দেশে
দেশে ১৮ জন করোনা আক্রান্ত, মৃত্যু নেই
দেশে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ সময় নতুন করে ১৮ জনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৬০৭ জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে ১৪ জন করোনা আক্রান্ত, মৃত্যু নেই
এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে শনাক্তের হার এক দশমিক ৭০ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৬ হাজার ২৫ জনে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ৩৬ জন করোনা আক্রান্ত, মৃত্যু নেই
দেশে আরও ৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু হয়নি। তবে এ সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন আরও সাতজন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে তিনজন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি চারজন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২২ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে ১১ জন ঢাকার মধ্যে এবং ১১ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ১১জন ডেঙ্গু আক্রান্ত
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ১৯ মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৮০৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকায় ৩৯৬জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ৪১১ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৭৭৬ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে ৩৭৯ জন ঢাকার বাসিন্দা, বাকি ৩৯৭ জন ঢাকার বাইরের অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
এছাড়া চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট ৯জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ৬ জন
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ১৪ জন
চুয়াডাঙ্গায় টানা ৩ দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
চুয়াডাঙ্গায় টানা তিনদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। এতে হাসপাতালে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা এবং ভিড় বেড়েছে শীতবস্ত্রের দোকানে।
চুয়াডাঙ্গায় হিমেল হাওয়ায় বেড়েছে শীতের প্রকোপ। টানা তিনদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। শুক্রবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই রেকর্ড ভেঙে শনিবার হয় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবারও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে সকাল ও সন্ধ্যায় কুয়াশাচ্ছন্ন চুয়াডাঙ্গা শহরসহ জেলাজুড়ে সাধারণ মানুষের চলাচল অনেকাংশেই কমে গেছে। রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইকসহ শহরের বিভিন্ন মোড়ের ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলো সন্ধ্যার পর থেকেই কমতে শুরু করে। তবে ভিড় বেড়েছে শহরের নতুন ও পুরানো শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ২য়
স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেছেন।
রাষ্ট্রপতিকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট আজ সকাল ১১টা ৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক, পররাষ্ট্র সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপিসহ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দ. কোরিয়ায় পদদলিত হয়ে প্রাণহানির ঘটনায় রাষ্ট্রপতির শোক
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জার্মানির উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন রাষ্ট্রপতি
শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির বাণী
ভারত থেকে দেশে ফিরলেন ২৬ বাংলাদেশি জেলে
ভারত থেকে তিন মাস পর দেশে ফিরলেন ২৬ বাংলাদেশি জেলে। মঙ্গলবার বিকালে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বিশেষ ট্রাভেল পাসে তাদেরকে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন।
ফেরত আসা ২৬ জেলে পিরোজপুর ও বরগুনা জেলার বাসিন্দা।
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশি উপ-হাইকমিশনার শেখ মারেফাত তারিকুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশি ২৬ জন জেলে ভারতের কাকদ্বীপের বুদ্ধপুর ফ্লাডসেন্টার ও মইপিঠ শেল্টার হোমের নিরাপত্তা হেফাজতে ছিলেন। দুই দেশের সহযোগিতায় তাদেরকে বাংলাদেশে দ্রুত পাঠানো সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ গ্রেপ্তার ১৩
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, ভারত সরকারের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ফেরত আসা বাংলাদেশি জেলেদের ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে জাস্টিস এন্ড কেয়ার নামে একটি এনজিও সংস্থা তাদের গ্রহণ করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবেন।
যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মুহিত হোসেন জানান, ফেরত আসা জেলেদের বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে গ্রহণ করে যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার আজই তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।
