হাসপাতাল
নুরের সুস্থ হতে ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ লাগতে পারে: ঢামেক পরিচালক
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের সুস্থ হতে আরও চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগতে পারে এবং পরিবার চাইলে আগামী কয়েক দিন পর তাকে বাসায় নিয়ে যেতেও পারে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
সোমবার(৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢামেক হাসপাতালে নিজ কার্যালয়ে নুরুল হক নুরের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
পরিচালক বলেন, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের সুস্থ হতে আরও চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগতে পারে এবং চাইলে আগামী কয়েক দিন পর পরিবারের সদস্যরা তাকে বাড়ি নিয়ে যেতে পারেন।
তিনি বলেন, গত ২৯ আগস্ট আমাদের এখানে আহত অবস্থায় নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের অনস্টপ ইমার্জেন্সি সেন্টার (ওসেক) তাকে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে রাতেই তাকে আইসিউতে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি হলে তাকে আইসিইউ থেকে শিফট করা হয়।
পড়ুন: হত্যার উদ্দেশ্যেই নুরকে আঘাত করা হয়: মির্জা ফখরুল
তিনি আরও বলেন, নুরুল হক নুরের চিকিৎসায় ৬ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। নুরের নাকে হাড় ভাঙার কারণে মাঝে মাঝে রক্তপাত হচ্ছে। লোক যখন একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যায় তখন তার দুই নাকে প্যাক দেওয়া ছিল যাতে তার রক্তপাত বন্ধ হয়ে যায়। পরে সেটি আমরা খুলে দেই। পরে আবার সেখান থেকে রক্ত দেখা যায় এটা মাঝেমধ্যেই আসতে পারে যেহেতু সেখানে একটি রস সারফেস রয়েছে। মাঝেমধ্যে হাসি বা কাশি দিলে রক্ত আসতে পারে কিন্তু সেটা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। তার নাকের হাড় ভাঙলেও তার স্ট্রাকচার চেঞ্জ হয়নি। নূরের আরেকটি ফ্রাকচার ছিল ম্যাক্সিলাতে। সেটা ইনকমপ্লিট ফ্রাকচার না লিনিয়ার ফ্রাকচার এটাও কিন্তু ডিসপ্লেস না। এটাও ঠিক হতে চার থেকে ছয় সপ্তাহ লাগবে।
নুরের চোখের সম্যার বিষয়ে তিনি বলেন, চোখের পাশে যেকোনো ধরনের আঘাত লাগলে সেখানে রক্ত জমাট বাঁধে। চোখের নিচে যে রক্ত জমাট ছিল সেই জমাটটি আর এখন দেখা যাচ্ছে না। পুরোপুরি ঠিক হয়ে গেছে।
তার মাথার আঘাতের বিষয়ে হাসপাতাল পরিচালক বলেন, তার মাথায় যে আঘাত ছিল সেটি ছিল খুবই মাইনর। তিনি আইসিইউতে থাকতে আমরা একটি সিটি স্ক্যান করাই। সেখানে যে অল্প পরিমাণ রক্ত জমা ছিল সেটি এবজর্ভ হয়ে গেছে। এখন তিনি স্থিতিশীল আছেন এবং গ্রাজুয়েলি তার উন্নতি হচ্ছে।
পরিচালক আরও জানান, আজকে আমি দেখে আসলাম তার একটু ঠান্ডা এবং সঙ্গে জ্বর রয়েছে। তার বর্তমানে একশোর মতো জ্বর রয়েছে। গতকাল পর্যন্ত তার জ্বর ছিল না আমরা বিশেষজ্ঞকে ডেকে এনে তাকে দেখানো হয়েছে। এটা সিজনাল জ্বরও হতে পারে এখন ডেঙ্গুর সিজন ডেঙ্গু হতে পারে কিছু পরীক্ষা দিয়ে গেছেন সেটি করালে জানতে পারব।
গণঅধিকার পরিষদ থেকে যে অভিযোগটি করা হচ্ছে মাথায় আঘাতের কারণে নুরের শর্ট মেমরি লস হচ্ছে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পরিচালক বলেন, এই ধরনের আঘাতের কারণে শর্ট মেমোরি লস হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
নুরুল হক নুরকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পরিচালক বলেন, নুরের পরিবার চাইলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে নিতে পারে।
৮৭ দিন আগে
লগ্নভ্রষ্ট হওয়ার ভয়ে হাসপাতালের বেডেই বিয়ে!
