তফসিলি ব্যাংক
ঈদের ছুটিতে এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা রাখার নির্দেশ
আসন্ন ঈদুল আজহার ছুটিতে আর্থিক লেনদেন নির্বিঘ্ন রাখতে দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলোকে তাদের এটিএম বুথে পর্যাপ্ত অর্থ মজুদ রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ ছাড়াও পয়েন্ট অব সেল (পিওএস), ই-পেমেন্ট গেটওয়ে ও মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) মাধ্যমে লেনদেন নির্বিঘ্ন রাখতেও বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্টের তফসিলি ব্যাংকগুলোর ঊর্ধ্বতন নির্বাহীদের কাছে পাঠানো এক নির্দেশনায় এসব বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি মামলা: প্রতিবেদন ফের পিছিয়ে ২ জুলাই
ঈদের ছুটির সময় গ্রাহকদের যেন কোনো ধরনের ভোগান্তি না হয়, সে জন্য ব্যাংকগুলোকে আগেই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে নির্দেশনায়।
আরও বলা হয়েছে, এটিএম বুথের ক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টা সেবা নিশ্চিত করতে হবে, এটিএম বুথে কোনো কারিগরি ত্রুটি দেখা দিলে তা দ্রুত সমাধান করতে হবে, পর্যাপ্ত অর্থ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে এবং বুথে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তারক্ষীসহ অন্যান্য নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
এ ছাড়া, পিওএসের ক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টা সেবা নিশ্চিত করতে এবং জালিয়াতি রোধে বিক্রেতা ও গ্রাহকদের সচেতন করতেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
পাশাপাশি ই-পেমেন্ট গেটওয়ের ক্ষেত্রে ‘কার্ড নন-হিউম্যান টাচ’ ধরনের কার্ডভিত্তিক লেনদেনে টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন চালু রাখার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেই সঙ্গে সব ব্যাংক ও তাদের এমএফএস সেবা দানকারী সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্বিঘ্নে লেনদেন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
ঈদের ছুটির সময় যেকোনো অঙ্কের লেনদেন সম্পর্কে গ্রাহকদের এসএমএস অ্যালার্ট সেবার মাধ্যমে জানাতেও নির্দেশনায় বলা হয়েছে।
তাছাড়া সব ধরনের ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সেবার বিষয়ে গ্রাহকদের সতর্ক করতে প্রচার কার্যক্রম চালানোর জন্য বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গ্রাহকদের ২৪ ঘণ্টার হেল্পলাইন সেবা দিতে এবং এ সম্পর্কিত নির্দেশনাগুলো মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে।
১৮৯ দিন আগে
ঈদ উপলক্ষে ব্যাংকের যেসব শাখায় নতুন নোট পাওয়া যাবে
পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে তফসিলি ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাখায় রবিবার (৯ এপ্রিল) থেকে নতুন টাকার নোট বিনিময় শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত (সাপ্তাহিক ছুটি ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত) ঢাকা অঞ্চলের ব্যাংকগুলোর নির্দিষ্ট শাখায় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসের মাধ্যমে এসব নোট পাওয়া যাবে।
এ সময় বিশেষ পদ্ধতিতে ৫, ১০, ২০ ও ৫০ টাকার নতুন নোট বিনিময় করা হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথানুসারে, একই ব্যক্তি একবারের বেশি নতুন নোট নিতে পারবেন না। তবে নোট তোলার সময় টাকার বিপরীতে কাউন্টার থেকে যে কোনো পরিমাণ ধাতব মুদ্রা নিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার বাজারে আসছে ২ ও ৫ টাকার নতুন নোট
নতুন নোট এই ব্যাংকের শাখাগুলোতে পাওয়া যাবে: এনসিসি ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখা, জনতা ব্যাংকের আব্দুল গণি রোড কর্পোরেট শাখা, অগ্রণী ব্যাংকের জাতীয় প্রেসক্লাব কর্পোরেট শাখা, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের মিরপুর শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বসুন্ধরা সিটি শাখা (পান্থপথ), উত্তরা ব্যাংকের চকবাজার শাখা, সোনালী ব্যাংকের রমনা কর্পোরেট শাখা, ঢাকা ব্যাংকের উত্তরা শাখা, আইএফআইসি ব্যাংকের গুলশান শাখা, ন্যাশনাল ব্যাংকের মহাখালী শাখা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের মোহাম্মদপুর শাখা, জনতা ব্যাংকের রাজারবাগ শাখা এবং পূবালী ব্যাংকের সদরঘাট শাখা।
আরও যেসব ব্যাংকের শাখায় নতুন নোট পাওয়া যাবে: সাউথইস্ট ব্যাংকের কাকরাইল শাখা, ওয়ান ব্যাংকের বাসাবো শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের শ্যামলী শাখা, দক্ষিণখানে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এসএমই ও কৃষি শাখা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের বনানী শাখা, ব্যাংক এশিয়ার ধানমন্ডি শাখা, সিটি ব্যাংকের বেগম রোকেয়া সরণি শাখা, আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংকের নন্দীপাড়া শাখা, প্রাইম ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ শাখা, এক্সিম ব্যাংকের শিমরাইল শাখা, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের গাজীপুর চৌরাস্তা শাখা, ইউসিবিএলের গাজীপুর চৌরাস্তা শাখা, উত্তরা ব্যাংকের সাভার শাখা, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সাভার শাখা এবং ট্রাস্ট ব্যাংকের কেরাণীগঞ্জ শাখা।