উল্লেখ্য গত ১৮ আগস্ট বঙ্গোপসাগরে ইলিশ ধরতে গিয়ে সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়েন বাংলাদেশি এসব জেলেরা। সমুদ্রে ভাসতে ভাসতে তারা সাগরের ভারত সীমান্তে গেলে তাদের উদ্ধার করে ভারতীয় কোস্টগার্ড পুলিশ সদস্যরা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি ৪০ জেলেকে ফেরত পাঠাল ভারত
সিত্রাং: ২০ বাংলাদেশি জেলেকে উদ্ধার করল ভারতীয় কোস্টগার্ড
দেশে আরও ৫৪ জন করোনায় আক্রান্ত
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু শূন্যদিন পার করেছে বাংলাদেশ। তবে এসময়ে নতুন করে ৫৪ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে।
এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৪২৬ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৩৫ হাজার ৮৮২ জনে পৌঁছেছে।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে শনাক্ত হার এক দশমিক ৭৯ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২০১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৮২ হাজার ৭৪৩ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনায় মৃত্যু ১, শনাক্ত ৪৬
দেশে করোনাভাইরাসে শনাক্ত ৩৭
দেশে করোনাভাইরাসে শনাক্ত ৮৮
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: দেশে ১৩ জনের মৃত্যু
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মঙ্গলবার ভোরে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করার ফলে বাংলাদেশের ছয় জেলায় অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসব জেলায় ঘূর্ণিঝড়টি তাণ্ডব চালিয়েছে।
উপকূলীয় অঞ্চল ও অন্যান্য জায়গা থেকে কুমিল্লা, নড়াইল, সিরাজগঞ্জ, ভোলা, বরগুনা ও গোপালগঞ্জের ইউএনবি সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদন অনুসারে, সোমবার সকাল থেকে গাছ উপড়ে যাওয়ার কারণে বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। কারণ এসময় দেশে দিনভর মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়।
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার হেসাখাল এলাকায় সোমবার রাতে বাড়ির ওপর বিশাল গাছ পড়লে এক দম্পতি ও তাদের চার বছরের মেয়ের মৃত্যু হয়। ঘটনাটি ঘটার সময় তারা ঘুমিয়ে ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: ভোলায় ২০ হাজারের বেশি মানুষ বিপর্যস্ত
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রায়হান মেহবুব বলেন, এ ঘটনায় নিজাম উদ্দিন, তার স্ত্রী শারমিন আক্তার সাথী ও তাদের মেয়ে নুসরাত আক্তার লিজা নিহত হওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
তিনি আরও বলেন, রাত ১০টার দিকে যখন এই ঘটনা ঘটে তখন ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা কমপ্লেক্সে মাথায় গাছ পড়ে মর্জিনা বেগম নামে ৩৫ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন বলেন, বাগেরহাটের মর্জিনা উপজেলার রাজপুর গ্রামে গৃহকর্মীর কাজ করত।
ঘটনার সময় তার ১১ বছরের ছেলে তার সঙ্গে ছিল, তবে সে বেঁচে যায় বলে ওসি জানান।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় সোমবার রাতে যমুনা নদীর এক খালে নৌকা ডুবে মা ও তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, ‘নিহতরা হলেন- পূর্ব মোহনপুর গ্রামের খোকন শেখের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা (৩০) ও তার ছেলে আরাফাত রহমান (৫)।’
তিনি বলেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে আয়েশার স্বামী ও অপর দুই সন্তানকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার রাত ৮টার দিকে তারা একটি নৌকায় করে ওই খাল দিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন। তখন খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে সেটি ডুবে যায়। ঘটনাস্থলেই আরাফাত মারা যায় এবং হাসপাতালে নেয়ার পর আয়শাকে মৃত ঘোষণা করা হয় বলে ওসি জানান।
ভোলায় সদর, দৌলতখান, লালমোহন ও চরফ্যাশনে গাছের নিচে চাপা পড়ে ও পানিতে ডুবে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, নিহতরা হলেন সদর উপজেলার মফিজুল ইসলাম (৬০), দৌলতখান উপজেলার বিবি খাদিজা (২০), লালমোহন উপজেলার রাবেয়া (৩০) ও চরফ্যাশন উপজেলার মনির (৩০)।
সোমবার রাতে সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নে নিজ বাড়িতে গাছ পড়ে মফিজুল এবং বিবি খাদিজাও গাছের নিচে চাপা পড়ে মারা যান। মনির মোটরসাইকেলে যাওয়ার সময় গাছের ডাল ভেঙে পড়লে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। অন্যদিকে রাবেয়া ডুবে যায়।
বরগুনা সদর উপজেলার সোনাখালী গ্রামে বাড়ির ওপর গাছ ভেঙে পড়লে রাতের খাবার খেতে গিয়ে ১১০ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির জানান, তিনি বাড়িতে একা ছিলেন এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান।
গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় গাছের নিচে পিষ্ট হয়ে দুই নারী নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন পাটগাতী ইউনিয়নের রেজাউলের স্ত্রী শারমিন (২৫) ও বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের হান্না তালুকদারের স্ত্রী রুমিসা (৬৫)।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান বলেন, সোমবার রাতে ঝড়ের সময় পাঁচকাহনিয়া গ্রামে গাছ ভেঙে পড়ে শারমিনের মৃত্যু হয় এবং ডুমুরিয়া গ্রামের বাড়িতে গাছের নিচে চাপা পড়ে রুমিসা মারা যায়।