মানিকগঞ্জে হাসপাতালের বেডে এক ব্যতিক্রমী বিয়ে হয়েছে। বর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালের বেডে চিকিৎসাধীন। এদিকে লগ্ন শেষ হয়ে যাচ্ছে। উপায়ান্তর না পেয়ে হাসপাতালের বেডেই আয়োজন করা হয় বিয়ের।
ফলে বর অভিজিৎ সাহা ও কনে অমৃতা সরকারের পরস্পরের প্রতি অটল বিশ্বাস ও ভালোবাসার সাক্ষী হলো হাসপাতালের চার দেওয়াল।
চমকপ্রদ ও বিরল এই বিয়ে হয় মানিকগঞ্জ শহরের আফরোজা বেগম জেনারেল হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে হাসপাতালের অস্থায়ীভাবে খালি রাখা একটি অংশে এই বিশেষ বিয়ের আয়োজন করা হয়।
জানা গেছে, মানিকগঞ্জ শহরের চাঁন মিয়া লেনের বাসিন্দা অরবিন্দ সাহার বড় ছেলে অভিজিৎ সাহার বিয়ের তারিখ আগে থেকেই ঠিক ছিল। কিন্তু নির্ধারিত দিনটির আগেই ঘটে যায় অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা। ঢাকা থেকে ফেরার পথে ধামরাইয়ে দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন বর। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অসুবিধা সত্ত্বেও দুই পরিবারের সম্মতি ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে বিশেষ কক্ষে সম্পন্ন হয় এ ব্যতিক্রমী বিয়ের আয়োজন।
বরের বাবা অরবিন্দ সাহা জানান, আমরা ভাবতেই পারিনি হাসপাতালে এমন আনন্দ হবে। যেহেতু আগে থেকেই বিয়ের দিনক্ষণ ঠিকঠাক ছিল, এ জন্য তারিখ পরিবর্তন না করে নির্ধারিত তারিখেই বিয়ের পাক্কা আয়োজন সেরে নিলাম।
তবে হিন্দু বাঙালি বিয়ের অনুষ্ঠানে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আচার হল সাত পাকে বাঁধা। বিয়ের দিন ছাদনাতলায় বর এলে কনেকে পিঁড়িতে বসিয়ে নিয়ে আসা হয়। কনের মুখ পান পাতা দিয়ে ঢাকা থাকে। বরের চারপাশে কনেকে ঘোরানো হয় সাতবার। এ ক্ষেত্রে অভিজিৎ সাহা পিঁড়িতে নয়, হাসপাতাল বেডে শুয়েই সাতপাঁক উপভোগ করলেন।
৯০ দিন আগে
চিকিৎসক সংকটে বন্ধ হয়ে গেল চাঁদপুরের শতবর্ষী দাতব্য চিকিৎসালয়
অবশেষে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ‘প্রাথমিক চিকিৎসার বাতিঘর’ খ্যাত চাঁদপুর পৌরসভার শতবর্ষী দাতব্য চিকিৎসালয়। চিকিৎসক সংকটের কারণে এটি আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত ১ মাস ধরে বন্ধ রাখা রয়েছে মেঘনাপাড়ে অবস্থিত গরীবের চিকিৎসাসেবার এই অন্যতম এই কেন্দ্রটি। এতে করে নদীভাঙন-কবলিত ও চরম দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করা মানুষেরা আরও বিপাকে পড়েছেন। ফলে স্থানীয়দের মাঝে দেখা দিয়েছে চাপা ক্ষোভ। ১০৫ বছর পুরনো এই চিকিৎসাকেন্দ্রটি ফের চালু করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, চাঁদপুর জেলার প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা পুরানবাজারের দরিদ্র ও অসহায় মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে একশ বছরের বেশি সময় আগে প্রতিষ্ঠা করা হয় পৌর দাতব্য চিকিৎসালয়টি।
ব্রিটিশ সরকার, পাকিস্তান সরকার এবং স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের শাসনামলে সগৌরবে এই প্রতিষ্ঠানটি নামমাত্র মূল্যে (২ টাকা) মানুষকে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ সরবরাহ করে আসছিল। সবশেষ চাঁদপুর পৌরসভার অর্থায়নে মাত্র ২ টাকার টিকিটে চিকিৎসা ও ওষুধ দিয়ে ‘মানবতার বাতিঘর’ হিসেবে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে ব্যাপক সুনাম কুড়ায় প্রতিষ্ঠানটি।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে ফি আছে, চিকিৎসা নেই!
