বিমান পরিবহন
হজ ফ্লাইট ৩১ মে’র পরিবর্তে ৫ জুন শুরু
সৌদি কর্তৃপক্ষ শাহজালাল বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনের যাবতীয় কাজ শেষ করতে না পারায় আগামী ৩১ মে’র পরিবর্তে ৫ জুন থেকে হজ ফ্লাইট পরিচালনার অনুরোধ জানিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
সোমবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, হজযাত্রীদের ঢাকায় প্রি-এরাইভেল ইমিগ্রেশন নিশ্চিত করতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রথম হজ ফ্লাইট বিলম্বিত করা হয়েছে এবং এ বছর হজের জন্য ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের রোড টু মক্কা ইনিশিয়েটিভের ৪০ সদস্যের দল প্রি-এরাইভেল ইমিগ্রেশনের জন্য প্রয়োজনীয় ডিভাইসসহ ২ জুনের আগে ঢাকায় পৌঁছাতে পারবে না। যেহেতু বিমানবন্দরে ডিভাইসগুলো ইনস্টল করতেও কয়েক দিন সময় লাগবে সেহেতু মন্ত্রণালয় ৫ জুন থেকে হজ ফ্লাইট শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মন্ত্রণালয় নতুন ঘোষিত তারিখে ফ্লাইট শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: হাবের হজ প্যাকেজ ঘোষণা
হজের সর্বনিম্ন প্যাকেজ ৪ লাখ ৬২ হাজার
শাহজালাল বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কাজে গতি আনার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণের নির্মাণকাজে গতি আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার সকালে শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ কাজের অগ্রগতি (প্রথম পর্যায়) (১ম সংশোধিত) উপস্থাপনা প্রত্যক্ষ করে এ নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কাজ করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের জমি অধিগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি অন্যান্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাঙালি জাতির মাথা উঁচু করে চলার স্লোগান ‘জয় বাংলা’: প্রধানমন্ত্রী
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ কাজের সার্বিক অগ্রগতি ২৩ শতাংশ এবং ২০২৩ সালের নভেম্বরের মধ্যে কাজটি শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
এসময় বাংলাদেশ বিমানের আয় বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মোকাম্মেল হোসেন এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভালো পরিকল্পনা ও গণতন্ত্র বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রেরণা: প্রধানমন্ত্রী
দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের পেছনে রয়েছে ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া: প্রধানমন্ত্রী
উন্নয়ন প্রকল্পে বাংলাদেশকে ৩৩০ মিলিয়ন দেবে ফ্রান্স, ৩ চুক্তি স্বাক্ষর
উন্নয়ন প্রকল্পে সহায়তার জন্য বাংলাদেশকে ৩৩০ মিলিয়ন ইউরো দেবে ফ্রান্স। বাংলাদেশ ও ফ্রান্স এই বিষয়ে তিনটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
৩৩০ মিলিয়ন ইউরোর মধ্যে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় আর্থিক সহায়তার জন্য ২০০ মিলিয়ন ইউরো দেবে এজেন্সি ফ্রান্স ডেভলোপমেন্ট (এএফডি)। এছাড়া ঢাকা এনভায়রনমেন্টালি সাসটেইনেবল ওয়াটার সাপ্লাই প্রজেক্টের জন্য দেবে ১৩০ মিলিয়ন ইউরো। এই প্রজেক্টের কাজ চলমান রয়েছে।
বুধবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সঙ্কটে ফ্রান্স বাংলাদেশের পাশে থাকবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, এই ৩৩০ মিলিয়ন ইউরো নিয়ে বাংলাদেশকে এএফডি’র দেয়া মোট সহায়তা এক বিলিয়ন ইউরো ছাড়াল। এর আগে সংস্থাটি ৮০০ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা দিয়েছিল।
ফাতিমা ইয়াসমিন বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় এএফডি’র সবচেয়ে বেশি সহায়তাপ্রাপ্ত দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ।
ইআরডি সচিব বলেন, আগামীতে ফ্রান্সের সাথে হোস্ট কান্ট্রি চুক্তি স্বাক্ষর করবে বাংলাদেশ। বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ২০ লাখ ডোজ টিকা উপহার দেবে ফ্রান্স: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বেসামরিক বিমানপরিবহন ও পর্যটন সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন বলেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ তাদের কর্মচারিদের অভিজ্ঞতা বিনিময় ও প্রশিক্ষণের সহযোগিতা জোরদারে ফ্রান্সের বেসামরিক বিমানপরিবহন কর্তৃপক্ষের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
পর্যটন সচিব বলেন, ফ্রান্স বিমান পরিবহন নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনে সহায়তা করছে।যেটা কিনা বাংলাদেশ বেসামরিক বিমানপরিবহন খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।