কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামে তালাবদ্ধ ঘর আগুনে পুড়ে শিশুর মৃত্যু
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে একটি বাড়ির ৫টি ঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ সময় ঘরের ভিতর তালাবদ্ধ থাকা আইরিন নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের পশ্চিম সুখদেব গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আগুনে নিহত শিশু আইরিন (৫) ওই গ্রামের আলামিনের মেয়ে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় রান্না করতে গিয়ে আগুনে প্রাণ গেল গৃহবধূর
ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ জানায়, বাড়ির মালিক আলামিনের পরিবার শিশু আইরিনকে ঘরে তালাবদ্ধ রেখে বাড়ির পাশের এলাকায় ওয়াজ মাহফিলে যায়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই বাড়িতে আগুন লাগলে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়।
ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগে বাড়িটির সবগুলো ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ সময় ঘরে থাকা ৫ বছরের শিশু আইরিন আগুনে পুড়ে নিহত হয়।
রাজারহাট ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আবু তাহের জানান, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই বাড়ির ৪টি ঘর ও একটি রান্না ঘর পড়ে যায়। এ সময় ঘরে তালাবদ্ধ থাকা শিশু আইরিন আগুনে পুড়ে মারা যায়। আইরিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বৈদ্যুতিক সট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণ করছে ফায়ার সার্ভিস।
রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তসলিম উদ্দিন জানান, শিশুটির লাশ দাফনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
২ দিন আগে
কুড়িগ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মো. বেলাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে খাস জমি দখল নিয়ে বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের টোঙ্গার কুটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বেলাল হোসেন বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের মৃত আব্দুল গফুর উদ্দিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ২০ জন আহত, ২৫ বাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট
স্থানীয়রা জানান, ২০ শতাংশ খাস জমি নিয়ে একই এলাকার আব্দুল জব্বার ও আব্দুল হাকিমের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে সকালে দুই পক্ষ খাস জমি দখলের চেষ্টা করলে সংঘর্ষ লেগে যায়। সংঘর্ষে বেলাল আহত হলে রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে মারা যান।
রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তছলিম উদ্দিন বলেন, ‘নিহত বেলাল হোসেনের সুরতহাল রিপোর্ট করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। পাশাপাশি পুলিশের অভিযানও চলমান।’
৬ দিন আগে
কুড়িগ্রামে যুবলীগ নেতা হাসেম আলী গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় যুবলীগ নেতা হাসেম আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বকুলতলা বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ফুলবাড়ী থানা পুলিশের একটি দল।
হাসেম আলী উপজেলার কিশামত শিমুলবাড়ী এলাকার স্বরে মামুদের ছেলে ও নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সভাপতি।
আরও পড়ুন: ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু, বাসচালক গ্রেপ্তার
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশীদ জানান, শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন হাসেম আলী। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং শুক্রবার কুড়িগ্রাম কারাগারে পাঠানো হবে।
১ মাস আগে
কুড়িগ্রামে মেঘলা আকাশে হারিয়েছে সূর্য, কুয়াশার রাজত্ব!
শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের মানুষ। গত ২৪ ঘন্টায় তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও শীতের তীব্রতা একটুও কমেনি। কুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাসের দাপটে শীতকষ্টে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। গত দু'দিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যেরও।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। এর আগে বুধবার তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কনকনে ঠান্ডায় সবচেয়ে বেশি ভুগছেন হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী মানুষরা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না, কারণ দিনের বেলা সূর্যের কোনো উত্তাপ নেই এবং হিমেল বাতাসের কারণে ঠান্ডা আরও তীব্র অনুভূত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে কাহিল কুড়িগ্রামের মানুষ
এদিকে শীত নিবারনে জেলার ৯ উপজেলায় ৪৯ লাখ টাকা ও ১২ হাজার কম্বল বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। তা বিতরণ চলমান।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, গত দেড় মাস ধরে এই অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ওঠানামা করছে। এই মাসের মধ্যে ২ থেকে ৩টি শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে, যা শীতের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
