বিশেষ সম্মাননা
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক মেশিনারী মেলায় বাংলাদেশকে বিশেষ সম্মাননা
কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে দ্বিতীয় বারের মতো মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক মেশিনারী মেলায় অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশ।
শনিবার (১২ জুলাই) মেলায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়।
মালয়েশিয়া প্রোমাস ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস সোসাইটি এবং ই এস ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এ মেলা আয়োজন করে।
মালয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন সেন্টারে ১০ থেকে ১২ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত চলমান এই মেলায় বাংলাদেশসহ ১০টি দেশের ৪৫০টির বেশি প্রতিষ্ঠান ৭৫৩টি বুথে অংশ নিচ্ছে।
অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দেশসমূহ হলো চীন, কোরিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, ভারত, জাপান এবং ইরান।
শুক্রবার (১১ জুলাই) মালয়েশিয়ার প্লান্টেশন ও কমোডিটিস মন্ত্রী ওয়াইবি দাতুক সেরি জোহারি বিন আবদুল গনি আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার উদ্বোধন করেন।
আজ মেলার শেষদিন শনিবার (১২ জুলাই) মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান আয়োজকদের আমন্ত্রণে বিজনেস ম্যাচিং অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত থেকে বাংলাদেশে সম্ভাবনাময় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে উপস্থিত ব্যবসায়িক চেম্বারের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন।
এ সময় মেলায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশকে দেওয়া বিশেষ সম্মাননা গ্রহণ করেন হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান।
অনুষ্ঠানে গুয়াংডং ফুড অ্যান্ড প্যাকেজিং মেশিনারি ট্রেডস এসোসিয়েশন, পেনাং ইমপোর্টার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন, তেওচিউ মার্চেন্টস এসোসিয়েশন পেনাং, মালয়েশিয়া পেনাং এলিট ওমেনপ্রেনারস এসোসিয়েশন এবং দেওয়ান পারনিয়াগান উসাহাওয়ান মালয়েশিয়া এর সদস্যসহ মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পরবর্তীতে, অন্যান্য অতিথিসহ হাইকমিশনার মেলার অন্যান্য স্টলসহ বাংলাদেশের দুটি স্টল পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি বাংলাদেশ হাইকমিশনের স্টলে আগত ব্যবসায়ী ও দর্শনার্থীদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন।
বাংলাদেশের দুটি স্টলে প্রাণ-আরএফএল এর প্লাস্টিক পণ্য, দুরন্ত বাইসাইকেল, ট্রাভেলো লাগেজ, গুডলাক স্টেশনারি, উইনার ক্লোথিং এবং ভিশন ইলেকট্রনিকস সামগ্রী ছাড়াও হাইকমিশনের পক্ষ থেকে চামড়াজাত পণ্য, পাটপণ্য, হস্তশিল্প এবং এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকাশনা প্রদর্শিত হচ্ছে।
এছাড়াও, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প, প্লাস্টিক শিল্প, প্যাকেজিং শিল্প, বাংলাদেশে ব্যবসা-বিনিয়োগ সংক্রান্ত নানা ধরনের প্রকাশনা, পর্যটন ও বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা বিষয়ে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে। মেলা উদ্বোধনের দিন থেকেই বাংলাদেশি স্টলগুলোতে বিদেশি ব্যবসায়ীসহ দর্শনার্থীদের ভীড় এবং প্রদর্শিত বাংলাদেশি পণ্যসমূহ সম্পর্কে ইতিবাচক আগ্রহ দেখা গেছে।
ঢাকাস্থ এলিয়েন্ট লিমিটেড প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ড্রাস্ট্রি মালিক সমিতির সদস্য প্রতিষ্ঠান— রাজু ইঞ্জিনিয়ারিং, নওগাঁ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ, নওগাঁ ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, সুইস বায়োহাইজেনিক ইকু্পমেন্টস লিমিটেড, মেশিনঘর ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, সাত্তার মেটাল ইন্ডাস্ট্রিস, রিপন মেটাল ইন্ডাস্ট্রিস, রেলেক্স মেটাল ইন্ডাস্ট্রিস, ফেয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস এবং এর তথ্যবহুল প্রকাশনা ও তথ্যচিত্র এবং বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি’র (বিপিজিমইএ) সদস্য প্রতিষ্ঠান আকিজ প্লাস্টিকস, জিহান প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিস এবং আমান টয় ইন্ডাস্ট্রিস’র বহুমুখী প্লাস্টিক পণ্যসামগ্রী সংগ্রহ করে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট শিল্পসমূহ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য বাংলাদেশ হাইকমিশনের স্টলে আগত দর্শনার্থীদের মাঝে তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের। এছাড়া, মালয়েশিয়া বাংলাদেশে বিশ্বের নবম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ।
১৪৫ দিন আগে
যুক্তরাজ্যের চ্যানেল এসের বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পেলেন সাঈদা মুনা তাসনীম
যুক্তরাজ্যের অন্যতম প্রধান ও জনপ্রিয় কমিউনিটি টেলিভিশন ‘চ্যানেল এস’র বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পেলেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনীম।
চ্যানেল এসের ১৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের গৌরবোজ্জল বিজয়ের ৫২তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর লন্ডনে বিশেষ অনুষ্ঠানে তাকে এই বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: স্যুট অ্যাওয়ার্ডের বর্ষসেরার সম্মাননা পেলেন দারাজের সিসিএও-সিওও
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে বাংলাদেশের মর্যাদা ও গুরুত্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের জন্য হাইকমিশনের সেবার মান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নীত করায় তাকে এই বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়।
