বিদ্যুৎ বিভাগ
বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করেছে আইএমএফ দল
ঢাকা, ১২ অক্টোবর (ইউএনবি)- আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি সফরকারী দল বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, আইএমএফের দলটি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে এসে বিদ্যুৎ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছে।
বৈঠকে বিদ্যুৎ বিভাগের নেতৃত্ব দেন সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান।
আইএমএফের বাংলাদেশের মিশন প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে দলটি বাংলাদেশকে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণের শর্তাবলী নিয়ে আলোচনা করতে ৪ অক্টোবর ঢাকায় আসে।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও তাদের সহযোগী সংস্থার সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকের পর এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মোট ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণের দ্বিতীয় ধাপ মুক্তির বিষয়ে আলোচনার পর দলটির ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশ ত্যাগ করার কথা রয়েছে। এর মধ্যে ঋণের প্রথম কিস্তির টাকা ইতোমধ্যেই বাংলাদেশকে দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের নভেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, আইএমএফ টিম বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছে মূলত এখন বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি প্রদানের বিষয়টি নিয়ে।
২০২২ সালে বিদ্যুৎ খাত ২৭ হাজার ৪৭৭ কোটি টাকার বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। যা ২০১৮ সালে ছিল ৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) একজন কর্মকর্তা বলেন, বিপিডিবি প্রতি ইউনিটে প্রায় ৫ টাকা লোকসান গুনছে।
সরকারের ভর্তুকি দিয়ে উৎপাদন খরচ ও বিক্রয় হারের ব্যবধান মেটানো হচ্ছে।
কিন্তু বাংলাদেশকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আইএমএফ বেশ কয়েকটি শর্ত দিয়েছিল। এর মধ্যে একটি ছিল ভর্তুকি হ্রাস করার জন্য বিদ্যুতের দাম বাড়ানো।
শর্ত অনুযায়ী, সরকার বাল্ক বিদ্যুতের শুল্ক প্রায় ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়িয়ে ৫ টাকা ১৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ২০ পয়সা প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা (প্রতি ইউনিট) করে।
কিন্তু বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পরও বিপিডিবি ব্যাপক লোকসান গুনছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, আইএমএফ শুল্ক আরও বাড়ানোর জন্য জোর দিচ্ছে, তারা বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি কমাতে ঋণদাতা সংস্থার সঙ্গে বিভিন্ন আলোচনা করেছে।
সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ বিভাগ অবশ্য সরকারের পক্ষ থেকে এক বার্তায় জানিয়েছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের আগে তাদের বিদ্যুতের দাম আর বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই।
বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব হাবিবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন ডিভিশনের (আইএমইডি) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বিপিডিবির মোট ক্ষতি হতে পারে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৩২ কোটি টাকা- অর্থাৎ গড়ে বার্ষিক ক্ষতি হবে ৫৬ হাজার ৭৬৬ কোটি টাকা।
হবিগঞ্জ বিদ্যুৎ বিভাগকে ৭ দিনের মধ্যে তথ্য দেয়ার নির্দেশ কমিশনের
সাতদিনের মধ্যে তথ্য প্রদানের জন্য হবিগঞ্জ বিদ্যুৎ বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান তথ্য কমিশনার। সাংবাদিক শোয়েব চৌধুরীর আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানী শেষে রবিবার এ নির্দেশ দেয়া হয়।
চারটি তথ্য জানতে চেয়ে শোয়েব চৌধুরী গত ১৬ আগস্ট হবিগঞ্জ বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারি প্রকৌশলী ও তথ্য প্রদানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাকিবুল হাসানের বরাবরে তথ্য অধিকার বিধিমালা অনুযায়ী আবেদন করেন।
জানা গেছে, ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৪ আগস্ট নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ মামুন সরদার চারটির মধ্যে তিনটি তথ্য প্রদান করেন। একটি তথ্য না দেয়ার পেছনে তিনি ব্যক্তির ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ক্ষুন্ন হওয়ার যুক্তি দেখিয়ে তথ্য অধিকার আইনের ধারা উল্লেখ করে তথ্য প্রদানে অস্বীকৃতি জানান।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে পানির স্বল্পতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সর্বনিন্মে
আংশিক তথ্য দেয়ায় শোয়েব চৌধুরী গত ১১ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজারে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এসএম ইকবালের কাছে আপিল করেন।
আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন যে, তার চাওয়া তথ্য জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট। এর সঙ্গে সরকারি অর্থ ফাঁকি দেয়ার প্রচেষ্টা যুক্ত রয়েছে। জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য ‘ব্যক্তির ব্যক্তিগত জীবনের গোপনীয়তা ক্ষুন্ন করে’ বলে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। এটা আদালতে বিচারাধীন বিষয় হলেও এ তথ্য প্রকাশে আদালতের নিষেধাঞ্জা নেই। এবং এটি প্রকাশে কোনভাবেই আদালত অবমাননার কারণ হবে না। এছাড়া সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোন তদন্ত চলমান নেই, এবং থাকলেও এই তথ্য তদন্ত কাজে বিঘ্নতা ঘটাবে না, বরং তদন্তকে বেগমান করবে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীও এ সংক্রান্ত কোন তথ্য দেননি।
