গাড়ি
রাজধানীতে গাড়ির ধাক্কায় রিকশাচালকের মৃত্যু
রাজধানীর গাবতলীতে অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় রেজাউল (৩০) নামে এক রিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) ভোরে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত রেজাউল দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার উত্তর কাটলা গ্রামের আনছার আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী কিশোর নিহত
আহত রিকশাচালককে হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী কাজী শামসুদ্দিন হাবিব বলেন, রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গাবতলী বেড়িবাঁধ স্লুইসগেট এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় অজ্ঞাত গাড়িটি রেজাউলকে ধাক্কা দেয়।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। এরপর তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল নেওয়া হয়।
সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন রাত ১২টার দিকে মারা যান তিনি।
তিনি বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে এবং বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ওই রিকশাচালক ঢাকায় থাকলেও তার পরিবার দিনাজপুরের গ্রামের বাড়িতে থাকেন।
আরও পড়ুন: রামপুরায় গাড়ির ধাক্কায় বাইকারের মৃত্যু
সীতাকুণ্ডে গাড়ির ধাক্কায় নিহত ১
যানজট কমাতে মঙ্গোলিয়ায় বিকল্প দিনে গাড়ি চলাচলের নির্দেশ
মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলান বাটোর শহরের যানজট কমাতে সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাস্তায় অর্ধেক যানবাহন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পৌর সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, উপরে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে বিজোড় বা জোড় লাইসেন্স প্লেট নম্বরের উপর ভিত্তি করে বিকল্প দিনে যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে।
সাম্প্রতিক ভারী তুষারপাতের কারণে রাজধানীর রাস্তাগুলো পিচ্ছিল হয়ে যাওয়া এবং এর ফলে কয়েক ঘণ্টা ধরে রাস্তায় গাড়ি আটকে থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বহু বছর ধরে যানজট উলান বাটোরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার পানি থেকে ৩০০ জনকে উদ্ধার
উলান বাটোর মূলত পাঁচ লাখ বাসিন্দা থাকার জন্য নির্মিত হয়েছিল।
তবে, শহরটিতে এখন দেশের ৩ দশমিক ৪ মিলিয়ন জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক বাস করে।
বর্তমানে, উলান বাটোরে ৭ লাখ ২০ হাজার যানবাহন নিবন্ধিত রয়েছে।
পৌরসভা সরকারের মতে, রাজধানী শহরে যানবাহনের সংখ্যা বছরে গড়ে ৫০ হাজার করে বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২২ পুলিশ সদস্য নিহত, আহত ৩২
ফিলিপাইনে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নিহত ২৯
বিএনপি নেতা রিজভীর সমাবেশ থেকে গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ পিকেটারদের
বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ঘোষিত দশম দফা অবরোধের দ্বিতীয় দিনে বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে ঝটিকা মিছিল থেকে পিকেটারদের রাস্তায় চলাচলরত বাস ও অন্যান্য যানবাহনে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখা গেছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, রিজভীর নেতৃত্বে প্রায় ৩০ জন পিকেটারকে রাস্তায় মিছিল করতে।
তারা ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের ঘোষিত তফসিলের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিল।
একপর্যায়ে পিকেটাররা রাস্তায় বসে থাকলেও বাস, গাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ অন্যান্য যানবাহনকে অবরোধ অমান্য করে চলাচল করতে দেখা যায়।
পিকেটাররা তখন একটি টায়ার এনে রাস্তায় আগুন ধরিয়ে দিতে এবং যানবাহন চলাচল বন্ধ করার চেষ্টা করে।
কিন্তু রাস্তার অপর পাশ দিয়ে যানবাহন চলতে থাকায় সেগুলোর দিকে পিকেটারদের ইট-পাটকেল ছুঁড়তে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: ক্ষমতা ধরে রাখতেই তৈরি পোশাক খাতে বিপদ ডেকে আনছে সরকার: রিজভী
