট মালিকানা স্থানান্তর বা প্রতিস্থাপনের জন্য ব্যাঙ্কগুলোকে বিআরপিডি থেকে পূর্বানুমতি নিতে হবে। তবে আউটলেট বন্ধ করার ক্ষেত্রে এই ধরনের কোন অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না।
তাছাড়া এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করার সময় আর্থিক অনিয়ম, জালিয়াতি, কেলেঙ্কারী ও দুর্ঘটনা ইত্যাদির তথ্য প্রদান করে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপের তথ্য প্রদান করে ব্যাংককে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে একটি ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে এবং রিপোর্টিং ত্রৈমাসিকে এমন কোনো ঘটনা না ঘটলে, একটি নিল প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: নতুন নোট বাজারে ছাড়া শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
জালিয়াতির অভিযোগে ‘ধামাকা শপিং’এর সিওও গ্রেপ্তার
জালিয়াতির অভিযোগে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ‘ধামাকা শপিং’-এর চিফ অপারেটিং অফিসারসহ আরও দুই ব্যক্তিকে।
র্যাব সদর দপ্তরের এএসপি (মিডিয়া) ইমরান খান বুধবার ইউএনবিকে বলেন র্যাবের সদস্যরা মঙ্গলবার রাতে রাজধানী থেকে ধামাকার সিওও সিরাজুল ইসলাম রানাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এর আগে, একজন গ্রাহকের অভিযোগে গাজীপুরের টঙ্গী পশ্চিম থানায় এই ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও আত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ চেয়ে হাইকোর্টে রিট
আরও পড়ুন: ই-কমার্স বন্ধ নয়, শৃঙ্খলা আনতে রেগুলেটরি অথরিটি হচ্ছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি: ঢাবির ২ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ডিজিটাল জালিয়াতি এবং অবৈধ উপায়ে ভর্তির দায়ে দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫ অক্টোবর খুলবে ঢাবির আবাসিক হল
বহিষ্কৃত ছাত্ররা হলেন-অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের মো. রাকিব হাসান (সেশন ২০১৭-১৮), এবং ভূতত্ত্ব বিভাগের ইশরাক হোসেন রাফি (সেশন ২০১৭-১৮)।
এছাড়া পরীক্ষায় অসুদপায় উপায় অবলম্বনের জন্য ৭২ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কৃষ্ণচূড়া গাছ কাটার প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষার্থীদের নতুন গাছ রোপণ