এ বিষয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার আগারগাওস্থ তথ্য কমিশনে প্রধান তথ্য কমিশনার বরাবর অভিযোগ করেন। গত ২৩ নভেম্বর উভয় পক্ষকে সমন দেয় তথ্য কমিশন। সমনে নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী রবিবার জুম অ্যাপসের মাধ্যমে ভার্চুয়্যাল শুনানী অনুষ্টিত হয়।
শুনানিতে বাদি শোয়েব চৌধুরী ও বিবাদি সহকারি প্রকৌশলী রাকিবুল হাসানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল হান্নান চৌধুরী তাদের যুক্তি তুলে ধরেন।
শুনানি শেষে প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ সাতদিনের মধ্যে সাংবাদিক শোয়েব চৌধুরীর চাহিত তথ্য প্রদান করার জন্য নির্দেশ দেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: প্রতি ইউনিট খুচরা বিদ্যুৎ ৯.০৩ টাকা করার প্রস্তাব বিপিডিবি’র
আগামী মাস থেকে বিদ্যুৎ সংকটে খুব একটা ভুগতে হবে না: প্রধানমন্ত্রী
‘সরকারি মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কাছে বিদ্যুৎ বিভাগের পাওনা ১৮৯৩ কোটি টাকা’
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর থেকে বিদ্যুৎ বিল বাবদ বকেয়া ১৮৯৩ কোটি টাকা পাবে বিদ্যুৎ বিভাগ।
তিনি আরও বলেন, দৈনিক গড়ে ২৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদনের কথা বিবেচনা করলে বাকি গ্যাস প্রায় ১১ বছর (১০ বছর ৮ মাস) ব্যবহার করা সম্ভব হবে।
হামিদ জানান, বিদ্যুৎ বিভাগ স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে সর্বোচ্চ ৯০৫ দশমিক ২১ কোটি টাকা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে ৩৯৫ দশমিক ৬৮ কোটি টাকা পাবে।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. মোজাফফর হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, তদারকি জোরদার ও মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিগত কয়েক বছরে বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ কমানো সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে (এপিএ) বকেয়া কমানোর জন্য বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ, বিভিন্ন সরকারি সংস্থার কাছ থেকে বকেয়া আদায়ের জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করা, বিল খেলাপিদের তালিকা তৈরি ও তা আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অপরিশোধিত বিদ্যুৎ বিল সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা।
আরও পড়ুন: ৮০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন: নসরুল হামিদ
তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া কমাতে সকল গ্রাহককে প্রিপেইড/স্মার্ট মিটারের আওতায় আনা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সর্বশেষ (১ জুলাই, ২০২২) হিসাব অনুযায়ী দেশে প্রমাণিত ও সম্ভাব্য পুনরুদ্ধারযোগ্য গ্যাস মজুদের পরিমাণ ২৮ দশমিক ৫৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।
গ্যাস উৎপাদনের শুরু থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত দেশে গ্যাসের ক্রমবর্ধমান পরিমাণ ১৯ দশমিক ৫৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।
বর্তমানে অবশিষ্ট পুনরুদ্ধারযোগ্য মজুদ ৯ দশমিক ০৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। গ্যাসক্ষেত্র থেকে বর্তমান গড় দৈনিক ২৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের উৎপাদন বিবেচনা করলে অবশিষ্ট গ্যাস ১০ বছর ৮ মাস (প্রায় ১১ বছর) ব্যবহার করা সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, দৈনিক হারে গ্যাস উৎপাদন হ্রাস পেলে এবং নতুন গ্যাসক্ষেত্র উদ্ভাবনের পর গ্যাস উৎপাদন বাড়ানো হলে উল্লিখিত সময় বাড়ানো বা কমানো যেতে পারে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু বাংলাদেশে এলপিজি আমদানি করতে হয়, সেহেতু আন্তর্জাতিক বাজারে দাম না কমলে সরকারি ভর্তুকি ছাড়া অভ্যন্তরীণ বাজারে এলপিজির দাম কমানোর কোনো সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: নভেম্বর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতির আশা নসরুল হামিদের
নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০০৯-১০ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত বিদ্যুৎ খাতে ২৮ দশমিক ৩বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে।
এর মধ্যে বিদ্যুতের জন্য বেসরকারি খাতে ৯ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে হামিদ বলেন, ডিজেল বিক্রি করে বিপিসি প্রতি লিটারে ২১ টাকা লোকসান করছে।
দেশব্যাপী চলমান লোডশেডিং নিয়ে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে হামিদ বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকটের কারণে বাংলাদেশ বিদ্যুতের সাশ্রয়ী ব্যবহার এবং পরিকল্পিত লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে জ্বালানি সংকট কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী নতুন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে গ্রিডে যুক্ত করা হবে এবং বিদ্যুতের সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করে দ্রুত সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতে ব্যাপক লুটপাট, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কথা বলে সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ।