এর মাত্র একদিন আগে, এই বিএনপি নেতা গণমাধ্যমকে বলেন, জনসাধারণের মনোযোগ সরাতে আওয়ামী লীগ নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করতে পারে।
২৮ অক্টোবর থেকে দেশে গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, হামলা, সহিংসতা ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটছে।
লন্ডন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত প্রধান তারেক রহমান দেশের ভাগ্য নির্ধারণে তার দলের কর্মীদের ‘রাস্তায়’ নামার জন্য ডাক দিলে অনেক মানবাধিকারকর্মীও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
সংখ্যালঘু নেতারা এই আহ্বানকে ‘সহিংসতার প্ররোচনা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে কারচুপির সঙ্গে জড়িতদের জনগণের আদালতে বিচার হবে : রিজভী
বুধবার থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ঘোষণা বিএনপির
৩ দিনে ১১টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে: ফায়ার সার্ভিস
৩০ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে রবিবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত ১১টি গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের গণমাধ্যম শাখার উপপরিচালক শাহজাহান শিকদার জানান, অগ্নিসংযোগের শিকার যানবাহনসমূহের মধ্যে ঢাকায় চারটি, গাজীপুরে পাঁচটি এবং সিলেট ও দিনাজপুর জেলায় একটি করে গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া তিনটি কাভার্ড ভ্যান, পাঁচটি বাস ও তিনটি ট্রাকে আগুন দেওয়া হয়।
ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মকর্তা বলেন, এই সময়ের মধ্যে ১৯টি ফায়ার ফাইটিং ইউনিটের মোট ৯৬ জন সদস্য আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, ২৮ অক্টোবর থেকে অবরোধ ও হরতাল চলাকালে এ পর্যন্ত ২৪৪টি যানবাহন ও প্রতিষ্ঠানে আগুন দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৫ ঘণ্টায় ১১ অগ্নিকাণ্ড, পুড়েছে ১২টি যানবাহন: ফায়ার সার্ভিস
ঢাকার মধ্যে মিরপুরে অক্টোবরে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে: ফায়ার সার্ভিস
নারায়ণগঞ্জে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি দুর্ঘটনা: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪
২৮ অক্টোবর থেকে সারাদেশে ২০৮টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে
গত ২৮ অক্টোবর থেকে রবিবার (২৬ নভেম্বর) ৬টা পর্যন্ত বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচিতে মোট ২০৮টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে।
এছাড়া, ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বিরোধী দলগুলোর চলমান ৪৮ ঘণ্টার সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ চলাকালীন গত ৬০ ঘণ্টায় তিনটি অগ্নিসংযোগের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে।
এ সময় মোট তিনটি গাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
এর মধ্যে ঢাকা শহরের ভেতরে একটিতে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান শিকদার।
আরও পড়ুন: বরিশালে সড়কে গাছ ফেলে ট্রাকে আগুন
বাকি দুটি অগ্নিসংযোগ হয়েছে কুমিল্লার দাউদকান্দি ও বরিশাল বিভাগে।
আগুনে দুটি বাস ও একটি ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে সারাদেশে আগুন নেভাতে ছয়টি অগ্নিনির্বাপক ইউনিটের মোট ৩০ জন সদস্য কাজ করেছেন।
এছাড়া, ফের রবিবার সকাল থেকে বিএনপি, জামায়াত ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে আগুন
কুলিয়ারচরে দাঁড়িয়ে থাকা পণ্যবাহী পিকআপভ্যানে আগুন
হরতালের দ্বিতীয় দিন: সিলেটে গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই সিলেট নগরীতে একটি ট্রাক ও একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে যুবদল কর্মীদের বিরুদ্ধে।
সোমবার (২০ নভেম্বর) সকাল পৌনে ৯টার দিকে নগরীর উপশহর পয়েন্টে হরতাল সমর্থনে কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে মিছিল বের করে যুবদল।
আরও পড়ুন: হরতালের দ্বিতীয় দিন: সারাদেশে র্যাবের ৪২৫টি দল মোতায়েন
তবে, পুলিশ বলছে কোনো গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে বলে তাদের জানা নেই। পিকেটিংয়ের চেষ্টা করলে তাদের ধাওয়া দিলে পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকাল পৌনে ৯টার দিকে উপশহর পয়েন্টে কয়েকটি মোটরসাইকেলে হেলমেটধারী যুবদলের কয়েকজন সড়ক অবরোধ করে একটি ট্রাক ও অটোরিকশা ভাঙচুর করে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। তবে ৪/৫ মিনিটের মধ্যে পুলিশ আসার আগেই সটকে পড়ে যুবদলের নেতা-কর্মীরা।
এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত সুমন কুমার চৌধুরী বলেন, উপশহর পয়েন্টে দুর্বৃত্তরা পিকেটিংয়ের চেষ্টা করলে পুলিশ ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।
এদিকে, টানা ৪৮ ঘণ্টা হরতালের দ্বিতীয় দিন সোমবার সিলেটে ঢিলেঢালাভাবে পালিত হচ্ছে। সকাল থেকে সিলেট নগরীতে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে স্বাভাবিক দিনের তুলনায় গাড়ির সংখ্যা ছিল অনেক কম।
সকাল সাড়ে সাতটায় নগরীর শাহী ঈদগাহ এলাকায় যুবদল বিক্ষোভ মিছিল করে। এসময় মিছিল থেকে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে সোমবার দুপুর ১২টায় নগরের মিরবক্সটুলায় মিছিল সমাবেশ করেছে সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা।
কিশোরগঞ্জে ইউএনও'র গাড়ি ভাঙচুর
কিশোরগঞ্জে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল চলাকালে ইটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
সকাল ৮টার দিকে জেলার শোলাকিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে হরতাল সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দাউদ জানান, গাড়িটি কিশোরগঞ্জ জেলার শোলাকিয়া এলাকায় পৌঁছালে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা গাড়িটি থামিয়ে ভাঙচুর করে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতালে ঢাকার সড়ক ফাঁকা, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর
বিএনপির তারুণ্যের রোডমার্চ: নাটোরে মাইক্রোবাসে অগ্নিসংযোগ, ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুর
বগুড়া থেকে রাজশাহী পর্যন্ত বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠনের তারুণ্যের রোডমার্চ চলাকালে রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) নাটোর সদর উপজেলার ডালসড়ক এলাকায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে একটি মাইক্রোবাসে আগুন দেওয়া হয়।
এছাড়া জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে একটি প্রাইভেটকারসহ বেশ কিছু যানবাহন ভাঙচুর করা হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ বলেন, কারা মাইক্রোবাসে আগুন দিয়েছে এবং গাড়ি ভাঙচুর করেছে তা এখনো পরিষ্কার নয়।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে।’
এদিকে, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু তাদের দলের তারুণ্যের রোডমার্চে সহিংসতার জন্য ক্ষমতাসীন দলের লোকদের দায়ী করেছেন।
আরও পড়ুন: সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রোডমার্চ চলবে: ফখরুল
বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের রোডমার্চ ঠেকাতে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আগামী নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করার জন্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ১৩ সেপ্টেম্বর রোডমার্চের ঘোষণা দেয় বিএনপি’র অঙ্গ সংগঠনগুলো।
যোগাযোগ করা হলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের খুঁজে বের করবে।
রংপুর থেকে জাতীয়তাবাদী যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদলের ঘোষিত ‘তারুণ্যের রোডমার্চ’ রবিবার থেকে শুরু হয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির সহযোগী সংগঠনের রংপুর-দিনাজপুর রোডমার্চ শুরু হবে শনিবার দুপুরে
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে বিএনপি একা নয়: ফখরুল
গাইবান্ধায় গাড়ির ওয়ার্কশপ থেকে ‘মানসিক প্রতিবন্ধী’ যুবকের লাশ উদ্ধার
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে একটি গাড়ির ওয়ার্কশপের চৌবাচ্চা থেকে অনাথ শীল (৪০) নামে মানসিক প্রতিবন্ধী এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) উপজেলার পান্থপাড়া এলাকার ‘সোহেল ড্রাইভিং’ নামের একটি গাড়ির ওয়ার্কশপ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্কুল শিক্ষিকা, গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার নিয়ে রহস্য!