চ্যানেল এসের চেয়ারম্যান আহমেদুস সামাদ চৌধুরী জেপি, প্রতিষ্ঠাতা মাহী ফেরদৌস জলিল এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাজ চৌধুরী হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীমের হাতে বিশেষ সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। যাতে প্রায় একশ ছবিতে যুক্তরাজ্যে হাইকমিশনারের বিগত পাঁচ বছরের বিভিন্ন কর্ম ও সাফল্য প্রতিফলিত হয়েছে।
এসময় ব্রিটিশ এমপি আপসানা বেগম, হাউস অব লর্ডস সদস্য ব্যারোনেস উদ্দিন ও নিউহামের নির্বাহী মেয়র রুকসানা ফাইয়াজ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সেরা করদাতা সম্মাননা-ট্যাক্স কার্ড পেলেন সালমান এফ রহমান
বিশেষ সম্মাননা স্মারক গ্রহণের পর হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম বলেন, ‘আমি একজন পেশাদার কূটনীতিক, মানুষের সেবা করা আমার দায়িত্ব যা আমি সব সময়ই আন্তরিকতার সঙ্গে করার চেষ্টা করেছি। ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের মর্যাদার সঙ্গে সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করার অঙ্গীকার নিয়ে দায়িত্ব পালন করছি।’
হাইকমিশনার চ্যানেল এসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘চ্যানেল এস শুধু একটি টেলিভিশন নয়, এটি যুক্তরাজ্যে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির একটি অন্যতম প্রধান প্লাটফর্ম।’
ফারহান মাসুদ খানের উপস্থাপনায় প্রচারিত অনুষ্ঠানে স্টুডিওতে ব্রিটিশ ও ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ কয়েকশ আমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় রাশিয়ান হাউসের উদ্যোগে ৮৪ মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা
৭১২ দিন আগে
শাবিপ্রবিতে ২৩ শিক্ষককে বিশেষ সম্মাননা
শিক্ষকতা ও প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা ও অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২৩ জন শিক্ষককে বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) দিনব্যাপী এক অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা দেয়া হয়।শাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে শাবিপ্রবিতে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম শুরুসম্মাননাপ্রাপ্ত শিক্ষকদের অবদান ও তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত শিক্ষা, গবেষণা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে তাদের অবদান অনেক। তাদের অবদানের ফলেই আজকে আমাদের এই অবস্থান। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য অধ্যাপক ড. সদরুউদ্দীন আহমেদ চৌধুরী, ড. জাফর ইকবালসহ তাদের দক্ষতা ও সঠিক কর্মপরিকল্পনার কারণেই শুরুতে শাবিপ্রবির ভিত্তিটা সুন্দরভাবে তৈরি হয়েছে।তিনি বলেন, আমার এখানে আসার অন্যতম কারণ হচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম। শিক্ষা, গবেষণা ও কর্মক্ষেত্রে দেশ-বিদেশে শাবিপ্রবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনেক সুনাম রয়েছে।তিনি আরও বলেন, আমরা অনেক চেষ্টা করে সরকারের কাছ থেকে মেগা প্রকল্পের বাজেট নিয়ে এসেছি। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দেশের মধ্যে অন্যতম সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন বিশ্ববিদ্যালয় হবে শাবিপ্রবি। দূর হবে অনেক সংকট। শিক্ষা, গবেষণা ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ সবদিক থেকে শাবিপ্রবি হবে রোল মডেল। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত ১৪ জন শিক্ষক।তারা হলেন- অধ্যাপক ড. মিরাজ উদ্দিন মন্ডল, অধ্যাপক ড. খলিলুর রহমান, অধ্যাপক ড. এমাদ উদ্দিন চৌধুরী, অধ্যাপক ড. মো. জয়নাল আবেদীন, অধ্যাপক নাজমুল আসহাব, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হাই চৌধুরী, অধ্যাপক ড. রেজাই করিম খন্দকার, অধ্যাপক ড. ইয়াসমীন হক, অধ্যাপক ড. সুশান্ত কুমার দাস, অধ্যাপক ড. এম হাবিবুল আহসান, অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক ড. কামাল আহমদ চৌধুরী, অধ্যাপক ড. আতী উল্লাহ ও অধ্যাপক ড. আবদুল আউয়াল বিশ্বাস।এছাড়া বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন ৯ জন শিক্ষক।তারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য অধ্যাপক ড. সদরুউদ্দীন আহমেদ চৌধুরী, ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার বসাক, অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন, অধ্যাপক ড. বজলুল মুবিন চৌধুরী, অধ্যাপক ড. গৌরাঙ্গ দেব রায়, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. হাবিবুর রহমান, অধ্যাপক ড. এমএ রকীব, অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম মিয়া ও অধ্যাপক ড. মাকসুদুল বারী।
আরও পড়ুন: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ পাচ্ছেন শাবিপ্রবির ৬০ শিক্ষার্থীঅনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ও মরনোত্তর সম্মাননা পাওয়া শিক্ষকদের পক্ষে তাদের স্বজনরা স্মারক গ্রহণ করেন।শাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাসের সভাপত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- শাবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, সিলেট নর্থ-ইস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফারুক উদ্দিন ও সোনালী ব্যাংকের জিএম জামান উদ্দিন।অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যৌথভাবে সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক তাহমিনা ইসলাম ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মহিবুল আলম।
১৪২৩ দিন আগে