হাবিবুর রহমানসহ (৭৫) স্থানীয় কয়েকজন বর্ষীয়ানের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম দিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিতে অস্ত্রোপচারসহ গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা দেওয়া হতো। পরবর্তীতে অর্থ সংকটে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকলেও পৌরসভার ২ জন স্বাস্থ্য সহকারী দিয়ে রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসার কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। এতে হতদরিদ্র মানুষের ছোটখাট অসুখের চিকিৎসার আশ্রয়স্থল হয়ে উঠে দাতব্য চিকিৎসালয়টি। দৈনিক প্রায় ৮০/৯০ জন রোগী এখানে সেবা নিতে আসতেন বলে জানান তারা।
তবে হঠাৎ করেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সংকটের কারণ দেখিয়ে গত মাসে চিকিৎসালয়টি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে দূর-দূরান্ত থেকে আসা হতদরিদ্র মানুষজন পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
৯২ দিন আগে
ডাক্তার দেখাতে সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনি কারাগার থেকে হাসপাতালে
গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দি সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকালে তাকে নিউরোলজির চিকিৎসক দেখাতে আনা হয়। চিকিৎসককে দেখানো শেষে পুনরায় তাকে কাশিমপুর মহিলা কারাগারে নেওয়া হয়েছে।
কাশিমপুর মহিলা কারাগারের জেল সুপার কাওয়ালীন নাহার জানান, জেল হাসপাতালের চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক দেখাতে নেওয়া হয়েছিল।
গত বছরের ১৯ আগস্ট রাজধানীর বারিধারা ডিওএইচএসের একটি বাসা থেকে ডা. দীপু মনিকে আটক করে ঢাকা মেট্রোপলিটনের ডিবি পুলিশ। তার বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডের অনেকগুলো মামলা রয়েছে।
১০৭ দিন আগে
শাহরাস্তিতে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতাল ভাঙচুর-তালাবদ্ধ
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে একটি প্রাইভেট হাসপাতালের চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি রোগী মৃত্যুর অভিযোগে হাসপাতালটি ভাঙচুর ও তালা লাগিয়ে দিয়েছেন মৃত রোগীর বিক্ষুব্ধ স্বজনরা।
শনিবার(২ আগস্ট) সকালে এ ঘটনাটি ঘটে উপজেলার ঠাকুরবাজারের শাহরাস্তি জেনারেল হাসপাতালে।
হাসপাতালটি তালাবদ্ধ থাকায় ভেতরে থাকা রোগী ও স্বজনরা মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েছেন দুপুর পর্যন্ত।খোঁজ নিয়ে জানান যায়, গত ২৬ জুন উপজেলার পূর্ব নিজমেহার কবিরাজ বাড়ির প্রবাসী দিদার হোসেনের সন্তান সম্ভবা স্ত্রী উম্মে হাসনা রিপাকে (২৯) এ হাসপাতালে সিজার অপারেশন করে সন্তান প্রসব করানো হয়। অপারেশন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবসরপ্রাপ্ত ডা. তানজিনা সুলতানা।
অপারেশন শেষে তাকে কেবিনে রাখা হয়। ৪ দিন পর ৩০ জুন ছাড়পত্র দিয়ে তাকে বাড়িতে পাঠানো হয়। তবে বাড়িতে যাবার কিছদিন পর ব্যথা কমার পরিবর্তে ব্যথা আরও বাড়তে থাকে। তীব্র থেকে তীব্রতর হয় ব্যথা। অবস্থার অবনতি হলে গত ১৫ জুলাই তাকে ফের এ হাপাতালেই ভর্তি করা হয়।
ওদিনই রাত ৯টায় কুমিল্লা টাওয়ার হাসপাতালে রেফার করা হলে জানা যায় ভুল চিকিৎসার কারণে রোগী রিপার মুত্রথলি কেটে ফেলেছেন। কয়েকদিন পরে তাকে রিলিজ দেয়া হয়। শুরু হয় রোগীর স্বজনদের দৌড়ঝাপ।
২৬ জুলাই ঢাকার পদ্মা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে রক্ত দেওয়া হয়। এরপর রিলিজ পেয়ে তাকে ২৯ জুলাই ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেলে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটায় মারা যান।
শনিবার সকালে তার লাশ এম্বুল্যন্সে করে শাহরাস্তিতে আনা হলে স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে শাহরাস্তি জেনারেল হাসপাতালটিতে হামলা চালান ও ভাঙচুর করে ও তালা লাগিয়ে দেয়। ভিতরে আটকা পড়ে যায় অন্যন্য রোগীরা ও তাদের স্বজনরা।
রোগীর স্বজনদের অভিযোগ ভুল চিকিৎসা কেনো করল? বিষয়টি গোপন করলই বা কেন?। একারণেই রোগীর রক্তক্ষরণ হয়েছে, রোগীকে বার বার রক্ত দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকের অবহলোর কারণেই রোগী মারা গেছেন।
আগেও এই হাসপাতালের চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় রোগী মারা গেছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী আরেক জন।
