বিদ্যুত
১০-১৫ দিনের মধ্যে বিদ্যুতের সমস্যা শেষ হবে: প্রধানমন্ত্রী
চলমান বিদ্যুত সংকট নিরসনে আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে আরও বিদ্যুৎ যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা লোডশেডিং করতে বাধ্য হয়েছি….মানুষের দুর্ভোগ আমি উপলব্ধি করতে পারি। আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করেছি। আগামী এক-দুই দিনের মধ্যে আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত যুক্ত হবে। এরপর ১০-১৫ দিনের মধ্যে আরও বিদ্যুত যোগ হবে। তাহলে আর কোনো কষ্ট থাকবে না।’
বুধবার ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে এবার জনগণ অস্বাভাবিক উচ্চ তাপমাত্রা সহ্য করছে। ‘আমরা ভাবতে পারি না যে তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রিতে উঠবে।’
তিনি বলেন, বৃষ্টির অভাবে দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। ‘আমরা বারবার মিটিংয়ে বসে উপায় খুঁজে বের করছি এবং এই দুর্ভোগ কমানোর চেষ্টা করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একা এই সমস্যার মুখোমুখি নয়, বৈশ্বিক সমস্যার কারণে এটা ঘটছে।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে বাইরের শক্তি ক্ষমতায় বসাতে পারবে না, বরং সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে: প্রধানমন্ত্রী
নানামুখী ষড়যন্ত্রের কারণে আগামী নির্বাচন একটা চ্যালেঞ্জ: আ.লীগ নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
বিএনপি শাসনামলের বিচারহীনতা থেকে আ. লীগ দেশকে মুক্ত করেছে: প্রধানমন্ত্রী
দেশজুড়ে তীব্র লোডশেডিংয়ে চরম দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ
প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও সারাদেশে চলছে তীব্র লোডশেডিং। দেশে প্রায় ১৬ হাজার মেগাওয়াটের চাহিদার বিপরীতে ১২-১৩ হাজার মেগাওয়াটের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। যার ফলে, তাপমাত্রার পারদ ৩৮-৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকা অসহ্য গরমের মধ্যেও রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার মানুষ তীব্র লোডশেডিংয়ে শিকার হচ্ছেন।
দিনের বেলায় লোডশেডিং ইতোমধ্যেই ২৬০০ মেগাওয়াট অতিক্রম করেছে এবং সন্ধ্যায় তা সর্বোচ্চ ৩৫০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুত সরবরাহের অবস্থা আরও খারাপ বলে অভিযোগ রয়েছে। গ্রামাঞ্চলে দিনে ৩-৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যায়, বাকি সময় বিদ্যুৎবিহীন থাকতে হয়।
মজার বিষয় হলো, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) অফিসিয়াল তথ্যানুযায়ী জানা যায়, মধ্যরাতে লোডশেডিংয়ের মাত্রা সর্বোচ্চ, যখন মানুষ গভীর ঘুমে থাকে।
আরও জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় দেশে ২৬১০ মেগাওয়াট লোশেডিং হয়েছে, যেখানে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৪ হাজার ৯০০ মেগাওয়াট এবং উৎপাদন ছিল ১২ হাজার ১৬৬ মেগাওয়াট।
সন্ধ্যায় সর্বোচ্চ বিদ্যুত উৎপাদনের পূর্বাভাসে ১৫ হাজার ৮০০ মেগাওয়াটের সম্ভাব্য চাহিদার বিপরীতে ১৪ হাজার ৯০০ মেগাওয়াট উৎপাদনের অনুমান করা হয়েছিল, যেখানে মাত্র ৯০০ মেগাওয়াট লোডশেডিংয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত আমলের মতো দিনে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন হলে এখন কি হতো: নসরুল
রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন’। সন্ধ্যার পিক আওয়ারে লোডশেডিংয়ের মাত্রা ২৭০০ মেগাওয়াট থেকে ৩৫০০ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে।
তিনি বলেছেন, সরকারি প্রতিবেদনে সবসময় প্রকৃত চিত্র ফুটে ওঠেনা।
তবে, সারাদেশে বিদ্যুত সঞ্চালনের দায়িত্বে থাকা পিজিসিবি-র অফিসিয়াল তথ্যে দেখা যায় যে সোমবার বিকাল ৪টায় লোডশেডিং ছিল ২৮১৫ মেগাওয়াট; সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় ২৭৩৫ মেগাওয়াট এবং মঙ্গলবার সকাল ১টায় ৩২৬৬ মেগাওয়াট।
এছাড়া, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টায় (মধ্যরাত) ৩২১৫ মেগাওয়াট এবং দিবাগত রাত ২টায় (মধ্যরাত) ৩১৪৩ মেগাওয়াট লোডশেডিং ছিল।
