কমিউনিটি
দেশের গ্রামাঞ্চলে কমিউনিটি স্থিতিস্থাপকতা ও জীবিকা নির্বাহের জন্য ১২০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি
বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মৌলিক সেবা ও জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করতে ১২০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি সই করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকার।
বুধবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান ও এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং চুক্তিতে সই করেন।
আরও পড়ুন: এডিবি'র সর্বশেষ প্রতিবেদন: ২০২৪ অর্থবছরকে বাংলাদেশের জন্য একটি ভালো বছর হিসেবে পূর্বাভাস
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, ক্লাইমেট রিসাইল্যান্ট লাইভলিহুড ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটারশেড ম্যানেজমেন্ট হন চিটাগং হিল ট্র্যাক্ট সেক্টর প্রজেক্টের অধীনে এই অঞ্চলে টেকসই ও স্থিতিস্থাপক কমিউনিটি উন্নয়নে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, সামগ্রিক ও অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতি গ্রহণ কো হবে।
এই প্রকল্পের অধীনে ২০৩১ সালের মধ্যে কমপক্ষে ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর কৃষি জমিতে ফসল উৎপাদন ৫০ শতাংশ বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া ৫৭ হাজার পরিবারের নারীদের পানীয় জল আনতে যে সময় ব্যয় হয় তার ৫০ শতাংশ হ্রাস করবে। পাশাপাশি প্রকল্পের অধীন রাস্তায় বাস, প্রাইভেটকার ও ট্রাকের যে সময় লাগত তার থেকে ৫০ শতাংশ কম সময় লাগবে।
প্রকল্পটি তিন পার্বত্য জেলা বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিকে অন্তর্ভুক্ত করবে। এডিবির মতে, এটি গ্রামীণ সড়কের উন্নয়ন, পানি সরবরাহের উৎস, স্যানিটেশন পরিষেবা, ছাদে সৌর বিদ্যুৎ স্থাপন ও কৃষি সুবিধা স্থাপনে সহায়তা করবে।
প্রকল্পটি প্রায় ১৪০ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ককে প্রকৃতি-ভিত্তিক, জলবায়ু-সহনশীল এবং সুরক্ষিত রাখবে।
এডিবি'র এই হস্তক্ষেপের ফলে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি প্রশমনে নয়টি সাব-ওয়াটারশেডে জলাবদ্ধতা ব্যবস্থাপনা জোরদার হবে।
এর ফলে কৃষিবনায়নের মাধ্যমে জলাশয় এলাকায় সবজি চাষের উন্নয়ন, ক্ষুদ্র পরিসরে পানি সংগ্রহের অবকাঠামো নির্মাণ, জলাশয় সুরক্ষা থেকে আয়বর্ধক কার্যক্রমের প্রচার এবং জলাশয় ব্যবস্থাপনা দক্ষতায় গ্রাম বন কমিটিকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
এ ছাড়াও, প্রকল্পটি খাদ্য নিরাপত্তার জন্য টেকসই ভূমি ব্যবহার এবং জলবায়ু-স্মার্ট কৃষি অনুশীলনকে সমর্থন করবে।
জলবায়ু সহনশীল ফসলের জাত পরিবর্তন এবং উচ্চমূল্যের শাকসবজি, ফলমূল, মশলা ও ওষুধি উদ্ভিদে বৈচিত্র্য আনতে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দেওয়া হবে।
তাদের প্রশিক্ষণ, সরঞ্জাম, বিশেষজ্ঞ, বেসরকারি খাতের সঙ্গে সংযোগ দেওয়া হবে যাতে তারা তাদের পণ্য প্রক্রিয়াকরণ, বিপণন ও বিক্রয় করতে সহায়তা করে।
কাঠের কাজ, খাবার প্রক্রিয়াজাতকরণ, উদ্যোক্তা ও সম্প্রদায়ভিত্তিক ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টের মতো বৃত্তিমূলক ও পেশাদার প্রশিক্ষণ কোর্স প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ শ্রমের চাহিদা পূরণ করা হবে।
আরও পড়ুন: এশিয়া প্যাসিফিককে সহায়তা করতে আগামী দশকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের নতুন তহবিল উন্মোচন এডিবির
বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি
ওমিক্রনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ঘটেছে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
ওমিক্রনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ঘটেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একইসঙ্গে ওমিক্রন একটু একটু করে ডেল্টার জায়গা দখল করছে বলে সতর্ক করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
রবিবার দুপুরে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অধিদপ্তরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে সংস্থাটির মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, কমিউনিটি পর্যায়ে ওমিক্রনের সংক্রমণ ঘটছে। আমরা দেখছি, ওমিক্রমন একটু একটু করে ডেল্টার জায়গাগুলোকে দখল করে ফেলছে।
নাজমুল ইসলাম বলেন, এখন সিজনাল যে ফ্লু হচ্ছে তার সঙ্গে ওমিক্রনের মিল রয়েছে। ওমিক্রনের যে উপসর্গগুলো আছে, শতকরা ৭৩ শতাংশ মানুষের নাক দিয়ে পানি ঝরছে। ৬৮ শতাংশ মানুষের মাথা ব্যথা করছে। ৬৪ শতাংশ রোগী অবসন্ন-ক্লান্তি অনুভব করছেন। সাত শতাংশ রোগী হাঁচি দিচ্ছেন। গলা ব্যথা হচ্ছে সাত শতাংশ রোগীর। ৪০ শতাংশ রোগীর কাশি হচ্ছে। এই বিষয়গুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ৫০ শতাংশ
তিনি আরও বলেন, যে কোনো পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। রোগীর সংখ্যা যদি প্রতিদিনই বাড়তে থাকে এবং স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে আমরা যদি নিজের মতো করে চলতে থাকি তাহলে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে, সেটি সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর বাড়তি চাপ প্রয়োগ করবে। এই অতিমারিকে যদি আমরা পরাস্ত করতে চাই তাহলে আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ডিসেম্বরের শেষ থেকে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। ২২ জানুয়ারি এসে শনাক্তের হার ২৮ শতাংশের বেশি রয়েছে। সপ্তাহের শুরু ১৬ জানুয়ারি যেটা ছিল ১৭ দশমিক ৮২ শতাংশ।
হাসপালে রোগী বাড়ছে জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, গত বছরের শেষ থেকে এ বছরের শুরু পর্যন্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নেয়ার জন্য আগ্রহী রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০০টি নমুনা সংগ্রহের বিপরীতে শনাক্তের হার ২৮ শতাংশে বেশি। আজ পর্যন্ত যে গড় আছে তা ১৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনা: রাজশাহী বিভাগে শনাক্ত ৪৪.১৯ শতাংশ
করোনা উপসর্গে দিনাজপুরে মৃত্যু ৩, শনাক্ত ৫১.৫১ শতাংশ