ক্যাথলিক চার্চ
ঢাকার উদ্দেশে রোম ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগদান শেষে ঢাকার উদ্দেশে রোম ছেড়েছেন। বাংলাদেশ সময় রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা ইতালির রোম ত্যাগ করেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এমন তথ্য জানিয়েছেন। শনিবার পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়। বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে অধ্যাপক ইউনূসও পোপের শেষকৃত্যে যোগ দেন।
এর আগে গত শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা কাতারের দোহা থেকে রোমে যান। শনিবার রোমে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষ হওয়ার পর ক্যাথলিক চার্চের শীর্ষস্থানীয় দুই নেতা কার্ডিনাল সিলভানো মারিয়া তোমাসি এবং কার্ডিনাল জ্যাকব কুভাকাড ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
দুই কার্ডিনাল পোপ ফ্রান্সিসের আজীবন দারিদ্র্য বিমোচন এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম, যুদ্ধ এবং পারমাণবিক অস্ত্রবিহীন পৃথিবীর স্বপ্নের কথা স্মরণ করেন।
তারা অধ্যাপক ইউনূসের কাজের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাকে পোপের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামে জীবন উৎসর্গ করার জন্য ধন্যবাদ জানান।
অধ্যাপক ইউনূস পোপ ফ্রান্সিসের সাথে তার দীর্ঘদিনের সম্পর্কের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘পোপ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে আপন করে নিতে পারতেন। তিনি একজন অসাধারণ মানুষ ছিলেন।’
ইউনূস উল্লেখ করেন, পোপ ফ্রান্সিসের দায়িত্ব পালনকালে বহুবার তার সাথে সাক্ষাৎ হয়েছে এবং কীভাবে ভ্যাটিকান ব্যাংকের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তার লেখা একটি সমালোচনামূলক চিঠি ভ্যাটিকানের সরকারি পত্রিকা এল ওসারভেটরি রোমানোর প্রথম পাতায় প্রকাশিত হয়েছিল, তা স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি লিখেছিলাম কিভাবে ভ্যাটিকান তার ব্যাংককে দরিদ্রবান্ধব করে তুলতে পারে। আমি ব্যাংকের কার্যকারিতা ও বিতর্ক নিয়ে সমালোচনা করেছিলাম। তবুও, পোপ সম্পূর্ণ চিঠিটি প্রকাশ করেছিলেন।’
অধ্যাপক ইউনূস আরও জানান, পোপ ফ্রান্সিস তাকে ভ্যাটিকান ব্যাংকের সংস্কার এবং চার্চের দরিদ্রবান্ধব উদ্যোগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিভিন্ন কমিটির সভাপতির দায়িত্ব দেন।
২২২ দিন আগে
ফ্রান্সের ক্যাথলিক চার্চের ৩ হাজার যাজক শিশু নির্যাতনকারী
ফ্রান্সের রোমান ক্যাথলিক চার্চগুলোর মধ্যে যৌন নিপীড়ন পরীক্ষা করে একটি স্বাধীন কমিশন বলেছে যে,গত ৭০ বছরে চার্চে কাজ করেছে এমন দুই-তৃতীয়াংশ (প্রায় তিন হাজার) যাজক শিশু নির্যাতনের সাথে জড়িত ছিলেন।
জার্নাল ডু ডিমানচে পত্রিকায় রবিবার প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে কমিশনের সভাপতি জিন-মার্ক সাওভা এই তথ্য দেন।
কমিশনটি ২১/২ বছর ধরে তদন্ত করছে।এর পূর্ণাঙ্গ ফলাফল মঙ্গলবার প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: লিবিয়ায় অভিবাসী বিরোধী অভিযানে আটক ৪০০০
সাক্ষাৎকারে সাওভা যৌন নির্যাতনের শিকারদের সংখ্যা সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি,কিন্তু বলেছেন যে প্রতিবেদনে একটি নতুন অনুমান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
শিশু নির্যাতনকারীদের তদন্তকারী কমিশনের কাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা -১৯৫০ থেকে ১১ হাজার ৫০০ যাজক এবং গির্জার লোকদের মধ্যে তিন হাজার জনকে মূল্যায়ন করেছি। এর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ ডায়োসেসান যাজক।’
আরও পড়ুন: ইকুয়েডরে কারাগারে দাঙ্গায় নিহত ১১৬
তিনি বলেন, ২২টি মামলা অভিযোগকারীদের কাছে পাঠানো হয়েছে, যেগুলো এখনও চলতে পারে। সাওভি বলেন, ৪০টিরও বেশি অভিযোগ যা বিচারের জন্য খুব পুরানো কিন্তু সন্দেহভাজনদের সাথে জড়িত যারা এখনও জীবিত রয়েছে তাদের বিষয়টি চার্চের কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
পত্রিকাটি তাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ১৯৫০ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত, চার্চটি ভুক্তভোগীদের প্রতি সম্পূর্ণ উদাসীন,তাদের অস্তিত্ব নেই,শিশুদের ওপর যে কষ্ট দেয়া হয় তা উপেক্ষা করা হয়েছে।
তিনি বলেন,আমাদের উদ্দেশ্য হল সমস্ত অপরাধীদের ধরন ও কারণগুলো চিহ্নিত করা এবং সমস্ত পরিণতি তুলে ধরা।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: বিশ্বে মৃত্যু ৪৮ লাখ ছাড়াল
১৫২৪ দিন আগে