এ বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও হাসপাতালের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার ইউএনবিকে বলেন, ‘খবর পেয়ে দুপুরে আমরা পুলিশ সদস্যসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আকলিমা জাহান ইউএনবিকে বলেন, ‘এ ব্যাপারে এখনও কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
১২৪ দিন আগে
জরুরি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মধ্যরাতে হাসপাতালে খালেদা জিয়া
জরুরি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তাকে নিজ বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৩ জুলাই) দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
তিনি জানান, চিকিৎসা বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী গতকাল রাত রাত ১টা ৪৮ মিনিটে গুলশানের বাসা থেকে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন খালেদা জিয়া। সেখানে প্রায় ৩৫ মিনিট অবস্থানকালে তার কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়।
শায়রুল কবির খান বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন হাসপাতালে প্রায় ৩৫ মিনিট অবস্থান করেন এবং সেখানে কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করেন। পরে রাত ২টা ৫২ মিনিটে তাকে নিজ বাসায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, তার জন্য অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত চিকিৎসা বোর্ডের দেওয়া পরামর্শে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঐক্য ধরে রেখে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার আহ্বান খালেদা জিয়ার
তিনি বলেন, ‘চিকিৎসা বোর্ডের জরুরি ভিত্তিতে শারীরিক অবস্থা মূল্যায়নের প্রয়োজন হওয়ায় তাকে কিছু পরীক্ষা করাতে নেওয়া হয়েছিল।’
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে নানা জটিল শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন।
লন্ডনে চার মাসের উন্নত চিকিৎসা শেষে গত ৬ মে দেশে ফেরার পর থেকে তিনি নিজ বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডে এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরাও রয়েছেন।
লন্ডনে অবস্থানকালে তিনি লিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডির তত্ত্বাবধায়নে বিশেষায়িত চিকিৎসা নেন।
১৩৪ দিন আগে
হাসপাতালে জামায়াত আমিরকে দেখতে গেলেন ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধিদল
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাত দফা দাবিতে দলের জাতীয় সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপির প্রতিনিধি দল।
শনিবার(১৯ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে তাকে দেখতে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।
এসময় ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। তারা ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে কথা বলেন এবং তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।
ফখরুল বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জামায়াত আমিরের স্বাস্থ্যের বিষয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন এবং তার পক্ষ থেকে তাকে দেখতে যেতে বলেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘যেকোনো রাজনৈতিক নেতা অসুস্থ হলে তাকে দেখতে যাওয়া আমাদের রাজনৈতিক দায়িত্ব। এজন্যই আমরা এখানে জামায়াত আমিরের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি।’
তিনি ডা. শফিকুরের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে বলেন, ‘বর্তমান সংকটময় রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জামায়াত আমিরের দ্রুত সুস্থতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
সাক্ষাৎকালে জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারও উপস্থিত ছিলেন।
এসময় জামায়াতের একজন নেতা বিএনপির প্রতিনিধিদলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পড়ুন: দিন যত যাচ্ছে, পরিস্থিতি তত জটিল হচ্ছে: ফখরুল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়ার পর সন্ধ্যায় ডা. শফিকুর রহমানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দলের প্রেস উইং জানিয়েছে, ডা. শফিকুর রহমানের শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল, তার রক্তচাপ এবং সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তার দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে জামায়াত।