আরও পড়ুন: হিমেল বাতাসের দাপটে নওগাঁয় থমকে দাঁড়িয়েছে জনজীবন
১ মাস আগে
কুড়িগ্রামে অগ্নিকাণ্ডে নারীর মৃত্যু
কুড়িগ্রামের উলিপুরে বসতঘরে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে সাহেরা বেওয়া নামে এক বৃদ্ধা নারীর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার বজরা ইউনিয়নের চাদনী মধ্য বজরা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত সাহেরা বেওয়া ওই এলাকার মৃত কায়ছার আলীর স্ত্রী। তিনি প্যারালাইসিসের রোগী ছিলেন, স্বাভাবিকভাবে হাঁটাচলা করতে পারেতেন না।
প্রতিবেশিরা জানান, সাহেরা বড় ছেলে ভ্যানচালক মোখলেছার রহমানের বাড়িতে থাকতেন। শনিবার রাতে তাকে ঘরে একলা রেখে বাড়ির সবাই ওয়াজ মাহফিলে যান। এ সময় আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডে সাহেরা ঘরে আটকা পড়ে দগ্ধ হয়ে মারা যান। গ্রামে লোকজন কম থাকায় ও ওয়াজ মাহফিলের শব্দের কারণে কেউ কিছু বুঝতে পারেনি। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্বাস আলী বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। ততক্ষণে বৃদ্ধার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে তিনজনের লাশ উদ্ধার
প্রাথমিক তদন্তে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণার কথাও জানান ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত ওই কর্মকর্তা।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের তথ্য মতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।
১ মাস আগে
কুড়িগ্রামে ট্রাকচাপায় মা-মেয়ে নিহত
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ট্রাকচাপায় অটোরিকশার যাত্রী মা ও মেয়ে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর সড়কের ঘুন্টিঘর এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- ভূরুঙ্গামারীর বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের মাহিগঞ্জ চান্দনীয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী মোমেনা বেগম ও মেয়ে মুন্নী আক্তার।
স্থানীয়রা জানান, অটোরিকশাটি যাত্রী নিয়ে ভুরুঙ্গামারীর দিকে যাওয়ার সময় সোনাহাট স্থলবন্দরগামী একটি ট্রাকের চাপায় দুমড়ে মুচড়ে যায়। এ সময় ভেতরে থাকা যাত্রীরা আহত হলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মুন্নিকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রাক-পিকআপ-মাইক্রোবাসের ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ৩
আহতদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাদের রংপুর স্থানান্তর করা হলে সেখানে যাওয়ার পথে মোমেনা বেগমের মৃত্যু হয়।
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনিরুল ইসলাম বলেন, লাশগুলোর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘাতক ট্রাকটি আটক করা হলেও ট্রাকের ড্রাইভার পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২ মাস আগে
কুড়িগ্রামে শীতের দাপটে জনজীবনে ভোগান্তি, শীতবস্ত্রের দাবি নিম্ন আয়ের মানুষের
কুড়িগ্রামে শীতের তীব্র দাপট ও কুয়াশায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা থাকছে পথঘাট ও প্রকৃতি। এ অবস্থায় শীত বস্ত্রের অভাবে কষ্টে পড়েছে হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের মানুষ।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্র রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হিমেল বাতাস ও ঘন কুয়াশায় বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষজন। তীব্র শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বের হতে হচ্ছে তাদের।
এদিকে দিনের অধিকাংশ সময় সূর্য মেঘের আড়ালেই থাকছে। সূর্যের উত্তাপ না থাকায় হিমেল বাতাসে নিম্নগামী হতে থাকে তাপমাত্রা। এ সময় তীব্র শীত অনুভূত হতে থাকে। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, আসছে শৈত্যপ্রবাহ
এছাড়া চরম ভোগান্তিতে পড়েছে জেলার তিন শতাধিক চর ও দ্বীপচরের হতদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের জগমোহন বলেন, ‘ ঠান্ডায় খুব কষ্টে আছি। কাজও করতে পারছি না সময় মতো। সোমবার থেকে ঠান্ডার কারণে ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। আবার রাতেও বিছানায় খুব কষ্ট হয়। আমরা তো গরিব মানুষ ২ থেকে ১টা কম্বল পাইলে খুব উপকার হতো।’
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘গত ১৫ দিন ধরে এই অঞ্চলের তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠা-নামা করছে। এ মাসের মাঝামাঝি নাগাদ শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ফুটপাতে জমে উঠেছে শীতের পোশাক বিক্রি
২ মাস আগে
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদে অবৈধভাবে মাছ ধরার সময় ৬ জেলে আটক
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের বড়ভিটার চর এলাকায় ইলেকট্রিক শক মেশিন দিয়ে মাছ ধরার সময় ছয় জেলেকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় দুটি ইলেকট্রিক মেশিন জব্দ করা হয়েছে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকালে আটক জেলেদের চিলমারী মডেল থানায় হস্তান্তর করেছে নৌবন্দর থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশের পরিদর্শক ইমতিয়াজ কবির।
আরও পড়ুন: নৌকাসহ ১৮ বাংলাদেশি জেলেকে আটক করেছে মিয়ানমার