হারুন প্রস্তাব করেন, স্পিকার এ বিষয়ে সংসদে আলোচনার ব্যবস্থা করবেন।
জবাবে হামিদ বিগত বিএনপি-জামায়াত সরকারের বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে হারুনের সমালোচনা করেন।
আরও পড়ুন: শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহের সমস্যা সমাধান করা হবে: নসরুল হামিদ
জাতীয় গ্রিড ব্যর্থতা: বিদ্যুৎ বিভাগের ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ের কারণ চিহ্নিত করতে এবং এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে সুপারিশ পেশ করতে একটি পৃথক কমিটি গঠন করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এর আগে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ তার নির্বাহী পরিচালকের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) নতুন ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দেবেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ বিপর্যয়: রাজধানীর পেট্রোল পাম্পগুলোতে বিশৃঙ্খলা
বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ আবদুল মাঈদ, বাংলাদেশের ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) প্রতিনিধি, সাবেক নির্বাহী পরিচালক ড. কমিটির সদস্য পিজিসিবি মো. আমীর খসরু এবং সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন।
কমিটি গ্রিড বিপর্যয়ের কারণ চিহ্নিত ও বিশ্লেষণ করবে এবং এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিটি তদন্ত কাজের জন্য প্রয়োজনীয় যে কোনও ব্যক্তিকে কো-অপ্ট করতে পারে এবং ১৫ দিনের মধ্যে এর রিপোর্ট জমা দেবে।
আরও পড়ুন: গ্রিড ব্যর্থতার পেছনে বিদ্যুৎ খাতে চুরি: ফখরুল
ঢাকা মহানগরীতে আংশিক বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক
বরিশালে দুর্নীতির মামলায় বিদ্যুৎ বিভাগের ২ প্রকৌশলীর কারাদণ্ড
দুর্নীতির মামলায় পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) খুলনা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীসহ দুই প্রকৌশলীর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ৩৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে বরিশালের একটি আদালত।
মঙ্গলবার বরিশালের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মেহেদি আল মাসুদ আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
একই মামলায় আরও একজনকে খালাস দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে মাদক ও অস্ত্র মামলায় ২ জনের কারাদণ্ড
দণ্ডিতরা হলেন- তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া গ্রামের সত্য নারায়ন ভূঁয়ার ছেলে লক্ষ্মী নারায়ন ভূঁয়া এবং পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া গ্রিড উপ কেন্দ্রের অবসরপ্রাপ্ত উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ও বরিশাল নগরীর কাজীপাড়া এলাকার হাসমত আলী গাজীর ছেলে মো. হানিফ হোসেন গাজী।
খালাসপ্রাপ্ত মো. আনোয়ার হোসেন পিজিবি খুলনার সিকিউরিটি পরিদর্শক বর্তমানে ঢাকা রামপুরা আফতাব নগরের ন্যাশনাল লোড ডেসপ্যাচ সেন্টারের কর্মরত আছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) একেএম নুরুউদ্দীন আহমেদ জানান, মামলায় রায়ে দুজনকে কারাদণ্ড ও একজনকে খালাস দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণা সময় আদালতে তিন আসামি উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডিত দুজনকে জেলে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া খালাসপ্রাপ্তকে মুক্তি দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বাড়িওয়ালাকে হত্যার দায়ে দম্পতির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলার অভিযোগ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী লক্ষ্মী নারায়ন ভূঁয়া বরিশাল গ্রিড সংরক্ষণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী থাকাকালীন সময়ে ভান্ডারিয়া গ্রিড উপ কেন্দ্র থেকে কচা নদীর পূর্ব পাড় পর্যন্ত পরিত্যক্ত সঞ্চালন লাইনের এক কোটি ৩৬ লাখ ৬৭ হাজার ৫৪৭ টাকার মালামাল আত্মসাৎ করে। এই ঘটনায় দুদকের বরিশাল জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মতিউর রহমান বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট তিনজনকে আসামি করে ভান্ডারিয়া থানায় মামলা করেন। ওই কর্মকর্তা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে ২০১৮ সালের ২১ জানুয়ারি তিন জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন।
রিলায়েন্সের বিদ্যুৎ প্রকল্পে নেই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি
ঢাকার উপকণ্ঠে ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানির মালিকানাধীন রিলায়েন্স গ্রুপের ৭১৮ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পটি গত এক বছরে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি করতে পারেনি।
বিদ্যুৎ বিলে কোনো অসামঞ্জস্য থাকলে পরের মাসে সমন্বয় করা হবে: বিদ্যুৎ বিভাগ
গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিলে কোনো ধরনের অসামঞ্জস্য থাকলে তা পরের মাসে সমন্বয় করা হবে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
সিলেট শহরকে ‘স্মার্ট’ করতে ভূগর্ভস্থ বিদ্যুতের লাইন চালু
তারের জঞ্জাল কমিয়ে সিলেট শহরকে স্মার্ট ডিজিটাল শহর হিসেবে গড়ে তুলতে ভূগর্ভস্থ বিদ্যুতের লাইন চালু করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)।