এর মানে মধ্যরাতে সর্বোচ্চ লোডশেডিংয়ের পরিমাণ দেশে একটি নতুন ঘটনা, কারণ মধ্যরাতে দেশের চাহিদা কমে গেলেও বিদ্যুতের উৎপাদনও ১১ হাজার মেগাওয়াটের পর্যায়ে নেমে আসে।
আগের বছরগুলোতে সাধারণত মধ্যরাতে কোনো লোডশেডিং দেখা যায়নি। এ বছর নিয়মিত মধ্যরাতে লোডশেডিং হচ্ছে।
তবে বিপিডিবির কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সংকট নিরসনের চেষ্টা চলছে: নসরুল হামিদ
তাপপ্রবাহের মধ্যে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগ
বিএনপি-জামায়াত আমলের মতো দিনে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন হলে এখন কি হতো: নসরুল
বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ দেশে চলমান তাপ্রবাহের মধ্যে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণ সম্পর্কে তার নিজের একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী তার ফেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ এখন প্রচণ্ড গরমে ভুগছে। এয়ার কন্ডিশনার ও ফ্যানের ব্যবহার বাড়ছে এবং মানুষ আরামের জন্য এই ডিভাইসগুলো ব্যবহার করছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, ৩ জুন বাংলাদেশ ১৩ হাজার ৬৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন করেছে, তবুও লোডশেডিং ছিল।
আরও পড়ুন: ২ সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হবে: নসরুল হামিদ
তিনি লেখেন, গত বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলের মতো যদি ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন করা হতো, তাহলে আজকে দেশে কী হতো?
নসরুল হামিদ তার পোস্টে লিখেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সব গ্রামে-শহরে বিদ্যুত দিয়েছে। এটি জনগণের সরকার, তাই সরকার সকলের সহযোগিতায় এই সংকট মোকাবিলা করতে চায়।’
তিনি নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাইকে বিদ্যুত সাশ্রয়ের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সংকট নিরসনের চেষ্টা চলছে: নসরুল হামিদ
জ্বালানি তেলে সরাসরি ভর্তুকি দেওয়া হয়নি: নসরুল হামিদ
সরকার আন্তর্জাতিক বাজার অনুযায়ী বিদ্যুত ও গ্যাসের দাম নির্ধারণ করবে: নসরুল
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সরকার এখন আন্তর্জাতিক বাজারের দামের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম নির্ধারণের দিকে এগোচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাজারভিত্তিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্যাসের দাম নির্ধারণের প্রস্তুতি নিচ্ছি। একইভাবে, বিদ্যুতের শুল্কও বাজার অনুযায়ী নির্ধারণ করা হবে।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে সৌরবিদ্যুৎ সংক্রান্ত কর্মশালার সমাপনী অধিবেশনে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির গৃহস্থালি গ্রাহকদের গ্যাসের দাম আবারও ৪৭ শতাংশ বাড়ানোর বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রস্তাবনা অনুযায়ী, একজন সিঙ্গেল বার্নার ব্যবহারকারীকে বর্তমান মাসিক বিল ৯৯০ টাকার পরিবর্তে ১ হাজার ৩৭৯ টাকা এবং ডাবল বার্নার ব্যবহারকারীকে মাসে ১ হাজার ৮০ টাকার পরিবর্তে ১ হাজার ৫৯১ টাকা দিতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নতুন বাজারভিত্তিক মূল্য ব্যবস্থা শিগগিরই চালু করা হবে, যার অধীনে কখনও কখনও দাম তাদের আন্তর্জাতিক বাজারের দামের ভিত্তিতে বাড়বে এবং আবার কখনও কমবে। এখন গ্যাসের জন্য যে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে তা থেকে বেরিয়ে আসতে চায় সরকার।
সৌরবিদ্যুৎ খাত সম্পর্কে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক একটি সমীক্ষা চালিয়েছে; যেখানে তারা বেশ কয়েকটি এলাকা চিহ্নিত করেছে যেখান থেকে প্রায় পাঁচ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ২ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হবে: নসরুল
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বব্যাংককে বলেছি যে সরকারি ও বেসরকারি খাত একসঙ্গে কাজ করতে পারে। তারা সেখানে প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে।’