১৩৮ দিন আগে
কারাগার থেকে হাসপাতালে সাবেক মন্ত্রী ইমরান
সাবেক প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সকাল ১০টার দিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ওসমানী হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহকারী উপপরিদর্শক আলাউদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদকে হাসাতালে নিয়ে আসা হয়। তাকে পুলিশি নিরাপত্তায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: শ্বশুরকে হত্যার দায়ে জামাই ও তার ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড
গত বছরের ২১ অক্টোবর রাতে ঢাকার বনানী থেকে সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে সিলেটের একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। ওইদিন তিনটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এরপর থেকে তিনি সিলেট কারাগারে ছিলেন।
২০৪ দিন আগে
সবার জন্য উন্মুক্ত হলো চট্টগ্রামের রেলওয়ে হাসপাতাল
রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পোষ্যদের পাশাপাশি এবার সর্বস্তরের জনগণকেও চিকিৎসা সেবা দেবে চট্টগ্রামের রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতাল। সোমবার (২১ এপ্রিল) সচিবালয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
এখন থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে পরিচালিত হবে রেলওয়ের হাসপাতালগুলো। যে কারণে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সমঝোতা সই হওয়ার পর চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতালের নাম পরিবর্তন করে ‘রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতাল-চট্টগ্রাম’ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১, হাসপাতালে ৪৫
সম্প্রতি হাসপাতালটিতে ১৯ চিকিৎসক ও ৯ নার্স পদায়ন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। একইসাথে আনুষঙ্গিক চিকিৎসা সরঞ্জাম বৃদ্ধি ও সুবিধা সম্প্রসারণের মাধ্যমে রেল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পোষ্যদের পাশাপাশি জনসাধারণকেও চিকিৎসা সেবা দেওয়া শুরু করেছে।
হাসপাতালটিতে বর্তমানে অর্থপেডিক্স, গাইনি এন্ড অবস, মেডিসিন, চর্ম ও যৌন, কার্ডিওলজি, ইএনটি, ডেন্টাল ও সার্জারি সেবা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, ল্যাবরেটরি ও রেডিওলজির সেবাও রয়েছে। হাসপাতালের আউটডোর সার্ভিস সবার জন্য উন্মুক্ত রয়েছে। পর্যায়ক্রমে ইনডোর সার্ভিসও চালু হবে।
২০৭ দিন আগে
রাজধানীর হাসপাতাল থেকে গুলিবিদ্ধ ভারতীয় পাচারকারী আটক
চোরাচালানে জড়িত সন্দেহে ঢাকায় এক ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সোমবার (৫ মে) রাজধানীর মগবাজারের একটি হাসপাতাল থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক সুজন বর্মন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলার বটতলী গ্রামের মঙ্গল বর্মনের ছেলে। তিনি সীমান্তে সক্রিয় একটি চোরাচালান চক্রের সহায়তায় রবিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে অবৈধভাবে প্রবেশ করেন। অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। পরে বিজিবি হাসপাতালে তল্লাশি চালিয়ে তাকে আটক করে।
ঢাকায় বিজিবি সদর দপ্তর সূত্র জানায়, গুলিবিদ্ধ সুজন সিন্ডিকেটের সহায়তায় অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলে বিজিবির কাছে তথ্য ছিল।
ঘটনার পর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি নজরদারি ও তদন্ত কার্যক্রম জোরদার করে।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে হত্যা আসামিকে কুপিয়ে হত্যা
বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম জানান, তাদের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বিজিবির একটি টহল দল সোমবার দুপুরে মগবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুজনকে খুঁজে পায় এবং তাকে আটক করে।
পরে তাকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান বিজিবি কর্মকর্তারা।
২১৩ দিন আগে