স্বাস্থ্য ঝুঁকি
ঢাকার বাতাস শুক্রবার সকালে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’
বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শুক্রবার সকালে ঢাকার অবস্থান অষ্টম। কারণ সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১২৪ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান ছিল সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’।
ইসরায়েলের তেল আবিব, পাকিস্তানের লাহোর ও চীনের উহান যথাক্রমে ৩১৩, ১৮৭ ও ১৬২ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। আর ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস রবিবার সকালে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান শনিবার সকালে ‘অস্বাস্থ্যকর’
ঢাকার বাতাস বুধবার সকালে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’
শরীয়তপুর পৌরসভার সরবরাহকৃত পানিতে ময়লা, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পৌরবাসী
শরীয়তপুর পৌরসভার সরবরাহকৃত পানিতে ময়লা। তাছাড়া ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এই পানি। পানি সরবরাহ বিভাগ জানিয়েছে, বহু বছরের পুরনো পাইপ লাইনে পানি সরবরাহের কারণে এই সমস্যা হচ্ছে।
এছাড়া ময়লা পানি ব্যবহারে চর্ম ও পেটে পিড়ার মতো কঠিন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে ধারণা করেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: নৌকা গ্রাম: শরীয়তপুরের ৩০ পরিবারের জীবিকা চলে নৌকা তৈরি করে
শরীয়তপুর পৌরসভা সূত্র জানায়, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ১১টি গভীর নলকূপ চালু আছে। তুলাসার, আংগারিয়া, আটং, প্রেমতলা ও কোতোয়াল বাড়ির রাস্তার পাইপ লাইনে পানির সঙ্গে ময়লা আসে। মাঝে মধ্যে পাইপ লাইন ওয়াশ করা হয়। বহুদিনের পুরানো পাইপ লাইন পরিবর্তনের জন্য নতুন প্রকল্প চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। পৌরসভার রাস্তা সংস্কার হলে পাইপ লাইন রিপ্লেসমেন্ট করা হবে।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সকাল ৭টা থেকে ১০টা এবং দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দুই বেলা পানি সরবরাহ করে থাকে পৌরসভার পানি সরবরাহ বিভাগ। প্রায় এক লাখ মানুষ এই পানি ব্যবহার করে থাকে।
প্রতিনিয়ত পানির সঙ্গে শ্যাওলা ও লাল বর্ণের আয়রন জাতীয় ময়লা আসে। যে সকল পরিবার এই পানির ওপর নির্ভরশীল তাদের সকল কাজেই এই ময়লা পানি ব্যবহার করতে হয়।
তুলাসার এলাকার আব্দুল মজিদ, আঙ্গারিয়া এলাকার মুন্নি আক্তার ও নিরালা এলাকার আমিন জানায়, পানির সঙ্গে ময়লা আসে। কিছু ময়লা ছাকনি দিয়ে পরিস্কার করা যায়। পানির সঙ্গে মিশে কিছু ময়লা আসে তা ছাকনিতেও পরিস্কার করা যায় না। এই পানিতে গোসল করে তাদের চুলকানির মতো চর্মরোগের সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া এই পানিতে রান্না করা খাবার খেয়েও অনেকের পেটের অসুখ হচ্ছে।
শরীয়তপুর পৌরসভার পানি সরবরাহ শাখার প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পানির সঙ্গে ময়লা যায় এমন অভিযোগ সকল এলাকা থেকেই পাওয়া যায়। পাইপ লাইনের শেষের দিকে এই সমস্যা বেশী হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে মাঝে মাঝে কোতোয়াল বাড়ির পাইপ লাইন পরিস্কার করা হয়।
এছাড়া বটতলার নলকূপটি ১৯৮৯ সালে স্থাপন করা হয়েছে। এই নলকূপের পাইপ লাইনের ওপরে রাস্তা নির্মাণ হওয়ায় পাইপ রিপ্লেসমেন্ট সম্ভব হয়নি।
তাছাড়া পাইপ লাইনে বাহিরের ময়লা প্রবেশের সুযোগ নাই। পাইপ লাইনে সৃষ্ট ময়লা পানির সঙ্গে যায়। এই ময়লায় তেমন কোন ক্ষতি হওয়ার কথা না।
শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন ডা. আবুল মোহাম্মদ শাহ পরান বলেন, ময়লা পানির ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ময়লা পানি ফুটিয়ে বিশুদ্ধ করে ব্যবহার করা যেতে পারে। তা নাহলে চর্ম রোগ পেটের পিড়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু: শরীয়তপুরে মৎসখাতে সোনালি সম্ভাবনার হাতছানি
পদ্মা সেতু: শরীয়তপুরে পরিবহন খাতে ব্যাপক পরিবর্তনের প্রত্যাশা
ঢাকার 'অস্বাস্থ্যকর' বাতাসের মানে উন্নতি নেই
ঢাকার বাতাসের মান বুধবার সকালেও 'অস্বাস্থ্যকর' অবস্থায় রয়েছে। সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৫৯ নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ষষ্ট স্থানে আছে।
বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।
পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের দিল্লি ও আরব আমিরাতের দুবাই যথাক্রমে একিউআই ৩২০, ২৮৯ ও ১৮৩ স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থানে রয়েছে।
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘খারাপ’ বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস এখনও 'অস্বাস্থ্যকর'