তিনি আরও বলেছেন, বায়ু অফশোর শক্তিকে কেন্দ্র করে একটি বিকল্প তৈরি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার একটি সমীক্ষাও চালাচ্ছে যে এই ধরনের অফশোর ও অনশোর বায়ু শক্তির সম্ভাবনা থেকে কত দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়।
তিনি আরও বলেছেন, আমাদের দেশের জন্য একটি বড় সুবিধা যে আমাদের উপকূলে অগভীর সমুদ্রের একটি বিশাল এলাকা রয়েছে, যেখানে পানির গভীরতা ৫০-৬০ মিটার।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু পরিবেশগত দিক এবং মৎস্যসম্পদও রয়েছে বলে অনেক বিষয়েই নজর দিতে হবে। বাতাস থেকে সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর আগে আমাদের অনেক বিষয় বিবেচনা করতে হবে।’
নসরুল হামিদ বলেন, সরকার এখন সাশ্রয়ী মূল্যে নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ দিতে কাজ করছে।
‘ইউটিলিটি স্কেল সোলার’- শিরোনামের কর্মশালায় বিশ্বব্যাংকের একজন দলনেতা বলেন, ভূমি পাওয়াই একটি মূল চ্যালেঞ্জ।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক জামালপুরে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে আগ্রহী।
বিশ্বব্যাংক দলের নেতা বলেছেন, ‘আমরা প্রকল্পের জন্য আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন তহবিল সংগ্রহ করতে পারি।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান এবং টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) চেয়ারম্যান মুনিরা সুলতানা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ২০৪১ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে ১৭০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন: নসরুল
প্রতিদিন প্রায় ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে: নসরুল
শুধু ঢাকাতেই দিনের বেলায় ৬০০ মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং
রাতের তুলনায় বিদ্যুতের চাহিদা তুলনামূলকভাবে কম থাকা সত্বেও দিনের বেলায় শুধুমাত্র ঢাকাতেই ৬০০ মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হয়েছে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, বিগত কয়েকদিনের তথ্যানুযায়ী দেশে প্রায় ২ হাজার মেগাওয়াটেরও বেশি বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।
ফলে সারাদেশের গ্রাহকরা দিনের বিভিন্ন সময়ে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের শিকার হচ্ছেন।
বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) একজন শীর্ষ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘সন্ধ্যার পর চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতির অবনতি হবে।’
তিনি বিদ্যুৎ সরবরাহের এই ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য গ্যাস সংকটকে দায়ী করেন।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আসলে আমরা কম গ্যাসের সরবরাহ পাচ্ছি, তাই আমরা সারাদেশে অন্তত ২৫টি জেনারেশন ইউনিট বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছি।’
তবে তিনি বলেন, বিপিডিবি যদি গ্যাসের স্বাভাবিক সরবরাহ পায় তাহলে তাদের গ্যাসচালিত প্ল্যান্ট থেকে ৬ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু এখন আমরা ৪ হাজার ৬৬৭ মেগাওয়াট উৎপাদন করছি এবং গ্যাসের ঘাটতির জন্য প্রায় ১ হাজার ৮৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না।’
অন্যদিকে, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কাউসার আমীর আলী জানান, সংস্থাটির আওতাধীন এলাকায় দিনে ৩০৮ মেগাওয়াট লোডশেডিং হচ্ছে।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘ডেসকো ১ হাজার ১১১ মেগাওয়াটের চাহিদার বিপরীতে প্রায় ৮০০ মেগাওয়াট পাচ্ছে।’
ঢাকা শহরের উত্তর, উত্তর-পশ্চিম এবং পূর্ব অংশে বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্ব ডেসকোকে দেওয়া হয়েছে এবং ঢাকা শহরের দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি)।
ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, ডিপিডিসির আওতাধীন এলাকায় প্রায় ৩৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি রয়েছে, যা সন্ধ্যার পর বাড়তে পারে।
