চুক্তি স্বাক্ষর
ট্রানজিট সুবিধায় যানবাহন চলাচলে বাংলাদেশ-ভুটানের চুক্তি স্বাক্ষর
বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ট্রানজিট সুবিধায় যানবাহন চলাচলের বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বুধবার ভুটানের রাজধানী থিম্ফুতে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই যুগান্তকারী চুক্তি দুই দেশের মধ্যে অভিন্ন সমৃদ্ধির জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যকে সহজতর করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভুটান অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি সই
কয়েকটি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারে সম্মত বাংলাদেশ-ভুটান
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বীমা ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে: চীনা রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বীমা ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
রাষ্ট্রদূত লি বৃহস্পতিবার সিনোসফট কোম্পানি লিমিটেড ও বাংলাদেশ বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করেন।
বাংলাদেশ বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ জয়নুল বারী, প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. কামরুজ্জামান এবং সিনোসফট কোম্পানি লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সান জিজি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত লি বলেন, ‘এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের বীমা শিল্পের তথ্যায়ন ও ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করবে।’
আরও পড়ুন: বীমা সেবায় মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনুন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে যা বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তি সহযোগিতার আরেকটি বড় পদক্ষেপ।
রাষ্ট্রদূত আরও উল্লেখ করেন, চীনের জাতীয় পুনর্জাগরণের ‘চীনা স্বপ্ন’ ও বাংলাদেশের ‘সোনার বাংলা’ লক্ষ্যগুলো পরস্পর সম্পর্কযুক্ত।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ও ভিশন ২০৪১ পরিপ্রেক্ষিতে পরিকল্পনা আরও একীভূত হবে।
তিনি এই প্রকল্পের সাফল্য কামনা করেন এবং আশা করেন যে দুই দেশ প্রযুক্তি সহযোগিতা বাড়াতে এবং জনগণকে আরও ভালো সেবা প্রদানে একসঙ্গে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে চেষ্টা করছে চীন: রাষ্ট্রদূত লি জিমিং
জয়নুল বারী বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন বাণিজ্য, বিনিয়োগ, বড় প্রকল্প এবং প্রযুক্তিতে চীনের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন।
ঢাকায় চীনা দূতাবাস তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, বাংলাদেশের উন্নয়নে চীন অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে।
আরও পড়ুন: বীমার সুবিধা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
মোদি-সোলিহ বৈঠক, ৬ চুক্তি স্বাক্ষর
দিল্লিতে মঙ্গলবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং সফররত মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
মোদি প্রেসিডেন্ট সোলিহের সাথে তার যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা মালদ্বীপকে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি যাতে সমস্ত প্রকল্প সময়মত সম্পন্ন করা যায়।’
দুই নেতার মধ্যে বৈঠকের পর উভয় দেশ সাইবার নিরাপত্তা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং পুলিশ অবকাঠামো উন্নয়নের মতো ক্ষেত্রগুলোতে ছয়টি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
প্রেসিডেন্ট সোলিহ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মালদ্বীপ-ভারতের সম্পর্ক কূটনীতির বাইরে। এই সফর আমাদের দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধনের প্রতিশ্রুতি।’
আগের দিন ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালেয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে অংশীদারিত্ব, ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্কের দ্বারা আবদ্ধ’ উল্লেখ করে টুইট করেন।
এর আগে চারদিনের ভারত সফরে সোমবার দিল্লি পৌঁছেন প্রেসিডেন্ট সোলিহ। সফরে একটি উচ্চপর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল রয়েছে।
পড়ুন: ভারতে মাঙ্কিপক্সে প্রথমবারের মতো একজনের মৃত্যু
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভ্যানে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ১০
বাংলাদেশ-ব্রাজিলের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি স্বাক্ষর
বাংলাদেশ ও ব্রাজিল দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ব্রাজিলে সরকারি সফরে থাকা পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্লোস আল্বের্তো ফ্রাঙ্কো ফ্রান্সা এই চুক্তিতে সাক্ষর করেন।
এফবিসিসিয়াই’র সভাপতি জসীম উদ্দিনের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের একটি ব্যবসায়িক দল এবং বাংলাদেশ-ব্রাজিল চেম্বারের প্রতিনিধিরা প্রতিমন্ত্রী সফরসঙ্গী হয়েছেন।
সোমবার, প্রতিমন্ত্রী ব্রাসিলিয়ার রিও ব্র্যাঙ্কো ইনস্টিটিউটে (ব্রাজিল ফরেন সার্ভিসেস একাডেমি) প্রশিক্ষণার্থী কূটনীতিকদের উদ্দেশে বক্তৃতা দেন।
অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থী ছাড়াও ব্রাজিল সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা, ব্রাসিলিয়া অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনৈতিক কোরের সদস্য, ব্রাজিলীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা এবং ব্রাজিলের পররাষ্ট্র বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র এফইউএনএজি’র (আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গবেষণা ইনস্টিটিউট) সদস্যসহ প্রায় শতাধিক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কর্মী পাঠনোর বিষয়ে বাংলাদেশ ও গ্রিসের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত
ইনস্টিটিউট রিও ব্র্যাঙ্কো হল ব্রাজিলিয়ান এবং বিশ্বের অন্যান্য অংশের কূটনীতিকদের জন্য একটি ‘ইস্টাট অফ দ্য আর্ট’ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
স্বাধীনতা সংগ্রামের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কীভাবে জাতিকে মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার এবং পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তা তুলে ধরেন।
তিনি দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তর অর্থনৈতিক সাফল্যে বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক গুরুত্বের ভূমিকা বিশ্লেষণ করেন।
প্ধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাম্প্রতীক অভুতপূর্ব আর্থসামাজিক উন্নয়ন বর্ণনা করেন। রিও ব্রাঙ্কো ইনস্টিটিউটের নবীন প্রশিক্ষণার্থীদের সরকারের স্থিতিশীলতা, গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগ এবং নারীর ক্ষমতায়ন বাংলাদেশ আর্থসামাজিক উন্নয়নে কীভাবে ভূমিকা রেখেছে তা ব্যাখ্যা করেন। প্রতিমন্ত্রীর বক্তৃতা নবীন প্রশিক্ষনার্থীদের মধ্যে যে মুগ্ধতা ছড়িয়ে দেয় তা প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রতীয়মান হয়।
প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি এবং রিও ব্র্যাঙ্কো ইনস্টিটিউট (ব্রাজিল ফরেন সার্ভিস একাডেমি)- এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করেন। ব্রাজিলে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা এবং রাষ্ট্রদূত গ্লিভানিয়া মারিয়া অলিভেইরা, পরিচালক- রিও ব্র্যাঙ্কো- এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।
ইন্টারেক্টিভ সেশনের পর, প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি এবং ইনস্টিটিউট রিও ব্র্যাঙ্কো (ব্রাজিল ফরেন সার্ভিস একাডেমি), বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুন্নেসা এবং রাষ্ট্রদূত গ্লিভানিয়া মারিয়া অলিভেইরা, রিওর পরিচালকের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করেন। ব্র্যাঙ্কো তাদের নিজেদের পক্ষ থেকে এমওইউ স্বাক্ষর করেছে।
চীন থেকে ৩১৮ কোটি টাকায় ৫৮০ ওয়াগন কিনছে রেলওয়ে
চীন থেকে ৩১৮ কোটি ৬৩ লাখ ৩৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ৫৮০ মিটারগেজ ওয়াগন কিনছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এ লক্ষ্যে মঙ্গলবার দেশটির একটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী সিআরআরসি শানডং কোম্পানি লিমিটেড ১৮ থেকে ৩০ মাসের মধ্যে ওয়াগনগুলো সরবরাহ করবে।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ‘রেলকে বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসেবে বর্তমান রেলওয়েকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। কারণ বর্তমান সরকারের লক্ষ্য টেকসই উন্নয়ন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের আত্মনির্ভরশীল, মর্যাদাকর দেশ গঠন করার লক্ষ্যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি জনগণের কথা মাথায় রেখে সুদূরপ্রসারি চিন্তা থেকে রেলওয়েকে আলাদা মন্ত্রণালয় করে দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: ভারতের সাথে সাতটি চুক্তি, প্রটোকল ও সমঝোতা সই
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘রেলের সামর্থ্য বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। একটি ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে রেলকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে ।’
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘সারাদেশের রেল যোগাযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে অনেক প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। দেশের বিভিন্ন বন্দরের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপিতের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ভারতের সঙ্গে ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্টের মধ্যে বর্তমানে পাঁচটি চালু করা হয়েছে আরও তিনটি চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘খুলনার সঙ্গে মোংলা পোর্টে যোগাযোগ স্থাপিত হচ্ছে। আগামী বছর ডিসেম্বরে কক্সবাজার রেললাইন চালুর লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে চলছে। পর্যায়ক্রমে সকল মিটারগেজকে ব্রডগেজ এ রূপান্তর করা হবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভুটান অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি সই
চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক মো. মিজানুর রহমান ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিআরআরসি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ডাই জিয়েন স্বাক্ষর করেন।
এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উন্নয়ন প্রকল্পে বাংলাদেশকে ৩৩০ মিলিয়ন দেবে ফ্রান্স, ৩ চুক্তি স্বাক্ষর
উন্নয়ন প্রকল্পে সহায়তার জন্য বাংলাদেশকে ৩৩০ মিলিয়ন ইউরো দেবে ফ্রান্স। বাংলাদেশ ও ফ্রান্স এই বিষয়ে তিনটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
৩৩০ মিলিয়ন ইউরোর মধ্যে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় আর্থিক সহায়তার জন্য ২০০ মিলিয়ন ইউরো দেবে এজেন্সি ফ্রান্স ডেভলোপমেন্ট (এএফডি)। এছাড়া ঢাকা এনভায়রনমেন্টালি সাসটেইনেবল ওয়াটার সাপ্লাই প্রজেক্টের জন্য দেবে ১৩০ মিলিয়ন ইউরো। এই প্রজেক্টের কাজ চলমান রয়েছে।
বুধবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সঙ্কটে ফ্রান্স বাংলাদেশের পাশে থাকবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, এই ৩৩০ মিলিয়ন ইউরো নিয়ে বাংলাদেশকে এএফডি’র দেয়া মোট সহায়তা এক বিলিয়ন ইউরো ছাড়াল। এর আগে সংস্থাটি ৮০০ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা দিয়েছিল।
ফাতিমা ইয়াসমিন বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় এএফডি’র সবচেয়ে বেশি সহায়তাপ্রাপ্ত দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ।
ইআরডি সচিব বলেন, আগামীতে ফ্রান্সের সাথে হোস্ট কান্ট্রি চুক্তি স্বাক্ষর করবে বাংলাদেশ। বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ২০ লাখ ডোজ টিকা উপহার দেবে ফ্রান্স: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বেসামরিক বিমানপরিবহন ও পর্যটন সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন বলেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ তাদের কর্মচারিদের অভিজ্ঞতা বিনিময় ও প্রশিক্ষণের সহযোগিতা জোরদারে ফ্রান্সের বেসামরিক বিমানপরিবহন কর্তৃপক্ষের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
পর্যটন সচিব বলেন, ফ্রান্স বিমান পরিবহন নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনে সহায়তা করছে।যেটা কিনা বাংলাদেশ বেসামরিক বিমানপরিবহন খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
ডেকো ইশো গ্রুপের সঙ্গে ফসল ডট কমের চুক্তি স্বাক্ষর
দেশের শীর্ষ স্থানীয় প্রতিষ্ঠান, ডেকো ইশো গ্রুপ সম্প্রতি এগ্রিটেক স্টার্টআপ, ফসল ডট কমের সঙ্গে আর্থিক এবং কৌশলগত মূলধন বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
ফসল ডট কম দেশের সবজি ও ফল-ফলাদি সরবরাহের পুরনো ব্যবস্থা পরিবর্তন করে প্রযুক্তি ও ডেটা ব্যবহারের মাধ্যমে একটি আধুনিক ডিজিটাল সাপ্লাই চেইন প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে কাজ করছে। উক্ত চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডেকো গ্রুপের পরিচালক প্রত্যয় হোসেন ও ফসল ডট কমের প্রতিষ্ঠাতা সাকিব হোসেন।
উক্ত বিনিয়োগ চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে ডেকো গ্রুপের পরিচালক প্রত্যয় হোসেন বলেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তার অভাব আমাদের সময়ের সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক সংকট এবং ফসল এই সমস্যা সমাধানে লক্ষ্যে ব্যাপকভাবে কাজ করছে। আশা করা যায়, একদিন বিশ্বব্যাপী এই বিষয়ে ফসল ডট কম ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সক্ষম হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তাদের প্রচেষ্টার অংশ হতে পেরে গর্বিত এবং আগামী প্রজন্মের পৃথিবী তৈরির প্রচেষ্টায় দীর্ঘদিন ধরে একসাথে কাজ করার আশা করছি।’
আরও পড়ুন: বিমান চলাচল চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব সুইজারল্যান্ডের
দেশে সিনোফার্ম টিকার যৌথ উৎপাদনে চুক্তি স্বাক্ষর
দেশে যৌথভাবে টিকা উৎপাদনে চীনের সিনোফার্ম, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের মধ্যে এক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
সোমবার (১৬ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান অ্যান্ড সার্জন (বিসিপিএস) মিলনায়তনে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ইনসেপ্টা চীন থেকে টিকার মূল ওষুধ দেশে নিয়ে আসবে এবং দেশে বোতলজাত এবং মোড়কীকরণের কাজ সম্পন্ন করে পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত করবে।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এবং ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুল মুক্তাদির উপস্থিত ছিলেন।
ড. মোমেন বলেন, এটা অংশীদারিত্বের দারুণ উদাহরণ।
তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারির শুরু থেকেই দুই দেশ একে অপরকে সহযোগিতা করেছে। টিকার যৌথ উৎপাদনে চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় আমরা চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।’
ড. মোমেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রশংসা করে বলেন, আমরা একটি দল হিসেবে কাজ করছি। আমি মনে করি আমরা অন্যান্য অনেক দেশের চেয়ে ভালো করেছি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, এটি একটি মাইলফলক এবং টিকা যৌথ উৎপাদনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে চলেছে।
তিনি বলেন, এটি চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক এবং সহযোগিতা জোরদার করবে।
চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশে কোভিড-১৯ টিকা উৎপাদনের বিষয়ে সমঝোতা স্বাক্ষর করার জন্য আমি অভিনন্দন জানাই। উভয় পক্ষ অনেক কঠোর পরিশ্রম করেছে এবং উভয় সরকারই এই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়েছে।
চীনা দূত বলেন, টিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে চীন বাংলাদেশের অন্যতম নির্ভরযোগ্য অংশীদার।
আরও পড়ুন: টিকা নিয়ে সমালোচনা শাস্তিযোগ্য অপরাধ: তথ্যমন্ত্রী
চট্টগ্রামে টিকা নিতে ভিড়, সংক্রমণ ঝুঁকি বাড়ছে
খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানলেন ওয়েন রুনি
ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপ ক্লাব ডার্বি কাউন্টির পূর্ণকালীন কোচ হিসেবে নাম লেখানোর মধ্য দিয়ে খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানলেন ওয়েইন রুনি।
ইভ্যালির সাথে রয়েল টিউলিপ সি পার্ল রিসোর্টের চুক্তি
দেশীয় ই-কমার্স প্লাটফর্ম ইভ্যালির সাথে কক্সবাজারের বিলাসবহুল পাঁচ তারকা হোটেল রয়েল টিউলিপ সি পার্ল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।