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’: একিআই
শীত ঘনিয়ে আসায় আজ সকালে ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’
ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর না হলেও এর বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা এক মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১১২ রেকর্ড করা হয়েছে। বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ১৬তম স্থানে রয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, চিলির সান্তিয়াগো ও পাকিস্তানের করাচি যথাক্রমে একিউআই ১৭১, ১৫৪ ও ১৫১ স্কোর নিয়ে প্রথম তিনটি স্থানে রয়েছে।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয় বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মানের ‘উন্নতি’
৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর 'স্বাভাবিক' বলা হয়, তবে কিছু মানুষের জন্য 'ঝুঁকিরপূর্ণ' বলে বিবেচিত হয়, বিশেষ করে যারা বায়ু দূষণের প্রতি অস্বাভাবিকভাবে সংবেদনশীল।
একইভাবে, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘খারাপ’ বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর ‘ঝুঁকিপূর্ণ' বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান এখনও ‘অস্বাস্থ্যকর’
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।
ঢাকার বাতাস এখনও ‘অস্বাস্থ্যকর’
বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান পঞ্চম। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ১ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ঢাকার স্কোর ছিল ১৮৬। যার অর্থ হলো জনবহুল এ শহরের বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে।
একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে নগরবাসীর প্রত্যেকের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।
এ তালিকায় পোল্যান্ডের ক্রাকো, পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের দিল্লি এবং মঙ্গোলিয়ার উলানবাটার যথাক্রমে ২৯২, ২৮০, ২০৮ ও ১৮৯ একিউআই সূচক নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে।
একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ তা জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: লবণাক্ততা ও জলমগ্নতা সহিষ্ণু ধানের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দুষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।
আরও পড়ুন: মৃদু শৈত্যপ্রবাহ: পঞ্চগড়ে জনজীবনে দুর্ভোগ
বায়ুদূষণ: ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’
বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান চতুর্থ।
সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ঢাকার স্কোর ছিল ১৮৮। যার অর্থ হলো জনবহুল এ শহরের বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে।
একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে নগরবাসীর প্রত্যেকের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।
বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ভারতের দিল্লি, মঙ্গোলিয়ার উলানবাটর এবং পাকিস্তানের লাহোর যথাক্রমে ৩৭৬, ২৪৩ এবং ২৩৩ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
পড়ুন: ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ, ফুসফুসের রোগের মতো নানা রোগের জন্য দায়ী দূষিত বাতাস থেকে রেহাই না পাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ঢাকাবাসী।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দুষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।
পড়ুন: ঢাকার বাতাস এখনও ‘অস্বাস্থ্যকর’
কোরবানির পশু নিয়ে বেঙ্গল মিটের ‘অনলাইন কোরবানির হাট’
আসন্ন ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে দেশে ষষ্ঠ বারের মতো ‘অনলাইন কোরবানির হাট’- এর আয়োজন করেছে বেঙ্গল মিট।
করোনা: মানসিক চাপ কমাতে ‘অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে’
মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ঢাকার বাতাসের মান এখনও ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বাতাসের মানের কোনো উন্নতি না হওয়ায় মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন এই শহরের বাসিন্দারা।
মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ঢাকাবাসী!
মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকার পাশাপাশি ভয়াবহ বায়ুদূষণের কবল থেকে মুক্তি পাচ্ছে না ঢাকাবাসী। বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শুক্রবার সকালে দ্বিতীয় খারাপ অবস্থানে এসেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা।