শিয়ালের কামড়
চাঁদপুরে শিয়ালের কামড়ে আহত ১০
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে শিয়ালের কামড়ে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শনিবার (২৮ জুন) ভোরে হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের ফুলছোঁয়া গ্রামের বেপারীসংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, গ্রামের একটি নির্জন জঙ্গলে মাটির গর্তে ১৫ থেকে ২০টি শিয়ালের একটি বাসা রয়েছে। সেখান থেকে শনিবার ভোরের দিকে দুটি শিয়াল বেরিয়ে এসে পাশের কয়েকটি বাড়িতে ঢুকে কামড়াতে শুরু করে। এতে ১০ জন আহত হন, যাদের মধ্যে দুজনকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
গ্রামবাসীর ধারণা, শিয়াল দুটি ক্ষুধার্ত ছিল বলেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ভিমরুলের কামড়ে স্বামীর মৃত্যু, স্ত্রী আইসিইউতে
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য কালাম বেপারী ও কবির হোসেন মোল্লা ইউএনবিকে জানান, ভোরে লোকজন ঘুম থেকে উঠে বাইরে আসার পর, রাস্তায় থাকা দুটি শিয়াল একত্র হয়ে যাকে সামনে পেয়েছে তাকেই হঠাৎ করে কামড়ে দিয়েছে। অনেকে হাতে পাওয়া লাঠিসোটা দিয়ে প্রতিহত করে রক্ষা পান।
কালাম বেপারীর দেওয়া তথ্যমতে আহতদের মধ্যে আছেন— বেপারী বাড়ির মৃত গফুর বেপারীর ছেলে বারেক বেপারী (৬০), মহসিনের ছেলে রনি (২০), কালাম বেপারীর ছেলে জসিম বেপারী (৩০), মৃত শাহালমের ছেলে রেহান (২০), রাজ্জাক বেপারীর ছেলে হাছান বেপারী (১৫), পণ্ডিত বাড়ির মিজির ছেলে রুবেল (৪০), মৃত লতিফ বেপারীর ছেলে আবু তাহের (৪০), আবু মিয়ার ছেলে লতিফ, রুহুল আমিনের ছেলে রুবেলসহ আরও কয়েকজন।
আরেক ইউপি সদস্য আবু তাহের বলেন, ‘শিয়ালের কামড়ে বারেক বেপারীর অবস্থা একটু বেশি খারাপ। বন্যপ্রাণী আইন রক্ষা করে কীভাবে শিয়াল প্রতিহত করা যায়, তা নিয়ে আমরা গ্রামবাসী মিলে চিন্তা করছি।’
এ বিষয়ে উপজেলা বন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, ‘শিয়াল ধরে বনে ছেড়ে দেওয়া আমাদের কাজ। কিন্তু জনবল না থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না। তবে স্থানীয়রা শিয়াল ধরে দিলে আমরা বনে অবমুক্ত করে দেব।’
হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন জানান, তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
১৫৯ দিন আগে
শিয়ালের কামড়ে মাগুরায় আহত ৫
মাগুরার মহম্মদপুরে শিয়ালের কামড়ে দুই দিনে ছয় জন আহত হয়ে তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে তাৎক্ষিণভাবে আহত সবার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
সম্প্রতি উপজেলার চরঝামা এবং আড়মাঝি গ্রামের এই ঘটনা ঘটে।
আহত দুজন হলেন- উপজেলার চরঝামা গ্রামের খোকন মিয়া (৫০) এবং আড়মাঝি গ্রামের ফরিদ মোল্যা (৬৫)।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে কুকুড়ের কামড়ে আহত ২৩
মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, সোমবার উপজেলার চরঝামা গ্রামের খোকন মিয়া এবং আড়মাঝি গ্রামের ফরিদ মোল্যা শিয়ালের কামড় খেয়ে চিকিৎসার জন্যে হাসপাতালে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হন। এর আগে আরও চার জন শেয়ালে কামড় খেয়ে হাসপাতালে আসেন।
আহতরা জানিয়েছেন, খেতে কাজ করতে গেলে দলবেধে শিয়াল তাদের ওপর হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: আখাউড়ায় কুকুরের কামড়ে নারী-শিশুসহ আহত ১২
মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মকছেদুল মোমিন জানান, শিয়ালের কামড়ে আহত প্রত্যেককে হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিন নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
১২৫৬ দিন আগে
শিয়ালের কামড়ে শিশুসহ আহত ১৭
চাঁদপুরের মতলবে শিয়ালের কামড়ে শিশুসহ ১৭ জন আহত হয়েছে। শনিবার উপজেলার নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়নের আধারা ও পাশের কানাছোঁয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানান, সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত আধারা ও পাশ্ববর্তী কানাছোঁয়া গ্রামে শিশুসহ কমপক্ষে ১৭ জন শিয়ালের কামড়ে আহত হয়েছেন। আহতরা মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পাশ্ববর্তী গৌরীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, আহতদের মধ্যে আধারা গ্রামের কামরুল ইসলামের মেয়ে লামিয়া (৫) ও সদ্যসমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ইউপি সদস্য প্রার্থী মামুনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে কুকুরের কামড়ে আহত ২০
তারা ঢাকা মহাখালী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে স্বজনরা নিশ্চিত করেছেন।
অন্য আহতরা হলেন- আধারা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. মতিনের স্ত্রী ও তার ভাইয়ের স্ত্রী, আধারা উচ্চ বিদ্যালয়ের নাইটগার্ড শাহজাহান, বাচ্চু মিয়া, মোবারক ও তার ছেলের বউ, শফিকের স্ত্রী, দুলাল প্রধানের স্ত্রী, মৃত কফিল উদ্দিন হাজীর ছেলে শাহজাহান, দাউদকান্দি উপজেলার কানাচোয়া গ্রামের শরিফ প্রধানের স্ত্রী খাদিজা ও হাসানুর রহমানের স্ত্রী আম্বিয়া খাতুনসহ অন্যান্যরা।
আরও পড়ুন: আখাউড়ায় কুকুরের কামড়ে নারী-শিশুসহ আহত ১২
আধারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রিফাত গাজী জানান, শিয়ালের কামড়ে আমার স্কুলের নাইট গার্ড আহত হয়েছেন। এছাড়াও এলাকার অনেকেই আহত হয়েছেন। শিয়ালের কারণে এলাকায় এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে জেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম জানান, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার্থে এসব প্রাণীদের মেরে ফেলা উচিত না। এদের সংরক্ষণ করা উচিত।
১৪৬১ দিন আগে