নিহত অনাথ শীল রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার সাধবী গ্রামের রাজেন্দ্রনাথ শীলের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, অনাথ শীল মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন। বেশ কয়েক ধরে গোবিন্দগঞ্জ শহরে তাকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। সোমবার সকালে সোহেল ড্রাইভিংয়ের চৌবাচ্চায় তার লাশ ভাসতে দেখা গেছে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ বলেন, খবর পেয়ে চৌবাচ্চা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে। মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার করল পিবিআই
তুরস্কে আরও ৪ জনের লাশ উদ্ধার করল বাংলাদেশ সম্মিলিত দল
বিএনপিকে দোষারোপ করতে গাড়িতে আগুন দিয়েছে আওয়ামী লীগ: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, বিরোধীদের মিথ্যা দোষারোপ করার জন্য সরকারের চক্রান্তের অংশ হিসেবে রাজধানীতে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা এবং ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা গাড়িতে আগুন দিয়েছে।
তিনি বলেন, আটক বিএনপি নেতাদের খাবার ও ফুল পাঠানো যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির ফল।
শনিবার (২৯ জুলাই) বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি মাতুয়াইল ও শ্যামলীতে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনার জন্য বিএনপিকে দায়ী করার অপচেষ্টা চলছে। সরকারি সংস্থার সদস্যরা, এমনকি আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা পুলিশের সহায়তায় পরিকল্পিতভাবে এসব ঘটনা ঘটিয়েছে এবং মোটরসাইকেলে পালিয়ে যাওয়ার আগে ভিডিও ধারণ করেছে।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে, হামলা চালিয়ে এবং এসব ঘটনার ভিডিও করে অপরাধীরা পুলিশের সামনে কোনো বাধা ছাড়াই পালিয়ে গেছে। ‘এটি সহজেই অনুমান করা যায় যে ঘটনাগুলো কারা সাজাতে পারে।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ স্বৈরাচার ও সামন্তবাদ পছন্দ করে: ফখরুল
নিজেরাই অপরাধ করে বিএনপির ওপর দোষ চাপানোর অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
ফখরুল বলেন, পোড়া বাসের চালক ও প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্যে প্রমাণিত হয়েছে গাড়িতে অগ্নিসংযোগের পেছনে কারা জড়িত ছিল। ‘এটা খুব স্পষ্ট যে সরকার পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ও নাটকীয়তায় এসব ঘটনা ঘটিয়েছে।’
রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশপথে বিএনপির শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি নস্যাৎ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের ব্যবহার করে সরকার রাজধানীতে যে তাণ্ডব চালিয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
ফখরুল বলেন, বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা ও অনেক নেতাকর্মীর ওপর হামলা এবং বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার প্রমাণ করেছে বর্তমান সরকারের হাতে দেশের কোনো নাগরিক নিরাপদ নয়। ‘এই সরকার এখন শুধুমাত্র ঘৃণা ও নিন্দার প্রাপ্য।’
তিনি বলেন, সরকার ও তার বিভিন্ন শক্তির অবৈধ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়ার ক্ষমতা বিএনপি ও দেশের জনগণের রয়েছে। ‘কিন্তু আমরা সবসময় সেই শক্তি প্রয়োগের ফলে যে অপ্রীতিকর এবং দুঃখজনক পরিস্থিতি হতে পারে তা এড়াতে চেয়েছি। এটা আমাদের দুর্বলতা নয়, বরং এটা জনগণ ও গণতন্ত্রের প্রতি আমাদের দায়িত্ব।’
আরও পড়ুন: 'সময় শেষ, পদত্যাগ করুন': সরকারের প্রতি ফখরুল
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, তাদের দল দীর্ঘদিন ধরে গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করে আসছে। যদিও অনেক নেতা-কর্মীকে হত্যা, গুম, নিপীড়ন, কারাবরণ, মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু সবকিছুর একটা সীমা আছে। আশা করি সরকার এটি মাথায় রাখবে।’
আটকের পর দলের সিনিয়র নেতা আমানুল্লাহ আমানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের জন্য ডিবি পুলিশের মধ্যাহ্নভোজের প্রতি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, সমালোচকরা বলছেন যে এটি মার্কিন ভিসা নীতির ফলাফল।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা নিজেদেরকে (ভিসা নীতি থেকে) রক্ষা করতে এবং নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে এই নাটক মঞ্চস্থ করেছে। অতীতেও তারা এ ধরনের নাটক মঞ্চস্থ করেছে। তাই এসব বিষয় আমাদের নেতা, কর্মী ও জনগণের কাছে তুচ্ছ।’
আরও পড়ুন: আ. লীগের ভয় দেখানোর কৌশল আর চলবে না, জনগণ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে: ফখরুল
ফখরুল বলেন, সরকার ও পুলিশ অতীতে বিএনপি নেতাদের প্রতি এমন আন্তরিক মনোভাব কখনো দেখায়নি।
তিনি বলেন, ‘গত ডিসেম্বরে আমাদের প্রায় ৪৫০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। মির্জা আব্বাস ও আমাকেও কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা তখন সুস্বাদু আম, ফল, ফুল পাঠায়নি। তারা এখন ভিসা নীতির প্রভাব থেকে বাঁচাতে এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য এটি করছে।’
এর আগে শনিবার ঢাকার প্রধান প্রবেশপথে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি সংঘর্ষ ও সহিংসতায় ভেস্তে যায়।
বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় মাতুয়াইল ও শ্যামলীসহ বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।