পেকুয়া
আ’লীগ-বিএনপি পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি: পেকুয়ায় ১৪৪ ধারা জারি
কক্সবাজারের পেকুয়ায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি কারণে শান্তি ভঙ্গের আশঙ্কায় রবিবার ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূর্বিতা চাকমা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্তিপূর্ণ বজায় রাখতে উপজেলায় মাইকিং করা হয়।
উপজেলার সিকদার পাড়া স্টেডিয়াম থেকে চৌমুহনী হয়ে পেকুয়া আলহাজ্বব কবির চৌধুরী বাজার পর্যন্ত সকল ধরনের সভা সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রসাশন।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপির অফিস ভাঙচুর, নেতাদের বাড়িতে হামলা
বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, রবিবার পেকুয়া উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে একটি বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। অপরদিকে, একইদিন পেকুয়া চৌমুহনী চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে একটি শোক সমাবেশের ডাক দেয়া হয়। এই প্রেক্ষিতে ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ৯ টার দিকে মহড়া দিতে পেকুয়া চৌমুহনী এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও স্টেডিয়াম এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা অবস্থান নিলে পুলিশ সবাইকে সরিয়ে দেয়।
পরে রাত ১২টার দিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রবিবার ১৪৪ ধারা জারি করে মাইকিং করা হয় বলে জানান তারা।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে বিএনপির প্রতিবাদ সভার মঞ্চ ভাঙচুরের অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূর্বিতা চাকমা বলেন, 'রবিবার দুই দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির প্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে রবিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সকল ধরনের রাজনৈতিক সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়।
পেকুয়ায় হত্যা মামলায় হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে একজনকে পিটিয়ে হত্যা
কক্সবাজারের পেকুয়ায় সন্দেহভাজন এক অপরাধীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের পাহাড়িয়াখালী ছনখোলা এলাকার বাদামতল স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জাফর আলম (৬৫) ওই এলাকার নজির আহমদের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার জাফর আলম চকরিয়া কোর্ট থেকে মামলার হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় ছনখোলা স্টেশনে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ওৎ পেতে থাকে তার প্রতিপক্ষরা। জাফর স্টেশনে পৌঁছালে ৭-৮ জনের একটি দল লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলাম তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত জাফর আলমের স্ত্রী জ্যোৎস্না আকতার বলেন, ‘জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সন্ত্রাসীরা আমার স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।’
পেকুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফরহাদ আলী বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিহত জাফর আলম তার পুত্রবধূ সালমা বেগম ও নেজাম উদ্দিন হত্যা মামলার আসামি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডাকাতি ও মারামারির অভিযোগে আরও ছয়টি মামলা রয়েছে। তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও আলমগীর বিভিন্ন মামলায় কারাগারে আছেন। এর মধ্যে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, ডাকাতি, মারামারি ও বন আইনে অন্তত ১০টি এবং আলমগীরের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা আছে।’
আরও পড়ুন: ফুটবল খেলা নিয়ে দ্বন্দ্ব: মাগুরায় মাদরাসাছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা
মানিকগঞ্জে আনসার সদস্যকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
পেকুয়ায় চীনা নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার
কক্সবাজারের পেকুয়ার মগনামা ইউনিয়নে নির্মাণাধীন দেশের একমাত্র সাবমেরিন নৌঘাঁটিতে কর্মরত এক চীনা শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটির সি-১ ব্লকের ৬ নম্বর কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, সকালে রুমমেটরা ঘুম থেকে ডাকতে গেলে চেন ইউকুয়ানকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে আনে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে তাঁর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: কীর্তনখোলায় নিখোঁজ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
বগুড়ায় নিরাপত্তা কর্মীর লাশ উদ্ধার
মণ্ডপে হামলা: ৪ আসামিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
কুমিল্লার ঘটনার জেরে কক্সবাজারের পেকুয়ায় হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় করা এক মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিন পাওয়া ৪ আসামিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের কক্সবাজার আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে রবিবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এ আদেশ দেন।
যাদেরকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে তারা হলেন-পেকুয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাহাদুর শাহ, একই উপজেলার যুবদলের সভাপতি কামরান জাদীদ, ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য সাজ্জাদ, বিএনপির সক্রিয় সমর্থক ব্যবসায়ী শাহনেওয়াজ আজাদ। হাইকোর্টে গত ২৮ অক্টোবর তাদের ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আগাম জামিন দেন। এ জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন জানায়। রবিবার আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
১৩ অক্টোবর কুমিল্লার পূজামণ্ডপে কোরআন রেখে অবমাননার অভিযোগ তুলে দেশের বিভিন্ন জেলায় পূজামণ্ডপে হামলা, সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ঘটনার দিন রাতে কক্সবাজারের পেকুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের দুর্গা মন্দিরেও হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ১৫ অক্টোবর মামলা হয়। সেই মামলায় পেকুয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাহাদুর শাহসহ চারজন হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় মণ্ডপে কোরআন অবমাননার মামলা সিআইডিতে
সাম্প্রদায়িক হামলা: ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকারের ব্যাপক উদ্যোগ
সাম্প্রদায়িক হামলা: বিচারিক তদন্ত চেয়ে রিট