তিনি বলেন, ডিপিডিসি ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের বেশি চাহিদার বিপরীতে ১ হাজার ২৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন করছে, তাই ৩৪০ মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং করতে হচ্ছে।
তবে ভোক্তাদের অভিযোগ, তারা আরও অনেক বেশি লোডশেডিংয়ের শিকার হচ্ছে।
কিছু এলাকায় মানুষ প্রতিঘন্টায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের অভিযোগ করেছে।
রাজধানীর নিকেতন এলাকার বাসিন্দা আবদুস সেলিম বলেন, ‘ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যায় এবং আমরা প্রতিঘন্টায় লোডশেডিং হতে দেখছি।’
একই অভিজ্ঞতা জানালেন মগবাজার এলাকার নাজিম উদ্দিন।
রবিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, দেশে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হতে দুই দিন সময় লাগবে।
তিনি মন্ত্রণালয়ে তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিদ্যুত ও গ্যাস সরবরাহে বর্তমান বিঘ্নের উন্নতি হবে, কারণ দুটি এলএনজি টার্মিনালের মধ্যে একটি দু'দিনের মধ্যে সরবরাহ পুনরায় শুরু করবে।’
তিনি বলেন, দু’টি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের পর একটি টার্মিনাল নিরাপদ স্থানে এবং অন্যটি নিজস্ব অবস্থানে অবস্থান করছে।
এই স্থগিতাদেশের ফলে গ্যাস সরবরাহে ব্যাপক ঘাটতি দেখা দেয়, যা সারাদেশে বর্তমান লোডশেডিং-এর সূচনা করে।
তিনি বলেন, তবে আমি আশা করি যে দুইদিনের মধ্যে একটি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে, যা ৪০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহের মাধ্যমে পরিস্থিতির উন্নতি করবে। অন্য এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ পুনরায় শুরু করতে ১০ থেকে ১২ দিন সময় লাগবে।
চট্টগ্রামে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে রিকশাচালক দগ্ধ
চট্টগ্রাম মহানগরীতে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে একজন রিকশাচালক দগ্ধ হয়েছেন। রবিবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বায়েজিদ বোস্তামী থানার অক্সিজেন মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ মো. জাহেদের (৩৮) বাড়ি লালমনিরহাটে। তিনি চট্টগ্রাম নগরীতে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ
জানা যায়, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
ফায়ার সার্ভিসের বায়েজিদ বোস্তামী থানার সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. কামরুজ্জামান বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর নিয়ে জেনেছি তিনি মোড়ে রিকশার ওপর বসে ছিলেন। হঠাৎ বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে তিনি দগ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানায়।
আরও পড়ুন: ঢাকায় গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে দুই নারীসহ ৯ জন দগ্ধ
ঢাকার কাপ্তান বাজারে আগুন নিয়ন্ত্রণে, দগ্ধ ৩
জ্বালানির দাম স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যুত ও গ্যাসের দাম কমানো যাবে না: তৌফিক ইলাহী
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রোলিয়াম ও গ্যাসের দাম কমলেও স্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি না হওয়া পর্যন্ত সরকার বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম কমানোর পথে যাবে না।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে ডিপিডিসি সম্মেলন কক্ষে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশের (এফইআরবি) আয়োজিত ‘এম্পাওয়ারিং বাংলাদেশ’- শীর্ষক একটি প্রকাশনা উন্মোচনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘জ্বালানির দামের এই পতনের প্রবণতা কতদিন অব্যাহত থাকবে তা স্পষ্ট নয়। তবে যদি কোনো স্থিতিশীল পরিস্থিতি আসে, তাহলেই সরকার দাম কমিয়ে সমন্বয় করার কথা ভাববে।’
তবে তিনি বলেন, রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়ছে বলে সরকার ডলার সংকট কাটিয়ে উঠছে।
আরও পড়ুন: জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে দিনাজপুরে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন: নসরুল হামিদ
এফইআরবি’র সভাপতি শামীম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পাওয়ার সেলের পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান এবং ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাওসার আমীর আলী এবং সঞ্চালনা করেন এফইআরবির নির্বাহী পরিচালক রিশান নাসরুল্লাহ।
এক প্রশ্নের জবাবে তৌফিক ইলাহী বলেন, শিল্প খাতে ভবিষ্যৎ চাহিদা পূরণের অগ্রিম চিন্তা থেকে সরকার বিপুল সংখ্যক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সারা দেশে প্রায় ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কথা মাথায় রেখে আমরা বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করেছি। ’
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা আরও বলেছেন যে ভূগর্ভস্থ পানির উৎস এবং মাটি রক্ষা করার জন্য সরকার উন্মুক্ত কয়লা খনির অনুমতি দেবে না।
আরও পড়ুন: জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বাংলাদেশ-ভারত জ্বালানি পাইপলাইন: প্রধানমন্ত্রী
প্রতিদিন প্রায় ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে: নসরুল
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, প্রতিদিন প্রায় ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন উপায়ে পরিস্থিতি ব্যবস্থাপনা করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।’
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ ও বিদ্যুতের দামের মাসিক সমন্বয় নিয়ে সরকার ভাবছে: নসরুল হামিদ
মঙ্গলবার রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে ‘বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের জন্য জমির বহুমুখী ব্যবহার’-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন নিয়ে একটি প্রচার কর্মশালার সাইডলাইনে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
বিদ্যুতের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামী রমজানে এ বছর দেশে ৩ হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হতে পারে বলে বিদ্যুৎ খাতের অভ্যন্তরীণ সূত্রের পূর্বাভাস।
দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার মেগাওয়াটের বেশি হলেও প্রাথমিক জ্বালানির ঘাটতির কারণে প্রায় ১২ হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হয়।
সাম্প্রতিক ডলার সংকটের কারণে সরকার ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্পর্কে নসরুল বলেন, সরকার এক বছরের মধ্যে প্রায় ১০০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করার চেষ্টা করবে।
তিনি আরও বলেন, প্রায় ১৩ হাজার ডিজেলচালিত সেচ পাম্পকে ধীরে ধীরে সৌরচালিত পাম্পে রূপান্তর করার লক্ষ্য রয়েছে সরকারের।
তিনি তার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের জন্য প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করতে বলেছেন।
আরও পড়ুন: জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে দিনাজপুরে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন: নসরুল হামিদ
মার্চে আদানির বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই: নসরুল
আদানি প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলক বিদ্যুত সঞ্চালন শুরু
ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যে আদানির এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট কয়লা-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পরীক্ষামূলক সরবরাহ শুরু হয়েছে। যদিও বিদ্যুতের শুল্কের সমস্যাগুলো এখনও সমাধান করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ৩৮মিনিটে এটি শুরু হয়।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ফেসবুক স্ট্যাটাস অনুযায়ী, পরীক্ষার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে একই সময়ে চালু করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: আদানি গ্রুপের সঙ্গে 'রাষ্ট্রবিরোধী' বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিলের দাবি ডা. জাফরুল্লাহর
পিজিসিবি বলেছে, ‘আদানি প্ল্যান্ট থেকে কমবেশি ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নবনির্মিত ট্রান্সমিশন লাইন এবং সাবস্টেশনের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডের জন্য রাত ৯টায় বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।’
সংস্থাটি বলেছে যে তারা সীমান্তবর্তী মানকাশা এলাকা থেকে রোহনপুর হয়ে বগুড়া পর্যন্ত ১৩৪ কিলোমিটার ৪০০ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন তৈরি করেছে। ‘এছাড়াও, বিদ্যুৎ সরানোর সুবিধার্থে বগুড়ায় একটি ৪০০/২৩০কেভি সাবস্টেশন স্থাপন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: আদানির সঙ্গে বিদ্যুতের চুক্তি বাতিলের দাবি বিএনপির
রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ডলার সংকটের প্রভাব
১৩২০ মেগাওয়াট রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি তার আংশিক উৎপাদন পুনরায় শুরু করেছে। তবে কর্মকর্তারা এখনও ডলার সংকটের কারণে এটির নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রম নিয়ে উদ্বিগ্ন। কারণ প্ল্যান্টের প্রধান জ্বালানি ‘কয়লা’ আমদানি আবার ব্যাহত হতে পারে।
কয়লা ঘাটতির কারণে এক মাস বন্ধ থাকার পর বুধবার থেকে কয়লাভিত্তিক প্ল্যান্টের ইউনিট-১ পুনরায় উৎপাদন শুরু করেছে।
গত মাসে বন্ধ হওয়ার আগে আগস্টে শুরু হওয়া প্ল্যান্টটি এখনও পরীক্ষামূলকভাবে চলছে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নে নিয়োজিত বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) কর্মকর্তারা এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বৃহস্পতিবার একটি ব্রিফিংয়ে রামপাল প্লান্টের বিআইএফপিসিএলের প্রকল্প পরিচালক সুভাষ চন্দ্র পান্ডে বলেন, প্লান্টটি চালু রাখতে হলে কয়লা আমদানির বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: কয়লার অভাবে ৮ দিন ধরে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ
তিনি প্ল্যান্ট পরিদর্শনকারী একদল জ্বালানি বিষয়ক সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্ল্যান্টে ব্যবহৃত কয়লা উচ্চমানের এবং উপমহাদেশে পাওয়া যায় না।’
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, কয়লা সরবরাহের ঘাটতির কারণে ১৪ জানুয়ারি ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ইউনিট-১ বন্ধ করতে বাধ্য হয়।
ডলার সংকটের কারণে কয়লা আমদানির কোনো লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খুলতে পারছে না বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।
সরকারের নীতিগত পর্যায়ে অনেক বোঝানোর পর কয়লা আমদানির জন্য এলসি খোলার অনুমতি দেয়া হয় এবং সরবরাহকারী ৩০ হাজার মেট্রিক টনের একটি চালান পাঠায়।
বিআইএফপিসিএল কর্মকর্তারা জানান, প্ল্যান্টের জন্য কয়লা আমদানির পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই।
বিআইএফপিসিএল ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এনটিপিসি এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) যৌথভাবে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালিক ও পরিচালক।
ওই কর্মকর্তা জানান, ৫০ হাজার মেট্রিক টন কয়লার আরেকটি চালানও শিগগিরই দেশে আসছে।
আরও পড়ুন: রামপালে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের দৃঢ় বহিঃপ্রকাশ: প্রণয় ভার্মা
কয়লার বর্তমান মজুদ থাকায় প্ল্যান্টটি চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত চলতে পারে উল্লেখ করে প্রকল্প পরিচালক আরও বলেন, ইউনিট-১ পূর্ণ ক্ষমতার সঙ্গে চালু রাখতে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন কয়লা প্রয়োজন।
প্রকল্প কর্মকর্তা বলেন, ‘ইউনিট-২ চলতি বছরের জুন মাসে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং সেই সময়ে প্রতিদিন প্রায় ৯ হাজার মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন হবে।’
তিনি বলেন, ইউনিট-১ এখন পরীক্ষাধীন রয়েছে। কারণ বিআইএফপিসিএলের সঙ্গে বিপিডিবি’র বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) রয়েছে, তারা এখনও প্ল্যান্টের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করার অনুমতি দেয়নি।
আরও পড়ুন: রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা সরবরাহ চুক্তি জিতল বসুন্ধরা গ্রুপ