আরও পড়ুন: ২৯ জুন বাজারে নতুন নোট ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক
৯৭১ দিন আগে
বিদেশি মুদ্রা পাঠানো ও অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাখ্যা
বাংলাদেশ ব্যাংক স্পষ্ট করে জানিয়েছে প্রবাসীরা দেশের যে কোনো তফসিলি ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানোর জন্য অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়াই সেই অ্যাকাউন্টগুলোতে যে কোনো পরিমাণ অর্থ জমা করা যাবে।
প্রবাসীরা ফেরত আসার সময় যে কোনো পরিমাণ নগদ টাকা, ডলার বা অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে আসলে, তারা তা তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করতে পারবে এবং স্থানীয় মুদ্রার সঙ্গে তা বিনিময় করতে পারবে।
প্রবাসীরা কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই তাদের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত জমা করতে পারবেন।
জনগণকে জানাতে এবং অবাধে বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে স্থানান্তরের বিভ্রান্তি দূর করতে মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বিদ্যমান বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন নীতির অধীনে বিদেশে বসবাসকারী প্রবাসীরা দেশের ব্যাংকগুলোতে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানোর জন্য ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট বা অনাবাসি অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে পারেন।
বিদেশ থেকে পাঠানো যে কোনো পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বা বিদেশ থেকে দেশে আনা বৈদেশিক মুদ্রা কোনো প্রশ্ন ছাড়াই এসব অ্যাকাউন্টে জমা করা যাবে।
এছাড়া দেশ ত্যাগের সময় প্রবাসীরা তাদের সঙ্গে নগদ অর্থ, সর্বাধিক পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার এবং বৈদেশিক মুদ্রা ব্যালেন্সের স্থিতি সাপেক্ষে বিদেশে নিয়ে যেতে পারেন।
প্রবাসী বা অনাবাসীদের নামে পরিচালিত এই অ্যাকাউন্টের বৈদেশিক মুদ্রা অবাধে সুদসহ বিদেশে পাঠানো যেতে পারে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের প্রয়োজন নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, স্থানীয়ভাবে পরিচালিত অ্যাকাউন্টের বৈদেশিক মুদ্রা কোনো ঝামেলা ছাড়াই নির্ভরযোগ্য ব্যাংক থেকে টাকা হিসেবে ক্যাশ করা যাবে।
১৩০৩ দিন আগে
চলতি মূলধনের ঋণসীমা বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক
আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য তফসিলি ব্যাংকগুলোকে অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য চলতি মূলধনের ঋণসীমা যৌক্তিক পর্যায়ে বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, উদ্যোক্তাদের নিয়মিত সীমা অতিক্রম করলেও চলতি মূলধনের ঋণ যৌক্তিক পর্যায়ে বাড়ানো হবে। ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্ক এবং ঝুঁকির কারণ পরিমাপের ভিত্তিতে, ব্যাংক গ্রাহকদের চলতি মূলধন ঋণের সীমা বাড়াতে পারবে।
আরও পড়ুন: এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রমের সংশোধিত নির্দেশিকা জারি বাংলাদেশ ব্যাংকের
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, ‘কোভিড-১৯ মহামারি সম্পর্কিত চলাচল বিধিনিষেধের কারণে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত হওয়ায় চালান ও অর্থপ্রদানও বিলম্বিত হয়েছে। কিন্তু এখন পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তবে মূলধনের অভাবে কিছু উদ্যোক্তা কারখানা চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন।’
এ প্রেক্ষাপটে উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা এবং আমদানি-রপ্তানিসহ দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিবেচনায় বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি মূলধনের ঋণের সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
১৩১৮ দিন আগে
২০২২ সালে ব্যাংকে ছুটি ২৪ দিন
২০২২ সালে দেশের তফসিলি ব্যাংক কর্মকর্তারা ২৪ দিন ছুটি পাবেন। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের অফ সাইট সুপারভিশন বিভাগ ছুটির এ তালিকা প্রকাশ করে এবং তা অনুসরণ করার জন্য সকল তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বরাবর পাঠিয়েছে।
এই ছুটির মধ্যে চার দিন শুক্রবার ও তিন দিন শনিবারের মধ্যে পড়বে। আর শুক্র ও শনিবার বাংলাদেশে সাপ্তাহিক ছুটির দিন।
১৪৮৭ দিন আগে