আটকরা হলেন- চিলমারী উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ ওয়ারী এলাকার শ্রী শ্রী মিলন চন্দ্র দাশ (৪১), নয়ন চন্দ্র দাশ (৩২), একই ইউনিয়নের ফকিরেরভিটা এলাকার মিলন মিয়া (৩৫) ওই ইউনিয়নের শিমুলতলি বাধ এলাকার আবু বকর সিদ্দিক (২৪) ফকিরেরভিটা এলাকার সাদ্দামসহ (৩০) ফুলবাড়ী উপজেলার দক্ষিণ বড়ভিটা জেলে পাড়া এলাকার শ্রী চন্দন কুমার বিশ্বাস (৩২)।
এর আগে রবিবার (১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ব্রহ্মপুত্র নদে অভিযান চালিয়ে ছয়জন জেলেকে আটক করে। এ সময় মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত দুইটি মেশিনও জব্দ করা হয়।
চিলমারী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুস সাকিব সজীব জানান, আটক ছয় জেলের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন। মামলা সম্পন্ন হলে আসামিদের কুড়িগ্রাম আদালতে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৬ জেলেকে আটক
২ মাস আগে
ঘন কুয়াশায় ঢেকেছে কুড়িগ্রামের জনপদ, তাপমাত্রা ১৫. ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস
কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা আরও কমায় বাড়ছে শীতের তীব্রতা। শীতের সঙ্গে ঘন কুয়াশায় জবুথবু হয়ে পড়েছে পথঘাট ও প্রকৃতি। গত এক সপ্তাহ ধরে ১৭ ডিগ্রি থেকে ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে তাপমাত্রা।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৭টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিনের বেলা তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও মধ্যে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঠান্ডা অনুভূত হতে থাকে। এ সময় ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে পুরো এলাকা।
শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলো হেড-লাইট জ্বালিয়ে বিলম্বে যাতায়াত করছে।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
আরও পড়ুন: তাপমাত্রা কমেছে, শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা
অন্যদিকে, কুয়াশা ও শীতের কারণে ক্ষেতমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো বিপাকে পড়েছেন। তারা সময় মতো কাজে যেতে পারছেন না। অপর দিকে, শীতের কবলে পড়েছে নদ-নদী তীরবর্তী ৪০৫টি চর ও দ্বীপ চরের হত দরিদ্র মানুষগুলো।
কুড়িগ্রাম সদরের ঘোগাদহের রুহুল আমিন (৪০)বলেন, ৫ থেকে ৬ দিন ধরে শীত ও ঠান্ডা অনেক বাড়ছে। রাতে বৃষ্টির মতো পড়তে থাকে কুয়াশা। ঠান্ডা ও শীতের কারণে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। তার পরেও সকালে কাজের জন্য বের হয়েছি। কাজ না করলে তো আর সংসার চলবে না।
ওই এলাকার দিনমজুর আবু বক্কর (৫২)বলেন, আজ খুব কুয়াশা পড়ছে। মানুষ ঘুম থেকে না উঠতেই আমরা কাজের জন্য বের হয়েছি। যতই শীত বা ঠান্ডা হোক না কেন, কাজ ছাড়া কোনো উপায় নাই আমাদের।
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, চলতি মাসের শেষে অথবা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হিমেল বাতাস বইতে পারে। তখন ঠান্ডার তীব্রতা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে কমছে তাপমাত্রা, বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতের তীব্রতা
২ মাস আগে
কুড়িগ্রামে কমছে তাপমাত্রা, বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতের তীব্রতা
কুড়িগ্রামে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমতে থাকায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এ অবস্থায় দুর্ভোগে পড়েছেন এ অঞ্চলের শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষজন। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে থাকছে বিস্তীর্ণ এলাকা। শীত ও ঘনকুয়াশার কারণে বিভিন্ন রুটে যানবাহনগুলো বিলম্বে যাতায়াত করছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ৭টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত কুয়াশার কারণে সকাল ৯টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। পরে দিনের বেলা তাপমাত্রার কিছুটা বৃদ্ধি পায়। তবে মধ্যরাত থেকে শীতের তীব্রতা অনুভূত হতে থাকে।
শীতের কারণে হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে সর্দি,জ্বর,শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
আরও পড়ুন: তাপমাত্রা কমেছে, শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা
কুড়িগ্রাম সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাঠের পাড় এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, ‘দুইদিন থেকে শীত ও ঠান্ডা অনেকটা বাড়ছে। সারারাত বৃষ্টির মতো পড়তে থাকে কুয়াশা। ঠান্ডা ও শীতের কারণে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে।’
ওই ইউনিয়নের রিকশা চালক রহমত বলেন, ‘সকালে যখন গাড়ি চালাই, তখন কুয়াশার কারণে রাস্তা দেখা যায় না। লাইট জ্বালিয়ে চালাতে হয়। এখনি যে কুয়াশা, কয়দিন পরে কি হবে।’
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘বর্তমানে শীতের সঙ্গে ঠান্ডার প্রকোপ কম থাকলেও আগামী সপ্তাহে হিমেল হাওয়া শুরু হতে পারে তখন আরও নিম্নগামী হতে পারে জেলার তাপমাত্রা।’
আরও পড়ুন: কম খরচে শীতকালীন ফসলের জাতভেদে ফলন বাড়ানো সম্ভব: বাকৃবি অধ্যাপক হারুন
২ মাস আগে