তিনি বলেন, তাদের পরিবারকে সহায়তা হিসেবে ২৫ হাজার টাকা, পুনর্বাসনের জন্য ৬ হাজার টাকা এবং টিন দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যান চলাচল সচল
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ২ বাংলাদেশি
ভারতে চার বছর সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন বাংলাদেশি এক নারী ও পুরুষ। বুধবার তাদের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ।
ফেরত আসা দু’জন হলেন, মোহাম্মদ হাসান (২৮) চট্টগ্রাম জেলার বাইতলি উপজেলার চন্দ্রনাসি গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে ও কুমিল্লা জেলার বিথি (২৫)। তাদের আইনি সহায়তা দিতে পুলিশের কাছ থেকে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার নামে এনজিও সংস্থা গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ভারতের ভিসা নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের বেনাপোল ফিল্ড অফিসার রোকেয়া খাতুন জানান, ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে পাসপোর্ট ভিসা ছাড়া অবৈধ পথে দালালের মাধ্যমে তারা ভারতে যায়। এসময় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে জেলে পাঠায়। চার বছর পর দুই দেশের সরকারের সহযোগিতায় বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তারা দেশে ফেরার সুযোগ পায়।
ফেরত আসারা পাচারকারীদের শনাক্ত করে আইনি সহয়তা চাইলে দেয়া হবে বলে জানান এনজিও সংস্থার এই কর্মকর্তা।
এ ব্যাপারে বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার নামে একটি এনজিও সংস্থা তাদের গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: ভারতে পাচারকালে অর্ধ কোটি টাকার ৪টি স্বর্ণের বার জব্দ
বেনাপোলে সড়ক দুর্ঘটনায় ভারতীয় ট্রাকচালক নিহত
অক্টোবরের দুই সপ্তাহে দেশে ৭৬৯.৮৮ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে
চলতি অক্টোবর মাসের দুই সপ্তাহে (২-১৩ তারিখ) দেশে ৭৬৯ দশমিক ৮৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স এসেছে। রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে প্রবাসী বাংলাদেশি প্রবাসীরা দেশে এক দশমিক ৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছে, যা গত ৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। সেপ্টেম্বরের পর অক্টোবরেও রেমিটেন্সের প্রবাহের নিম্নমুখিতা দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান,অক্টোবরের প্রথম দুই সপ্তাহে প্রবাসীরা ৭৬৯ দশমিক ৮৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছে। চলতি মাসের শেষে রেমিটেন্স প্রবাহ ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার হতে পারে।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশকে বেছে নেয়ার আহ্বান
চলতি (২০২২-২৩) অর্থবছরে নগদ প্রণোদনা দুই শতাংশ থেকে বাড়িয়ে দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ করা সত্ত্বেও সেপ্টেম্বরে রেমিটেন্সের অভ্যন্তরীণ প্রবাহে কমে যেতে দেখা যায়।
তিনি আরও জানান,বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে ৫৯ দশমিক ২২ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাওয়া যাবে।
অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্স বৃদ্ধির প্রবণতা নিয়ে এই অর্থবছর শুরু হয়েছিল। যেখানে জুলাই মাসে বাংলাদেশ দুই দশমিক ০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং আগস্ট মাসে দুই দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার প্রবাসী আয় পেয়েছে। কিন্তু সেপ্টেম্বরে এসে তা নিম্নমুখী হয়ে যায়।
আর্থিক খাতের পর্যবেক্ষকরা মনে করেন যে প্রবাসীরা দেশে রেমিটেন্স পাঠানোর জন্য হুন্ডিকে বেছে নিচ্ছেন। কারণ সেখানে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার খুচরা বাজারে ৮ থেকে ১৪ টাকা বেশি পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: ৩০ হাজার গার্মেন্টস শ্রমিকের সুস্থতায় বিজিএমইএ-আয়াত এডুকেশনের চুক্তি
অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ৩৫৭.৭৬ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে বাংলাদেশে
দেশে করোনায় ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৪৪৫
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজন মারা গেছেন। এসময়ে নতুন করে ৪৪৫ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৩৮৯ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৩১ হাজার ৪৫১ জনে পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ৯৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে শনাক্ত হার ৮ দশমিক ৯২ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৬৮৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৭২ হাজার ৩৮৬ জনে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ০৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনায় আরও ৩ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩৬৭
করোনায় আরও ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৪৬০
করোনাভাইরাস: বিশ্বে আক্রান্ত ৬২ কোটি ৭৬ লাখ ছাড়িয়েছে